পুজো মানেই দেশ বিদেশের আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনা, দিনরাত এক করে জমজমাট হেঁশেল, পাতপেড়ে চার বেলা খাওয়াদাওয়া; সে যুগ আর নেই! তবুও হঠাৎ ইচ্ছে হলে কম সময়ে নিজে হাতে রেঁধেই চমকে দিতে পারেন বাড়ির সকলকে। তবে পুজোর খাবারে ঘরের আয়োজনে'ও থাকা চাই একটু বৈচিত্র্য। আমিষ বা নিরামিষ যে রান্নাই হোক না কেন, বিশেষ দিনগুলোতে একটু যত্ন নিয়েই রান্না করতেই হয়। তেমনই কিছু খাবারের আয়োজন থাকছে এবারের সংকলনে। অনন্য সব রেসিপি নিয়ে হাজির ভোজের সাতকাহন গ্রুপের ২৫ জন সদস্যরা...


সুতপা বৈদ্য
বিট ডিমের গ্রেভি
কী কী লাগবে
১ টা বিটের রস বের করে ছেঁকে নিতে হবে
৩টে ডিম সিদ্ধ
১ টা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ
৬ কোয়া রসুন
১ ইঞ্চি আদা
১ চা চামচ জিরে গুঁড়ো
৪ টে কাঁচা লঙ্কা
স্বাদ মতো লবন
হাফ চা চামচ গরম মসলা বাটা/গুঁড়ো
দেড় কাপ দুধ
প্রয়োজন মতো জল
অল্প ধনেপাতা
কীভাবে বানাবেন
প্রথমেই বিটের রসের মধ্যে সেদ্ধ ডিমগুলো তিন চার ঘন্টা রেখে দিন, মাঝে মাঝে ঘুরিয়ে দিতে হবে।
মশলার জন্য মিক্সারে পেয়াঁজ, রসুন, আদা, জিরে গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা, পোস্ত মিহি পেস্ট করে নিন।
এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে মশলা ও লবন দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
তেল ছাড়লে পরিমাণ মতো দুধ ও একটু জল দিয়ে ফুটতে দিতে হবে।
পরিমাণ মতো ঝোল হয়ে এলে গরমমশলার গুঁড়ো ও ডিমগুলোকে মাঝামাঝি কেটে ঝোলের মধ্যে দিয়ে একটু ধনেপাতা ছড়িয়ে গ্যাস অফ করে দিলেই তৈরি।
এটি ভাত, রুটি, নান, পরোটা সবকিছুর সাথে ভালো লাগবে।

জুথি চক্রবর্তী
গোয়ান ফিশ মৌলি
কী কী লাগবে
পমফ্রেট/ভেটকি মাছ (৪-৫ টুকরো),
নারকেলের দুধ ১ কাপ,
মৌরি ১ চা চামচ,
কাঁচালঙ্কা,
কারি পাতা,
কোরানো নারকেল ২ টেবিল চামচ,
গোলমরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ,
তেল,
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,
স্বাদ অনুযায়ী লবণ
কীভাবে বানাবেন
মাছের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে ভেজে তুলে রাখুন।
এবার কড়ায় তেল দিন এবং তাতে কাঁচা লঙ্কা ও মৌরি দিন।
পেঁয়াজ কুচি এবং অল্প লবণ দিন। কম আঁচে পেঁয়াজ ভাজুন।
তারপর গ্রেট করা নারকেল, নারকেলের দুধ ও খানিকটা জল দিন।
ভালভাবে নাড়ুন এবং তারপর কারি পাতা যোগ করুন।
ফুটতে শুরু করলে গ্রেভিতে মাছের ভাজা টুকরোগুলো দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।
সাদা ভাতের সাথে গরম পরিবেশন করুন।

মীরাতুন নাহার
চিংড়ি বিরিয়ানি
কী কী লাগবে
চিংড়ি মাছ
বিরিয়ানি চাল
বিরিয়ানি মসলা
ঘি
টক দই
আদা রসুন বাটা
পেঁয়াজ কুচি
গোলাপ জল
মিঠা আতর
দুধ
কেশর
কাজু বাদাম
কিসমিস
ধনে পাতা
পুদিনা পাতা
গোটা গরম মসলা
তেজপাতা
কাঁচা লঙ্কা

কীভাবে বানাবেন
প্রথমে পেঁয়াজ কুচি সাদা তেলে ভেজে তুলে নিন।
কড়াই এ একটু ঘি দিয়ে চিংড়ি মাছ এবং কাজু কিসমিস আলাদা আলাদা ভেজে তুলে নিন।
চাল এক ঘন্টা আগে ভিজিয়ে রেখে নুন, তেজপাতা, গোটা গরম মসলা দিয়ে ভাত রান্না করে নিন।
এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে এর মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, আদা রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা, নুন ও টক দই দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
কষানো হলে এর মধ্যে বিরিয়ানি মসলা ও অল্প বেরেস্তা দিয়ে দিতে হবে।
এর পর ভাজা চিংড়ি মাছ, ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা, অল্প জল দিয়ে নেড়ে চেড়ে রান্না করে নিতে হবে কিছুক্ষণ।
চিংড়ি মাছ রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে এর উপর আগে থেকে তৈরি করে রাখা ভাত, বিরিয়ানি মশলা, বেরেস্তা, কাজুবাদাম কিশমিশ, ঘি, মিঠা আতর, গোলাপ জল, দুধে ভেজানো কেশর ছড়িয়ে দিন।
সব কিছু দেওয়ার পর ঢাকা বন্ধ করে দশ মিনিট দমে বসিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে চিংড়ি মাছের বিরিয়ানি।

কাসুন্দি ইলিশ
কী কী লাগবে
ইলিশ মাছ
নারকেল দুধ
কাসুন্দি
নুন
হলুদ
লঙ্কাগুঁড়ো
জিরা গুঁড়ো
ধনে গুঁড়ো
কাঁচা লঙ্কা
কালোজিরা
চিনি
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে ইলিশ মাছের মধ্যে নুন হলুদ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে কিছুক্ষণ।
এবার একটা পাত্রের মধ্যে দু চামচ কাসুন্দি, পরিমাণ মতো নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো একসঙ্গে জল দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে কাঁচা লঙ্কা, কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে মাখিয়ে রাখা মসলা দিয়ে কষিয়ে নারকেল দুধ দিয়ে দিতে হবে।
ঝোল ফুটিয়ে মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে। এবার গ্যাস কমিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে দশ মিনিট।
মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প চিনি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

