top of page

মিনিম্যালিস্টিক পেরেন্টিং, বাড়ির বাগানে ড্রাগন ফ্রুট, ত্বকের যত্নে কেমিক্যাল পিলিং, ডায়েটে গ্লুটেন ফ্রি খাবার! কী খাবেন?, মেডিক্যাল ট্যুরিজম: চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের নতুন দিগন্ত..

মিনিমালিস্টিক প্যারেন্টিং হল পরিবারিক জীবনকে সহজ এবং সুনিয়ন্ত্রিত করার একটি পদ্ধতি, যেখানে অপ্রয়োজনীয় চাপ, অতিরিক্ত জিনিসপত্র এবং অগোছালো রুটিন এড়িয়ে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আধুনিক প্যারেন্টিংয়ের চাপ থেকে মুক্ত থেকে, মিনিমালিস্টিক প্যারেন্টরা গুণগত সময়, সচেতন সিদ্ধান্ত এবং একটি নিরিবিলি পরিবেশকে অগ্রাধিকার দেন।

মিনিমালিস্টিক প্যারেন্টিংয়ের মূলনীতি:


কম জিনিস, বেশি অভিজ্ঞতা: 

খেলনা বা বস্তু সংগ্রহের পরিবর্তে অর্থবহ কার্যকলাপ ও সম্পর্কের উপর জোর দিন।


সরলীকৃত সময়সূচি:

বাচ্চাদের অতিরিক্ত ক্লাস বা কার্যকলাপে ব্যস্ত না রেখে, খেলার এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ দিন।


সচেতন কেনাকাটা: 

শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় এবং মূল্যবান জিনিস কেনার অভ্যাস গড়ে তুলুন, গুণগত মানকে অগ্রাধিকার দিন।


সন্তুষ্টি শেখানো: 

শিশুদের সবসময় নতুন কিছু চাওয়ার পরিবর্তে, তারা যা আছে তা নিয়েই খুশি থাকতে শেখান।


স্বাধীনতা বৃদ্ধি করা: 

বাচ্চাদের নিজেদের মতো চিন্তা করতে, সমস্যা সমাধান করতে এবং সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ দিন, আধুনিক গ্যাজেট বা অতিরিক্ত বিনোদনের উপর নির্ভরশীলতা কমান।

সচেতন উপভোগ: 

সামাজিক মাধ্যম, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বাহ্যিক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকুন, যা অপ্রয়োজনীয় প্রত্যাশা তৈরি করতে পারে।


নিজের যত্ন নেওয়া: 

বাবা-মায়েরা নিজেদের সুস্থতা এবং মানসিক শান্তির দিকে নজর দিলে, তারা বাচ্চাদের সাথে আরও ধৈর্যশীল ও সংযুক্ত থাকতে পারবেন।

মিনিমালিস্টিক প্যারেন্টিংয়ের উপকারিতা:

  • কম চাপ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝামেলা কমানো।

  • পরিবারের মধ্যে আরও গভীর সংযোগ তৈরি করা।

  • অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা কমিয়ে অর্থ সঞ্চয়ের সুযোগ।

  • বাচ্চাদের জন্য আরও সৃজনশীলতা, খেলা এবং অনুসন্ধানের সময় পাওয়া।

মিনিমালিস্টিক প্যারেন্টিং: সহজ ও সুখী পরিবার গঠন

আজকের ব্যস্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে অভিভাবকরা প্রায়ই মনে করেন যে ভালো প্যারেন্টিং মানেই বাচ্চাদের জন্য বেশি খেলনা, নানা ধরনের কোর্স, অতিরিক্ত যত্ন, এবং সর্বদা ব্যস্ত থাকা। কিন্তু মিনিমালিস্টিক প্যারেন্টিং এই ধারণার বিপরীতে গিয়ে বলে—কম কিন্তু অর্থবহ জীবনই প্রকৃত সুখের চাবিকাঠি।

