আবার ডাকবে পেশক..
চা-বাগান আর কমলালেবুর সুবাসের মাঝে সবুজ পেশক। নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশন থেকে দূরত্ব মাত্র আশি কিলোমিটার। সফরসঙ্গী বিশ্বদীপ দত্ত।
প্রথমেই বলি, নামটা অনেকেরই অজানা, দার্জিলিং জেলায় এমন সুন্দর একটা জায়গা আছে অনেকেই জানেন না। এই জায়গাটি হল পেশক, যা নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশন থেকে মাত্র আশি কিমি দূরে। হাওড়া অথবা শিয়ালদা থেকে যেকোনও উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। তারপর একটা গাড়ি ভাড়া নিয়ে সোজা চলে যেতে হবে পেশক।
গাড়িভাড়া মোটামটি তিন হাজার টাকার মতো পড়বে। শেয়ারে যেতে চাইলে আপনাকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে অটো অথবা টোটো করে পানিট্যাঙ্কি মোড়ে আসতে হবে। ওখান থেকেই পাবেন শেয়ারের গাড়ি। ভাড়া মাথাপিছু দেড়শো থেকে দুশো টাকা। তিস্তার পাশ দিয়ে সোজা। তারপরই পাহাড়ি পথে লামাহাটার উপর দিয়ে চলে যেতে হবে পেশকে।
দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত তেরোশো হেক্টর এই বিশাল টি-গার্ডেন নিয়ে এই পেশক জায়গাটি। প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার একমাত্র শান্ত পরিবেশ এখানে ছাড়া আর কোথায় পাবেন?
প্রকৃতি এখানে অন্যরকম। কখনও মেঘলা, কখনও রোদের লুকোচুরি খেলা। সবুজ কার্পেটে মোড়া পাহাড়ের ধাপ, আর মাঝে একটি, দুটি বা তার বেশি বড় গাছ। এই নিয়েই পেশক। একশো বছরের পুরোনো টি-গার্ডেনও আছে এখানে। ইংরেজ আমল থেকেই এখানে চা-বাগানের আর কমলালেবুর বাড়বাড়ন্ত।
ডাকবাংলো নামের একটা ছোট্ট অরণ্য এখানে এখনও বহাল আছে। তাতে পাবেন চিতা, মধ্যেই দেখা মিলবে ময়ূর ময়ুরীর। সকালে অনেক সময় তাদের ডাকেই ঘুম ভাঙতে পারে আপনার। যদি আর আপনার ভাগ্য আর আকাশ দুটোই প্রসন্ন হয়, তাহলে সকালেই দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা যা আপনার মন ভুলিয়ে দেবে। চারিদিকে পাখির কলরব তো শোনা যাবেই। উপরি পাওনা হিসেবে এখানে পাবেন ত্রিবেণী। ভিস্তা ও রঙ্গিতের মিলনস্থল। মাত্র সাত কিমি দূরেই এই ত্রিবেণী। যাওয়ার পথেই পাবেন লাভার্স ভিউ পয়েন্ট। সেখান থেকে এই ত্রিবেণী আর অন্যান্য পাহাড়ের রূপ খুব অনায়াসেই আপনি দেখতে পাবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন ভরিয়ে দেবে আপনার।
এছাড়াও পেশকে গুম্বাদারা বলে একটা সানরাইজ পয়েন্ট আছে। এখান থেকে সানরাইজ খুব ভালোই দেখা যায়। পাশাপাশি তিনচুলে আর লামাহাটাও দেখে আসতে পারেন। এখানে থাকার জায়গা বলতে হাতে গোনা কয়েকটি হোম-স্টে। জানুয়ারি মাসে গেলে ত্রিবেণীর মাঘ-মেলা দেখতে ভুলবেন না। পুজোর সময় এখানে নবরাত্রি ও দশমী উৎসবে মেতে ওঠে চারিদিক। এখান থেকে চারধাম, নামচি দার্জিলিং এগুলো মাত্র হাজার তিনেক টাকায় ঘুরে আসা যায়।
