শতদ্রু দে
পেশায় সফ্টওয়্যার ডেভলপার
নেশায় ট্র্যাভেল ও ফুড ব্লগার


আগস্টের মাঝে চারদিনের ছুটি নিয়ে rain drive করতে চললাম ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর আর রাঁচি।
সকাল সকাল কোলকাতা থেকে বেরিয়ে বৃষ্টির সাথে পাড়ি দিলাম ঘাটশিলা। হাইওয়ে ছেড়ে আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল বুরুডি লেক। যাওয়ার রাস্তা মোটামুটি ভালোই, অল্প বিস্তর ভাঙাচোরা হলেও অসুবিধা হবে না।

বুরুডি পৌঁছেই বিপত্তি, এক বিশাল সাপ ফনা তুলে সামনে দাঁড়িয়ে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আমরা স্থির ভাবেই দাঁড়িয়ে রইলাম, কিছুক্ষণ পরে নিজেই জঙ্গলে মিলিয়ে গেল। আমরা মেঘে ঢাকা বুরুডির পাড়ে ঘুরতে থাকলাম। সবুজ পাহাড় ঘেরা এই লেকের রূপ অপরূপ সুন্দর। বৃষ্টিতে বোটিং না হলেও লেকের ওপরেই অনেক দোকান ছিল, সেখানে কাঠের জালে তৈরি দেশি মুরগির মাংস খাওয়া যায় তবে আমরা অর্ধেক দিনে যতটা সম্ভব ঘুরে দেখে জামশেদপুরের পথে এগিয়ে যাবো।
আবার হাইওয়ে পেরিয়ে এলাম ঘাটশিলার রংকিনী মন্দির, ঘাটশিলা ঘুরতে আসলে দুটো রংকিনী মন্দির দেখা যায়, একটা যদুগোড়ায়, আরেকটা সুবর্ণরেখা নদীর এপাশে। ধলভূম বংশের রাজা জগন্নাথ এই মন্দিরের নির্মাণ করেন। স্হানীয় মানুষের কাছে খুবই জাগ্রত এই মন্দিরে এক সময় নাকি নরবলি ও হতো।

তারপরে এলাম গৌরী কুঞ্জ, এটা আসলে সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। এই বাড়িতেই উনি তার পথের পাঁচালী সহ অনেক বিখ্যাত উপন্যাস লেখেন। এই বাড়ির প্রাঙ্গণ ও ঘাটশিলার নানা জায়গা যেমন চাঁদের পাহাড়ের অনুপ্রেরণা ফুলদুংড়ি টিলা, যা এবার আমরা সময়ের অভাবে দেখতে পারলাম না।
আরেক বেলা থাকলে এখানে ধারাগিরি ঝর্ণা, গালুদি ড্যাম, যদুগোড়ায় রংকিনী মন্দির এই সব কিছুই দেখা হয়ে যায়। তবে আমরা এরপরে যাবো জামশেদপুরে। দুপুরে খাবারের বিরতি নিলাম জামশেদপুরের কাছেই ডিমনা যাওয়ার পথে মানগো মোড়ের Jaiswal Handi Mutton এ। তিন পিস মাংস আর ভাত মাত্র ১৫০টাকা। মাটির হাঁড়িতে ধিমে আঁচে বানানো মাংসের স্বাদ ভোলার নয়। মন ভরে খাওয়া দাওয়া করে বৃষ্টির সাথে পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে চললাম ডিমনা লেক দেখতে।

ডিমনা লেককে জামশেদপুরের মুকুট বললেও কম বলা হয়, ছোট ছোট পাহাড়ে ঘেরা এই লেক অপূর্ব সুন্দর কিন্তু পিকনিক স্পট হিসাবে জনপ্রিয় হওয়ায় এখানে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক ও থার্মোকল ভেসে বেড়ায় জলের মধ্যে। এছাড়াও এই নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করতে আছে জোরে জোরে বাজানো ডিজে বক্স। আমরা লেকের থেকে এগিয়ে ড্যামের কাছে এলাম। সেখানে শব্দের উপদ্রব ও অনেকটাই কম। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আমরা ফিরে এলাম হাইওয়েতে। এগিয়ে চললাম আমাদের রাতের আস্তানা দলমার জঙ্গলের মাঝে।