এটি এমন এক অভিভাবকত্বের পদ্ধতি যেখানে অপ্রয়োজনীয় চাপ, অতিরিক্ত উপকরণ, এবং বিশৃঙ্খল রুটিন থেকে মুক্ত থেকে পরিবারকে আরও সংযুক্ত, সৃজনশীল ও আনন্দদায়ক করা হয়। মিনিমালিস্টিক প্যারেন্টরা বিশ্বাস করেন, কম জিনিস মানেই বেশি সময়, মানসিক শান্তি, এবং গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ। এই ধারণাটি শুধু খেলনা বা বস্তুগত সম্পদ কমানোর বিষয় নয়, বরং বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ, আত্মবিশ্বাস, এবং সৃজনশীলতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হওয়া।

 

ড্রাগন ফ্রুট (Dragon Fruit), যা পিতায়া নামেও পরিচিত, একটি পুষ্টিকর এবং আকর্ষণীয় ফল যা আপনি সহজেই নিজের বাড়ির বাগানে চাষ করতে পারেন। এটি দেখতে সুন্দর, রক্ষণাবেক্ষণ সহজ এবং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।  এর বিশেষত্ব হলো উজ্জ্বল গোলাপি বা হলুদ রঙের খোসা, আঁশযুক্ত বাইরের অংশ, এবং সাদা বা লাল মিষ্টি শাঁস, যেখানে ছোট ছোট কালো বীজ থাকে।

ড্রাগন ফ্রুটের তিনটি প্রধান প্রকার রয়েছে:

সাদা শাঁসযুক্ত ড্রাগন ফ্রুট (Hylocereus undatus) – গোলাপি খোসা এবং সাদা শাঁস, সবচেয়ে প্রচলিত।

লাল শাঁসযুক্ত ড্রাগন ফ্রুট (Hylocereus costaricensis) – গোলাপি খোসা ও লাল শাঁস, স্বাদে বেশি মিষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।

হলুদ ড্রাগন ফ্রুট (Selenicereus megalanthus) – হলুদ খোসা ও সাদা শাঁস, সবচেয়ে মিষ্টি স্বাদের।


পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা:

ড্রাগন ফ্রুট ক্যালোরি কম কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে:

ভিটামিন সি – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের জন্য উপকারী।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট – বয়সের ছাপ ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ফাইবার – হজম শক্তি বাড়ায় ও অন্ত্রের জন্য ভালো।

ম্যাগনেসিয়াম – পেশি ও স্নায়ুর কার্যকারিতায় সাহায্য করে।

আয়রন – রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে।

স্বাদ ও ব্যবহার:

ড্রাগন ফ্রুটের স্বাদ হালকা মিষ্টি, যা কিউই ও নাশপাতির সংমিশ্রণের মতো।

এটি কাঁচা খাওয়া যায়, স্মুদি, জুস, সালাদ, ডেজার্ট ও অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করা হয়।

এর বীজ খাওয়ার উপযোগী, যা ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করে।


কোথায় জন্মায়?

মূলত মধ্য আমেরিকা থেকে উদ্ভূত হলেও, এখন এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া), অস্ট্রে:লিয়া, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াই) কিছু অঞ্চলে চাষ করা হয়।এটি উষ্ণ ও রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া পছন্দ করে এবং লতানো ক্যাকটাস গাছে জন্মায়।


ড্রাগন ফ্রুট চাষের সুবিধা:


সহজ রক্ষণাবেক্ষণ – কম জল ও যত্নে ভালো বৃদ্ধি পায়।

উচ্চ পুষ্টিগুণ – ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারসমৃদ্ধ।

দীর্ঘস্থায়ী গাছ – একবার লাগালে বহু বছর ধরে ফল দেয়।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে – রাতে ফোটা সুন্দর ফুল এবং উজ্জ্বল গোলাপি ফল বাগানকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।


কীভাবে বাড়ির বাগানে ড্রাগন ফ্রুট চাষ করবেন?


