দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের চারধাম ভ্রমন কাহিনী, নলেন গুড়ের ১০টি রান্না
- রোজকার অনন্যা
- Dec 15, 2024
- 12 min read
বাইকে দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের চারধাম ভ্রমন কাহিনী
সরোজ মজুমদার (পদার্থবিদ্যার স্কুল শিক্ষক)

''সেখানে অদ্ভুত বৃক্ষ, দেখিতে
সুচারু / যাহা চাই তাহা পাই, নাম কল্পতরু..''
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় দিনে হর হর মহাদেবের নাম করে দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের উদ্যেশে বাইক নিয়ে কলকাতার বাড়ি থেকে ভোর তিনটেয় বেরিয়ে পড়লাম। ন্যাশনাল হাইওয়ে-১৯ বা দিল্লী রোড ধরে আসানসোল হয়ে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ছেড়ে ঝাড়খন্ড, বিহার, অতিক্রম করে ৭৪৫কিমি পথ পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে পৌছালাম। পরের দিন লখনৌ, বারেলি, মুরাদাবাদ হয়ে ৭২৯কিমি পথ চলা শেষ করে দেবভূমির হরিদ্বারে এসেগেলাম। ভ্রমণের তৃতীয় দিনে সকালে হর কি পৌরি ঘাটে গঙ্গা স্নান সেরে রোপেওয়েতে চেপে হরিদ্বারের মা মনসা দেবী মন্দির দর্শন সেরে নিলাম। এখান থেকে পুরো হরিদ্বারের মন ভালো করা দৃশ্য ধরা পরে। সন্ধ্যায় হর কি পৌরি ঘাটে গঙ্গা আরতি দেখলাম।


পরদিন ভোরে হরিদ্বার থেকে বেরিয়ে ঋষিকেশে ত্রিবেণী ঘাট, জানকী ঝুলা, রাম ঝুলা ও লক্ষণ ঝুলা দেখে পাহাড়ের রানী অপরূপ মুসৌরির নৈসর্গিক দৃশ্যে অবগাহন করতে করতে কেম্পটি ফলসে চলে এলাম। পার্কিংএ বাইক রেখে মনোমুগ্ধকর আপার ও লোয়ার কেম্পটি ফলস দেখে, বারকোটে এসে চেক পোস্টে চারধাম যাত্রার রেজিস্ট্রেশন পেপার দেখিয়ে, ২৪০কিমি রাইড সেরে জানকি চট্টিতে পৌছালাম।
চারধাম সফরে বেরোনোর আগে উত্তরাখন্ড ট্যুরিজমের নির্দিষ্ট পোর্টাল থেকে নিজের ও বাইকের রেজিস্ট্রেশন করে নেয়া বাধ্যতামূলক এবং চারধাম যাওয়ার রাস্তায় প্রত্যেকটি চেকপোস্টে এটি দেখাতে হয়। পরদিন ভোর চারটেয় উঠে প্রস্তুতি সেরে সকাল সাড়ে ছটায় জানকি চট্টি থেকে যমুনেত্রীর উদ্যেশে ট্রেককিং শুরু করলাম। যমুনেত্রী ধামের প্রবেশপথের গেটে এসে যাত্রা রেজিস্ট্রেশনের পেপার দেখিয়ে যমুনা নদীকে ডান দিকে সঙ্গে নিয়ে সকালের অপূর্ব সুন্দর প্রকৃতির মধ্যে দিয়ে পাহাড়ি চড়াই উৎরাই পথ ধরে এগোতে লাগলাম। সকাল সাড়ে নটায় যমুনেত্রী ধামে পৌঁছে তপ্ত কুন্ডে স্নান সেরে যমুনোত্রী মন্দির ও হনুমান মন্দির দর্শন করলাম।

