শিমুল পলাশে আবেদনময়ী অরণ্যের দিনরাত্রি!
- রোজকার অনন্যা
- Mar 3
- 2 min read
হপ্তান্তে দিন দুয়েকের ছুটি পেলে ঘুরে আসতেই পারেন পুরুলিয়া থেকে। কলকাতা থেকে মাত্র ঘন্টা কয়েকের দূরত্ব। শিমুল পলাশে ঢাকা মোহময়ী অরণ্যের আবেদন কে উপেক্ষা করতে পারবেন এমন কেউ নেই বোধহয়! লাল মাটির রাস্তা, মুখোশ গ্রাম, বুনো ফুল, ছবির মতো সুন্দর নিকোনো মাটির বাড়ি আর ছৌ-নাচ! এক অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন একথা হলফ করে বলতে পারি। আর কি! শহুরে ধূলো ধোঁয়া থেকে পালিয়ে সবুজ হাতছানি তে সারা দিতে ঘুরে আসতেই পারেন! কীভাবে যাবেন, কী কী দেখবেন তার প্ল্যানিং রইলো এখানে!

কী কী দেখবেন?
অযোধ্যা পাহাড়:
অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঝর্ণা, পাহাড়ি অসমতল রাস্তা এবং শান্ত পরিবেশের এই অঞ্চল জন্য বিখ্যাত। বসন্তকালে এর সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। শিমূল পলাশে গোটা এলাকা লাল হয়ে ওঠে। সূর্যাস্তের রং ও এখানে পলাশমাখা।

মার্বেল লেক:
প্রথমেই দেখে নেবো মার্বেল লেক। এর স্বচ্ছ জল ও চারপাশের পাহাড়ি পরিবেশ সত্যিই মনমুগ্ধকর। এমনই চমৎকার এর রূপ যে অনেকেই এর তুলনা করেছেন আমেরিকা কানাডা সীমান্তে অবস্থিত ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’-এর সঙ্গে। অযোধ্যা হিলটপ থেকে বামনি ফলস এর দিকে যেতে পথে পড়বে এই হ্রদ।

তুরগা জলপ্রপাত:
এরপর আমরা দেখে নেবো তুরগা জলপ্রপাত। বামনি নদীর উপর ২০০ ফুট উচ্চতা থেকে পতিত এই ক্যাসকেডিং জলপ্রপাতটি সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের জীববৈচিত্র্যের একমাত্র জলপ্রপাত। বর্ষায় এর সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়।
খয়রাবেরা ড্যাম:
অযোধ্যার কোলে এই জলাশয় ছবির মতো সুন্দর। গোধূলি আলোয় পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে মন্দ লাগবে না। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে দেখা মিলতে পারে চিতল হরিণ, গোল্ডেন জ্যাকেল, খরগোশের। এছাড়াও বন্য শূকর, হায়না, এমনকি বুনো হাতি ও চোখে পড়তে পারে।
ময়ূর পাহাড়:
অযোধ্যা পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচু টিলা এটি। গাছের ঢাকা এই পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। পড়ন্ত বিকেলের চায়ের আড্ডা থেকে হাতে হাত রেখে সূর্যোদয় দেখতে চাইলে এখানে একবার যেতেই হবে।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরে পুরুলিয়া বা বরাভূম। সেখান থেকে ভাড়া গাড়ি বা বাসে চেপে অযোধ্যা পাহাড়। ধর্মতলা থেকে মিলবে পুরুলিয়া যাওয়ার দূরপাল্লার বাসও।

কখন যাবেন?
নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের যে কোনও সময়। গ্রীষ্মকালে এসব এলাকার তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। তাই শীতকাল বা বসন্তকাল ঘোরার জন্য আদর্শ।
Comments