আধুনিক প্রজন্ম এসব খেতে ভালোবাসলেও রান্নার নিয়ম ঠিক জানে না। অথবা কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকার কারণে সেসব পদ খাওয়া হয়ে ওঠে না। বাঙালি রেস্তোরাঁয় অর্ডার দেওয়াই যায়! তবে নিজে রাঁধলে তার স্বাদ'ই আলাদা। এমন'ই ৫ টি রেসিপি দিলেন অনিন্দিতা রায় সান্যাল।

পালং ভেটকি ভর্তা
কী কী লাগবে
৪ টি ভেটকি ফিলে, পালং শাক কুচি ২ কাপ,
১ টি পেঁয়াজ মিহি করে কাটা, ১ চা চামচ আদা বাটা, ১ চা চামচ রসুন বাটা, ২-৩ টে কাঁচা লঙ্কা কুচোনো, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, ১ চা চামচ লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ৩ টেবিল চামচ সরষের তেল,
সাজানোর জন্য ধনে পাতা কুচি
কীভাবে বানাবেন
ভেটকির ফিলে ধুয়ে ভালো করে জলঝরিয়ে নুন, হলুদ মেখে ভেজে তুলে নিন। একই প্যানে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা ও কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে ভাজুন। পালং শাক কুচি, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভাজুন। মজে এলে ভাজা ভেটকি মাছ এতে দিয়ে নাড়তে থাকুন। ভালোমতো মিশে গেলে ওপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে গরমভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

নারকেল দুধের ঘোল
কী কী লাগবে
১ কাপ দই, ১ কাপ নারকেল দুধ, ১/৪ কাপ চিনি, ১/২ চা চামচ এলাচ, ১/২ চা চামচ দারুচিনি, ১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, বরফ কুচি, কাটা নারকেল বা কাটা বাদাম (ঐচ্ছিক)
কীভাবে বানাবেন
একটি ব্লেন্ডারে দই, নারকেলের দুধ, চিনি, এলাচ, দারুচিনি এবং ভ্যানিলা এসেন্স একসাথে মসৃণ হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। রবফ কুচি মিশিয়ে কাটা নারকেল বা বাদাম ছড়িয়ে ইচ্ছে মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

কুমড়োর পুডিং
১ ক্যান কুমড়োর পিউরি, ১ কাপ দুধ, ১ কাপ ভারী ক্রিম, ১/২ কাপ দানাদার চিনি, ১/৪ কাপ কর্নস্টার্চ, ২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ চা চামচ দারুচিনি, ১/২ চা চামচ আদা কুচি, ১/৪ চা চামচ ভুনা জায়ফল, ১/৪ চা চামচ নুন,
হুইপড ক্রিম এবং দারুচিনি সাজানোর জন্য
কীভাবে বানাবেন
একটি মাঝারি আকারের সসপ্যানে অল্প আঁচে কুমড়ার পিউরি, দুধ, ভারী ক্রিম এবং চিনি একসাথে ফেটিয়ে নিন। রান্না করুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি বাষ্প হতে শুরু করে, মাঝে মাঝে নাড়তে থাকবেন। একটি ছোট বাটিতে, কর্নস্টার্চ এবং ১/৪ কাপ জল একসাথে ফেটিয়ে নিন যতক্ষণ না পর্যন্ত কর্নস্টার্চ সম্পূর্ণরূপে মিশে যায়। এবার কুমড়োর মিশ্রণের সাথে সসপ্যানে কর্নস্টার্চের মিশ্রণ একসাথে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। ভ্যানিলা এসেন্স, দারুচিনি, আদা, জায়ফল ও নুন একসাথে ফেটিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট রান্না করে পরিবেশন করার পাত্রে ঢেলে ঢেকে কমপক্ষে ২ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন। দারচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে ইচ্ছে মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ধনেপাতা মাটন ঘি রোস্ট
কী কী লাগবে
১ কেজি মাটন, ১/২ কাপ ঘি, ২ টেবিল চামচ গোটা ধনে, ২ চা চামচ জিরা, ১ চা চামচ মৌরি,
২ টি পেঁয়াজ কুচি, ৪ টি রসুনের কোয়া বাটা, ১ ইঞ্চি আদা বাটা, ২ টি টমেটো কুচোনো, ২ টি কাঁচালঙ্কা কুচোনো, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে পাতা কুচি
কীভাবে বানাবেন
গোটা ধনে, জিরা এবং মৌরি শুকনো খোলায় নেড়ে গুঁড়িয়ে নিন। একটি বড় প্যানে ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে স্বচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। রসুন এবং আদা বাটা দিয়ে ১-২ মিনিট ভাজুন। টমেটো কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো এবং বাকি মশলা দিয়ে কষে মাটনের টুকরোগুলো সহ কষতে থাকুন। ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন। গরম জল দিয়ে ফুটতে দিন। একদম মাখামাখা হয়ে তেল ভাসলে ভাজা মশলা, ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে ঢেকে রেখে দিন পরিবেশনের আগে পর্যন্ত। পরোটা, পোলাও অথবা নানের সাথে পরিবেশন করুন।

ছানার কোপ্তা পোলাও
কী কী লাগবে
কোপ্তার জন্য:
২৫০ গ্রাম ছানা, ২ টেবিল চামচ বেসন, ১/৪ চা চামচ জিরা গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ গরমমশলা গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ভাজার জন্য তেল
ভাতের জন্য:
১ কাপ বাসমতি চাল, ১ টেবিল চামচ ঘি/মাখন, ১টি পেঁয়াজ কুচোনো, ১টি তেজপাতা, ২ টি সবুজ এলাচ, ২ টি লবঙ্গ, ১ টি দারুচিনির স্টিক, ১/২ চা চামচ জিরা, ১/২ চা চামচ কেশর, ২ কাপ নুন মেশানো জল
সাজানোর জন্য:
ধনে পাতা কুচি, ভাজা পেঁয়াজ
১/২ চা চামচ কেশর, ২ কাপ নুন মেশানো জল
কীভাবে বানাবেন
একটি পাত্রে কোপ্তার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ছোট ছোট বলের মতো গড়ে ডুবো তেলে লাল করে ভেজে তুলে নিন। চাল আধঘন্টা ভিজিয়ে জল ঝরিয়ে নিন। তেল অথবা ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি স্টিক এবং জিরা ফোড়ন দিয়ে চাল দিয়ে ভাজুন। জল আর কেশর দিয়ে ঢেকে খুব অল্প আঁচে রান্না করুন। চাল সেদ্ধ হলে চিনি মিশিয়ে নামিয়ে নিন। ওপরে ভাজা কোপ্তা, ভাজা পেঁয়াজ আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন রায়তার সঙ্গে।
Comments