এখান থেকেই যমুনা নদীর উৎপত্তি। চারধামের প্রথমটির দর্শন সাঙ্গ করে একই পথে ট্রেক করে সুন্দর সুন্দর অনেক ওয়াটার ফলস দেখতে দেখতে জানকি চট্টিতে ফিরেএলাম। ভ্রমণের ষষ্ঠ দিনে জানকি চট্টি থেকে ভোরে বেরিয়ে বারকোটে এসে গঙ্গোত্রী ধামে যাওয়ার পথ ধরলাম। ঘন সবুজ পাহাড়ি উপত্যকা আর উচ্ছল ভাগীরথী নদির কলরোলের মধ্যে দিয়ে ধারসু হয়ে উত্তরকাশি শহরকে পিছনে ফেলে খেদি ওয়াটারফলের সামনে আসতেই ওয়াটারফলের জলের বাষ্পে দেহ মন প্রাণ সব সিক্ত হয়ে গেল। উত্তরকাশি শহরের পরে এই রাস্তায় আর কোনো পেট্রল পাম্প নেই, তাই বাইকে পর্যাপ্ত জ্বালানি রাখা দরকার। হারশীল ভ্যালির বাগোরি ভিলেজে আসতেই লাল পাকা আপেলের বাগান শুরু হয়ে গেলো। পুরো উপত্যকা জুড়ে আপেলের বাগানের সমারহ চোখ জুড়িয়ে দেবে। রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দাদের খুব কম দামে আপেল বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছিল।
ভৈরোঘাটির ভাগীরথী নদীর উপর লংকা সেতু থেকে দুপাশের দৃশ্য কলোরাডো নদী ও গ্রান্ড ক্যানিয়নের কথা মনে করিয়ে দেবে। এখান থেকে গরতাং গলি যাওয়ার ট্রেক শুরু হয়। বিকেল চারটেয় ২২০কিমি রাইড করে দ্বিতীয় ধাম গঙ্গোত্রীতে পৌছালাম। গঙ্গোত্রী মন্দির দর্শন ও প্রসাদ গ্রহণ করে একে একে ভগীরথ শিলা মন্দির, ভাগীরথী নদী ঘাট, গঙ্গোত্রী সেতু ঘুরে নিলাম। সন্ধ্যায় ভাগীরথী নদী তীরে প্রচুর লোক সমাগমের মধ্যে সন্ধ্যা আরতি হয়। গঙ্গোত্রী থেকে ১৮কিমি দীর্ঘ গোমুখ ও তারপর আরো ৬কিমি দীর্ঘ তপোবন ট্রেক করা যায়। পরদিন ভোরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম সূর্য কুণ্ড দেখতে। এখানে ভাগীরথী নদী পাহাড়ি খাতে বয়ে এসে পাহাড়ের অনেকটা নিচে সশব্দে আছড়ে পড়ে জলের বাস্প তৈরি করে।

বাইকে লাগেজ গুছিয়ে গঙ্গোত্রী থেকে বেরিয়ে পড়লাম পরবর্তী ধামের উদ্যেশে। গাঙ্গোরি ভিলেজ থেকে রাস্তা আলাদা হয়ে গেলো এবং এখান থেকে উত্তরকাশি শহরের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। পোখরি, চামিয়ালা, ঘানসালি হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ২০০কিমি কাশ ফুলে ভরা সবুজ পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে মুয়ালগাওয়ে এসে রাত্রিবাস। অষ্টম দিনে তিলওরা, অগস্তমুনি, উখীমঠ, ফাটা, সীতাপুর হয়ে ১১৮কিমি রাইড করে সোনপ্রয়াগে এসে একটি ক্লক রুমে বাইকের সমস্ত লাগেজ জমা রেখে একটি সাইড ব্যাগে ছাতা, রেইনকোট ও আর কিছু দরকারি জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে চলে গেলাম কার পার্কিংয়ে বাইক রাখতে। সোনপ্রয়াগ রেজিস্ট্রেশন বুথে চারধাম যাত্রার রেজিস্ট্রেশন পেপার দেখিয়ে হাঁটা শুরু করলাম শেয়ার ক্যাব স্ট্যান্ডের দিকে। মন্দাকিনী নদিকে ডানপাশে সঙ্গে করে শেয়ার ক্যাবে ৪কিমি পথ পেরিয়ে দুপুর দুটোয় গৌরীকুণ্ডে পৌছালাম যেখানে আজকের রাত্রিবাস। গৌরী মাতা মন্দির এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। সন্ধ্যা হতেই প্রচন্ড জোরে বৃষ্টি শুরু হল যা চললো প্রায় সারা রাত। পরদিন সকাল ছটায় গৌরীকুণ্ড চেক পোস্টে অনুমতি পেয়ে কেদারনাথের জন্য ট্রেক শুরু করলাম।
এপথে কেদার যাওয়ার জন্য ঘোড়া, পালকি, পিট্টুর ব্যবস্থা আছে। এছাড়া হেলিকপ্টারে করেও যাওয়া যায়। সম্প্রতি ক্লাউডবার্স্টের দরুন ধস নামায় কেদারের রাস্তার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। জঙ্গল চট্টি, ভীমবালী, রামবাডা, লিনচলি হয়ে ২২কিমি ট্রেক করে দুপুর একটায় তৃতীয় ধাম কেদারনাথে পৌছলাম। দেরি না করে হর হর মহাদেব বলে কেদারনাথ মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে দর্শন সেরে নিলাম। মন্দিরের পিছনে আছে ভীমশিলা ও আদি শঙ্করাচার্যের সমাধি। সন্ধ্যায় কেদারনাথ মন্দিরের অপূর্ব সুন্দর সন্ধ্যা আরতি ভোলার নয়। পরদিন ভোরে বৃষ্টির মধ্যে রেইনকোট পরে চলে গেলাম ভৈরবনাথ মন্দির দর্শন করতে। এখান থেকে পুরো কেদারের যে দৃশ্য দেখলাম তা মনের ক্যানভাসে ছবি হয়ে থাকলো। সকাল সাতটায় গৌরীকুণ্ডের উদ্যেশে ট্রেক শুরু করে একি পথে দুপুর একটায় গৌরীকুন্ড হয়ে সোনপ্রয়াগে এসে মাধ্যান্ন ভোজন করে বাইক নিয়ে বিকেল তিনটেয় বেরিয়ে পরলাম।

