top of page
Search

দেবভূমি দর্শনে দিনকয়েক। সঙ্গে হিমাচলের রান্না...

দুর্গম পথ, হিমালয়ের অকৃত্রিম সৌন্দর্য্য আর ঈশ্বরের সান্নিধ্য বরাবর টেনেছে মানুষকে। তাই তখন, এখন, পরেও উত্তরাখণ্ড আমাদের পছন্দের জায়গা।



চার ধাম

প্রতি বছর এপ্রিল-মে নাগাদই খুলে যায় চার ধামের পথ। কেদার, বর্ষী, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী- চার মিলিয়েই চার ধাম। তীর্থযাত্রার সংস্কার মেনে সবার আগে যমুনোত্রী হয়ে গঙ্গোত্রী। তারপরে কেদার এবং পরিশেষে বদ্রী। শিবের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম কেদারনাথ। পুজোর প্যাকেজের জন্য দেখুন: www.chardhampackage.com কেদারনাথ ছাড়াও মদমহেশ্বর, তুঙ্গনাথ, রুদ্রনাথ ও কল্পেশ্বর দেখা যায়। কেদার সহ এই পাঁচটিকে বলে পঞ্চকেদার। ঠিক এটার মতোই প্লান করতে পারেন পঞ্চপ্রয়াগ দেখার। সেগুলি হল দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, নন্দপ্রয়াগ আর বিষ্ণুপ্রয়াগ।

কীভাবে যাবেন

হরিদ্বার বা হৃষীকেশ থেকে গাড়ি ভাড়া করে বেড়িয়ে পড়তে পারেন পঞ্চপ্রয়াণ দেখতে। পঞ্চকেদারের জন্য অনেক অপশন আছে। চাইলে ১৫ দিনের ট্রেক, নাহলে বাসে হরিদ্বার থেকে বাসে গুপ্তকাশী। সেখানে মদমহেশ্বর দেখে উখীমঠ। সেখান থেকে বাস বদলে বা গাড়ি ভাড়া করে চোপতা। সেখান থেকে একটু দূরের তুঙ্গনাথ। পথে অন্যগুলোও দেখে নেওয়া যায়।

থাকবেন কোথায়

কেদারনাথ: ধর্মশালা ছাড়াও সীতাপুরে হিমালয়ান ট্যুরিস্ট লজ, ফোন: ০১৩৬৪ ২৬২১০৬।

গুপ্তকাশী: টুরিস্ট রেস্ট হাউস, ফোন। ০১৩৬৪ ২৬৭২২১।

উখীমঠ: ভারত সেবাশ্রম সঙ্গ, ফোন: ০১৩৬৪ ২৬৪২৭৪, ৯৯০৩৫ ২৫০৪০।

চোপতা: দেবরিয়া গেস্ট হাউস, ফোন: ০৯৭২০১৯৬৭৭৭।

দেবপ্রয়াগ: রঘুকুণ্ড রিসর্ট, ফোন: ০১৩৭৮ ২৬৬৩৯১।

রুদ্রপ্রয়াগ: টুরিস্ট রেস্ট হাউস, ফোন: ০১৩৬৪

২৩৩৩৪৭।

কর্ণপ্রয়াগ, কলেশ্বর ট্রারিস্ট লজ, ফোন: ০১৩৬৩ ২৪৪২১০।

দেরাদুন

রাজধানী শহর। এখানে সহস্রধারা, তপোকেশ্বর মহাদেব, রর্বাটস কেভ, তপোবন, ছাড়াও ডিয়ার পার্ক, সাই দরবার মন্দির ছাড়াও

অনেক মন্দির রয়েছে।

কীভাবে যাবেন

হাওড়া থেকে মুন, উপাসনা, কুদ্ধ এক্সপ্রেস সরাসরি দেরাদুন যাচ্ছে। থাকবেন কোথায়

হোটেল মুসৌরি ইন্টারন্যাশনাল, ফোন: ০১৩৫ ২৬৩২১৪৩। শিবাজি ধরমশালা, ফোন: ০১৩৫ ২৬২৩৫২৮।