মূলতঃ সিজন বলতে গরমে মে-জুন মাস ও ঠান্ডায় অক্টোবর-নভেম্বর থেকে ২৫শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এইসময় এলে এখানে কমলালেবুর গন্ধে ম-ম করে চারিদিক। যদি দার্জিলিং এর কমলালেবুর স্বাদ পেতে হয়, এখানে আসতেই হবে। হোম-স্টের মালিক ভূষণজি ও গোর্খালি হোম-স্টের চন্দ্রপ্রসাদ ছেত্রীর কথা। ইনি বাংলায় এতটাই সাবলীল, যে যেকোনও বাঙালিকে ভাবিয়ে তুলবে। আপনার প্রয়োজনে ওঁকে সব সময় পাশে পাবেন। সুতরাং সময় নষ্ট না করে যদি যেতেই হয়, তাহলে দার্জিলিং জেলার দেশকে একবার যান। কথা দিলাম, আপনাকে আবার ডাকবে পেশক।
চাইনিজ চমৎকার
শুধু বাঙালি বা ঘরোয়া নয় স্বাদ বদলের জন্য গরমাগরম ৮ টি চীনে রেসিপি দিলেন রন্ধন বিশেষজ্ঞা অর্পিতা নন্দী।
ফিশ স্টু
কী কী লাগবে
মাছ (তেলাপিয়া ফিলে, কিউব করে কাটা): ৪০০ গ্রাম, নুডলস: ইচ্ছেমতো, মাশরুম (২০ মিনিট ফুটন্ত গরম জলে ভিজিয়ে রেখে, জল ঝড়িয়ে তুলে রাখা): ৫০ গ্রাম, চিকেন ব্রণ: ৪ কাপ, আদা (সরু করে কোচানো): ২ টেবিল চামচ, রাইস ভিনিগার: ১ টেবিল চামচ, সয়া সস: ১ টেবিল চামচ, কালো ভিনিগার: ১ টেবিল চামচ, শা-মরিচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ, তিল তেল: ১/২ চা চামচ, গাছ পেঁয়াজ (কোচানো): ১/৪ কাপ, টোফু: ৫০ গ্রাম, নুন: স্বাদ অনুযায়ী।
কীভাবে বানাবেন
নুডলস সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে মাশরুম সেদ্ধ জল ও চিকেন ব্রথ মিশিয়ে মাছ বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ২০ মিনিট ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ করুন। এবার ঢাকা খুলে মাছের ফিলের টুকরো দিয়ে আরও ১০ মিনিট কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। এতে টোফু ও সেদ্ধ নুডল দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। ওপর থেকে গাছ পেঁয়াজ কুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ফিশ ডাম্পলিং
কী কী লাগবে
মাছ (যে-কোনও, ছাল ও কাঁটা বাদ দেওয়া): ২০০ গ্রাম, ডিম: ২টি, কর্ন স্টার্চ: ২-৩ টেবিল চামচ, শা-মরিচ: ১ টেবিল চামচ, ফেটানো ক্রিম: ১ কাপ, নুন: স্বাদ অনুযায়ী।
কীভাবে বানাবেন
মিট গ্রাইন্ডারে মাছ দিয়ে খুদ পেস্ট বানিয়ে নিন। একটা পাত্রে ডিম ফেটিয়ে তাতে মাছের পেস্ট সহ বাকি সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চামচের সাহায্যে ছোট ছোট বলের আকারে ফুটন্ত জলে দিয়ে আঁচ কমিয়ে ৭-৮ মিনিট রান্না করে নিন। ডাম্পলিং সেদ্ধ হয়ে গেলে চামচ দিয়ে তুলে পছন্দসই সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
হাক্কা ফিশ
কী কী লাগবে
মাছের ফিলে (কিউব করে কাটা): ২-৪টি, ডিম (সাদা অংশ): ২টি, কর্ন স্টার্চ: ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচ: ১/২ চা চামচ, রসুন (কুচানো): ৬-৭, আদা (কুচানো): ১ চা চামচ, অরিগ্যানো: ১ টেবিল চামচ, বেল পেপার: ২টি, ভিনিগার: ১ চা চামচ, সয়া সস: ২ টেবিল চামচ, জল: দেড় কাপ, তিল তেল: প্রয়োজন অনুযায়ী, নুন: স্বাদ অনুযায়ী।
কীভাবে বানাবেন