দলমার জঙ্গলে ঢুকতে গাড়ী প্রতি আলাদা টিকিট লাগে। ঢোকার গেটের সামনে দুটো বিশাল বড় পোষা হাতির দেখাও পেলাম। দলমায় রাতে আমাদের আস্তানা ছিল মাকুলাকচা ইকো রিসোর্ট, পাহাড়ে ঘেরা ও দারুন সবুজে সাজানো সরকারি গেস্ট হাউসের এসি রুমের ভাড়া মাত্র ১১০০টাকা তাই এই চাহিদাও বেশী। কোনো সৌভাগ্যের দয়ায় আমরা যাওয়ার তিনদিন আগেই বুকিং পেয়ে গেছিলাম।

দলমার জঙ্গলের গেট পেরিয়ে বাম হাতে এই রিসোর্ট একদম পাহাড়ের কোলে, চারিদিকে জঙ্গল এই অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। এখানে ক্যান্টিন আছে দারুন খাবার রান্না করে দেয় কুক। তবে একটু আগে থেকে জানাতে হবে।
আমাদের এসি রুম ছাড়াও নন এসি ও বাঁশের তৈরি কটেজ ও আছে।
তাই জামশেদপুর ঘুরতে এলে এখানে অবশ্যই এক রাত কাটানোর চেষ্টা করবেন।

দলমার জঙ্গলের মাঝে দারুন এক রাত কাটিয়ে আমরা পরের সকালে গেছিলাম দলমার চূড়ায়, পাহাড়ি আঁকা বাঁকা পথে উপরের মন্দির গুলো দেখতে। এখন থেকে জামশেদপুর শহরের দুর্দান্ত ভিউ দেখা যায়। তবে বর্ষায় মেঘে ঢেকে আছে চারিদিক তাই ফিরে এসে হাইওয়ে উঠে চললাম চন্ডিল ড্যাম দেখতে।

ম্যাপ দেখে প্রথমে এলাম ড্যামের নিচের অংশের একটা ব্রিজে। শুনেছি সেই ব্রিজ নাকি ড্যামের গেট খুললেই জলের তলায় ভেসে যায়। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে ছবি তুলে ওপরে চলে এলাম একদম চান্দিল লেকের পাশে।
প্ৰথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যাই এতটাই সুন্দর এই লেক। সবুজ গালিচায় মোড়া পাহাড়ে ঘেরা মাঝে নীল টলটলে জল। আহা সুবর্ণরেখা নদীর উপরের এই লেকে বোটিং করা মাস্ট। জন প্রতি ১০০টাকা নিয়ে, স্পিড বোটে মিনিট পাঁচেক ঘোরানো হয়। একবার বোটিং করে এত্তো ভালো লাগলো যে আমরা না নেমেই আরো একটা টিকিটের টাকা দিয়ে ঘুরে নিলাম। অনেকেই এখানে লাঞ্চ সেরে নেন, তবে আমরা এরপরে রাঁচির দিকে যাবো , তাই ঠিক হলো হাইওয়েতেই লাঞ্চ হবে।