মুসৌরি

দেরাদুন থেকে দূরত্ব প্রায় ৩৪ কিলোমিটার। মুসৌরির সর্বোচ্চ শৃদ চিল্ডার্স লজ। এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখার জন্য এখানে ভিড় জমান মানুষ। এছাড়া আছে ভট্ট ও ঝরিপানি, কেমটি জলপ্রপাত। মুসৌরি গেলে ম্যালে ঘোরা, সামান্য দূরে হ্যাপি ভ্যালি তিব্বতী পরিবেশ, ক্যামেলস ব্যাক রোড ধরে হাঁটা, গান হিলে রোপওয়ে মিস করবেন না। ঘুরে আসতে পারেন কিছু দূরের শহর বানোলটি থেকে। আপেল আর রডোডেনড্রনের উপত্যকা চাম্বাও অত্যন্ত সুন্দর। কীভাবে যাবেন

দেরাদুন থেকে বাস বা ভাড়া গাড়িতে পৌঁছানো যায় ৩৫ কিমি দূরের মুসৌরিতে।

থাকবেন কোথায়

গাড়োয়াল মন্ডল বিকাশ নিগমের হোটেল টেরেস, ফোন: ০১৩৫ ২৬৩২৬৮২।

নৈনিতাল

বরফে মোড়া পর্বত, উপত্যকা, হিমবাহু, অ্যালপাইন তৃণভূমি, হ্রদ এবং বনাঞ্চল মিলিয়ে জনপ্রিয়। এখানে আছে হনুমান মদির, চিনা পিক, ডরোথিস সিট। এছাড়া নৈনাদেবী মন্দির, কিলবারি, কেভগার্ডেন, বড়া পাহাড় ছাড়াও একাধিক ঘোরার জায়গা রয়েছে এই শহরে।

কীভাবে যাবেন

কলকাতা থেকে সরাসরি দুটি ট্রেন লালকুয়া আর বাঘ এক্সপ্রেস দিল্লি থেকে বাস পাবেন নৈনিতাল যাওয়ার।

থাকবেন কোথায়

লেক সাইট ইন, ফোন: ০৫৯৪২ ২৩৫৭৭৭, হোটেল মহারাজা, ফোন: ০৫৯৪২ ২৩৫২৮১।

হরিদ্বার

তীর্থযাত্রীদের চারণভূমি। এখানকার সন্ধ্যা আরতি দেখার মতো। তাছাড়া মনসাদেবীর মন্দির, কনখল, পবনধাম ঘুরে চলে যান হৃষিকেশ। সেখানে ত্রিবেণী, লছমনঝোলা, নীলকণ্ঠ মহাদেব ঘুরে দেখা ফিরে যেতে পারেন হরিদ্বার।

কীভাবে যাবেন

দিল্লি থেকে বাস বা গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন। হরিদ্বার থেকে আবার গাড়ি ভাড়া নিয়ে বাকি জায়গা দেখা যায়। কলকাতা থেকে সরাসরি দুন, কুম্ভ, উপাসনা এক্সপ্রেসে সোজা যায় হরিদ্বার।

থাকবেন কোথায়

পর্যটন দফতরের হোটেল অলকানন্দা, ফোন: ০১৩৩৪ ২২৬৩৭৯। হোটেল আদিত্য, ফোন: ০৯৮৩৩৮ ১৩৬৭৮

এগুলো ছাড়াও উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা

বিনসার, পঞ্চধারা (প্রহ্লাদ, কুর্ম, ভৃগু, উর্বশী আর ইন্দিরা মিলিয়ে)

মনকাড়ে ব্রিটিশদের চিহ্নিত পুরনো শৈলশহরল্যান্সডাউন। এখানকার নিরালাপরিবেশ আপনার ভালো লাগতে পারে। আরও একটি সুন্দর শৈল্যশহর কৌশানি। বরফে মোড়া আউলি ইয়ং জেনারেশনদের হট ফেভারিট। মন্দিরের শহর আলমোড়াও মন্দ নয়।

(৭/২সি, চক্রবেরিয়া রোড সাউথ, পদ্মপুকুর, ভবানীপুর)


হিমাচল প্রদেশ

পাহাড়ি পথের বাঁক ধরে জানা অজানা এক রঙিন দেশে...