ফাটা, গুপ্তকাশী হয়ে ৪০কিমি দূরে চোপ্তার শিরসলি গ্রামে পৌছলাম বিকেল পাঁচটায় যেখানে আজকের রাত্রিবাস। শিরসলি গ্রাম থেকে চোপ্তা ভ্যালির দৃশ্য অপরূপ সুন্দর। সবুজ পাহাড়ের খাজে খাজে সাদা মেঘের ভ্যালা, ঝর্ণা আর অস্তগামী সূর্যের আলোয় তুঙ্গনাথ পাহাড়ের সোনালী রূপ ভোলার নয়। ভ্রমণের একাদশতম দিনে শিরসলি থেকে সকালে বেরিয়ে নির্জন পাহাড়ি রাস্তায় পাহাড় থেকে নেমে আসা একদল হরিনের দেখা পেলাম। ২০কিমি যাওয়ার পর পৌঁছে গেলাম ভারতের মিনি সুইজারল্যান্ড চোপ্তাতে। হোটেলে বাইক ও লাগেজ রেখে তুঙ্গনাথ ও চন্দ্রশীলা যাওয়ার জন্য ট্রেককিং শুরু করলাম। ৪কিমি খাড়া পাহাড়ি পথ ধরে অপরূপ সুন্দর সবুজ পাহাড়ি উপত্যাকার স্বাদ নিতে নিতে বৃষ্টির মধ্যে পৌঁছে গেলাম তুঙ্গনাথ মন্দির যা উত্তরাখণ্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিব মন্দির আর পঞ্চ কেদারের অন্যতম। এর উচ্চতা ১২০৭৩ ফুট। দেবাদিদেব মহাদেবের পঞ্চকেদার গুলি হল কেদারনাথ, মদমহেশ্বর, কল্পেশ্বর, রুদ্রনাথ আর তুঙ্গনাথ। এখান থেকে আরো ১কিমি ট্রেক করে চলেগেলাম চন্দ্রশীলাতে। চন্দ্রশীলার আক্ষরিক অর্থ "মুন রক" যেখান থেকে নন্দাদেবী, ত্রিশুল, কেদার চূড়া, বান্দরপঞ্চ এবং চৌখাম্বা শৃঙ্গ সহ হিমালয়ের দৃশ্য অতীব সুন্দর।

পরদিন সকাল ছটায় চোপ্তাকে বিদায় জানিয়ে বদ্রীর পথে যাত্রা শুরু হল। ভুলকান, চামোলী, পিপলকোটী, হেইলং, যোশীমঠ, গোবিন্দ ঘাট, হনুমান চট্টি হয়ে ১৫১কিমির রাইড শেষ হলো দুপুর সাড়ে বারোটায় চতুর্থ তথা শেষ ধাম বদ্রীনাথে এসে। হোটেলে চেক ইন করে চলে গেলাম তিব্বত বর্ডারের কাছে অবস্থিত প্রথম ভারতীয় গ্রাম মানাতে। মুগ্ধ হলাম মানার নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে। এখানে পায়ে হেঁটে দেখে নেয়া যায় বেদ ব্যাস গুহা, গণেশ গুহা, ভীম পুল, সরস্বতী নদীর উৎসস্থল ইত্যাদি। বিকেলে অলকানন্দা নদির উপর দিয়ে ব্রিজ পেরিয়ে এসে গেলাম বদ্রীনাথ মন্দিরে। এই মন্দিরের অপর নাম বদ্রীনারায়ণ মন্দির। এটি হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর মন্দির। মন্দিরের কাছেই রয়েছে তপ্ত কুন্ড যেখানে স্নান করা যায়। মন্দির দর্শন ও প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে চারধাম দর্শন শেষ হলো।

