বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ও ডিজিটাল যুগে প্রতিটি মায়েদের বিশাল দুশ্চিন্তার কারন হল বাচ্চাদের খাওয়ানো। কোন মা বাচ্চার পিছনে ছুটছেন খাবার নিয়ে কেউ আবার খাওয়ানোর জন্যে স্ক্রিনের সাহায্য নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু কিছু তো করার নেই কারন তারা যে সন্তান, তাদের তো আর খালি পেটে রাখা যায় না।
ফল স্বরূপ তাদের পেট তো ভরছে কিন্তু তারা কি খাচ্ছে তা কি তারা আদেও জানতে পাচ্ছে কিম্বা কোন খাবারের কি স্বাদ তারা অনুভব করছে। এই খাবার তাদের শরীরের জন্য খুব একটা ভাল ফল বহন করতে সক্ষম হচ্ছে না। ফলে বাচ্চা কখনো কখনো অপুষ্টিতে ভুগছে কখনও বা অত্যধিক ওজনের স্বীকার হচ্ছে। কেউ কেউ আবার এই খাবার খাওয়ার জন্য স্ক্রিন দেখতে দেখতে এই স্ক্রিনের প্রতি আশক্ত হয়ে পড়ছে।
সারাদিন কর্মব্যস্ততার মাঝে বাচ্চাদের এই তিন বার খাওয়ানো মায়েদের কাছে যুদ্ধের সমান হয়ে দাঁড়ায়। দুপুর ও রাতে তবুও কিছুটা এদিক সেদিক করে হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সকালবেলা। ঐ সময় বাবু ঘুম থেকে উঠে ফুল রাজার মুড ধারন করে থাকেন, তখনং খাবার তো অনেক দুরের কথা ভালো ভালো কথা ও তখন ওনার তিতো লাগে। এদিকে বেশিক্ষণ ওনার পেট ও খালি রাখা ঠিক নয়। মায়েরা পড়ে যান মহা মুশকিলে। তখন নানান ফন্দি এটে যদি ভুলিয়ে ভালিয়ে একবার গালে খাবার ঢোকানো যায় তাহলে তখন সেই মায়ের আত্মতৃপ্তি দেখে কে...!!
তাই এই সকাল বেলার জল খাবার টা যদি একটু সময় নিয়ে বাচ্চাদের পছন্দ মত প্লেট টা সাজিয়ে দেওয়া যায় তাহলে বাচ্চা কৌতুহলের সহিত প্রশ্ন করতে করতে একা একা খেয়ে নেবে, তখন আমাদের শুধু পাশে বসে ওর এই প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়ে দিলেই ও খুশি হবে। আর দুজনের এই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ওর খাবার টাও খুব সুন্দর ভাবে শেষ হবে পুষ্টি সহকারে।
সজনে পাতার পরোটা
কী কী লাগবে
আটা,
সজনেপাতা কুচি,
গোলমরিচ গুঁড়ো,
নুন,
জিরে গুঁড়ো,
ধনে গুঁড়ো,
মাখন
কিভাবে বানাবেন
প্রথমে সজনে পাতা গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিয়েভালো ভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
এবার গরম জল দিয়ে আটা, সিদ্ধ করা সজনেপাতা, জিরে গুড়ো, ধনে গুড়ো, গোলমরিচ গুড়ো ও লবন দিয়ে মেখে নিতে হবে।
তারপর ছোট ছোট লেচি কেটে মাখন গরম করে এপিট ওপিট করে ভালো ভাবে ভেজে নিতে হবে।
সিমাইয়ের বরফি
কী কী লাগবে
সিমাই,
গুড়,
মাখন,
দুধ,
ছোট এলাচ,
ড্রাই ফ্রুটস
কিভাবে বানাবেন
প্রথমে ননস্টিকের কড়াই এ মাখন দিয়ে সেটা গরম হলে ছোট এলাচের গুঁড়ো দিতে হবে।
এবার সিমাই গুলো দিয়ে লাল করে ভেঁজে এতে একে একে গুড়, দুধ ও ড্রাই ফ্রুটস গুলো দিয়ে দিতে হবে।
একটু মাখো মাখো ভাব হলে নামিয়ে একটি প্লেটে ঠান্ডা করে পছন্দ মত কেটে নিলেই তৈরি বাচ্চাদের পছন্দমত বরফি।
কিনুয়া ডোনাট
কী কী লাগবে
কিনুয়া,
আলু
ধনেপাতা
বেসন
নুন
হলুদ
জিরে গুঁড়ো
গোলমরিচ গুঁড়ো
ছোট এলাচ গুঁড়ো
ব্রেড ক্রাম্ব
সাদা তেল
কিভাবে বানাবেন
প্রথমে কিনোয়া ও আলু গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
এবার সেদ্ধ আলু ও কিনোয়া এবং ধনেপাতা কুচি, সামান্য বেসন, নুন, হলুদ, জিরে গুড়ো, গোল মরিচ গুড়ো, সামান্য ছোট এলাচের গুড়ো দিয়ে মেখে ডোনাট আকৃতির করে নিতে হবে।
এবার বেসন মাখিয়ে ডিমে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্ব কোট করে ছাকা তেলে ভেজে নিতে হবে।
চিলি ভেজিস
কী কী লাগবে
বিন,
গাজর,
মটরশুটি,
চিনে বাদাম,
আলু, মিষ্টি আলু,
মিষ্টি কুমড়ো,
টমেটো,
গোলমরিচ গুড়ো,
টমেটো সস,
চিলি সস,
লবন,
হলুদ
জিরে গুড়ো
কিভাবে বানাবেন
প্রথমে সমস্ত সব্জি গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে।
এবার কড়াই এ সাদা তেল দিয়ে তাতে আদা-রসুন কুচি, টমেটো সস, সোয়া সস, পরিমান মত লবন, গোলমরিচ গুড়ো দিয়ে তাতে এই সব্জি গুলো দিয়ে ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিতে হবে।
যেহেতু অনেক বাচ্চাদের ময়দা ও কর্নফ্লায়ারে এলার্জি থাকে তাই আমি এসব দিলাম না।
তবে যাদের সমস্যা নেই তারা এসব দিয়ে ম্যারিনেট করে ভেঁজে নিতে পারেন।
পালংশাকের কচুরি
কী কী লাগবে
পালং শাক,
ময়দা,
সাদাতেল,
নুন,
হলুদ,
গোলমরিচ গুঁড়ো
কিভাবে বানাবেন
প্রথমে পালং শাক গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে লবন ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
এবার এগুলো ঠান্ডা করে মিক্সিতে পেষ্ট করে নিতে হবে।
এই পেষ্ট দিয়ে ময়দা টা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে প্রয়োজনে অল্প লবন দিতে হবে।
গোলমরিচ গুড়ো দিতে হবে।
এবার বেলে নিয়ে পছন্দ মত আকৃতি দিয়ে ছাকা তেলে ভেঁজে তুলে নিতে হবে।
Comments