সিমলা

২১৩০ মিটার উচ্চতায় ছবির মতো পাহাড়ি শহর। গোর্খাদের বিরুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভ করলে সহযোগিতার জন্য পাতিয়ালার রাজাকে উপহার দেন সমগ্র সিমলা। এ সময়েই ইংরেজরা সিমলা পাহাড় আবিষ্কার করেন। শহরের প্রাণকেন্দ্র ম্যাল। এখানে রয়েছে প্রয়োজনীয় দোকানপাট, রেস্তোরাঁ ও পর্যটন দপ্তরের অফিস। দেখুন নিও-গথিক শৈলিতে গড়া অ্যাঙ্গলিসিয়ান ক্রাইস্ট চার্চ। প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো সিমলা কালীবাড়ির যেতে ভুলবেন না। ম্যাল থেকে জাকু হিলসের দূরত্ব মাত্র ২ কিমি। এখানথেকে সিমলার বরফ ঢাকা পাহাড়ি অঞ্চলের অনেকটাই দেখাযায়। শহর থেকে প্রায় ২৩ কিমি দূরে নলদেরা দেখে মুগ্ধ হতে হয় সকলকেই। এর থেকে আরও নিচে শতদ্রু নদের পাশে তন্ত্রপানি বালিয়াড়ি। এখানে গন্ধক মেশানো উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। এছাড়া সিমলাকে কেন্দ্র করে দেখে নিতে পারেন স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট, স্টেট মিউজিয়াম, গ্লেন, প্রসপেক্ট হিল, তারাদেবীর মন্দির।

কীভাবে যাবেন

হাওড়া থেকে ১২৩১১ কালকা মেল ১৯.৪০-এ ছাড়ে। পরের দিন কলকাতা ৭০০০২টি ফোন- ০৩৩ ২৪৮৬ ৮২৯৫

২০.৪৫-এ দিল্লি জংশন পৌঁছে তারও পরদিন ভোর ৪.৩০-এ কালকা পৌঁছায়। কালকা থেকে ভারত বিখ্যাত ন্যারো গেজ ট্রেন (৪.০০, ৫,৩০, ৬০০, ৭,০০, ১২,১০, ১২.৪৫) ধরে ৯৬ কিমি পথ পাড়ি দিতেই পৌঁছে যাওয়া যায় সিমলা।

কোথায় থাকবেন

রাজ্য পর্যটনের হোটেল। 'দ্য হলিডে হোম', ফোন- (০১৭৭) ২৮১২৮৯০/৯৫।

ডালহৌসি

এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনবদ্য। ঘুরে দেখতে পারেন ডালহৌসি ক্লাব, গান্ধিচক, শিব-বিষ্ণু-নারায়ণ মন্দির, সুভাষ চক, ৩ টি ম্যাল ও আরও অনেক জায়গা। শহরের প্রায় ৪ কিমি দূরে পঞ্চপুল্লা জলপ্রপাত। পায়ে হেঁটেই যেতে পারেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত স্নো-ডন বাড়িটি।

কসৌলী

ভারতের ওঠা হিমাচল প্রদেশের অন্যতম হিলস্টেশন কসৌলী। এই শহরটির আকার সিমলা বা মুসৌরীর থেকে ছোট হলেও সৌন্দর্যে কোন অংশে কম নয়। শান্ত নিরিবিলি এই শহরটি পর্যটকদের সেই অতীতকাল থেকেই আকর্ষণ করে আসছে।

কীভাবে যাবেন

চন্ডীগড়, কালকা থেকে বাসে অথবা গাড়িতে কসৌলীতে যাওয়া যায়। কালকা থেকে টয় ট্রেনে ধরমপুর সেখান থেকে ১১ কিমি বাসেও যাওয়া যায়। অনেকে কালকা থেকে ১৬ কিমি পথ ট্রেক করেও কালকা যান।

শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে পাঠানকোট পৌঁছে সেখান থেকে বাস বা গাড়ি ভাড়া করে তিন ঘন্টার মধ্যেই ডালহৌসি পাহাড়ে যাওয়া যায়। সিমলা থেকে বাস বা ট্যাক্সিতে ডালহৌসি পাহাড়ে যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

পর্যটন দপ্তরের- হোটেল গীতাঞ্জলি, ফোন- (০১৮৯৯) ২৪২১৫৫।

চেইল

হিমাচলের বিখ্যাত হিলস্টেশনগুলির অন্যতম। এখান থেকে হিমালয়ের অনেকটা অংশ ও কাসৌলী শহর দেখতে পাওয়া যায়। পাইন, ওক, বডোডেনড্রনে ঘেরা চেইল অত্যন্ত সুন্দর।

কীভাবে যাবেন

সিমলা থেকে চেইল প্রায় ৪৫ কিমি দূরে, কুফরী থেকে প্রায় ২০ কিমি ও কালকা থেকে ৬০ কিমি। বাস অথবা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