ভ্রমণের ত্রয়োদশতম দিনে বদ্রীনাথ থেকে সকালে বেরিয়ে পথে একাধিক জায়গায় ল্যান্ডস্লাইডের সম্মুখীন হলাম। যোশীমঠ, গোপেশ্বর হয়ে প্রথমে নন্দপ্রয়াগে এলাম যা অলকানন্দা নদীর পঞ্চ প্রয়াগের মধ্যে অন্যতম এবং অলকানন্দা নদী ও নন্দকিনী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। এর পর কিছু পথ পেরোতেই পেলাম কর্ণপ্রয়াগ যা অলকানন্দা এবং পিন্ডার নদীর সঙ্গমস্থল। আদি বদ্রি, চৌখুটিয়া, দ্বারাহাট হয়ে ২৭২কিমি পথের শেষে রাণীক্ষেতের জইনোলিতে রাত্রিবাস। পরদিন ভোরে যাত্রা শুরু করে নৈনিতাল, হলদিয়ানী হয়ে উত্তরাখণ্ডকে বিদায় জানিয়ে উত্তরপ্রদেশের বারেলিতে প্রবেশ করলাম।
অগাস্ট মাসে বর্ষাকাল শেষ হয়ে গেলেও এবার সেপ্টেম্বরেও পুরো উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল হিমালয় জুড়ে বর্ষা জারি ছিল। যার জেরে একদিকে যেমন বিভিন্ন স্থানে ধসের ফলে রাস্তাঘাট বিপর্যস্ত ছিল তেমনি পুরো গাড়োয়াল হিমালয় জুড়ে অসংখ্য প্রাণবন্ত ঝর্ণার দেখা মিলেছে। আর পুরো উত্তরাখণ্ড জুড়ে পাহাড়ের কোলে কাশ ফুলের মেলা বসেছিল। শাজাহানপুর, সীতাপুর, লখনৌ হয়ে রাত আটটায় উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় পৌছলাম। পুরো অযোধ্যা শহর তখন অসাধারণ সুন্দর আলোক সজ্জায় উদ্ভাসিত।

হোটেলে কোনোরকমে বাইক ও লাগেজ রেখে ছুটলাম রাম জন্মভূমি মন্দিরের পথে। লকারে মোবাইল জমা রেখে রামলালালর দর্শন করে, প্রসাদ নিয়ে রাত সাড়ে নটায় মন্দিরের বাইরে আসতেই মন্দিরের গেট এদিনের মতো বন্ধ হয়ে গেল। পরদিন ভোরে পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম প্রভুর অযোধ্যা ঘুরে দেখতে। হনুমান গড়ি মন্দির হয়ে তুলসী উদ্যান দেখে পৌছলাম সরযূ বা ঘাঘরা নদির সরযূ ঘাটে। এরপর সরযূ নদীর তীরে অবস্থিত লক্ষ্মণ কিলা দেখে হোটেলে ফিরে সকাল সাড়ে আটটায় বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সুলতানপুর, জৌনপুর, বারাণসী হয়ে ৩৭৬কিমি রাস্তা পেরিয়ে বিহারের ঔরঙ্গাবাদে রাত্রিবাস। ভ্রমণের ষোড়শ দিনে আজ বাড়ি ফেরার পালা, তাই ভোর সাড়ে চারটেয় অন্ধকার থাকতেই যাত্রা শুরু করলাম। ন্যাশনাল হাইওয়ে-১৯ বা দিল্লী রোড ধরে চৌপারান, ধানবাদ হয়ে বর্ধমানে এসে এখানকার বিখ্যাত মিহিদানা ও সীতাভোগ এবং শক্তিগড়ে এসে ল্যাংচা বাড়ির জন্য নিয়ে সন্ধ্যা ছটায় ৫৩৩কিমি পথ চলা শেষ করে কলকাতায় বাড়ি পৌছলাম। ষোলো দিনের দুচাকার এই ভ্রমণে মোট ৪২৫৪ কিমি রাইড ও ৭০কিমি ট্রেককিং অন্তর্ভুক্ত ছিল।

চারধাম যাত্রার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি :
চারধাম যাত্রার পূর্বেই রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়া বাঞ্ছণীয়। উত্তরাখন্ড ট্যুরিজমের https://registrationandtouristcare.uk.gov.in এই পোর্টাল, “টুরিস্ট কেয়ার উত্তরাখন্ড” মোবাইল অ্যাপ অথবা হোয়াটস্যাপ নাম্বার ৮৩৯৪৮৩৩৮৩৩ থেকে অনলাইনে নিজের ও বাহনের সমস্ত তথ্য দিয়ে যাত্রা রেজিস্ট্রেশন করা যায়। এছাড়া অফলাইনে উত্তরাখণ্ডে পৌঁছে ট্যুরিজমের অফিস বা যেকোনো চেক পোস্টে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