একটি ডিম, কর্ন স্টার্চ, গোলমরিচ ও নুন মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে তাতে মাছের ফিলেগুলো ডুবিয়ে বাদামি করে ভেজে রাখুন। এরপর অন্য পাত্র অল্প তেল গরম করে একে একে বাকি সব উপকরণ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে গ্রেভি বানিয়ে নিন। এতে ভাজা মাছের টুকরো দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। জল শুকিয়ে গ্রেভি ঘন হতে শুরু করলে আদা কুচি ও তিল তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
সেজুয়ান ফিশ
কী কী লাগবে
মাছ (তেলাপিয়া ফিলে, ধুয়ে নুন মাখানো): ৯০০ গ্রাম, বিন পেস্ট: ২ টেবিল চামচ, রসুন: ৮ কোয়া, পেঁয়াজ (কুচানো): ২ টি, জল: ১ কাপ, কর্ন স্টার্চ (জল দিয়ে গোলা): ১ টেবিল চামচ, ভিনিগার: ১ টেবিল চামচ, সোয়াসস: ১ টেবিল চামচ, চিনি: ১ টেবিল চামচ, ক্যানোলা তেল: ১/২ চা চামচ, নুন: স্বাদ অনুযায়ী।
কীভাবে বানাবেন
তেল গরম করে মাছ ভালো করে ভেজে রাখুন। ওই তেলেই বাকি সব উপকরণ দিয়ে (পেঁয়াজ ও কর্ন স্টার্চ বাদে) কিছুক্ষণ ভেজে জল ও মাছ দিন। ঢাকা দিয়ে ৮-১০ মিনিট রান্না করে মাছ তুলে নিন। এই ঝোলে পেঁয়াজ ও গোলা কর্ন স্টার্চ মিশিয়ে কম আঁচে রান্না করুন। সস ঘন হলে নামিয়ে নিন। একটি প্লেটে মাছ রেখে তার ওপর এই সস ঢেলে পরিবেশন করুন।
সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ফিশ
কী কী লাগবে
বাসা জাতীয় মাছ (কিউব করে কাটা): ৫০০ গ্রাম, ক্যালোনা অয়েল: ৩ কাপ, অলপারপাস ময়দা: ৩/৪ কাপ, বেকিং পাউডার: ১/ কাপ, কর্নস্টার্চ: ১ টেবিল চামচ, নুন: স্বাদমতো, হলুদ: সামান্য, সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো: অল্প, তিল তেল: ১/৪ চামচ, সোডা: ২/৩ কাপ।
সস বানাতেঃ
পেঁয়াজ (কিউব করা): ১/৪ কাপ, লাল বেলপেপার (কিউব করা): ১/৪ কাপ, সবুজ বেলপেপার (কিউব করা): ১/৪ কাপ, কেচাপ: ১ টেবিল চামচ, আনারসের জুস: ৩/৪ কাপ, ভিনিগার: ২ টেবিল চামচ, জল: ১/৩ কাপ, চিনি: ২ টেবিল চামচ, কর্ন স্টার্চ: ১/২ টেবিল চামচ।
কীভাবে বানাবেন
বাটিতে ময়দা, বেকিং পাউডার, কর্ন স্টার্চ, নুন, হলুদ, সাদা মরিচ গুঁড়ো, তিল তেল আর জল মিশিয়ে নিন। ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ ব্যাটার তৈরি করবেন। দানা যেন না থাকে। এই মিশ্রণ মাছে ভাল করে মাখিয়ে নিন। এবার কড়াতে তেল গরম করে ব্যাটার মাখানো মাছ সোনালী করে ভেজে তুলুন। অন্য প্যানে দু' চামচ তেল গরম করে পেঁয়াজ আর বেলপেপার হালকা ভেজে কেচাপ দিয়ে দিন। এতে একে একে আনারসের জুস, ভিনিগার, জল, নুন, চিনি মিশিয়ে আঁচ কমিয়ে মিনিট দুয়েক ফোটান। এরপর এতে কর্ন স্টার্চ মিশিয়ে দিন। এইসময় ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন। একটু পরেই সস বেশ ঘন হয়ে যাবে। এবার এতে ভাজা মাছ দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে নামিয়ে গরমগরম পরিবেশন করুন।
চিলি গার্লিক প্রন
কী কী লাগবে