আবিদা সুলতানা
লাউ পনিরের ঘন্ট
কী কী লাগবে
লাউ কুচানো (২ কাপ)
পনির (২০০ গ্রাম)
পেঁয়াজ কুচি (১ কাপ)
কাঁচা লঙ্কা কুচি (১ চামচ)
টমেটো (১ টি)
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো (১ চামচ)
জিরে গুড়ো (১ চামচ)
লবন ও হলুদ (পরিমাণ মত)
গরম মসলা গুঁড়ো (১ চামচ)

কীভাবে বানাবেন
প্রথমে পনির গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে তারপর লবন ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন।
লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিয়ে একটি কুচানো মেশিন দিয়ে কুচিয়ে রাখুন।
কড়াই এ তেল দিয়ে তাতে তাতে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, লবন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে একটু জল দিয়ে ভালোভাবে গ্রেভি টা করে নিন।
এবার কুচানো লাউ গুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে গরম জল দিন।
জল একটু কমে এলে পনির গুলো আর কাঁচালঙ্কা কুচি দিন।
সব শেষে মাখো মাখো ভাব উপরে একটু গরম মসলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি।

লিপিকা ভর
হুগলির জনাই এর বিখ্যাত মিষ্টি - মনোহরা
কী কী লাগবে
৫০০ মিলি. দুধ
ছানা কাটার পাউডার
গুঁড়ো দুধ দু চামচ
এক কাপ চিনি
ঘী হাফ চামচ
সাজানোর জন্য কিসমিস ২ টি
কীভাবে বানাবেন
দুধ ফুটিয়ে পাউডার দিয়ে ছানা কাটিয়ে ছানা ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন।
এবার ছানা টাকে ভালো করে মেখে, ওতে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে আরো একটু মেখে নিয়েছি।
এবার গ্যাস জেলে কড়াতে ঘী দিয়ে ছানাটা নাড়তে হবে, দুচামচ চিনি মিশিয়ে নাড়তে নাড়তে সুখনো হয়ে এলে নামিয়ে গরম থাকতে থাকতে চারটে নাড়ুর মতো সন্দেশ পাকিয়ে নিয়েছি।
অন্য একটি প্যানে হাফ কাপ জলে বাকি চিনিটা দিয়ে আঠালো একটা সিরা করে গ্যাস বন্ধ করে দিয়ে ওই সিরাতে সন্দেশ গুলো আসতে করে দিয়ে দিয়েছি।
হালকা করে নাড়াচাড়া করে একটা চা চামচ দিয়ে অন্য একটি প্লেটে একটা একটা করে তুলে রেখেছি।
এরপর কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করেছি।

বর্নালী দেব দাস
নারকেলের পোলাও
কী কী লাগবে
১ বাটি ভাত
সামান্য কারিপাতা
সাদাতেল পরিমানমতো
স্বাদ অনুসারে লবন
১চা চামচ কালো সরর্ষে
১ টি নারকেল
সামান্য কাজুবাদাম
সামান্য কিশমিশ
১ টি শুকনোলঙ্কা
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে নারকেলটি ছোটো ছোটো করে কেটে নিন।
এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে নারকেল কাজুবাদাম কিশমিশ দিয়ে ভেজে তুলে রাখুন।
তারপর ঐ তেলে কারিপাতা, সরষে, শুকনোলঙ্কা ফোড়ন দিয়ে ভাত ও লবন দিন।
নাড়াচাড়া করে কাজুবাদাম কিশমিশ, নারকেল কুচি মিশিয়ে নামিয়ে নিন।

স্বর্নাভ হালদার
নারকোলি গন্ধরাজ ইলিশ
কী কী লাগবে
ইলিশ মাছ: ৪ টুকরো
নারকেল: ১টি
হলুদ: ২ চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
চিনি: স্বাদ মতো
সরষে: ১০ গ্রাম
কাঁচা লঙ্কা: ৬ টি
সরষের তেল: ৫০ গ্রাম
গন্ধরাজ লেবুর খোসা (কুড়িয়ে নেওয়া) : ১ টেবিল চামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে ইলিশ মাছের টুকরো গুলো ভাল করে পরিষ্কার করে ধুয়ে পরিমান মতো নুন হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন।
নারকেলটি কুরিয়ে নিনI সামান্য একটু কোরানো নারকেল রেখে দিয়ে বাকি নারকেল থেকে দুধ বের করে নিন।
এবার বাকি কোরানো নারকেল, সরষে, ৪ টে কাঁচা লঙ্কা ও সামান্য জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।
এবার কড়াই ওভেনে বসিয়ে সামান্য গরম করে তাতে সরষের তেল দিন, তেল গরম হলে তাতে মাছ গুলি হালকা ভেজে তুলে নিন।
এবার ওভেন সিম করে তাতে নারকেল সরষের পেস্ট দিয়ে অল্প ভেজে তাতে হলুদ, নুন, চিনি ও চেরা কাঁচা লঙ্কা দিন।
অল্প নেড়েচেড়ে নিয়ে তাতে নারকেলের দুধ ও মাছ দিন।
ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে উপর থেকে সরষের তেল,গন্ধরাজ লেবুর খোসা (কুড়িয়ে নেওয়া) ও সামান্য কোরানো নারকেল দিয়ে ৫ মিনিট স্টান্ডিং টাইম দিন।
এবার গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন গন্ধরাজ নারকেল ইলিশ।

আনারসি ইলিশ
কী কী লাগবে
ইলিশ মাছের টুকরো ৪ টি
কুড়িয়ে নেওয়া আনারস আধা কাপ
ফালি করে নেওয়া কাঁচা লঙ্কা ৩ টি
পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
আধা চা চামচ চিনি
হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ
ভাজার জন্য সাদাতেল
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
জল ১ কাপ
স্বাদ মতো নুন
কীভাবে বানাবেন
ইলিশ মাছে নুন ও লেবুর রস মাখিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে l
কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য লবণ দিয়ে নরম হওয়া অবধি ভাজতে হবে ।
এরপর একে একে দিতে হবে ফালি করে নেওয়া কাঁচালংকা, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো এবং লঙ্কাগুঁড়ো।
সমস্ত মশলা ভাল করে মিশিয়ে অল্প সময় মৃদু আঁচে নেড়ে দিয়ে দিতে হবে কুড়িয়ে নেওয়া আনারস।
অল্প আঁচে নেড়ে যেতে হবে যাতে মসলা ধরে না যায় এবং মসলা ভালোভাবে রান্না হয়ে তেল ছেড়ে এলে এতে দিতে হবে জল।
আঁচ বাড়িয়ে ফুটতে দিতে হবে এবং এই সময় দিয়ে দিতে হবে স্বাদমতো লবণ ও চিনি ( আনারস মিষ্টি হলে চিনি না দেওয়াই ভালো)।
ফুটে উঠলে খুব সাবধানে মাছগুলো ওর মধ্যে দিয়ে সামান্য নেড়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে এবং ৫ মিনিট পর গা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে এই উপাদেয় পদটি।
সাথে গরম ভাত থেকে শুরু করে পোলাও অব্দি সবই মানানসই।

