সর্ষে পোস্ত নারকেলে মাখামাখি বিশেষ এই পদটি বানাতে পারেন যে কোনো বিশেষ দিনে। রেসিপি দিলেন সিনাত্রা সেন।
- রোজকার অনন্যা
- 9 hours ago
- 2 min read
বাঙালি রান্নায় পটলের ব্যবহার বহুবিধ। ভাজা, ডালনা কিংবা মাংসের সঙ্গে, এই হালকা সবজিটিকে নানা ভাবে পরিবেশন করা যায়। তবে একটু ভিন্ন স্বাদের কিছু খুঁজছেন? তাহলে একবার অবশ্যই রেঁধে দেখুন। এতে রয়েছে সরষে, পোস্ত, নারকেল, টক দই ও ঘিয়ের মোহনীয় সংমিশ্রণ, যা একটি সাধারণ পটলকেও রেঁধে তোলে অসাধারণ! ঘরোয়া দুপুর কিংবা অতিথি আপ্যায়নে এই পদটি নিঃসন্দেহে প্রশংসা কুড়োবে।

কী কী লাগবে
মাঝারি মাপের পটল – ৮–১০টি
নুন – পরিমাণমতো
Shalimar's Chef Spices হলুদ - ১ চা চামচ
Shalimar's সর্ষে তেল – ভাজার জন্য
সাদা সরষে – ১ টেবিলচামচ
পোস্ত – ১ টেবিলচামচ
কোরানো নারকেল – ২ টেবিলচামচ
কাঁচালঙ্কা – ৪–৫টি
টক দই (ফেটানো) – ৩–৪ টেবিলচামচ
চিনি – ১/২ চা চামচ
Shalimar's Chef Spices গরম মশলার গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
দুধ / নারকেলের দুধ – ১/৪ কাপ
ঘি – ১ চা চামচ

কীভাবে বানাবেন
১. প্রথমে পটলগুলি ভালোভাবে গা চেঁচে নিন এবং ওপর-নিচের মুখ দুটো একটু কেটে প্রতিটি পটল দু’টুকরো করুন। ইচ্ছা হলে গোটা পটলও ব্যবহার করতে পারেন।
২. এরপর ধুয়ে নুন ও হলুদ মেখে রেখে দিন।
৩. কড়ায় তেল গরম করে পটলগুলি হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
4. একটি মিহি বাটা তৈরি করুন – তাতে থাকবে সাদা সরষে, পোস্ত, কোরানো নারকেল ও কাঁচালঙ্কা।
৫. কড়ায় আবার একটু তেল দিন এবং সেই বাটা মশলাটি তেলে দিয়ে দিন। সঙ্গে নুন ও হলুদ দিন।
৬. মশলাটি ভালোভাবে কষতে থাকুন। আঁচ মাঝারি রাখুন।
৭. মশলা কষে আসলে ফেটানো টক দই ও চিনি দিন। দই দেওয়ার সময় গ্যাসের আঁচ কম রাখুন, নাহলে দই ফেটে যাবে।
৮. মশলা কষে তেল ছেড়ে দিলে ভেজে রাখা পটল দিন।
৯. এরপর পরিমাণমতো গরম জল দিন ও ঢাকা দিয়ে দিন।
১০. কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে দেখুন পটল সিদ্ধ হয়েছে কি না। হয়ে গেলে দুধ (বা নারকেলের দুধ) দিন। নারকেলের দুধ দিলে স্বাদ আরও বাড়বে। তবে সাধারণ দুধেও রেসিপি খুব সুস্বাদু হয়।
১১. এক–দু’মিনিট ফুটিয়ে ওপরে ঘি, গরম মশলার গুঁড়ো এবং চিরে দেওয়া ২–৩টি কাঁচালঙ্কা ছড়িয়ে দিন।
১২. ঢাকা দিয়ে রাখুন পরিবেশনের আগে পর্যন্ত।
টক দই পটলের ঝোল এমন একটি পদ, যার মধ্যে রয়েছে সরষে-পোস্তর ঝাঁঝ, নারকেলের মোলায়েম স্বাদ, টক দইয়ের টকটক ভাব এবং ঘিয়ের শেষ টাচ যা একসঙ্গে তৈরি করে এক অপূর্ব রন্ধনশৈলী। এটি ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন দুপুরবেলা কিংবা সন্ধ্যার নিমন্ত্রণে, মনে দাগ কেটে যাবে নিশ্চিত।
Kommentare