রাজ্য পর্যটন দপ্তরের প্যালেস হোটেল, ফোন- (০১৭৯২) ২৪৮১৪১।

কোথায় থাকবেন পর্যটন দপ্তরের হোটেল- রস কমল, ফোন- (০১৭৯২) ২৭২০০৫।

নারকান্দা

নারকান্দায় যেতে গেলে হাটুপিক পাহাড়ে উঠতে হয়। এখানে কালো পাথরের তৈরি দুর্গা মন্দিরটিও দেখে নিতে পারেন। পূর্ণিমা রাতে নারকান্দার এক অলৌকিক রূপ দেখতে পাওয়া যায়।

কীভাবে যাবেন

সিমলা থেকে নারকান্দার দূরত্ব ৭২ কিমি। বাস পাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন

পর্যটন দপ্তরের হোটেল- হাতু, ফোন-(০১৭৮২) ২৪২৪৩০, (০৩৩) ২৩৭০৮০০৪।

কিন্নর

সরল প্রকৃতির মাঝে সিধেসাধা মানুষেরা এখানে থাকেন। এখানকার বাসিন্দারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। হিমালয় পর্বতমালা ও জাস্কর এখানেই মিলিত হয়েছে। সমগ্র কিন্নরে ৩৩টি মনাস্ট্রি রয়েছে।

সাংলা

সুন্দর উপত্যকা সাংলা। উচ্চতা ২৬৮০ মিটার। এর উত্তরে কৈলাস ৩ দক্ষিণে গাড়োয়াল পর্বতমালা। ছোট ছোট গ্রামের এই উপতাকায় রয়েছে আপেল, পিচের বাগান। এখানে অনেক মন্দির ও গুফা রয়েছে।

হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম

১/১৩, প্রিজেশ স্ট্রিট, কলকাতা, ৭০০০৭২, ফোন-০৩৩ ২২৩৭ ০৫৯৭, ২২৩১ ৯০৭২

সিমলা থেকে সাংলার দূরত্ব ২৪০ কিমি। সরাসরি বাস আছে। যাতায়াতে প্রায় ১২ ঘন্টা সময় লাগে। সারাহান থেকে সাংলার দূরত্ব ১০ কিমি।

কোথায় থাকবেন

বাসপা গেস্ট হাইস, ফোন: ০১৭৮৬ ২৪২২০৬। কৈলাশ গেস্ট হাউস, ফোন: ০১৭৮৬ ২৪২৫২৭।

রকছাম ও ছিৎকুল

সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম রকতাম। পাশ থেকে বয়ে চলেছে বাসপা নদী। ছোট ছিমছাম গ্রামটি পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখা যায়। এখানে ছড়িয়ে আছে করনা, আপেল ও গালা ক্ষেত। রকছাম মন্দির দেখে চলে আসতে পারেন ছিৎকুল। প্রাচীন কাঠের দুর্গ, কালীমন্দির দেখতে পারেন হিৎকুলে।

কীভাবে যাবেন

সাংলা থেকে রকছামের দূরত্ব ১৮ কিমি। বাস ছাড়াও জিপও চলাচল করে। সাংলা থেকে ছিৎকুলের দূরত্ব ২৬ কিমি। কোথায় থাকবেন। অ্যাল্লাইন ভিউ, ফোন: ০৯৮৩১৯৭২৪৬৮। দেবলোক রিভার কাল ফোন: ০৯৮৩১৯৭২৪৬৮।

মানালী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া কল্পার চারিদিক পাহাড়। কল্পা পিকের সানরাইজ ও সানসেট দেখার মতো। তিব্বতী শৈলীতে তৈরি মন্দির ছাড়াও ১০০০ বছরের পুরানো হু-বু-লান-কার বৌদ্ধ গুফা।

কীভাবে যাবেন

সিমলা থেকে সরাসরি কল্লায় যাওয়ার বাস আছে। সময় লাগে প্রায় ১২ ঘন্টা। সাংলা থেকেও কল্লায় যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে দূরত্ব ৫০ কিমি। সময় লাগে ২ ঘন্টা।

কোথায় থাকবেন

পর্যটন দপ্তরের- দ্য কিন্নর কৈলাস, ফোন-(০১৭৮৬) ২২৬১৫৯, (০৩৩) ২২২৫৯৬৩৯।

রোটাং পাস

ট্যুরিস্টরা ১ কিমি দীর্ঘ এই পাসটি দেখতে আসেন। মানালী থেকে কেলং যাওয়ার পথেও এই পাসটি দেখা যেতে পারে। এই পাসের সৌন্দর্য অনবদ্য। মানালী ছাড়াও অর্জুন গুক্ষা, নেহেরু কুন্ডু আর পার্ক দেখতে পাবেন।