মানসী সাহা
গন্ধরাজ তিলোত্তমা ইলিশ
কী কী লাগবে
৭ পিস ইলিশ মাছ
২ চা চামচ কালো সরষে
২ চা চামচ হলুদ সর্ষে
২ চা চামচ সাদা তিল
১+১/২ চা চামচ গন্ধরাজ লেবুর রস
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১২ টা কাঁচা লঙ্কা
স্বাদ অনুযায়ী লবণ
পরিমাণ মতো সর্ষের তেল
কীভাবে বানাবেন
ইলিশ মাছ লবণ আর হলুদ মাখিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিন।
সরষে ও তিল কাঁচালঙ্কার সাথে পেস্ট করে নিন।
এবার কড়াইতে নুন, হলুদ মাখানো ইলিশ মাছের সাথে সরষে লঙ্কার পেস্ট, লেবুর রস, আন্দাজ মত লবণ, ৪ চা চামচ সরষের তেল ও ১ কাপের একটু বেশি জল দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন ২০ মিনিট।
২০ মিনিট পর গ্যাসে বসিয়ে ফুটে উঠলে অল্প আঁচে ঢাকা দিয়ে প্রায় ১০-১২ মিনিট রেখে উপর থেকে চেরা কাঁচালঙ্কা ও আরো ২ চা চামচ কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গন্ধরাজ তিলোত্তমা ইলিশ।

স্বাগতা বিশ্বাস
ঢাকাই পোড়া মটন
কী কী লাগবে
মটন ১ কেজি
আদা রসুন আর পেঁয়াজ বাটা এক কাপ
বেরেস্তা এক বাটি
কাশ্মীরি লঙ্কা জিরে ধনে গুঁড়ো ২ চামচ করে
টক দই আধ কাপ
হলুদ নুন তেল প্রয়োজন মতো
কাঁচা লঙ্কা বাটা ৪ চামচ
তেজপাতা ২ টো
লবঙ্গ সবুজ এলাচ ৪ টে করে
দারচিনি ৩ টুকরো
পেঁয়াজ ৩ টে পাতলা করে কাটা
রাঁধুনি ছোট চামচের এক চামচ
শুকনো লঙ্কা ও টমেটো বাটা এক বাটি
আগে থেকে শুকনো কড়াইতে রোস্ট করা জিরে গুঁড়ো
দারচিনি এলাচ জায়ফল জয়ত্রী গুঁড়ো ৪ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
মটন ধুয়ে নিয়ে আদা রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, বেরেস্তা, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, জিরে, ধনে গুঁড়ো, টক দই, নুন, কাঁচা লঙ্কা বাটা, স্লাইসড পিঁয়াজ, তেজপাতা, লবঙ্গ, কালো আর সবুজ এলাচ, দারচিনি, সর্ষের তেল দিয়ে ম্যারিনেড করে রাখুন তিন ঘন্টা।
কড়াইতে তেল দিয়ে এই ম্যারিনেটেড মাংস দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
মাঝে মাঝে নাড়তে হবে যাতে নীচে না লাগে।
জল শুকিয়ে মাংস খানিক সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন।
অন্য কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে পিঁয়াজ কুচি ভেজে রাঁধুনি, শুকনো লঙ্কা আর টমেটো পিউরি দিয়ে কষাতে হবে।
তারপর ওতে আদা রসুন পিঁয়াজ বাটা, রোস্টেড জিরা গুঁড়ো দিন।
অল্প একটু রাঁধুনি, গরমমশলা গুঁড়ো দিয়ে কষে মাংসের মধ্যে ঢেলে দিন।
খুব অল্প আঁচে বসিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে, ওই কড়াই এর মশলা ধোয়া জলটা গরম করে মাংসে দিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন।
ঘন্টা দেড়েক পর রাঁধুনি গুঁড়ো, বেরেস্তা, গরমমশলা গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে একদম শুকনো করে নামিয়ে নিন।