১. সঠিক স্থান নির্বাচন করুন

ড্রাগন ফ্রুট ক্যাকটাস পরিবারের সদস্য, তাই প্রচুর সূর্যালোক দরকার। খোলা জায়গায়, যেখানে সরাসরি ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যের আলো পড়ে, এমন স্থানে লাগান। ছাদ বাগান বা বারান্দাতেও চাষ করা যায়, তবে বড় পাত্র ব্যবহার করতে হবে।

২. মাটি প্রস্তুতি

বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। জল জমে না এমন মাটি নির্বাচন করুন। কম্পোস্ট বা জৈব সার মিশিয়ে মাটির উর্বরতা বাড়ান।

৩. চারা বা কাটিং নির্বাচন

চারা বা ডাল কাটিং দিয়ে চাষ করা যায়। শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর কাটিং সংগ্রহ করে শুকিয়ে তারপর লাগান। চারা রোপণের পর প্রথম দিকে হালকা জল দিন।



৪. পরিমাণমতো জল দেওয়া

ড্রাগন ফ্রুটের গাছ বেশি জল পছন্দ করে না। সপ্তাহে ২-৩ বার জল দিলেই যথেষ্ট। মাটির শুষ্কতা দেখে তবেই জল দিন, যেন অতিরিক্ত জল জমে না থাকে।

৫. গাছের জন্য সাপোর্ট বা খুঁটির ব্যবস্থা করা

এটি লতানো গাছ, তাই শক্ত কাঠ বা বাঁশের খুঁটি দিয়ে সাপোর্ট দিন। ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ৫-৬ ফুট উঁচু কাঠামো তৈরি করা যেতে পারে।

৬. সার ও যত্ন

প্রতি ২ মাসে একবার জৈব সার বা কম্পোস্ট ব্যবহার করুন। ফুল ও ফল আসার আগে পটাশিয়াম ও ফসফরাসযুক্ত সার দিন। পোকামাকড় প্রতিরোধের জন্য জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করুন।

৭. ফলন ও সংগ্রহ

ফুল ফোটার ৩০-৫০ দিনের মধ্যে ফল পরিপক্ব হয়। ফল গাঢ় গোলাপি বা লাল হলে তুলে নিন। কাঁচা অবস্থায় না তুলে অপেক্ষা করুন, যাতে স্বাদ বেশি মিষ্টি হয়।




ড্রাগন ফ্রুট চাষে কিছু সাধারণ সমস্যা ও সমাধান

পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে? জল বেশি দিলে এই সমস্যা হতে পারে। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিন।

ফলন কম হচ্ছে? পর্যাপ্ত রোদ না পেলে ফলন কম হতে পারে। নিশ্চিত করুন যে গাছ পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাচ্ছে।

পোকামাকড় বা ছত্রাকের আক্রমণ? নিম তেল, রসুনের স্প্রে ব্যবহার করুন।


ড্রাগন ফ্রুট চাষ করা সহজ, আর এটি আপনার বাড়ির সৌন্দর্য যেমন বাড়াবে, তেমনই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল দেবে। সঠিক যত্ন নিলে একবার লাগিয়ে অনেক বছর ফল উপভোগ করতে পারবেন।

 

ত্বকের যত্নে কেমিক্যাল পিলিং: সৌন্দর্যের নতুন অধ্যায়

কেমিক্যাল পিলিং (Chemical Peeling) হলো এক ধরনের ত্বকের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া, যেখানে ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করতে বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বককে আরও উজ্জ্বল, মসৃণ ও তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।

কেমিক্যাল পিলিং কেন করা হয়?

মৃত কোষ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে

ব্রণের দাগ, বয়সের ছাপ ও সূর্যের ক্ষতি কমায়

ত্বকের অয়েল ব্যালেন্স ঠিক রাখে ও ব্রণ কমায়

রিঙ্কেল ও ফাইন লাইন হ্রাস করে

ত্বকের পিগমেন্টেশন ও কালো দাগ কমায়

কেমিক্যাল পিলিং-এর ধরণ

কেমিক্যাল পিলিং সাধারণত তিন প্রকার হয়:

সারফেস পিলিং (Surface Peeling) – হালকা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা শুধু ত্বকের উপরিভাগের কোষ তুলে ফেলে। এটি সাধারণত শুষ্ক, উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া বা হালকা দাগযুক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত। উপাদান: গ্লাইকোলিক অ্যাসিড (Glycolic Acid), ল্যাকটিক অ্যাসিড (Lactic Acid) পুনরুদ্ধারের সময়: ২-৩ দিন



