সয়াবিন বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ অতিশয় পুষ্টিকর উপাদান। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, ওজন কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সয়াবিন ঘুমের গোলমাল রোধ করতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। আজ রইলো সয়াবিনের খিচুড়ির
সয়াবিনের পঞ্চরত্ন খিচুড়ি
কী কী লাগবে
১ কাপ সেদ্ধ চাল, ১ কাপ পাঁচমেশালি ডাল (সমপরিমাণ মুগ, মুসুর, ছোলা, অড়হর, বিউলি), ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ১ চামচ আদা বাটা, ১ চামচ রসুন বাটা, ১ চামচ ধনে গুঁড়ো,
২ চামচ জিরে বাটা, ১/২ আধ কাপ টমেটো কুচি, ৪ টে কাঁচালঙ্কা, ১/২ চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, ফোড়নের জন্য (গোটা গরম মশলা
২টি তেজপাতা), সয়াবিন দু কাপ গরম জলে ফোটানো, পরিমাণ মতো হলুদ, নুন, চিনি, সাদা তেল, ২ চামচ ঘি
কিভাবে বানাবেন
ছোলার ডাল ও বিউলির ডাল সেদ্ধ হতে সময় লাগে। তাই রান্নার বেশ কিছুক্ষণ আগেই জলে ভিজিয়ে রাখুন। বাকি চাল ও ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি কড়াইতে ছোলার ডাল ও বিউলির ডাল সেদ্ধ হতে দিন। নুন ও হলুদ দিয়ে কড়াই ঢাকা দিয়ে রাখুন। ডাল আধসেদ্ধ হয়ে এলে বাকি ডালগুলো মিশিয়ে দিন। আরও কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। প্রয়োজন অনুযায়ী জল দিন। এরমধ্যে সেদ্ধ সয়াবিন থেকে জল ঝরিয়ে নিয়ে একটু নুন হলুদ মাখিয়ে অল্প তেলে টস করে নিতে হবে তারপর বাকি রান্নার সাথে মিশিয়ে কষে নিতে হবে।
এবার খানিকটা গরম জল করে নিয়ে ডালের কড়াইতে ঢেলে দিন। আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা চাল দিন। চাল-ডাল যতক্ষণ ফুটছে অন্য একটি কড়াইতে তেল গরম করতে দিন। তাতে গরম মশলা, লঙ্কা, তেজপাতা ফোড়ন দিন। নেড়েচেড়ে পেঁয়াজকুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা দিয়ে ভেজে নিন। টমেটো কুচি দিন। একটু কষিয়ে নিয়েই এই ফোড়ন ফুটতে থাকা চাল-ডালের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। সবকিছু সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শেষের দিকে ক্রমাগত নাড়াচাড়া করতে ভুলবেন না। নয়তো খিচুড়ির নীচটা ধরে যেতে পারে। নেড়েচেড়ে আঁচে কিছুক্ষণ রেখে উপর থেকে ঘি ও গুঁড়ো গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। বৃষ্টির দিনে গরম গরম অমলেটের সঙ্গে জমে যাবে পঞ্চরত্ন সয়াবিনের খিচুড়ি।
Comments