রাত্রিবাস/রাতঠিকানা:
হোটেল কৃষান কানহাইয়া; জৌনপুর, উত্তর প্রদেশ-২২২০০২. দূরাভাষ: ০৮৫৪২০৭৭৭০০
হোটেল সানসাইন নেয়ার হর কি পৌরি; মতি বাজার রোড, হরিদ্বার, উত্তরাখন্ড-২৪৯৪০১ দূরাভাষ: ০৯৮৯৭১২৯৫৫৩
হোটেল শুভম প্যালেস; জানকি চাট্টি, উত্তরকাশি, উত্তরাখন্ড-২৪৯১৭১. দূরাভাষ: ০৯৪৫৬১২৬৯৩৫
হোটেল শ্বেতাম্বর; টেম্পল রোড, গঙ্গোত্রী, উত্তরাখন্ড-২৪৯১৩৫. দূরাভাষ: ০৭৮১৮৮৫০০৩১
মঞ্জরী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট; মুয়ালগাওঁ, ঘনশ্যালি - তিলবারা রোড, উত্তরাখন্ড-২৪৯১৫৫. দূরাভাষ: ০৯৬৭৫১০০৬৮৬
দীপক ট্যুরিস্ট লজ; গৌরীকুন্ড, উত্তরাখন্ড-২৪৬৪৭১. দূরাভাষ: ০৭৮৩০২৫৮২৩২
রাজস্থান ভবন; কেদারনাথ ধাম, উত্তরাখন্ড-২৪৬৪৪৫. দূরাভাষ: ০৯৪৫৮১০২৯০০
ব্রহ্মকমল ট্যুরিস্ট লজ; সিরসলি, উখীমঠ, উত্তরাখন্ড-২৪৬৪৬৯. দূরাভাষ: ০৯৫৩৬৮৯৯৩৮৭
ভ্যালি ভিউ হোটেল চোপ্তা; এন.এইচ-১০৭এ, চোপ্তা, উত্তরাখন্ড-২৪৬৪১৯. দূরাভাষ: ০৮০০৬৭৭৩০৪২
বাঙুর ভবন; বদ্রীনাথ টেম্পলে রোড, বদ্রীনাথ, উত্তরাখন্ড-২৪৬৪২২. দূরাভাষ: ০৭০৭৩৯১৮৩৩৩
হলিডে হোমস্টে রাণিক্ষেত; জাইনলি, রানীক্ষেত, উত্তরাখন্ড-২৬৩৬৪৫. দূরাভাষ: ০৮৪৪৯৪৬৩২৭৯
সুমিত্রা নন্দন হোমস্টে; তুলসি নগর, অযোধ্যা, উত্তর প্রদেশ-২২৪১২৩. দূরাভাষ: ০৯৯১৯৫৩৯৩২৬
সতীচন্ডি হোটেল এন্ড অনন্ত রেস্টুরেন্ট; চান্দুলি, ঔরঙ্গাবাদ, বিহার-৮২৪১০২. দূরাভাষ: ০৭৯০৩৪২৫২৬৬
নলেন গুড়ের ১০টি রান্না

শীত মানেই নবান্নের নতুন চাল আর সোনালী রঙের পাতলা খেজুর রসের গুড়। গরম হাতে গড়া রুটি অথবা পরোটা, এর স্বাদই আলাদা। শীত কাতুরে বাঙালির এই কনকনে ঠাণ্ডাতেও বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান স্পেশ্যাল খাওয়া দাওয়া। আর নলেন গুড় মানেই তো শুধু পিঠে পুলি, সন্দেশ নয়। এই দিয়ে হতে পারে অভাবনীয় সব পদ। চলুন তেমনই কিছু রান্নার স্বাদ চেখে নেওয়া যাক!

মৌমিতা মুখার্জি
থাই স্টিকি চিকেন উইংস উইথ জ্যাগারী চিলি সস
কী কী লাগবে
তিনটে চিকেন উইংস অর্ধেক করা, ১/২ টেবিল চামচ ফিশ সস, ১/২ চা চামচ Shalimar's গোলমরিচ গুঁড়ো, ১/৪ কাপ চালের গুঁড়ো, Shalimar's সাদা তেল ভাজার জন্য
সস এর জন্য:
৩ টে কাঁচা লঙ্কা কুচি, ৩ কোয়া রসুন কুচি, ১ টেবিল চামচ ধনেপাতার ডাটি কুচি, ১/৪ কাপ নলেনগুড়, ১/৮ কাপ ফিশ সস, ১/২ টেবিল চামচ তেঁতুলের ক্বাথ, ১/৮ কাপ জল, ১ টেবিল চামচ Shalimar's সাদা তেল