কীভাবে যাবেন

মানালী থেকে কেলং যাওয়ার পথে ৫১ কিমিতে পড়ে রোটাং পাস।

জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটন দপ্তরের বাস বা গাড়িতে রোটাং পাস দেখে আসতে পারেন। ট্যুরিস্ট অফিস থেকে যাত্রার অগ্রিম টিকিট কেটে নিতে পারেন।

যোগাযোগ- (০১৯০২) ২৫২১১৬। এছাড়াও শহর থেকে রোটাং পাস যাওয়ার জন্য প্রাইভেট গাড়ি বা বাসও পাওয়া যায়। কোথায় থাকবেন

সোলাং গ্রামে থাকার জন্য টুরিস্ট বাংলো ও ফ্রেন্ডশিপ হোটেল রয়েছে। কোটিতে আছে পি.ডব্লু ডি-র রেস্ট হাউস। রোটং পাসে থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে ওন্ড মানালী, মানালী থাকাকালীন দেখে নিতে পারেন কাঠের তৈরি মহর্ষি মনুর মন্দির, দেড় কিমি দূরে ডুংরি পাহাড়ের হিড়িম্বা মন্দির। এছড়াও নানান মন্দির, মিউজিয়াম, পার্ক, মনাস্ট্রি ও ক্লাব হাউসেও ঘুরে আসতে পারেন।

কীভাবে যাবেন

কুলু থেকে মানালীর দূরত্ব ৪০ কিমি। কুলু বা হিমাচলের অনেক শহর থেকেই মানালি যাওয়ার বাস পেয়ে যাবেন। এছাড়া টয় ট্রেনে সিমলা, যোগীন্দরনগর, পাঠানকোট, চন্ডীগড়, আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে রোজ বাস যায় মানালীতে।

কোথায় থাকবেন

রাজ্য পর্যটন দপ্তরের হোটেল- দ্য লগ হাউস, যোগাযোগ- (০১৯০২) ২৫৩২২৫।

কুলু উপত্যকা

এই পুরানো শহরে একসময়ে তপসর করতেন বেদব্যাস, গৌতম, বশিষ্ঠ, ভুণ্ড, মনুর মত খ্যাতনামা ঋষিরা। মানালীতে থাকার সময়েই কুলুতে ঘুরে আসা যায়। এছাড়াও দেখতে পারেন ১৬৫৭ সালে কুলুর রাজা জগৎ সিং-এর রঘুনাথজির মন্দির, বৈষ্ণোদেবী মন্দির, তীরথান অভয়ারণ্য, সুলতানপুরের রাজপ্রাসাদ, জগন্নাথী মন্দির, বিজলেশ্বর মহাদেব শিবমন্দির, ভিখালির দেবী ভুবনেশ্বরী মন্দির।

কল্পা

সিমলা থেকে বাসে যেতে প্রায় ১০ ঘন্টা। কলকাতা থেকে কালকা মেল, হিমগিরি এক্সপ্রেস, হাওড়া-অমৃতসর মেল, হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস, অকাল তখত এক্সপ্রেসে আম্বালা স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাসে কুলুতে পৌঁছানো যায়।

কোথায় থাকবেন

পর্যটন দপ্তরের হোটেল- শর্বরী, ফোন- (০১৯০২) ২২২৪৭১।

হিমাচলের রান্না

তুষার-ঢাকা পাহাড়, সবুজ উপত্যকা, স্কিইং এবং প্যারাগ্লাইডিং-এর অ্যাডভেঞ্চার ছাড়া কি আর কিছু আছে যা আপনার হিমাচল ভ্রমণে মিস করা উচিত নয়? অবশ্যই, হিমাচল প্রদেশের চুড়ান্ত সুস্বাদু খাবার না খেয়ে কেউ কীভাবে চলে যেতে পারে! রাস্তার ধারের বিক্রেতা থেকে শুরু করে ক্যাফে এবং রেস্তোঁরা পর্যন্ত, হিমাচলির লোকেরা খাবারে তাদের হৃদয় ঢেলে দেবে। সুতরাং, ঘুরতে গেলে কী কী খেতে পারেন তাই নিয়ে আজ আমরা কথা বলবো।