মিডিয়াম পিলিং (Medium Peeling) – এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে, বিশেষ করে পিগমেন্টেশন, ব্রণের দাগ ও সূর্যের ক্ষতির জন্য কার্যকর। উপাদান: ট্রাইক্লোরোঅ্যাসেটিক অ্যাসিড (TCA), জেসনার সলিউশন পুনরুদ্ধারের সময়: ৫-৭ দিন


ডিপ পিলিং (Deep Peeling) – এটি সবচেয়ে শক্তিশালী পিলিং, যা ত্বকের গভীরে পৌঁছে বয়সের দাগ, রিঙ্কেল ও গভীর ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

উপাদান: ফেনল (Phenol) পুনরুদ্ধারের সময়: ২-৩ সপ্তাহ

কেমিক্যাল পিলিং-এর জন্য সতর্কতা


ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া উচ্চমাত্রার কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করবেন না।

পিলিং-এর পর সরাসরি রোদে যাবেন না, সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

যদি ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অতিরিক্ত লালচে ভাব থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

একই সাথে অন্যান্য কঠিন স্কিন ট্রিটমেন্ট (লেজার, রেটিনল) করবেন না।


ঘরে বসে কেমিক্যাল পিলিং করা সম্ভব?


হ্যাঁ, বাজারে বিভিন্ন হালকা কেমিক্যাল পিল (AHA/BHA পিলিং) পাওয়া যায়, যা ত্বকের জন্য অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। তবে গভীর বা মিডিয়াম পিলিং পেশাদার ডার্মাটোলজিস্টের মাধ্যমে করানোই ভালো।

সেরা উপাদানসমূহ (হালকা পিলিং-এর জন্য)


গ্লাইকোলিক অ্যাসিড – উজ্জ্বল ত্বকের জন্য


ল্যাকটিক অ্যাসিড – সংবেদনশীল ত্বকের জন্য

সালিসিলিক অ্যাসিড – ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য

কেমিক্যাল পিলিং ত্বকের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে করলে ত্বক হয়ে উঠবে আরও উজ্জ্বল, মসৃণ ও দাগহীন।

 

ডায়েটে গ্লুটেন ফ্রি খাবার! কি খাবেন?

এমন খাবার যা গ্লুটেন মুক্ত। গ্লুটেন এক ধরনের প্রোটিন যা গম, বার্লি, রাই এবং তাদের উৎপন্ন খাদ্যে পাওয়া যায়। সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, গ্লুটেন সংবেদনশীলতা থাকা ব্যক্তি এবং গম অ্যালার্জির রোগীরা গ্লুটেন এড়িয়ে চলেন। এছাড়া, কিছু মানুষ ভালো হজম ও স্বাস্থ্যগত সুবিধার জন্য গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট অনুসরণ করেন।

যাদের গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট প্রয়োজন:


সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি– এটি একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে গ্লুটেন ছোট অন্ত্রের ক্ষতি করে।

গ্লুটেন সংবেদনশীল ব্যক্তি– গ্লুটেন খেলে পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা বা ক্লান্তি অনুভব করেন।

গম অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তি– গমজাত খাবারে এলার্জি প্রতিক্রিয়া হয়।

স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি– অনেকেই ভালো হজম ও কম প্রদাহের জন্য গ্লুটেন মুক্ত ডায়েট অনুসরণ করেন।



প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটেন ফ্রি খাবার:

বেশ কিছু খাবার স্বাভাবিকভাবেই গ্লুটেন মুক্ত, যেমন:

শস্য ও স্টার্চ: চাল, কুইনোয়া, ভুট্টা, মিলেট, ট্যাপিয়োকা।

প্রোটিন: মাংস, মাছ, ডিম, সয়াবিন, ডাল।

ফল ও সবজি: সব ধরনের তাজা ফল ও শাকসবজি।

বাদাম ও বীজ: কাঠবাদাম, কাজু, সূর্যমুখী বীজ, চিয়া বীজ, ফ্লাক্স সিড।

ডেইরি পণ্য: দুধ, পনির, মাখন, দই (অতিরিক্ত সংযোজন ছাড়া)।


যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (গ্লুটেনযুক্ত খাবার):

