top of page

জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো রাষ্ট্রপতি ভবনের অমৃত উদ্যান। কী দেখবেন সেখানে?

রাষ্ট্রপতি ভবন ভারতের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন, যা নয়াদিল্লিতে অবস্থিত। এটি ভারতের সবচেয়ে বৃহৎ ও সুদৃশ্য সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে একটি। ৩৩০ একর বিস্তৃত এই ভবনটি শুধু রাষ্ট্রপতির কার্যালয় নয়, বরং এটি ভারতের ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন।


রাষ্ট্রপতি ভবনের পরিচিতি

অবস্থান: রাজপথ, নয়াদিল্লি, ভারত

স্থাপত্যশিল্পী: স্যার এডউইন লুটিয়েন্স

নির্মাণকাল: ১৯১২-১৯২৯ (১৭ বছর)

আয়তন: ৩৩০ একর

কক্ষ সংখ্যা: ৩৪০+


ইতিহাস ও নির্মাণ

ব্রিটিশ শাসনামলে, দিল্লিকে ভারতের নতুন রাজধানী ঘোষণা করার পর ব্রিটিশ গভর্নর-জেনারেলের বাসভবন হিসেবে ১৯১২ সালে রাষ্ট্রপতি ভবনের নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, এটি ভারতের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবনে রূপান্তরিত হয়।


স্থাপত্যশৈলী

রাষ্ট্রপতি ভবনের স্থাপত্যশৈলী ইন্দো-সারাসেনিক ও ক্লাসিকাল ইউরোপিয়ান স্টাইলের মিশ্রণ।

✔️ ভবনটিতে রয়েছে দালানযুক্ত স্তম্ভ এবং গম্বুজাকৃতির ছাদ

✔️ অভ্যন্তরীণ অংশে মুঘল ও রাজস্থানি নকশা

✔️ প্রধান গম্বুজটি সংস্কৃত "স্তূপ" স্থাপত্যের আদলে তৈরি


রাইসিনা হিল ও মুঘল গার্ডেন

✔️ রাষ্ট্রপতি ভবনটি রাইসিনা হিলের ওপরে নির্মিত

✔️ পিছনের দিকে বিস্তৃত মুঘল গার্ডেন, যেখানে বছরে একবার "উদ্যান উৎসব" হয়

✔️ মুঘল গার্ডেনে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, বিশেষত টিউলিপ, গোলাপ ও অর্কিড রয়েছে


রাষ্ট্রপতি ভবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ

  1. দুরবার হল: রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের স্থান

  2. অশোক হল: অভ্যন্তরীণ সজ্জার জন্য বিখ্যাত

  3. রাষ্ট্রপতি গ্রন্থাগার: ঐতিহাসিক গ্রন্থ ও দলিল সংরক্ষণ করা হয়

  4. মুঘল গার্ডেন: দর্শনার্থীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান


কীভাবে পরিদর্শন করবেন?

  • পরিদর্শনের সময়: প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত

  • বুকিং: রাষ্ট্রপতি ভবনের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে টিকিট বুকিং করতে হয়

  • সিকিউরিটি: সরকারি পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক


রাষ্ট্রপতি ভবন কেন দর্শন করবেন?

✔️ ভারতের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য দেখতে

✔️ ইতিহাস ও প্রশাসনিক গুরুত্ব জানতে

✔️ মুঘল গার্ডেনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে

রাষ্ট্রপতি ভবন শুধুমাত্র প্রশাসনিক ভবন নয়, এটি ভারতের গণতন্ত্র, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের এক অনন্য প্রতীক।



কোলকাতা থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে কীভাবে ভ্রমণ করবেন

রাষ্ট্রপতি ভবন নয়াদিল্লিতে অবস্থিত, এবং কোলকাতা থেকে সেখানে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে।

বিমান পথে (সবচেয়ে দ্রুত ও সুবিধাজনক)

  • সময়: প্রায় ২-২.৫ ঘণ্টা (ফ্লাইট) + ৩০-৪৫ মিনিট (এয়ারপোর্ট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন)

  • বিমানবন্দর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (CCU) → ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (DEL)

  • এয়ারলাইনস: ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, স্পাইসজেট, গো ফার্স্ট


  • বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার উপায়:

    • ক্যাব (উবার/ওলা) (~৪০ মিনিট)

    • মেট্রো: এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইন → ইয়েলো লাইন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট মেট্রো স্টেশন (~৪৫ মিনিট)

ট্রেনে (সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক)

  • সময়: প্রায় ১৭-২৪ ঘণ্টা


  • কোলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার প্রধান ট্রেন:

    রাজধানি এক্সপ্রেস – সবচেয়ে দ্রুত (~১৭ ঘণ্টা)

    দুরন্ত এক্সপ্রেস – নন-স্টপ (~১৭ ঘণ্টা)

    সিয়ালদহ-নয়াদিল্লি এক্সপ্রেস (~২৪ ঘণ্টা)

    পূর্বা এক্সপ্রেস (~২২ ঘণ্টা)


  • নয়াদিল্লি রেলস্টেশন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার উপায়:

    • মেট্রো: ইয়েলো লাইন নয়াদিল্লি মেট্রো স্টেশন → সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট স্টেশন (₹৩০, ~১৫ মিনিট)

    • অটো-রিকশা/ট্যাক্সি (₹১০০-₹২০০, ~১৫-২০ মিনিট)

সড়কপথে (NH19 মাধ্যমে)

  • সময়: ~২২-২৪ ঘণ্টা

  • দূরত্ব: ~১,৫০০ কিমি

  • সেরা রুট: কোলকাতা → ধানবাদ → বারাণসী → কানপুর → আগ্রা → দিল্লি


  • যাতায়াতের বিকল্প:

    • নিজস্ব গাড়ি

    • প্রাইভেট বাস (সময় বেশি লাগে, ~২৮-৩০ ঘণ্টা)


রাষ্ট্রপতি ভবন পরিদর্শনের উপায়

  • প্রবেশ: সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন বুকিং করতে হয়

  • ওয়েবসাইট: https://rashtrapatisachivalaya.gov.in

  • পরিচয়পত্র: প্রবেশের জন্য বাধ্যতামূলক

  • সেরা সময়: অক্টোবর থেকে মার্চ

Comments


ssss.jpg
sssss.png

QUICK LINKS

ABOUT US

WHY US

INSIGHTS

OUR TEAM

ARCHIVES

BRANDS

CONTACT

© Copyright 2025 to Debi Pranam. All Rights Reserved. Developed by SIMPACT Digital

Follow us on

Rojkar Ananya New Logo.png
fb png.png

 Key stats for the last 30 days

bottom of page