প্রতিদিনের পাতে একটু শাকপাতা থাকা মানেই একটু বেশি স্বাস্থ্য। কলমীশাক এবং পালং শাকে ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দুর্দান্ত। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। এই দুই শাকের দুটি অসাধারণ রেসিপি রইলো আজ...
কলমী শাক দিয়ে রুইমাছ
কী কী লাগবে
রুইমাছ ৫০০ গ্রাম, কলমি শাক ১৫০ গ্রাম, রাঁধুনি ১/২ চামচ, কাঁচালঙ্কা ৪ টে, লবন পরিমান মত, হলুদ পরিমান মত, সরষের তেল পরিমান মত
কিভাবে বানাবেন
প্রথমে কলমির শাক কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। রুই মাছ ধুয়ে লবন হলুদ মাখিয়ে ১৫ মিনিট মত রেখে দিন। এরপর কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে মাছ লাল করে ভেজে তুলে নিয়ে তেলের মধ্যে রাঁধুনি ফোড়ন দিয়ে কেটে রাখা কলমির শাক গুলো দিয়ে পরিমান মত লবন আর হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করে জল দিয়ে দিন। কাঁচালঙ্কা চেরা গুলো দিয়ে ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে ৫ মিনিট মত হতে দিয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সাথে গরমের দুপুরে এই মাছের ঝোল অসাধারণ লাগে।
পালং পনীর
কী কী লাগবে
পালং শাক ১ আঁটি, পনীর ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ আদা রসুন ২:১:১ অনুপাতে বাটা ২ টেবিল চামচ, নুন চিনি স্বাদ মতো, কাঁচালঙ্কা বাটা ১ চা চামচ, জিরে গুঁড়ো ১ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, কসৌরি মেথি ১ চা চামচ, ঘি ১ চা চামচ, ফ্রেশ ক্রিম ২ টেবিল চামচ, সাদা তেল ৪ টেবিল চামচ
কিভাবে বানাবেন
পালং শাক ব্লাঞ্চ করে বেটে নিন। এতে সুন্দর সবুজ রং আসবে। তেল গরম করে একে একে পেঁয়াজ আদা রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, নুন চিনি, জিরে গুঁড়ো একসাথে কষুন। তেল আলাদা হলে পালং শাক বাটা দিয়ে ফুটতে শুরু করলে পনীরের টুকরো, ফ্রেশ ক্রিম, ঘি, গরমমশলা গুঁড়ো, কসৌরি মেথি দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে কিছুসময় রান্না করুন। পরিবেশনের আগে পর্যন্ত ঢাকনা খুলবেন না। লাচ্ছা পরোটা, রুমালী রুটি, নানের সাথে ভালো লাগবে।
Commentaires