গমজাত খাবার – ব্রেড, পাস্তা, ফ্লাওয়ার টরটিলা, সিরিয়াল, কেক, বিস্কুট।

বার্লি ও রাই – সাধারণত বিয়ার, মাল্ট ও কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত হয়।

কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার – সয়া সস, গ্রেভি, স্যুপ, ড্রেসিং (লেবেল দেখে নিশ্চিত হতে হবে)।

কিছু ওটস – ওটস স্বাভাবিকভাবে গ্লুটেন মুক্ত হলেও, প্রক্রিয়াকরণের সময় গ্লুটেন দ্বারা দূষিত হতে পারে।


গ্লুটেন ফ্রি বিকল্প খাবার:

ময়দার বিকল্প: বাদাম ময়দা, নারকেল ময়দা, চালের ময়দা, ছোলার ময়দা।

গ্লুটেন ফ্রি ব্রেড ও পাস্তা: চাল, ভুট্টা বা কুইনোয়া দিয়ে তৈরি।

গ্লুটেন ফ্রি বেকিং উপাদান: জ্যানথান গাম, অ্যারোরুট পাউডার, আলু স্টার্চ।


গ্লুটেন ফ্রি ডায়েটের উপকারিতা:

হজমের উন্নতি ও পেটের সমস্যা কমায়।

পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।

শক্তি বৃদ্ধি করে।

সিলিয়াক ডিজিজ ও গ্লুটেন অসহিষ্ণুতার ক্ষেত্রে সহায়ক।


কি খাবেন?

সাবুদানা খিচুড়ি


কী কী লাগবে

  • ২ কাপ সাবুদানা

  • ১টি মাঝারি আলু (সিদ্ধ ও কুচানো)

  • ১ কাপ ভাজা বাদাম (মোটা করে গুঁড়ো করা)

  • ১টি কাঁচা লংকা (কাটা)

  • ১ চা চামচ জিরা

  • ১ টেবিল চামচ ঘি বা Shalimar's Sunflower তেল

  • ১ চা চামচ লবণ

  • ১ চা চামচ চিনি (ঐচ্ছিক)

  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস

  • ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা (কাটা)

কীভাবে বানাবেন

  1. সাবুদানা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ধুয়ে নিন।

    সাবুদানার উপরে সামান্য জল ঢেলে ৪-৬ ঘণ্টা বা রাতভর ভিজিয়ে রাখুন।

    • অতিরিক্ত জল ঝরিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।

    • চেক করতে একটি মুক্তা চেপে দেখুন—এটি নরম হওয়া উচিত তবে লেগে যাওয়া উচিত নয়।

    • একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে জিরা দিন।

    • কাঁচা লংকা কেটে দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভাজুন।

    • সিদ্ধ করা আলু দিয়ে হালকা সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।

    • এরপর সাবুদানা, লবণ, চিনি ও গুঁড়ো বাদাম মিশিয়ে নিন।

    • কম আঁচে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন এবং মাঝে মাঝে নাড়ুন।

    • যখন সাবুদানা স্বচ্ছ দেখাবে, তখন গ্যাস বন্ধ করে দিন।

    • লেবুর রস ছিটিয়ে ভালোভাবে মেশান।

    • উপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন!

সাবুদানা অতিরিক্ত ভিজিয়ে রাখলে এটি লেগে যেতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন। যদি লেগে যায়, তবে সামান্য ভাজা বাদামের গুঁড়ো মিশিয়ে নাড়ুন।

গ্লুটেন ফ্রি কলা প্যানকেক


কী কী লাগবে

  • ২টি পাকা কলা

  • ২টি ডিম

  • ১ কাপ গ্লুটেন ফ্রি ওটস

  • ১ চা চামচ বেকিং পাউডার

  • ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো (ঐচ্ছিক)

  • ১ চা চামচ মধু (ঐচ্ছিক)

  • মাখন বা Shalimar's নারকেল তেল (ভাজার জন্য)

