top of page

অক্ষয়তৃতীয়ার মাহাত্ম্য, সাথে পুজোর ভোগে নিবেদন করা যাবে এমন দুটি মিষ্টির রেসিপি..

rojkarananya

বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া, শনিবার সকাল ৭:৪৯ থেকে রবিবার সকাল ৭:৪৭ পর্যন্ত অক্ষয় তৃতীয়া। এদিন থেকে পরবর্তী ২১ দিন ধরে চলে ভগবানের চন্দন শোভাযাত্রা মহোৎসব। ২১ দিন সুগন্ধি চন্দন, কর্পূর এবং অগুরু মিশিয়ে ভগবানের শ্রীঅঙ্গে লেপন করা হয়। এতে পরমেশ্বর ভগবান খুবই শীতলতা ও প্রশান্তি অনুভব করেন বলেই কথিত আছে।

অক্ষয় তৃতীয়ার অর্থ:


‘অক্ষয় তৃতীয়া’ -এর মধ্যে ‘অক্ষয়’ শব্দের অর্থ হল, যার ক্ষয় নেই। বলা হয়, এইদিন আপনি যা দান করবেন, তার অক্ষয় ফল প্রাপ্ত হয়। যে সকল পুণ্য কর্ম করবেন, তা অক্ষয় হয়ে থাকবে। চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী এই দিন অনেক দোকানে ‘হালখাতা’ করা হয়। মঙ্গলমূর্তি গণেশের পূজা করা হয়। এই তিথিতে বেশ কয়েকটি শুভ অনুষ্ঠানও হয় ।

যে সকল তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল এই বিশেষ দিনে:


১) বিষ্ণুর অবতার পরশুরাম আবির্ভূত হয়েছিলেন।


২) রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।


৩) গনেশ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী শুনে মহাভারত লিখতে শুরু করেছিলেন।


৪) চন্দনযাত্রা শুরু হয়েছিল।


৫) সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়েছিল।


৬) কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য দান করেছিলেন। এদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।


৭) ভক্তরাজ সুদামা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেছিলেন এবং তাঁর থেকে সামান্য চালভাজা নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সব দুঃখ মোচন করেছিলেন।


৮) দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে গিয়েছিলেন এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সখীকে রক্ষা করেছিলেন। শরণাগতের পরিত্রাতা রূপে এদিন তিনি দ্রৌপদীকে রক্ষা করেছিলেন।


৯) পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রথনির্মাণ শুরু হয়।


১০) কেদার-বদ্রী গঙ্গোত্রী-যমুনেত্রীর যে মন্দির ছয় মাস বন্ধ থাকে, এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটিত হয়।



এদিন ভগবান গণেশ, বিষ্ণু ও গৃহদেবতাকে ভোগ প্রদান করা হয়। ভারতীয় উত্‍সবে মিষ্টি হল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে সুস্বাদু মিষ্টি ছাড়া উত্‍সব বা পুজো কোনওটাই সম্পূর্ণ হয় না। অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষ্যে দুধ থেকে তৈরি কোন মিষ্টিগুলি দেবতাকে অর্ঘ্য করবেন, চলুন দেখে নিই...


ছানার পায়েস



কী কী লাগবে 


দুধ ১ লিটার (ছানা তৈরির জন্য), দুধ ২ লিটার (পায়েস তৈরির জন্য), লেবুর রস বা ভিনিগার ৪ চা চামচ, গুঁড়ো চিনি ২ টেবিল চামচ,


গোটা চিনি ৩/৪ কাপ, ছোট এলাচ ৪ টি (গুঁড়ো করা), গোলাপ জল ২ চা চামচ।



কিভাবে বানাবেন 


দুধ জ্বাল দিয়ে লেবুর রস অথবা ভিনিগার মিশিয়ে ছানা কেটে নিন। গুঁড়ো চিনি আর গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে মেখে ছোট ছোট বল বানিয়ে রাখুন। বাকি দুধ জ্বাল দিয়ে গোটা চিনি, এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে ছানার বলগুলো দিয়ে ফুটতে দিন। মিনিট পাঁচেক পর নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।


নরমপাকের সন্দেশ



কী কী লাগবে 


১ লিটার দুধের ছানা, ৫০০ মি.লি. দুধ দিয়ে তৈরি খোয়া ক্ষীর, চিনি ৩/৪ কাপ


লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ঘি ১ চা চামচ, 


সবুজ এলাচ ৪ টি (গুঁড়ো করা)।




কিভাবে বানাবেন


দুধ জ্বাল দিয়ে লেবুর রস মিশিয়ে ছানা কেটে নিন। ভালো করে জল ঝরিয়ে মেখে নিন। কড়াইতে ছানা, খোয়া ক্ষীর, চিনি, গুঁড়ো এলাচ মিশিয়ে পাক দিন। নামিয়ে অল্প গরম থাকা অবস্থায় ঘি মাখানো ছাচে ফেলে সন্দেশ গুলো গড়ে নিন।



রেসিপি এবং ছবি সৌজন্যেঃ মৌমিতা কুন্ডু মল্ল

অনুলিখন সুস্মিতা মিত্র

 

留言


ssss.jpg
sssss.png

QUICK LINKS

ABOUT US

WHY US

INSIGHTS

OUR TEAM

ARCHIVES

BRANDS

CONTACT

© Copyright 2025 to Debi Pranam. All Rights Reserved. Developed by SIMPACT Digital

Follow us on

Rojkar Ananya New Logo.png
fb png.png

 Key stats for the last 30 days

bottom of page