রাঁচি যাওয়ার রাস্তার পাশেই দেখলাম দেউড়ি মাতার মন্দির, ১৬ হাতের প্রাচীন দুর্গা মূর্তির রূপ মুগ্ধ করবেই আপনাকে। এখন যদিও সিমেন্ট দিয়ে রঙিন একটি বড় মন্দির হয়েছে, তবে মূল মন্দির নাকি অনেক পুরোনো, আর দেউড়ি মাও খুবই জাগ্রত। সেদিন লাইন সেভাবে ছিলোনা, তবে শনিবার করে নাকি বেশ লম্বা লাইন হয়। ঝটপট মন্দির দেখে এই মন্দিরের কাছেই Maa ধাবায় লাঞ্চ করতে এলাম। ভাত, মুরগির ঝোল দিয়ে ভালোই খাওয়াদাওয়া করে পাড়ি দিলাম দশম ফলস দেখতে।
বর্ষার দশম জলপ্রপাত অপরূপ, অঝোর ধারায় ঝরে পড়ছে কাঞ্চি নদী। সেই জলের শব্দ আজও কানে বাজে। রাঁচি land of waterfall, প্রসিদ্ধ এই ঝর্ণা গুলির জন্য, এছাড়াও জোনহা, হুন্ড্রু, সীতা ও লোধ জলপ্রপাত আছে, তবে সিঁড়ির সংখ্যা এখানেই সব থেকে কম, আর রূপের দিকেও এগিয়ে। এখানে কোনো প্রবেশ মূল্য লাগেনা, তবে পার্কিং করতে ₹৩০টাকা লাগে।
আমরা প্রাণ ভরে ঝর্ণার রূপ চাক্ষুস করলাম, ওদিকে আবার বৃষ্টি ও শুরু হয়ে গেল।

এই ঝর্ণা দেখে ফেরার রাস্তার শুরুতে একটা হেব্বি চায়ের দোকান আছে। ওখানে দারুন স্বাদের চা সাথে ভেজ পাকোড়া খেয়ে ভাবলাম আর ও কিছু জায়গা ঘুরবো। তবে সেদিন ঝর্না দেখার পরেই প্রচুর বৃষ্টি পড়ায় জগন্নাথ মন্দির, সূর্য মন্দির ও ধূরওয়া ড্যাম দেখা হলোনা।
রাঁচির জ্যাম পেরিয়ে আমাদের হোটেল archie regency পৌঁছে গেলাম। তারপরে গেলাম এখানের বিখ্যাত কাবেরী রেস্টুরেন্টে, সম্পূর্ণ নিরামিষ এই রেস্টুরেন্টে সেদিন রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রচুর ভিড় ছিল তাই পাক্কা আধ ঘন্টা অপেক্ষা করে ভিতর ঢুকলাম। সয়াবিনের একটা কাবাব খেলাম, একবার ও বুঝতে পারলাম না সয়াবিন না চিকেন স্বাদেও ফাটাফাটি। এছাড়াও দাম খুবই কম, কিন্তু কোয়ালিটি একঘর। আমরা শাহী পনির, পরোটা ও গার্লিক নান খেলাম। তুখোড় খেতে বললেও কম। তাই রাঁচি এলে এই রেস্টুরেন্টে একবার আসতেই হবে।

রাতে ঠান্ডায় জব্বর ঘুম হলো, সকালে শুরু হলো শহরের সেরা কচুরি খেয়ে, চুরুওয়ালার কচুরির নাম কেন সেটা ডালের পুর ভরা কচুরির প্রথম কামড়েই বুঝবেন। সাথে চা জিলিপি তো আছেই।
এছাড়াও এই দোকানের পাশেই আছে বাবা লিটটি, তবে সকালে সেটা পেলাম না, সকাল 11টার আগে তা পাওয়া যায়না। ওহ রাঁচির সব থেকে প্রিয় ধুসকার নাম জানেন তো? তিন রকমের ডাল, ছোলা ও আলু দিয়ে তৈরি এই খাবারটি বেশ মজাদার। এর সাথে আলুর তরকারি, ধনেপাতার চাটনি ও ভাজা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে পরিবেশন করা হয়।