কীভাবে বানাবেন
চিকেন উইংস ফিশ সস, গোলমরিচের গুঁড়ো, নুন দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। একটা থালায় চালের গুঁড়ো নিন। কড়াই এ তেল গরম করুন। একটা করে চিকেন উইংস ম্যারিনেশন থেকে তুলে চালের গুঁড়ো দিয়ে কোট করে, গরম তেলে মাঝারি আঁচে ভেজে নিন। ফ্রাইং ফ্যানে তেল গরম করুন সসের জন্য। এর মধ্যে রসুন, ধনেপাতার ডাটি এবং কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে মাঝারি আঁচে সতে করে নিন। হালকা ভাজা হয়ে গেলে নলেনগুড়, ফিশ সস, তেঁতুলের ক্বাথ দিয়ে হালকা নাড়াচাড়া করে জল দিয়ে দিন। হালকা আঁচে এটা ফুটিয়ে গাঢ় করতে থাকুন। আন্দাজ মতন নুন দিন। একটু গাঢ় হয়ে এলে ভাজা চিকেন উইংসগুলো এর মধ্যে দিয়ে টস করে নিন। সস যেন চিকেন উইংসগুলোকে ভালো করে কোট করে। উপরে ধনেপাতা এবং কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে গার্নিশ করে পরিবেশন করুন।

জ্যাগারী কেক উইথ অরেঞ্জ জ্যাগারী গ্লেজিং
কী কী লাগবে
গমের আটা ২ কাপ, নলেন গুড় দেড় কাপ, Shalimar's সাদা তেল ৩/৪ কাপ, দই ৩/৪ কাপ, বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ, বেকিং সোডা দেড় চা চামচ, দারচিনি গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, আদা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ, বাদাম (আখরোট, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম) ১/২ কাপ, শুকনো ফল কাটা (কিশমিশ, ব্ল্যাক বেরি, এপ্রিকট, ফিগ, খেজুর) ১ কাপ, ফলের রস (আঙ্গুর/ কমলা/ আপেল) ১/২ কাপ
গ্লেজ এর জন্য:
১/৪ কাপ ক্যাস্টার সুগার, ২ টেবিল চামচ নলেনগুড়, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ জল, ১/২ কাপ কমলা লেবুর রস

কীভাবে বানাবেন
সব শুকনো ফল, ফলের রসে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে সমস্ত শুকনো উপাদান চালুনিতে ছেঁকে নিন (গমের আটা, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, দারুচিনি গুঁড়ো, আদা গুঁড়ো)। বাদামের সাথে ভেজানো শুকনো ফল মিশিয়ে রাখুন। আলাদা একটি পাত্রে তেল, দই, ভ্যানিলা এসেন্স, নলেনগুড় দিয়ে ফেটিয়ে নিন। শুকনো ফল, বাদাম, আটার মিশ্রন দিয়ে ঘন ব্যাটার বানিয়ে ১৬০° প্রিহিটেড ওভেনে বেক করুন ২৫ মিনিট। মাঝারি আঁচে অন্য একটি ভারী সসপ্যানে নলেনগুড়, ক্যাস্টার সুগার, মধু, কমলা লেবুর রস এবং জল দিন। যতক্ষণ না চিনি গলে যায় এবং সমস্ত উপাদান একত্রিত হয় ততক্ষণ নাড়ুন। সামান্য ঠান্ডা হতে দিন তারপর কেকের উপর ঢেলে দিন। পেস্তা ও গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

তনুজা আচার্য্য
নলেন গুড়ের টার্ট
কী কী লাগবে
২ কাপ ময়দা, ১/২+১/২ কাপ নলেন গুড়, ৩/৪ কাপ মাখন/Shalimar's সাদা তেল, ছানা ২০০ গ্রাম

কীভাবে বানাবেন
ময়দাতে মাখন দিয়ে ভালো করে মাখুন। এবার অল্প অল্প করে নলেনগুড় দিয়ে শক্ত করে মেখে ফ্রিজে রাখুন। লেচি কেটে বেলে টার্ট মোল্ডে রেখে কাঁটা চামচ দিয়ে ফুটো ফুটো করে দিন। ২০০° তে প্রিহিটেড ওভেনে বেক করুন ১৫ মিনিট। ছানা ভালো করে মেখে নিন যাতে কোনো দানা না থাকে। এবার ওর মধ্যে গুড় দিয়ে আবার ভালো করে মাখুন। টার্ট শেল ঠাণ্ডা হলে ছানার পুর মাঝখানে রেখে ওপরে আরো কিছুটা নলেন গুড় ছড়িয়ে পরিবেশন করুন নলেন গুড়ের টার্ট।

নলেনগুড়ের পানা কোটা
কী কী লাগবে
দুধ ২ কাপ, ক্রিম ৩ কাপ, জিলাটিন ২ চামচ, ৩/৪ কাপ নলেন গুড়
কীভাবে বানাবেন
একটি পাত্রে ১/২ কাপ গরম দুধে জিলাটিন ভিজিয়ে রাখুন। এবার একটি প্যানে দুধ আর ক্রিম জ্বাল দিন। ঘন হয়ে এলে নলেনগুড় মেশান। নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা হলে জিলাটিন মিশিয়ে সমানে নাড়তে থাকুন। ভালো করে মিশে গেলে ছোট ছোট পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা করে ওপরে নলেনগুড় ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