সোনিলা দাস
ছোলার ডালের বরফি
কী কী লাগবে
▪️১ কাপ ছোলার ডাল
▪️১ এবং ১/২ কাপ চিনি
▪️১ কাপ ঘি
▪️১ লিটার দুধ
▪️১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়া
▪️১২ টি বাদাম কাটা
▪️১২ টি পেস্তা কাটা
কীভাবে বানাবেন
ছোলার ডাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারারাত।
কড়াইয়ে দুধ নিয়ে এর মধ্যে ছোলার ডাল দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে।
ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং দুধ শুকনো হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিতে হবে এবং তারপর ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে।
প্যানে ঘি গরম করে ছোলার ডালের পেস্ট, চিনি এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে কম আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি প্যানের দিকগুলি ছেড়ে দেওয়া শুরু করে।
একটি গ্রীসড ট্রেতে মিশ্রণটি সঠিকভাবে সেট করতে হবে।
বাদাম এবং পেস্তা দিয়ে সাজিয়ে টুকরো করে কেটে ইচ্ছে মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মৌমিতা বিশ্বাস
লিট্টি চোখা আর চাটনী
কী কী লাগবে
লিট্টির বাইরের অংশের জন্য : -
২ কাপ আটা
২ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ ঘি
১/২ চা চামচ জোয়ান
৩/৪ চা চামচ লবন
পুরের জন্য :
১ বাটি ছাতু
৪-৫ টি থেঁতো করা রসুনের কোয়া
১ টি কুচোনো পেঁয়াজ
১ ইঞ্চি আদা থেঁতো করা
২-৩ টি কাঁচা লংকা কুচোনো
ধনে পাতা কুচোনো
১/২ চা চামচ কালোজিরে
১ চা চামচ জোয়ান
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ চা চামচ যে কোনো আচারের মসলা
লবন স্বাদ অনুযায়ী
চোখার জন্য :-
২ টি সিদ্ধ করা আলু
১ টা বড় বেগুন
৩ টি টমেটো
৪-৫ টি রসুনের কোয়া
২-৩ টি কাঁচা লঙ্কা কুচোনো
১ ইঞ্চি আদা থেঁতো করা
২ টি পেঁয়াজ কুচোনো
ধনে পাতা কুচোনো
২ চা চামচ সরষের তেল
লবন স্বাদ অনুযায়ী
কীভাবে বানাবেন
বড় বাটিতে আটা চেলে তাতে লবন, জোয়ান ও তেল যোগ করুন l
তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে মাখুন ও ঠেসে নিন মাখা আটা এমন ভাবে মাখতে হবে যাতে সেটি নরম হয় l
একটা ভিজে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে সরিয়ে রাখুন l এখন মাখা আটা প্রস্তুত l
একটি বাটিতে ছাতু নিয়ে সমস্ত মসলাগুলো যোগ করুন এবং থেঁতো করা আদা, কাঁচা লংকা, ধনে, লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন l
যদি খুব শুকিয়ে গেছে মনে হয়, তবে ১ চা চামচ তেল এবং কয়েক ফোঁটা জল এতে যোগ করতে হবে l
এটি একটু ঝুরঝুরে প্রকৃতির হবে l এটি এখন আলাদা করে সরিয়ে রাখুন l
এখন মাঝারি মাপের লেচি বানান l হাত দিয়ে একটু চেপে নিয়ে রুটির মত বেলুন কিন্তু অতিরিক্ত আটা এতে দেবেন না l
ঐ ছোট রুটির মত গোল্লাটার মধ্যে ২ চা চামচ তৈরি মশলার মিশ্রণ রেখে সেটা বন্ধ করে একটা বলের মত আকৃতি করে নিন l
লিট্টি বেকিং এর জন্য তৈরি হল l এভাবে ১০-১২ টা লিট্টির গোল্লা বা বল তৈরি করে নিন l
ওভেনকে আগে থাকতেই ২০০ ডিগ্রিতে গরম করুন l সবকটি বল আকারের গোলাগুলোকে বেকিং ডিশে রেখে ৩০-৪০ মিনিট বেক করতে হবে বা সেঁকতে হবে।
বলগুলো অর্ধেক সময় পর উল্টে পাল্টে দিতে হবে, যাতে সবদিকে সমানভাবে সেটি সেঁকা হয় তার জন্য ২-৩ বার এইভাবে উল্টে দিতে হবে l
যদি আপনি সেঁকতে না চান তবে ডুবো তেলে আপনি ভেজে নিতেও পারেন l
চোখার জন্য:
আলুগুলি সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে সরিয়ে রাখতে হবে l
বেগুন ও টমেটোগুলো গ্যাস স্টোভ এ মধ্যম আঁচে পোড়াতে হবে দুদিকে যতক্ষণ না নরম হচ্ছে l
বেগুনের পোড়া খোসা ছাড়িয়ে সেদ্ধ আলু ও রসুন, টমেটো সহ চটকাতে হবে l
কুচোনো পেঁয়াজ, ধনেপাতা, থেঁতো করা আদা, লবণ, কাঁচা লঙ্কা ও সরষের তেল মেশাতে হবে।
সব উপকরণ হাত দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে l এখন চোখা খাওয়ার জন্য
একটা বাটিতে চোখা রেখে গলা ঘিয়ের মধ্যে গরম লিট্টি ডুবিয়ে রেখে সবুজ ধনেপাতার চাটনি সহযোগে পরিবেশন করতে হবে l

তন্দ্রা নাথ
শাহী ইলিশ
কী কী লাগবে
চার টুকরো ইলিশ মাছ
দুই চামচ কাজু বাটা
এক চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা
তিন চামচ সেদ্ধ পিয়াঁজ বাটা
দুই চামচ গুঁড়ো দুধ
লিকুইড দুধ এক কাপ( ঘন করে জ্বাল দেওয়া)
স্বাদমতো নুন
ছয় চামচ সর্ষের তেল
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে ইলিশ মাছের টুকরো ভালো করে ধুয়ে সামান্য নুন দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
এবার কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে তেল গরম হলে মাছ একদম হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
ওই তেলেই পেস্ট করা সেদ্ধ পিয়াঁজ ও লঙ্কা বাটা দিয়ে হালকা হাতে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। একটু হয়ে আসলে, মানে কাঁচা লংকার গন্ধ কেটে গেলে কাজু বাটা দিয়ে দিতে হবে। আবারও হালকা হাতে নাড়তে হবে। পুরো রান্নাটাই হবে লো ফ্লেমে।
ঘন করে জ্বাল দেওয়া দুধ এবার ঢেলে দিতে হবে। আর ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে হালকা করে ভেজে রাখা মাছ সাজিয়ে দিয়ে চাপা দিয়ে রাখতে হবে।
পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে নিতে হবে।ব্যাস রেডি হয়ে যাবে শাহী ইলিশ।
এটা গরম ভাতে তো ভালো লাগবেই ,এছাড়াও পোলাও এর সাথেও খুব ভালো লাগে খেতে।

শালিনী মিশ্রা বাজপেয়ী
পোস্তর কোফতা কারি
কী কী লাগবে
পোস্ত ৫০০ গ্রাম
আলু ২ টি মাঝারি মাপের
জিরে গুঁড়ো-এক চামচ
ধনে গুঁড়ো-এক চামচ
হলুদ আধ চামচ
নুন স্বাদ অনুযায়ী
চিনি আধ চামচ
টমেটো পিউরি ¼ কাপ
ঘি এক চামচ
সরষের তেল পরিমাণ মত
কাজু কিশমিশ বাটা 1½ চামচ
জল পরিমাণ মত
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে ৫০০ গ্রাম পোস্ত অল্প জল দিয়ে বেটে নিতে হবে।
এরপর এর মধ্যে সেদ্ধ আলু ও সামান্য নুন দিয়ে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে।
কড়াইতে তেল গরম করে পোস্ত র মিশ্রন থেকে অল্প অল্প নিয়ে কোফতার আকারের বানিয়ে গরম তেলে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
ওই তেলে গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে সব গুঁড়ো মশলা ও নুন চিনি দিয়ে সামান্য জল দিয়ে মশলা ভালো করে কষে নিতে হবে।
মশলা থেকে তেল ছাড়লে টমেটো পিউরি এবং কাজু কিশমিশ বাটা দিয়ে আবারো কষিয়ে নিয়ে জল দিতে হবে।
ফুটে উঠলে পোস্তর কোফতা গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরী।