এরপরে চলুন জোনহা ঝর্ণা দেখতে, এই ঝরণার কাছে যেতে প্রায় ৩৫০টি সিঁড়ি ভেঙে নীচে নামতে হয়, তবে কাছে গেলে সেই ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে নিমিষেই। ফুলেফেঁপে উঠেছে নদী, সামনে দাঁড়িয়ে থাকাই দায়, জলের ঝাপটায় আমরা ভিজে যাচ্ছি, ক্যামেরায় ছবি তোলাই দুস্কর। প্রাণ ভরে দুচোখে দেখে ফিরে এলাম।
জোনহা দেখে আমরা চললাম হুন্ড্রু জলপ্রপাত দেখতে, কিন্তু পথে সে এক বিপত্তি, ম্যাপ দেখে নদীতে ভেসে যাওয়া এক ব্রিজের সামনে এসে পৌঁছালাম। রাস্তায় হারিয়ে কোনো রকমে স্থানীয় মানুষদের থেকে সাহায্য নিয়ে হুন্ড্রু এলাম। এখানে ঢুকতে জনপ্রতি ১০টাকা লাগে আর গাড়ির জন্য ৩০। এখানে ঝর্ণা দেখতে প্রায় ৭৫০টি সিঁড়ি পেরিয়ে নীচে নেমে তবেই দেখা যায়। এছাড়াও গাড়িতে ঝর্ণার উল্টো দিকে পৌঁছে সিঁড়ি না ভেঙেও ঝর্ণার রুপ দেখা যায়।
হুন্ড্রু জলপ্রপাত ঢোকার গেট পেরিয়েই প্রথম কাজ হবে সামনের হোটেলগুলো থেকে খাবারের অর্ডার দিয়ে রাখা, নাহলে ফিরে এসে আমাদের মতন কিছুই খেতে পাবেন না।
আমরা ঝর্ণার নীচে নামিনি, উপরের এক অংশেই বসে জলের আওয়াজ শুনেছিলাম। সেখানে কেউ কেউ আবার zip linning ও করছিল। আমরা ঠান্ডা জলে পা ডুবিয়ে অনেকটা সময় কাটালাম।
তারপরে ক্ষিদে পাওয়ায় গেতালসুদ ড্যামের পাশের এক পাঞ্জাবি ধাবাতে দেশি মুরগির ঝোল অর্ডার দিলাম। ওই ড্যাম যেতে সময় লাগবে প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট, ততক্ষনে রান্নাও হয়ে যাবে। তাই পথে আমরা সিকিদিরি লুপ দেখেও নিলাম।
আঁকা বাঁকা রাস্তা মিলিয়ে গেছে নীচে সবুজ উপত্যকায়।
তারপরে ফাটাফাটি দেশি মুরগির ঝোল, গরম ভাত খেয়ে এলাম গেতালসুদ ড্যামের পাশে। যেমন খিদে পেয়েছিল, খাবার খেতে ও ততটাই ভালো হয়েছিল। বিশেষ করে আসল দেশি মুরগির ঝোল খুবই ভালো করে বানিয়েছিল।