সানিয়া ময়রা
নলেন গুড়ের আপেল ক্ষীর
কী কী লাগবে
গ্রেট করা আপেল ১ টা, দুধ ১ লিটার, কনডেন্সড মিল্ক ১/২ কাপ, মিক্সড নাট(গার্নিশিং এর জন্য), নলেন গুড় ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ।
কীভাবে বানাবেন
প্যানে ঘি গরম করে গ্রেট করা আপেল দিয়ে অল্প আঁচে জল না শুকানো পর্যন্ত রান্না করতে হবে। অন্য একটি প্যানে এক লিটার দুধ দিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করে একে একে ভাজা আপেল, কনডেন্সন্ড মিল্ক, এলাচ গুঁড়ো, নলেন গুড় মিশিয়ে নামিয়ে পছন্দ মতো পাত্রে ঢেলে ওপরে মিক্সড নাট ছড়িয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

পাপিয়া সান্যাল চৌধুরী
নলেনগুড় এ্যন্ড চিলি ফ্লেভার্ড চিকেন উইংস উইথ সেসমি ডাস্ট
কী কী লাগবে
চিকেন উইংস ১০ পিস, রসুন বাটা ২ চামচ, আদা বাটা ১ চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, Shalimar's গোলমরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, Shalimar's কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো ১/২ চামচ, লেবুর রস ২ চামচ, বীজ ছাড়া শুকনো লংকা ৪ টি, ময়দা ৪ টেবিল চামচ, কর্ণফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ+১ টেবিল চামচ, রোস্টেড সাদা তিল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ পাতা ৪ টেবিল চামচ, Shalimar's সাদা তেল ভাজার জন্য , নুন পরিমাণ মতো
কোটিং সসের জন্য-
লাইট সয়া সস ৪ চামচ, উস্টার সস ১ চামচ,
রেড চিলি সস ১ চামচ, টম্যাটো কেচাপ ২ চামচ, নলেন গুড় ৪ চামচ

কীভাবে বানাবেন
চিকেন উইংসগুলো ভালোভাবে ধুয়ে টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে শুকনো করে নিতে হবে।একটি পাত্রে আদা রসুন বাটা, গোলমরিচ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো, লেবুর রস ও নুন দিয়ে চিকেন উইংস গুলো ম্যারিনেট করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে অন্ততঃ ৪ ঘন্টা।
এবার ময়দা, কর্ণফ্লাওয়ার ও অল্প নুন সহযোগে একটা শুকনো মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। ম্যারিনেট করা চিকেন ফ্রিজ থেকে বের করে এই শুকনো মিশ্রণে ভালোভাবে কোট করে খুব গরম তেলে মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিতে হবে। এবার ননস্টিক প্যানে ৪ টেবিল চামচ তেল দিয়ে রসুন কুচি, পেঁয়াজ পাতা কুচি, বীজ বার করা শুকনো লঙ্কা দিয়ে হালকা ফ্রাই করে নিতে হবে। তারপর একে একে কোটিং সসের সব উপকরণ প্যানে দিয়ে পরিমাণ মতো নুন ও ২-৩ চামচ জল দিয়ে একটু ফুটে গেলে ভাজা চিকেন উইংস গুলো ঢেলে দিতে হবে।
এরপর এক চামচ শুকনো কর্নফ্লাওয়ার গ্রেভি তে মিশিয়ে নিয়ে পুরো প্রিপারেশন টা শুকনো করে নিতে হবে। শেষে রোস্টেড তিল ও বাকি পেঁয়াজ পাতা ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে এই সুস্বাদু পদ।

স্টার ফ্রাইড স্পাইসি মাশরুম
কী কী লাগবে
বাটন মাশরুম ৪০০ গ্রাম, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ, বাটার ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ৪ টেবিল চামচ, স্টার এনিস ২টি, চিলি ফ্লেকস ১/২ চামচ, ক্রাশড গোলমরিচ ১ টেবিলচামচ, ড্রাই পার্সলে ১ চামচ, গন্ধরাজ লেবুপাতা ২ টি, গন্ধরাজ লেবুর জেস্ট ১/২ চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, স্প্রিং অনিয়ন ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, নলেন গুড় ২ টেবিল চামচ, নুন পরিমান মতো