কীভাবে বানাবেন

  1. একটি বাটিতে কলা চটকে নিন।

  2. ডিম দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন।

  3. ওটস, বেকিং পাউডার ও দারুচিনি মিশিয়ে দিন।

  4. একটি প্যানে মাখন বা নারকেল তেল গরম করুন।

  5. অল্প পরিমাণ ব্যাটার দিয়ে ছোট প্যানকেক তৈরি করুন।

  6. প্রতিটি পিঠ সোনালি হওয়া পর্যন্ত ২-৩ মিনিট ভাজুন।

  7. মধু বা তাজা ফল দিয়ে পরিবেশন করুন।

গ্লুটেন ফ্রি সবজি স্যুপ


কী কী লাগবে

  • ২ কাপ মিশ্র সবজি (গাজর, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি ইত্যাদি)

  • ১ টি পেঁয়াজ (কাটা)

  • ২ কোয়া রসুন (কুঁচি করা)

  • ৪ কাপ শাকসবজির স্টক (ভেজিটেবল ব্রথ)

  • ১ চা চামচ অলিভ অয়েল/ Shalimar's Sunflower তেল

  • ১ চা চামচ লবণ ও

  • Shalimar's Chef Spices গোলমরিচ গুঁড়ো

  • ১ চা চামচ Shalimar's Chef Spices হলুদ গুঁড়ো


কীভাবে বানাবেন

একটি প্যানে অলিভ অয়েল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন ভাজুন।

সবজি যোগ করে ৩ মিনিট নাড়ুন।

স্টক ঢেলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন।

আঁচ কমিয়ে ১৫-২০ মিনিট সিদ্ধ করুন।

লবণ, গোলমরিচ ও হলুদ মিশিয়ে দিন।

গরম গরম পরিবেশন করুন।

গ্লুটেন ফ্রি ছোলা কারি


কী কী লাগবে

  • ১ কাপ সিদ্ধ ছোলা

  • ১টি পেঁয়াজ (কাটা)

  • ২টি টমেটো (কাটা)

  • ২ কোয়া রসুন (কুঁচি করা)

  • ১ চা চামচ Shalimar's Chef Spices জিরা গুঁড়ো

  • ১ চা চামচ Shalimar's Chef Spices হলুদ গুঁড়ো

  • ১ চা চামচ Shalimar's Chef Spices গরম মসলা

  • ১ কাপ নারকেল দুধ

  • ১ টেবিল চামচ Shalimar's Sunflower তেল

  • লবণ পরিমাণ মতো

কীভাবে বানাবেন

একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে নিন।

রসুন ও টমেটো দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

জিরা, হলুদ ও গরম মসলা যোগ করে নাড়ুন।

ছোলা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

নারকেল দুধ ঢেলে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।

গরম ভাত বা কুইনোয়ার সাথে পরিবেশন করুন।

গ্লুটেন- ফ্রি পরোটা


কী কী লাগবে

১ কাপ গ্লুটেন-মুক্ত আটা (জোয়ার, বাজরা বা মিশ্রিত)

২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো (ঐচ্ছিক, নরম করার জন্য)

১/২ চা চামচ লবণ

১/২ চা চামচ জিরা (ঐচ্ছিক)

১/২ চা চামচ Shalimar's Chef Spices হলুদ গুঁড়ো (ঐচ্ছিক)

গরম জল (প্রয়োজন অনুযায়ী)

১ চা চামচ Shalimar's Sunflower তেল বা ঘি

রুটি বেলার জন্য অতিরিক্ত আটা


কীভাবে বানাবেন

একটি পাত্রে গ্লুটেন-মুক্ত আটা, লবণ, জিরা ও হলুদ গুঁড়ো মেশান।

ধীরে ধীরে গরম জল দিন এবং নরম ডো তৈরি করুন।

১ চা চামচ তেল দিন এবং আবার মেখে নিন। ১০ মিনিট বিশ্রাম দিন।

ডো থেকে ছোট অংশ নিয়ে গোল বল তৈরি করুন।

দুটি পার্চমেন্ট পেপারের মাঝে রেখে অথবা সামান্য আটা ছড়িয়ে হালকা হাতে বেলুন।

ধীরে ধীরে গোল আকার দিন (ফেটে গেলে হাত দিয়ে ঠিক করে নিন)।

মাঝারি আঁচে তাওয়া গরম করুন।

বেলা করা পরোটা গরম তাওয়ায় দিন।

১-২ মিনিট পর উল্টে দিন।

সামান্য ঘি বা তেল লাগিয়ে চেপে চেপে বাদামী রঙ না হওয়া পর্যন্ত সেঁকুন।

দই, আচার বা যেকোনো তরকারির সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

