top of page

কিভাবে বুঝবেন লিভার ডিটক্স করার দরকার? ১০ টি লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন....

rojkarananya

লিভার দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটির খেয়াল না রাখলে তা ভয়ংকর দুরাবস্থা ডেকে আনে। তাই যকৃতকে সুস্থ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে লিভার ডিটক্স করে তুলতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা কমে। আসুন সেই বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাক। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, প্রাকৃতিক উপায়ে লিভারকে পরিশ্রুত করা যায়। কোনও ওষুধের দরকার পড়ে না।


কিভাবে বুঝবেন লিভার ডিটক্স করার দরকার? ১০ লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন লিভার পরিষ্কার করার দরকার পড়ছে। যেমন-


১। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা


২। এনার্জির অভাব, ক্লান্তি


৩। পেট খারাপ


৪। দুর্বলতা অনুভব


৫। ফুসকুড়ি


৬। ত্বকে চুলকানি


৭। গ্যাস এবং পেট ফাঁপা


৮। মুখে দুর্গন্ধ এবং শরীরে গন্ধ


৯। উদ্বেগ


১০। মেজাজ পরিবর্তন


লিভার বান্ধব খাদ্য


লিভার পরিষ্কারের জন্য লিভার বান্ধব খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই ডায়েটে শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, লেবু, বাদাম, বীজ, মাছ, ডিম, জলপাই তেল এবং নারকেল তেল থাকতে পারে। এছাড়াও, গ্লুটেন খাবার, ক্যাফাইন ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

বাদাম-


বাদাম ভিটামিন ই-এর দারুণ উৎস। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। NCBI গবেষণা দেখা গিয়েছে, ভিটামিন ই অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং লিভারকে সুস্থ রাখে।


বিটরুট-


বিটরুটে বেটালাইন নামক একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা একটি প্রাকৃতিক প্রদাহ বিরোধী। ফলে লিভার সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে। এতে রয়েছে বিটেইন, যা লিভারের কোষ থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।


টক ফল-


লেবু, ট্যানজারিন, কমলার মতো সাইট্রাস ফলগুলিতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের শারীরবৃত্তীয় চাপ দূর করে। এই ফল খেলে টক্সিনমুক্ত হয় লিভার।


গ্রিন টি-


গ্রিন টি-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা লিভার ডিটক্স করতে খুবই কার্যকর। গ্রিন টি লিভারের টক্সিনকে জলে দ্রবণীয় যৌগে রূপান্তরিত করে। তার পর তা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরে বাইরে চলে যায়।


ডিটক্স ওয়াটার আদতে কী?


ডিটক্স ওয়াটার হল ফ্রুট ইনফিউডস ওয়াটার। একটু বড় মুখওয়ালা কাঁচের জারের মধ্যে ফলের টুকরো দিয়ে জল ভরে রেখে দিন। অন্তত ৫ থেকে ৬ ঘন্টা তা ফ্রিজের মধ্যে রাখুন। শসা বা আপেল দিলে কিন্তু খোসা ছাড়াবেন না। সেই সঙ্গে লেবু স্লাইস করে ফেলে রাখুন। ভাল গন্ধের জন্য পুদিনা পাতাও দিতে পারেন। এভাবে জল রেখে দুদিন পর্যন্ত খেতে পারেন। ডিটক্স ওয়াটার খেলে যেমন শরীর-মন ভাল থাকে তেমনই কিন্তু শরীরের অতিরিক্ত মেদও ঝরে যায়।



ডিটক্স ওয়াটারের উপকারিতা-


*শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ আর মিনারেল আসে এই ডিটক্স ওয়াটার থেকে।


*শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।


*যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁরাও কিন্তু নিয়মিত ভাবে এই ডিটক্স ওয়াটার খেলে সমস্যার সমাধান হবে।


*ডিটক্স ওয়াটার আমাদের মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে দেয়। ফলে খুব সহজেই ক্যালোরি ঝরে। আর ফল, শাকসবজি দেওয়া এই সব ডিটক্স ওয়াটার খেলে কিন্তু ইমিউনিটি বাড়ে।


*যাঁরা ইউরিন ইনফেকশনে প্রায়শই ভোগেন, তাঁরা যদি এই ডিটক্স ওয়াটার খেতে পারেন তাঁরা কিন্তু উপকার পাবেন। এতে ইউরিনও পরিষ্কার থাকে।


যে ভাবে বানাবেন এই ডিটক্স ওয়াটার-


গ্রিন আপেলের স্লাইস- ৬ থেকে ৭ টুকরো


ধনেপাতা- ১০ টা


একটা গোটা শসা


২ টা পাতি লেবুর রস


আদার রস- ১ চামচ


যেভাবে বানাবেন


শসা ভাল করে দুয়ে নিয়ে খোসা না ছাড়িয়েই কুরে নিন। এবার সবুজ আপেলের স্লাইস করে নিন। এবার ওর মধ্যে লেবুর রস, ধনেপাতা, আদার রস মিশিয়ে নিন। এবার শসার রসের সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে বাকি উপকরণ মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ৬ ঘন্টা রেখে তারপর খান। এই ডিটক্স ওয়াটারে কিন্তু ওজন ঝরে। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখে।


Comments


Rojkar Ananya New Logo copy.jpg

Your key stats for the last 30 days

Follow us on

fb png.png

©2023 to Debi Pranam. All Rights Reserved

bottom of page