অপূর্ব সুন্দর এই গেটলসুদ ড্যাম, সূর্যাস্ত দেখার পারফেক্ট জায়গা। এই মিষ্টি ড্যাম, একদমই মিস করবেন না কারণ এখানে ট্যুরিস্টদের আনাগোনা সেভাবে নেই তাই নিরিবিলিতে বোটিং আপনার মন জয় করে নেবেই। এই ড্যাম আসার রাস্তায় সুন্দর এক ছোট্ট শালের জঙ্গল পরে, সেখানে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তুললাম তারপরে চললাম পাতরাতু ভ্যালি দেখতে।
রাঁচি রিং রোড ধরে পাতরাতু ভ্যালি পৌঁছেই চারদিকের দৃশ্যপট বদলাতে থাকলো। সবুজে ভরাট পাহাড়ি রাস্তা এঁকে বেঁকে চলে গেছে, মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যাচ্ছে বাঁক তাই অতি সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে, মাঝে মধ্যেই এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজে যায় রাস্তা, সাথে সন্ধে ও নামছে। আমরা এসে পৌঁছালাম ভিউ পয়েন্ট, তবে আঁকা বাঁকা রাস্তাগুলোর যে ছবি আমরা দেখি এখানে সেটা নিজের চোখে দেখা যায়না, ড্রোনেই একমাত্র সেটা দেখা সম্ভব।
আরো অন্ধকার নেমে আসার আসে ফিরে এলাম রাঁচি। একটু আগে আসতে পারলে লেকের জলে বোটিং করাও যেত আর পালানি জলপ্রপাত তাও দেখা হয়ে যেত।
ডিনার করতে এলাম রাঁচির কারিমস, হম ঠিকই শুনছেন, দিল্লির প্রখ্যাত করিমের একটি ব্রাঞ্চ এখানেও আছে। দুর্দান্ত কোলকাতা স্টাইলের বিরিয়ানী, চিকেন কোর্মা আর ফাটাফাটি আফগানি কাবাব খেয়ে এলাম রাঠোরের কুলফি খেতে। ২০-৩০রকমের কুলফি থেকে আমাদের মনের মতন একটা বেছে নিলাম, দাম ₹৭৫-১০০। ফিরে এলাম আমাদের হোটেল Archie Regency.

পরের দিন সকালে হোটেলেই কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট সেরে চললাম বাকি জায়গা গুলি দেখতে।
পাহাড়ি বাবার মন্দির, তবে সাড়ে তিনশো সিঁড়ি দেখেই পালিয়ে এলাম, পাশেই রাঁচির রক গার্ডেন গেলাম এখানে খুব সুন্দর সাজানো একটা বাগান আছে, তবে এর মূল আকর্ষণ গার্ডেন থেকে কাঁনকে ড্যামের রূপ, দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের সারির মাঝে এই ড্যাম, রাঁচির লাইফ লাইন।
তারপরে বৃষ্টিতে সিঁড়ি পেরিয়ে টেগর হিলস যাওয়া হলো না, তার বদলে গেলাম অপরিচিত ঝিরি লেক, রাঁচির রিং রোডের পাশেই একদম অপরিচিত এক লেক। আসলে পুরুলিয়ার মার্বেল লেকের মতন এই লেক ও এক পরিত্যক্ত মার্বেল খনি। দারুণ সুন্দর, তবে রাস্তা খুবই খারাপ।
এরপরে রাঁচির লেকের মাঝে স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তি দেখে বেশ ভালোই লাগলো।
শেষে এলাম রাঁচির বিখ্যাত ইন্ডিয়া হোটেল, আহা তুখোড় আলু দেওয়া মাটন খেয়ে ফিরে এলাম কোলকাতা শহরে।
4days Tour Plan
Day 1 Kolkata to Ghatshila
1st Half:
◆ Burudih Dam/Lake
◆ House of Bibhutibhushan Bandyopadhyay
◆ Ronkini Devi Temple
◆ Subornarekha River & Raat Mohona
2nd Half:
Jamshedpur
Lunch Jaiswal Mutton
◆ Dimna Lake
● Makula Kocha Eco Hut
Day 2
◆ Dalma Hill Top
◆ Chandil Dam
● Lunch at Maa Dhaba
◆ Maa Dewri Mandir
◆ Kanchi Dam
◆ Dasham Falls
◆ Jagannath Temple
◆ Dhurwa Dam
Dinner Kaveri Veg
Reach Ranchi
Day 3
Breakfast: Bhola Ka Dhuska
Churuwala
◆ Sita Falls
◆ Jonha Falls
◆ Getalsud Dam View Point
◆ Sikidiri Loops
◆ Hundru Falls
◆Patratu Valley
Dinner: Karims
Day 4
◆ Tagore Hill
◆ Rock garden
◆ Kanke Dam
◆ Sun Temple
◆ Pahari Baba Mandir
◆ Jhiri Lake
●Lunch India Hotel
Comentários