জয়িতা বর্মন
কোলকাতা চিকেন বিরিয়ানি
কী কী লাগবে
বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম
চিকেন ১ কেজি
পেঁয়াজ কুচানো ২ টি বড়
ভাজা পেঁয়াজ/বেরেস্তা ১ কাপ
আদা রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ
টক দই ১৫০ গ্রাম
টমেটো কুচি ১ টা
কাঁচা লঙ্কা বাটা/গোটা
আলু ৩ টি বড়
হলুদ ১/২ চা চামচ
নুন স্বাদ মতো
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
তেল + ঘি ২০০ গ্রাম
কেওড়ার জল
মিঠা আতর
দুধ ১৫০ মি.লি.
শুকনো খোয়া চিনি ছাড়া ১৫০ গ্রাম
বিরিয়ানির জন্য মসলা:
প্যাকেটের বিরিয়ানি মসলা ২ টেবিল চামচ
ছোটো এলাচ ৭-৮ টি
বড়ো এলাচ ১ টি
লবঙ্গ ৭-৮ টি
দারচিনি ১ ইঞ্চি ২'টি
জয়ত্রি ১ টি
তেজপাতা ৪ টি
গোলমরিচ ৯-১০ টি
জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ
আটা
কীভাবে বানাবেন
চিকেন পরিষ্কার করে ধুয়ে হলুদ, দই, নুন মাখিয়ে ১ ঘন্টা ম্যারিনেট করতে দিন।
চাল ভালো করে ধুয়ে ৩০-৪০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন।
আটা জল দিয়ে রুটির মতো মেখে রাখুন।
২টি বড়ো কুচানো পেঁয়াজ বেশি তেলে লাল করে ভেজে তুলে রাখুন। এটা বিরিয়ানি দমে বসানোর সময় লাগবে।
আলু খোসা ছাড়িয়ে চার টুকরো করে ওই তেলে নুন দিয়ে লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন।
একটা হাঁড়ি বা ডেকচিতে চালের দ্বিগুণের একটু বেশি জল গ্যাসে চাপিয়ে দেড় টেবিল চামচ নুন, এক চা চামচ তেল ও এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস দিন।
জল বেশ গরম হয়ে এলে ৪ টি এলাচ, ৪ টি লবঙ্গ, ১ টি দারচিনি, হাফ জয়ত্রি, কয়েকটি গোলমরিচ, ২ টি তেজপাতা দিন।
জল টগবগিয়ে ফুটে উঠলে তবেই চাল দিন। এই সময় গ্যাস বাড়িয়ে রাখুন। চাল ফুটে উঠলে মাঝারি থেকে একটু বেশি আঁচে ফুটতে দিন।
খুব বেশি নাড়াচাড়া করার দরকার নেই। চাল ৮০% সেদ্ধ হয়ে এলে মাড় ঝরিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
কড়াইতে তেল ও ঘিয়ের মিশ্রণ বা শুধু ঘি দিয়ে গরম করে ওতে বাকি গোটা গরম মসলা তেজপাতা দিয়ে সুগন্ধ ছাড়লে কুচনো পেঁয়াজটা দিয়ে ভাজতে হবে।
হালকা ভাজা হলে আদা রসুন বাটা দিয়ে একটু কষে ওর মধ্যে চিকেনটা দিয়ে জিরে গুঁড়ো ও বিরিয়ানি মসলা, টমেটো কুচি, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে সব এক সাথে কষতে থাকুন।
তেল ছাড়লে ৩ কাপ মতো গরম জল দিয়ে ভেজে রাখা আলু গুলো দিয়ে চিকেন সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হলে ঝোল বেশি হবে না গা মাখা গ্রেভি থাকবে।
গ্যাস বন্ধ করার ৫ মিনিট আগে ২ টেবিল চামচ বিরিয়ানি মসলা দিন। মসলার পরিমাণ স্বাদ অনুযায়ী একটু কম বেশি করতে পারেন।
একটি ভারী তলা যুক্ত বড়ো পাত্র নিন। ভারী তলা যুক্ত পাত্র না থাকলে এমন কোনো পাত্র নিতে পারেন যেটা লোহার তাওয়ার ওপর গ্যাসে বসানো যাবে।
পাত্রের ভেতর দিকে ঘি মাখিয়ে নিন।
কিছুটা চিকেন সরিয়ে রেখে বেশির ভাগ চিকেনটা গ্রেভি সমেত পাত্রে রেখে ওপরে সেদ্ধ করা অর্ধেকটা বিরিয়ানি রাইস আলতো করে বিছিয়ে দিন।
এবার রাইসের ওপর মাঝখানে বাকি চিকেন, আলু, ভেজে রাখা পেঁয়াজের কিছুটা আর ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন।
এবার বাকি রাইসটা বিছিয়ে দিয়ে ওপরে ২ টেবিল চামচ ঘি, বাকি পেঁয়াজ ভাজা, খোয়াটা হাতে গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন।
এবার দুধটা নিয়ে ওতে ১ চা চামচ কেওড়ার জল আর ১-২ ফোঁটা মিঠা আতর ভালো করে মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন।
বিরিয়ানি পাত্রটি এবার ঢাকা দিয়ে মুখটা আটা দিয়ে সীল করে গ্যাসে বসান।
বেশ ভারী তলা পাত্র হলে ২-৩ মিনিট মাঝারি আঁচে রেখে গ্যাস কমিয়ে সীমারে ২০ মিনিট রেখে গ্যাস বন্ধ করে ৫ মিনিট রাখুন।
আর হালকা তলা পাত্রের ক্ষেত্রে গ্যাসে লোহার তাওয়া গরম করে বিরিয়ানি পাত্র বসিয়ে ২-৩ মিনিট হাই ফ্লেমে রেখে গ্যাস কমিয়ে সীমারে ২৫ মিনিট রেখে ৫ মিনিট গ্যাস বন্ধ করে রাখুন।
এবার ঢাকনাটা খুলে ফেলুন - তাহলেই রেডি জিভে জল আনা মন মাতানো কোলকাতা চিকেন বিরিয়ানি।

অর্পিতা মুখার্জি
ছানার ডাব মালাই
কী কী লাগবে
২০০ গ্রাম ঘরে তৈরি ছানা
১ টেবিল চামচ সাধারণ ময়দা
এক মুঠো কিশমিশ
লবন
ভাজার জন্য তেল
গ্রেভির জন্য
৩/৪ কাপ কোমল নারকেলের শাঁস
১ কাপ নারকেল দুধ
১.৫ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ জিরা
৪ টি সবুজ এলাচ
১ টি তেজপাতা
৭-৮টি কাঁচা লঙ্কা
১.৫ টেবিল চামচ রান্নার তেল
চিনি ১ চা চামচ
লবন
কীভাবে বানাবেন
ছানা, ময়দা আর লবন ভালো করে হাত দিয়ে মেখে বল বানিয়ে নিন।
নারকেলের শাঁস বেটে নিন।
একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে জিরা, কুচানো সবুজ এলাচ ও তেজপাতা দিন। মশলাগুলো কষতে দিন। আঁচ কমিয়ে আদা বাটা দিয়ে নাড়ুন।
১-২ মিনিট রান্না করে আগুনের আঁচ কমিয়ে দিন এবং সমানে নাড়তে নাড়তে নারকেলের দুধ ঢেলে দিন।
নারকেলের শাঁস দিয়ে পাঁচ মিনিট রান্না করুন।
৩/৪ কাপ গরম জল, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন।
সাবধানে ছানার বল গুলো দিয়ে ৫-৭ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন।