চিংড়ি মাছ: ৩০০ গ্রাম, রসুন (কুচানো): ২ কোয়া, আদা (কুচানো): ২ চা চামচ, চিলিফ্লেক্স: ১-২ চা চামচ, ব্রাউন সুগার: ২ টেবিল চামচ, সয়াসস: ১ ১/২ চা চামচ, জল: ১/২ কাপ, সাদা তেল: ১ টেবিল চামচ, তিল তেল: ১ টেবিল চামচ, সাদাতিল-পেঁয়াজ কুচি-লাললঙ্কা কুচি: সাজানোর জনা, নুন: স্বাদ অনুযায়ী।
কীভাবে বানাবেন
সাদা তেল গরম করে চিংড়ি মাছ সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। তিল তেল গরম করে আদা- রসুন ও চিলিফ্লেক্স সামান্য ভেজে জল দিন। জল ফুটে উঠলে একে একে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ঘন সিরাপ বানিয়ে নিন। এতে ভাজা চিংড়ি দিয়ে উস করে নিন। সস চিংড়ির গায়ে মাখামাখি হয়ে গেলে নামিয়ে সাদা তিল, পেঁয়াজ কুচি ও লঙ্কাকুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
স্ক্রিসপি চিলি ফিশ
কী কী লাগবে
মাছের টুকরো: ২৫০ গ্রাম, ময়দা: ১/২ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার: ১/২ কাপ, বেকিং পাউডার: ১/২ চা চামচ, সয়া সস: ২ চা চামচ, সেলারি কুচি: ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ, নুন: স্বাদমতো, তেল; প্রয়োজন মতো, গাছ পেঁয়াজ (কুচানো): সাজানোর জন্য।
সস বানাতে
আদার কুচি: ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি: ১ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা কুচি: ১ টেবিল চামচ, সয়া সস: ৪ টেবিল চামচ, টোম্যাটো সস: ৫ টেবিল চামচ, চিলি সস: ১ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার: ১ টেবিল চামচ।
কীভাবে বানাবেন
প্যানে তেল গরম করে আদা, রসুন, লঙ্কা হালকা ভেজে সয়া, টোম্যাটো আর চিলি সস দিয়ে দিন। এতে সামান্য জলে কর্নফ্লাওয়ার গুলে দিয়ে দিন। মিশ্রণ ফুটতে শুরু করলে নামিয়ে নিন। আপনার সস রেডি। একটি পাত্রে কর্নফ্লাওয়ার, ময়দা, বেকিং পাউডার, সয়া সস, সেলারি, গোলমরিচ, নুন আর জল মিশিয়ে ব্যাটার বানান। এই মিশ্রণে মাছ চুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভাজুন। প্লেটে এই ভাজা মাছ সাজিয়ে উপরে বানানো সস আর গাছ পেঁয়াজ কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
জিঞ্জার সয়া স্টিমড ফিশ
কী কী লাগবে
টাটকা মাছের টুকরো: ৩০০ গ্রাম, গাছ পেঁয়াজ (কুচানো): ১/৪ কাপ, ধনেপাতা কুচি: ৩ টেবিল চামচ, ক্যানোলা তেল: ২ টেবিল চামচ।
সস বানাতে
আদার কুচি: অল্প, রসুন কুচি: ২ কোয়া, ক্যানোলা তেল: ৩ টেবিল চামচ, সয়া সস: ১ টেবিল চামচ, অয়েস্টার সস: ১ চা চামচ, তিল : ১ চা চামচ, চিনি: ১/২ চা চামচ, কর্নস্টার্চ: ১/২ চা চামচ, সাদা মরিচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ।
কীভাবে বানাবেন
বড় প্যানে ২ ইঞ্চি মতো জল ভরে তাতে একটি স্টিমিং রাক বসান। এটি না থাকলে সুবিধা মতো যে-কোনও রকম স্টিমারেই বানাতে পারেন। রাক ব্যবহার করলে খেয়াল রাখবেন জল যেন রাকের নীচে থাকে, যাতে শুধু ভাপটাই লাগে রাকের গায়ে। জোর আঁচে প্যান বসাতে হবে যাতে জল টগবগ করে ফোটে।