গ্লুটেন ফ্রি খিচুড়ি


কী কী লাগবে

১ কাপ ব্রাউন চাল (গ্লুটেন-মুক্ত)

½ কাপ মসুর বা মুগ ডাল (বা মিশ্রিত ডাল)

২ টেবিল চামচ Shalimar's সরিষার তেল/ঘি

১ চা চামচ জিরা

১ চা চামচ আদা বাটা

২টি শুকনো লঙ্কা (ঐচ্ছিক)

১টি টমেটো (কাটা)

১টি ছোট আলু (কাটা)

½ কাপ ফুলকপি (ঐচ্ছিক)

১টি গাজর (কাটা)

১ চা চামচ Shalimar's Chef Spices হলুদ গুঁড়ো

১ চা চামচ Shalimar's Chef Spices ধনে গুঁড়ো

লবণ এবং স্বাদ অনুযায়ী Shalimar's Chef Spices গরম মশলা

২টি তেজপাতা

ধনে পাতা (সাজানোর জন্য)

কীভাবে বানাবেন

চাল ও ডাল ২০-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে রান্নার সময় কম লাগবে।

কড়াই বা প্রেসার কুকারে সরিষার তেল/ঘি গরম করুন।

জিরা, তেজপাতা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন।

কাটা আদা দিন, সামান্য ভেজে নিন।

আলু, গাজর, ফুলকপি ও টমেটো দিয়ে নেড়ে দিন।

হলুদ, ধনে গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে দিন।

ভেজানো চাল-ডাল ছেঁকে দিয়ে কড়াইতে দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।

৪ কাপ গরম জল দিন এবং মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন।

ঢেকে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করুন বা প্রেসার কুকারে ২-৩ সিটি দিন!

গরম মশলা ও ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন।

ঘি, বেগুন ভাজা, ডিম ভাজা, আচার, দই-এর সাথে পরিবেশন করুন।

ফলসহ ওটস পোরিজ


কী কী লাগবে

  • ১ কাপ রোলড ওটস

  • ১ কাপ দুধ

  • ১ চা চামচ মধু বা ম্যাপল সিরাপ

  • দারচিনি গুঁড়া

  • ভ্যানিলা এসেন্স

  • ১ টি কলা (ম্যাশ করা বা টুকরো করা)

  • ১ কাপ বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি)

  • ১ টি আপেল (কাটা)

  • ১ টেবিল চামচ বাদাম কুচি (আলমন্ড, আখরোট)

  • ১ চা চামচ চিয়া বা ফ্ল্যাক্স সিড (ঐচ্ছিক)


কীভাবে বানাবেন

  1. একটি পাত্রে মাঝারি আঁচে দুধ বা  জল গরম করুন।

  2. ওটস দিন এবং ভালোভাবে নেড়ে নিন। ৫-৭ মিনিট রান্না করুন, মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে।

  3. মধু, দারচিনি, এবং ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিন।

  4. যখন ওটস নরম ও ক্রিমি হয়ে যাবে, তখন চুলা বন্ধ করুন।

  5. মিষ্টতা বাড়ানোর জন্য ম্যাশ করা কলা মিশিয়ে নিন।

  6. পরিবেশন পাত্রে ঢেলে উপরে কলা, বেরি, আপেল, ও বাদাম কুচি দিন।

  7. আরও পুষ্টি যোগ করতে চিয়া বা ফ্ল্যাক্স সিড ছড়িয়ে দিন।

  8. গরম গরম পরিবেশন করুন এবং উপভোগ করুন!