অর্পিতা মুখার্জি
পনির জিলিপি
কী কী লাগবে
সুগার সিরাপ এর জন্য:
চিনি ১ কাপ
১/২ কাপ পানি
২টি এলাচ বীজ
জিলিপি পিঠার জন্য:
২৫০ গ্রাম আমুল পনির
৫ চা চামচ সর্ব-উদ্দেশ্য ময়দা
১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
১ চিমটি বেকিং পাউডার
১/৪ চা চামচ জাফরান স্ট্র্যান্ড
১/৪ কাপ দুধ
২ টেবিল চামচ উষ্ণ দুধ
ভাজার
আমুল ঘি
পেস্তা বাদাম কাটা, প্রয়োজন মতো
কীভাবে বানাবেন
চিনির সিরাপের জন্য:
জল
জল আর চিনি জ্বাল দিয়ে ঘন সিরা বানিয়ে নিন।
একটি পাত্রে আমুল পনির, ময়দা, ভুট্টার আটা, বেকিং পাউডার এবং দুধ মিশিয়ে নিন। মসৃণ হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
পাইপিং ব্যাগ থেকে সহজেই চাপা যায় এমন একটি ব্যাটার তৈরি করতে পর্যাপ্ত জল যোগ করুন; এটি কেক ফ্রস্টিং থেকে সামান্য পাতলা হওয়া উচিত।
মাঝারি আঁচে একটি অগভীর প্যানে ঘি বা তেল গরম করুন।। একটি পাইপিং ব্যাগে ব্যাটারটি ঢেলে দিন।
ঘি গরম হলে হাত ঘুরিয়ে প্যাচ দিয়ে জিলিপির শেপে ভেজে তুলে নিন।
কিছুক্ষণ সিরাতে ভিজিয়ে রেখে পরিবেশন করুন।

চৈতী দাস
নারকেল পনির বাহার
কী কী লাগবে
পনির ২০০ গ্রাম
ময়দা-৫ চামচ
চিলি ফ্লেক্স, কসৌরি মেথি, গোটা জিরা
চিনি ও লবণ, লঙ্কা আদা বাটা, নারকেল দুধ
ধনেপাতা
ক্ষীর
ভাজার জন্য সাদা তেল
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে পনির টাকে ভালো করে মেখে নিতে হবে যাতে দলা না থাকে। তারপর সামান্য পরিমাণে চিনি ও লবণ,
জিরা, কসৌরি মেথি, চিলি ফ্লক্স,ময়দা দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়ে লেচি কেটে নিয়ে তাতে ক্ষীর ভরে কোপতা আকারে গড়ে নিতে হবে।
সাদা তেল গরম করে পনির টাকে ভেজে তুলে নিতে হবে।
অন্য প্যানে তেল দিয়ে তাতে গোটা জিরা, তেজপাতা দিয়ে আদা ও লঙ্কা বাটা দিয়ে সামান্য জিরা ও ধনে গুড়ো ও লঙ্কা হলুদ গুড়ো দিয়ে সাথে লবণ ও চিনি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
কষে এলে নারকেল দুধ দিয়ে দিতে হবে। নারকেল দুধ দেবার পর ভালো করে ফুটে উঠলে তাকে ভেজে তুলে রাখা পনির গুলো দিয়ে দিতে হবে। সামান্য ফুটিয়ে তাতে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে দিতে হবে।
এই নিরামিষ পদটা লুচি, পোলাও সাথে খুব বেশি ভালো লাগবে।

অরিজিৎ রক্ষিত
চিলি - সোয়া
কী কী লাগবে
সোয়াবিন বড়ি (বড়ো সাইজ এর) -১০০ গ্রাম
ক্যাপসিকাম- ১৫০গ্রাম
পিঁয়াজ - ১৫০ গ্রাম
আদা - ২০ গ্রাম
রসুন - ৩০ গ্রাম
কাঁচা লঙ্কা - ২ পিস
পিঁয়াজ শাক কুচি- ১০ গ্রাম
সাদা তেল - ১৫০ গ্রাম
ডার্ক সোয়া সস্ - ৪ চামচ
টমেটো সস- ৫ চামচ
চিলি সস - ১ চামচ
স্পাইসি রেড টমেটো সস - ১ চামচ
ভিনিগার - ৪ চামচ
চিনি - ১/৪ চামচ
লবণ - স্বাদ মত
সাদা তিল- পরিমাণ অনুযায়ী
কীভাবে বানাবেন
একটি কাপ এ ৫ চামচ টমেটো সস, ৪ চামচ ডার্ক সোয়া সস, ৪ চামচ ভিনিগার, ১ চামচ স্পাইসি রেড টমেটো সস, ১ চামচ চিলি সস একসাথে ভালো করে মিশিয়ে একটি স্পেশাল সস্ বানিয়ে রাখুন।
প্রথমে সোয়াবিন গুলো হালকা লবণ জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর একটি ডিম, গোলমরিচ ১/২ টেবিল চামচ, ১+১/২ চামচ পিয়াঁজ বাটা, কর্নফ্লাওয়ার ১ চামচ দিয়ে ভালো করে মেখে ১ ঘণ্টা রেখে দিন ঢাকা দিয়ে। যাতে মসলা গুলো সয়াবিনের ভিতরে ঢুকে যায়।
কড়াইতে সাদা তেল নিন ১০০ গ্রাম। তেল ফুটে উঠলে, এক এক করে সোয়াবিন গুলো পকড়ার মত ভেজে নিন হালকা বাদামি করে। দেখবেন সোয়াবিন গুলো যাতে মুচমুচে না হয়ে যায়। একটি পাত্রে ভাজা সোয়াবিন গুলো তেল ঝরাতে দিয়ে দিন।
কড়াইতে আরো ২৫ গ্রাম তেল ঢালুন। এবার কেটে রাখা ক্যাপসিকাম , লঙ্কা দিয়ে ভাজুন। মনে রাখবেন, চিলি সোয়া/চিকেন/ পনীর এই সব চিন দেশীয় খাবারে ক্যাপসিকাম বা পিয়াঁজ গুলো একটু হালকা কাঁচা থাকবে,তাহলেই খবার সময় ক্যাপসিকাম এর পূর্ণ স্বাদ পাওয়া যাবে।
৪০% ভাজা হলে এবার আগে থেকে কেটে রাখা পিয়াঁজ কুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি দিয়ে, মিডিয়াম ফ্ল্যামে মিনিট ৫-৬ ভাজুন।
সবকটি সবজি ৬০% ভাজা হলে, আগে থেকে বানিয়ে রাখা "চাইনিজ -সস" দিয়ে দিন।
সস দিয়ে মিনিট ৪-৫ নাড়তে থাকুন। মাঝে একটু ১/২ চামচ লবণ দিন, এবং ১/২ চামচ কাশ্মীরি গুঁড়ো লঙ্কা দিন(রং টা দারুন আসে)। আগে থেকে লবণ দেবেন না। কারণ সোয়া সস এ হালকা লবণ থাকে। তাই আগে দেখে নিয়ে তারপর লবণ যোগ করবেন।
৮০% রান্না হয়ে গেলে, দেখবেন একটি সুন্দর গন্ধ বেরোবে। এবং তেল ভাসতে থাকবে। তখন ১/৪ চামচ চিনি দিয়ে দেবেন(অপশনাল) । আমি একটু চিনি দি, তাতে একটা সুন্দর স্বাদ আসে। এরপর একটি কাপ এ ২ চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার/ময়দা/অ্যারারুট, ১/২ কাপ জল দিয়ে মিশিয়ে ঢেলে দিন। ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন, যাতে কড়াই এর নীচে লেগে না যায়।
ছবির মত দেখতে হলে ওভেন থেকে নামিয়ে, একটি পাত্রে রাখুন। ১০ মিনিট ঠাণ্ডা হতে দিন। তারপর ওপরে "সাদা তিল" এবং "স্পিনাচ" এর কুচি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশনের জন্য রেডী করুন। ফ্রাইড রাইস/ চাউমিন/ নুডলস এর সাথে মাঝারি গরম সার্ভ করুন।