এবার সসের উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্লেটে মাছের ফিলে রেছে চামচের সাহায্যে কিছুটা সস মাছে মাখিয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন যাতে মাছের সব জায়গায় সস ঠিকমতো মাখানো হয়। এই প্লেটটি স্টিমিং রাকে বসিয়ে ঢাকনা আটকে দিন। কোনও ফাঁক যেন না থাকে। ১০ মিনিট পর সাবধানে প্লেট বের করে মাছ অন্য একটা পাত্রে নামিয়ে নিন। বাকি সস মাছের উপরে চামচের সাহায্যে মাখিয়ে ফেলুন।
প্যানে তেল গরম করে গাছ পেঁয়াজ কুচি ধনেপাতা হালকা সতে করে নিন। গরম মাছে এটি তেল সহ ছড়িয়ে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন।
চিলি চিকেন
কী কী লাগবে
২৫০ গ্রাম চিকেন, কর্ন ফ্লাওয়ার, ময়দা, ২ টো ডিম, তেল, কাঁচা লঙ্কা, চিনি, ডার্ক সয়া সস, লাইট সয়া সস, পেঁয়াজকলি, টমেটো কেচআপ, চিনি, ব্রথ পাউডার, গোলমরিচ।
কীভাবে বানাবেন
সবার আগে ঠাণ্ডা জলে মাংসের টুকরোগুলো ধুয়ে নিন। তারপর সেটাকে ম্যারিনেট করতে হবে। এটার জন্য মাংসের সঙ্গে কর্ন ফ্লাওয়ার, ময়দা এবং ডিম দুটো ফেটিয়ে দিয়ে দিন। এরপর কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে চিকেনের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। এবার ভালো করে ভেজে তুলে নিন।
তারপর ওই একই তেলে দিয়ে দিন কাঁচা লঙ্কা। দরকারে সামান্য তেল যোগ করতে পারেন। এরপর দিন ডার্ক সয়া সস। একটু নেড়ে নিয়ে দিন, লাইট সয়া সস, টমেটো কেচাপ, নুন স্বাদমতো, অল্প চিনি, গোলমরিচ আর ব্রথ পাউডার। এরপর এতে দিয়ে দিন ভেজে রাখা মাংসগুলো। তারপর ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে হালকা ভেজে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কলকাতা স্টাইল চিলি চিকেন। এবার ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে অথবা নুডুলসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
গার্লিক চিকেন
কী কী লাগবে
মুরগির মাংস (বোনলেস): ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ: ২টি (কুচনো), রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ, ভিনিগার: ২ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো: ১ চা চামচ, কাঁচালঙ্কা বাটা: ১ টেবিল চামচ, সাদা তেল: ৩ টেবিল চামচ, নুন: স্বাদমতো
কীভাবে বানাবেন
মুরগির মাংস ভাল করে ধুয়ে নিন। তার পর মাংসটি রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা ও ভিনিগার দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে আধ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ভাজুন। পেঁয়াজ হাল্কা বাদামি হয়ে এলে তাতে ম্যারিনেট করে রাখা মাংসটি দিয়ে কষতে থাকুন। কিছু ক্ষণ কষার পর কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো ও নুন দিয়ে আবারও কিছু ক্ষণ কষুন। মাংস থেকে তেল ছেড়ে এলে তাতে সামান্য গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। হয়ে গেলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
Comments