মাদ্রা

মাদ্রা মূলত একটি সুস্বাদু খাবার যা হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলার অন্তর্গত। থালাটিতে প্রধানত ভেজানো ছোলা (ছানা) বা সবজি থাকে। তেলে ভালোভাবে রান্না করা এবং বিভিন্ন মশলা যেমন লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ, জিরা, ধনে গুঁড়া এবং হলুদ গুঁড়ো এই খাবারের স্বাদ বাড়ায়। মাদ্রা হল অন্যতম প্রধান খাবার যা হিমাচল প্রদেশের খাদ্য সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে।

ধাম

হিমাচলি ধাম বিভিন্ন খাবারের সমন্বয়ে গঠিত যার মধ্যে রয়েছে ডাল, ভাত, রাজমা এবং কড়ি, যা শাল গাছের বড় পাতায় পরিবেশন করা হয়। অন্যান্য খাবারগুলি হল কালে চানে কা খাট্টা, বুর কি কড়ি এবং গুদ। ধামের কিছু সংস্করণে মাংসের খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, তবে ঐতিহ্যগতভাবে এটি একটি নিরামিষ ভোজ। ঐতিহ্যগতভাবে, সত্যিকারের স্বাদ আনতে সমস্ত খাবার ঘি বা সরিষার তেলে তৈরি করা হয়। এটাও বলা হয় যে ধামের সমস্ত খাবার তৈরিতে ডাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে, হিমাচলের বিভিন্ন ধাম রয়েছে যা আপনি থাকতে পারেন। কাংড়া ধাম, চাম্বা ধাম থেকে বিলাসপুর ধাম এবং মান্ডি ধাম, এই ঐতিহ্যবাহী খাবারে প্রচুর বৈচিত্র্য রয়েছে।

বাবরু

বাবরু হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি জনপ্রিয় প্রাতঃরাশের পদ। প্রথাগত কচুরির সাথে এর বেশ মিল রয়েছে। ভেতরে সুস্বাদু বিউলি ডালের পুর আর বাইরে মুচমুচে ভাব এর স্বাদ কে আরো অনন্য করে তোলে। সঙ্গে চানা মাদ্রা, আচার আর রায়তা পরিবেশন করা হয়।



কালে চানা কা খাট্টা

কালে চানে কা খাট্টা একটি পাহাড়ি খাবার যা সাধারণত কাংড়ায় ভাত এবং মাদ্রার সাথে পরিবেশন করা হয়। টক এবং বিভিন্ন মশলার সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয়। আপনার হিমাচল প্রদেশ ভ্রমণে এই সুস্বাদু খাবারটি খেতে ভুলবেন না।

ছা গোস্ত

সুস্বাদু আমিষ খাবার হিমাচল প্রদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি ভেড়ার মাংস দ্বারা বিশেষ পদ্ধতিতে ম্যারিনেট করা হয় এবং দই, বেসন এবং বিভিন্ন মশলা এবং মসলা দিয়ে একটি অনন্য উপায়ে প্রস্তুত করা হয়। ঘন গ্রেভি হল সেই তরকারি যাতে মাংস ভিজিয়ে খাওয়া হয়। এটি হিমাচল প্রদেশের অন্যতম সেরা আমিষ খাবার। এটি চাম্বা জেলায় বেশি পাওয়া যায়।

কুল্লু ট্রাউট

এই বিশেষ পদটি ট্রাউট মাছ থেকে তৈরি এবং বিশেষ করে কুল্লু অঞ্চলে তৈরি করা হয়। এভাবেই এর নাম হয়েছে। প্রথমে, মাছটিকে ম্যারিনেট করা হয়, খুব কম মশলায় নরম রান্না করা হয় যাতে এইভাবে ট্রাউট মাছের স্বাদ এবং পুষ্টি আসল থাকে। এটি সেদ্ধ আলু বা শাকসবজির সাথে পরিবেশন করা হয় এবং হিমাচল প্রদেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবারগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।

তুকদিয়া ভাত

তুদকিয়া ভাত হিমাচল প্রদেশের একটি মুখরোচক পোলাও। চাম্বাতে পরিবেশন করা হয়। এটি একটি অনন্য পদ্ধতিতে রান্না করা হয়। ভারতীয় মশলাগুলির মধ্যে দই, আলু, পেঁয়াজ এবং টমেটো যোগ করা হয় যাতে এটি আরও সুস্বাদু হয়। সেরা স্বাদের জন্য সেদ্ধ ডাল সহ পরিবেশন করুন।


Comments


bottom of page