সরিতা নাথ
গন্ধরাজ মালাই পনির
কী কী লাগবে
৫০০ গ্রাম পনির
গন্ধরাজ লেবুর রস এবং জেস্ট
২০০ মিলি ক্রিম
১ চা চামচ আদা কুচি ,1 চা চামচ রসুন কুচি
পরিমাণ মত গরম মশলা
স্বাদ মত নুন
১ চা চামচ জিরা বাটা
৪ চা চামচ (পোস্ত,কাজু, মগজ দানা,জলে ভিজিয়ে খোসা ছাড়ানো আলমণ্ড, ৪ চামচ টক দই ও ঝাল অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে বাটা)
১ চা চামচ করে গরম মশলা গুঁড়ো
কসুরি মেথি গুঁড়ো
১/২ চা চামচ চিনি
১ চা চামচ মাখন
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে পনির গুলো টুকরো করে কেটে সামান্য একটু নুন এবং গন্ধরাজ লেবুর রস ও জেস্ট দিয়ে মেখে হালকা লালচে করে ভেজে তুলে নিন এবং ইষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে রাখুন।
এরপর কড়াইতে মাখন দিয়ে গরম হলে তাতে প্রথমে গোটা গরম মশলা দিয়ে একটু নেড়ে ঐ পেস্টটা ঢেলে দিন। মিক্সিং জার ধোয়া সামান্য একটু জল দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন।
এরপর ওর মধ্যে আদা বাটা, রসুন বাটা, লংকা গুঁড়ো, নুন, চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে তেল বেরিয়ে এলে ভিজিয়ে রাখা পনির জল শুদ্ধু দিয়ে দিন।
দুটো কাঁচা লংকা চিরে দিয়ে দিন। পনির শুকিয়ে মাখা মাখা হলে লেবুর রস ছড়িয়ে গ্যাস অফ করে ওপর থেকে কসুরি মেথি দিয়ে কিছু ক্ষন চাপা দিয়ে পরিবেশন করুন।

প্রতিভা মন্ডল
চিকেন রেজালা
কী কী লাগবে
চিকেন ৪০০ গ্রাম
পেঁয়াজ ৩ টে, আড়াই টা পেঁয়াজ বাটা এবং বাকিটুকু গোটা
রসুন ১১ টা কোয়া, ১০ টা বাটা এবং ১ টা গোটা
আদা ২ চামচ বাটা এবং একটা কাটা টুকরো
কাঁচা লঙ্কা ১০ টা/৩ চামচ (বাটা)
শুকনো লঙ্কা ২ টো
তেজপাতা ১ টা
দারচিনি ২ টো
লবঙ্গ ৩ টে
এলাচ ৪ টে
গোলমরিচ ২০ টা
জয়ত্রী ২ টো
ধনে ২ চামচ
পোস্ত ৩ চামচ
চালমগজ ২ চামচ
শুকনো নারকেল কুঁচি ২ চামচ
কাজুবাদাম ৩ টে
টক দই ৭০ গ্রাম
দুধ ১ কাপ
কর্নফ্লাওয়ার ১/২ চা চামচ
কেওড়া জল ১/৪ চা চামচ
মিঠা আতর ১/২ ফোঁটা
শুকনো গোলাপ ফুল
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে চিকেনটাকে ধুয়ে নিন। তারপর একটি পাত্রে ৪ বা ৫ কাপ জল, ১/৪ পেঁয়াজ, একটা রসুনের কোয়া, একটা আদার টুকরো, একটা করে দারচিনি-এলাচ-লবঙ্গ-তেজপাতা, ২টো গোলমরিচ এবং সামান্য লবণ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত উষ্ণ আঁচে ঢাকা দিয়ে ৭০% সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হওয়ার পর জল টাকে ছেঁকে নিয়ে আলাদা পাত্রে এবং চিকেন টাকে আলাদা পাত্রে রাখতে হবে।
এক জায়গায় ধনে, গোলমরিচ ও জয়ত্রী গুঁড়ো
এবং অপর জায়গায় পোস্ত, চালমগজ ও শুকনো নারকেল কুচি গুঁড়ো/পেস্ট করে নিতে হবে ।
যদি গুঁড়ো মশলা থাকে তবে আলাদা ভাবে গুঁড়ো করার দরকার নেই পরিমাণ অনুসারে দিলেই হবে।
শুকনো নারকেল না থাকলে দেওয়ার দরকার নেই, কিন্তু কাঁচা নারকেল কোরা দেওয়া দিতে যাবেন না।
একটি পাত্রে ১/২ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার জলে গুলে নিয়ে তাতে টক দই দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন।
আরেকটি পাত্রে অল্প পরিমাণে গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ লঙ্কা বাটা, ১/৪ চামচ কেওড়া জল ও ১/২ ফোঁটা মিঠা আতর মিশিয়ে নিন।
একটি কড়াই গরম করে তাতে ২০ গ্রাম (পছন্দ মতো কম বেশিও নিতে পারেন) সাদা তেল গরম করে, ১ চামচ ঘি দিয়ে হালকা গরম করে তাতে ২ টো শুকনো লঙ্কা হালকা ভেজে তুলে নিতে হবে, তারপর ঐ তেলে ১ টা দারচিনি, ২ টো লবঙ্গ, ৬ টা গোলমরিচ, ৩ টে এলাচ ফাটিয়ে এবং ১ টা জয়ীত্রী ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিতে হবে।
কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে তাতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ২ মিনিট নেড়ে আদা-রসুন-লঙ্কা বাটা দিয়ে সোনালী রঙ না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে, এরপর এতে ধনে-গোলমরিচ-জয়ত্রীর গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে ৩ মিনিট পর চালমগজ-পোস্ত-শুকনো নারকেলের মিশ্রণটাকে দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চেড়ে নিতে হবে (এই সময় খেয়াল রাখতে হবে, এটি যেন কড়াইয়ের গায়ে লেগে না যায়)।
৫ মিনিট পর এতে টক দইয়ের মিশ্রণটাকে দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে, কষানো হয়ে গেলে ঐ মিশ্রণে চিকেন টা দিয়ে উল্টে পাল্টে কিছুক্ষণ নেড়ে নিয়ে তাতে ঐ ছেঁকে রাখা জল ও স্বাদ অনুসারে লবণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
১০ মিনিট পর ঢাকনা নামিয়ে তাতে দুধের মিশ্রণ, কাজুবাদাম, ভাজা শুকনো লঙ্কা ও শুকনো গোলাপের পাপড়ি ওপর দিয়ে ছিটিয়ে দিয়ে একদম কম আঁচে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে অসাধারণ স্বাদের এই 'চিকেন রেজালা'।
তারপর নামিয়ে নিয়ে নানরুটি, লাচ্ছা পরোটা, বাটার নান বা রুমালী রুটির সঙ্গে পরিবেশন করে পেটপূজো সারতে হবে।