  9. মেডিক্যাল ট্যুরিজম: চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের নতুন দিগন্ত


    মেডিক্যাল ট্যুরিজম (Medical Tourism) বলতে বোঝায় চিকিৎসার জন্য নিজ দেশের বাইরে ভ্রমণ করা। উন্নতমানের চিকিৎসা, কম খরচ, আধুনিক প্রযুক্তি এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সেবার জন্য অনেকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যান।

    কেন মেডিক্যাল ট্যুরিজম জনপ্রিয় হচ্ছে?


    ✔ কম খরচে উন্নত চিকিৎসা – কিছু দেশে উন্নতমানের চিকিৎসা কম খরচে পাওয়া যায়।

    ✔ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও আধুনিক প্রযুক্তি – অনেক দেশ উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞ ডাক্তারদের জন্য বিখ্যাত।

    ✔ দীর্ঘ অপেক্ষার সময় নেই – উন্নত দেশে অনেক সময় সার্জারি বা বিশেষ চিকিৎসার জন্য লম্বা অপেক্ষা করতে হয়, যা অন্য দেশে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়।

    ✔ ভ্রমণ ও চিকিৎসার সংমিশ্রণ – রোগীরা চিকিৎসার পাশাপাশি পর্যটনও করতে পারেন।

    জনপ্রিয় মেডিক্যাল ট্যুরিজম গন্তব্য


    ১. ভারত

    বিশেষায়িত চিকিৎসা: হার্ট সার্জারি, ক্যানসার থেরাপি, অরথোপেডিক সার্জারি, অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট।

    কেন জনপ্রিয়? উন্নত হাসপাতাল (Apollo, Fortis, AIIMS), দক্ষ ডাক্তার, তুলনামূলক কম খরচ।


    ২. থাইল্যান্ড

    বিশেষায়িত চিকিৎসা: কসমেটিক সার্জারি, ডেন্টাল ট্রিটমেন্ট, অ্যান্টি-এজিং থেরাপি।

    কেন জনপ্রিয়? আধুনিক হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক মানের সেবা, ব্যাঙ্কক মেডিক্যাল হাব।


    ৩. সিঙ্গাপুর

    বিশেষায়িত চিকিৎসা: ক্যানসার ট্রিটমেন্ট, কার্ডিয়াক কেয়ার, নিউরোসার্জারি।

    কেন জনপ্রিয়? বিশ্বের সেরা হাসপাতাল ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।


    ৪. তুরস্ক

    বিশেষায়িত চিকিৎসা: প্লাস্টিক সার্জারি, চুল প্রতিস্থাপন, অর্থোপেডিক চিকিৎসা।

    কেন জনপ্রিয়? উচ্চমানের চিকিৎসা কম খরচে, ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত।


    ৫. মালয়েশিয়া

    বিশেষায়িত চিকিৎসা: ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট, অর্থোপেডিক সার্জারি, কসমেটিক সার্জারি।

    কেন জনপ্রিয়? আধুনিক হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সহজ ভিসা সুবিধা।

    মেডিক্যাল ট্যুরিজমের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়


    চ্যালেঞ্জ:

    ❌ ভাষাগত সমস্যা হতে পারে।

    ❌ ভিসা ও কাগজপত্রের ঝামেলা থাকতে পারে।

    ❌ চিকিৎসার গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার।

    ❌ বিদেশে দীর্ঘ সময় থাকার প্রয়োজন হতে পারে।


    করণীয়:

    ✅ পরিচিত ও স্বীকৃত হাসপাতাল বেছে নিন।

    ✅ চিকিৎসার খরচ ও বীমার বিষয়ে নিশ্চিত হন।

    ✅ স্থানীয় গাইড বা দোভাষী নিতে পারেন।

    ✅ চিকিৎসার পরবর্তী কেয়ার প্ল্যান জেনে নিন।



Comments


ssss.jpg
sssss.png

QUICK LINKS

ABOUT US

WHY US

INSIGHTS

OUR TEAM

ARCHIVES

BRANDS

CONTACT

© Copyright 2025 to Debi Pranam. All Rights Reserved. Developed by SIMPACT Digital

Follow us on

Rojkar Ananya New Logo.png
fb png.png

 Key stats for the last 30 days

bottom of page