সমাপ্তি দে
ডাবের শাঁসের মালাই ইলিশ"
কী কী লাগবে
৩ পিস ইলিশ মাছ
২ চামচ সাদা সর্ষে
পরিমান মতো লবন
পরিমান মতো হলুদ
কাঁচা লঙ্কা চেরা ও বাটা
ডাবের শাঁস
ডাবের জল
নারকেলের দুধ
২ চামচ টক দই
কীভাবে বানাবেন
মাছ গুলো ভালো করে ধুয়ে লবন হলুদ মাখিয়ে রাখুন।
তারপর উপরের সমস্ত উপকরণ মিক্সি তে বেটে নিন।
এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে বাটা মশলা মিক্সির বাটি ধোয়া ডাবের জল, লবন, দিয়ে নাড়াচাড়া করে ( অবশ্যই ডাবের শাঁস বাটতে হবে) চেরা কাঁচালঙ্কা, নারকেলের দুধ, ফেটানো টকদই, মাছ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন।
জল দেওয়া যাবেনা ডাবের জলেই সিদ্ধ হবে। অল্প আঁচে ৭ মিনিট ফুটলেই তৈরী হয়ে যাবে ডাবের শাঁসের মালাই ইলিশ।

শ্রীনিতা পাল
নারকেলি ছাপ সন্দেশ
কী কী লাগবে
১ টা মাঝারি সাইজের নারকেল
গুড়
ছোট এলাচ গুঁড়ো
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে নারকেল টা কে কোরাতে হবে তারপর সেটিকে মিক্সিটে বা শিলনোরা তে বেটে নিতে হবে।
এবার নারকেল টা একটি পাত্রে নিয়ে এবং নারকেলের অর্ধেক পরিমান গুড় নিয়ে সেটিকে একসাথে মাখিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে ১০ মিনিটের জন্য।
কড়াইতে এই মিশ্রন নিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন।
পাক এসে গেলে এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
এবার মিশ্রণ টির গরম অবস্থাতেই নিজের পছন্দ মতো ছাঁচ নিয়ে সেটিকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তাতে সামান্য পরিমানে ঘি মাখিয়ে নিয়ে মিশ্রণ টি দিয়ে বানিয়ে নিন নারকেলি ছাঁচ সন্দেশ ।
দুর্গা পূজাতে বাড়িতে অথিতি এলে পরিবেশন করুন এই সুন্দর মিষ্টি টি।

মীনাক্ষী মুখার্জি
ছানার কোপ্তাকারী
কী কী লাগবে
২৫০ ছানা,
২ চা চামচ ময়দা,
কিসমিস ১০ টা,
জিরে গুঁড়ো ১চা চামচ,
চিনি আর নুন স্বাদানুযায়ী,
কাঁচালঙ্কা কুচি ১ চা চামচ
কাজু বাদাম ৫ টা,
মগজদানা ২ চা চামচ,
টমেটো ১ টা,
কাঁচালঙ্কা ২ টি,
১ টুকরো আদার এই সবটার মিহি পেস্ট,
সাদাতেল,
গরম মশলা ১ চা চামচ,
কাশ্মিরী রেড চিলি পাউডার,
গরম মশলা ১ চা চামচ,
হিং ১ চিমটি,
নারকেল দুধ ৩ চা চামচ,
১ টা চেরি আর ধনেপাতা সাজানোর জন্য
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে একটা বড়ো পাত্রে ছানাটা ঢেলে একে একে চিনি গুঁড়ো ১ চা চামচ, নুন স্বাদ মতো, কাঁচালঙ্কা কুচি, জিড়ে গুঁড়ো এই সবকটা মশলা দিয়ে ভালো করে মেখে ভেতরে একটা করে কিসমিস দিয়ে ইচ্ছে মতো শেপে গড়ে নিতে হবে কোপ্তাগুলি।
এইবার কড়াইয়ে বড়ো চামচের ৪-৫ চামচ সাদাতেল গরম করে হালকা মিডিয়াম ফ্লেমে কোপ্তাগুলো ভেজে তুলে নিতে হবে।
ভাজা হয়ে গেলে ঐ তেলে ১ চিমটে হিং দিয়ে আগে থেকে বেটে রাখা টমেটো আদা কাজুর মিশ্রনটা ঢেলে মিনিট ৫ কষাতে হবে।
কষানো হয়ে গেলে ওর ভেতর হলুদ গুঁড়ো গুড়ো, কাশ্মিরী রেড চিলি পাউডার, নুন চিনি স্বাদানুযায়ী, গরম মশলা দিয়ে আরো একটু কষিয়ে অল্প পরিমানে জল দিয়ে মিনিট তিনেক ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
এরপর ঢাকা খুলে ভেজে রাখা কোপ্তাগুলো গ্রেভিতে দিয়ে বেশ কিছুটা ফুটে গেলে ওপর থেকে নারকেলের দুধটা মিশিয়ে আরো ২ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে।
সবশেষে, সার্ভিং প্লেটে সুন্দর করে সার্ভ করে চেরির টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে সাজালেই রেডি ছানার কোপ্তাকারি।
Comments