কীভাবে বানাবেন
প্রথমে মাশরুম গুলো খুব ভালো করে ধুয়ে অর্ধেক করে কেটে নিতে হবে। ননস্টিক কড়াইতে সাদা তেল ও বাটার দিয়ে স্টার এনিস, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হাল্কা লাল করে ফ্রাই করে নিতে হবে। এবার মাশরুম এর টুকরোগুলো দিয়ে হাই ফ্লেমে হাল্কা সতে করে একে একে ক্রাশড গোলমরিচ, চিলিফ্লেক্স, লেবুপাতা, লেবুর জেস্ট, লেবুর রস, নলেন গুড় ও পরিমান মতো নুন ও জল দিয়ে মাশরুম গুলো পুরো সেদ্ধ করে নিতে হবে। মাশরুম থেকে যে জল বেরোবে পুরোটা শুকিয়ে গেলে শেষ পর্যায়ে ড্রাই পার্সলে, ধনেপাতা কুচি ও স্প্রিং অনিয়ন কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে এই ডিশ।

ঐন্দ্রিলা মজুমদার
নলেন গুড়ের পুরভরা বাহারি উচ্ছে
কী কী লাগবে
৬ টা উচ্ছে, ১/২ টেবিল চামচ গোটা জিরে, ২ টেবিল চামচ নলেন গুড়, ১ টা মাঝারি আকারের পেঁয়াজ কুচি, ১ টা ছোটো টমেটো কুচি, ১/৪ চা চামচ আদা বাটা, ১/৪ চা চামচ রসুন বাটা
মশলার জন্য:
১ ইঞ্চি তেঁতুল, ১ চা চামচ নলেন গুড়, ১ টেবিল চামচ সাদা তিল, ৩ টেবিল চামচ শুকনো নারকেল কোরানো, ১ চা চামচ গোটা ধনে, ২ চা চামচ গোটা জিরে, ২ টো কাশ্মীরি লাল লঙ্কা, ৩ টেবিল চামচ ভিনিগার, ১/২ চা চামচ Shalimar's ধনে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ Shalimar's জিরে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ Shalimar's হলুদ গুঁড়ো, ৩ টেবিল চামচ Shalimar's সরষের তেল

কীভাবে বানাবেন
উচ্ছে দু দিক কেটে নিয়ে নুন হলুদ মেশানো জলে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে শুকনো করে মুছে লম্বালম্বি ভাবে চিরে ভেতরের অংশ কুরে বের করে নিন। কাশ্মীরি লঙ্কা ভিনিগারে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে মিক্সিতে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। গোটা ধনে, গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, সাদা তিল, শুকনো নারকেল ড্রাই রোস্ট করে গুড়িয়ে নিন। এই গুঁড়ো মশলায় তেঁতুল আর নলেন গুড় মিশিয়ে আর একবার মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এবার উচ্ছের মধ্যে এই মশলা ভরে রাখুন। একটি ছোটো বাটিতে কাশ্মীরি লাল লঙ্কা বাটা, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো সামান্য জলে গুলে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। কড়াতে তেল গরম করে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে একে একে পেঁয়াজ কুচি, আদা রসুন বাটা, বাটা মশলা দিয়ে কষুন। পুর ভরা উচ্ছে গুলো সাজিয়ে ঢেকে রান্না করুন। হয়ে গেছে বুঝলে নলেন গুড়, গরমমশলা গুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

কাঁচা টমেটো ও নলেন গুড়ের আচারি চিংড়ি
কী কী লাগবে
চিংড়ি মাছ ২৫০ গ্রাম, Shalimar's সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ, ১ টা বড় কাঁচা টমেটো, ৫০ গ্রাম নলেন গুড়, ১/২ টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন, ১/২ চা চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়ো, ১ টা ছোট পেঁয়াজ কুচি, ৬ টি কাঁচা লঙ্কা, ১/২ চা চামচ আদাবাটা, ১/২ চা চামচ রসুন বাটা, ১ টা শুকনো লঙ্কা, ১/২ চা চামচ Shalimar's হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ Shalimar's কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ হিং, ১/২ চা চামচ Shalimar's ধনে গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ Shalimar's জিরে গুঁড়ো, ১ চা চামচ Shalimar's আমচূড় পাউডার, নুন স্বাদ মতো।
কীভাবে বানাবেন
চিংড়ি মাছ নুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো মেখে ১০ মিনিট রেখে হালকা ভেজে তুলে নিন। ঐ তেলে পাঁচফোড়ন, হিং, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে একে একে পেঁয়াজ কুচি, আদা রসুন বাটা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, কাঁচা টমেটো কুচি দিয়ে নেড়ে ঢেকে রান্না করুন। অল্প মজলে চিংড়ি মাছ, চেরা কাঁচালঙ্কা, নলেন গুড়, পাঁচফোড়ন গুঁড়ো মিশিয়ে নামিয়ে গরমভাতের সাথে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের টক ঝাল মিষ্টি আচারি চিংড়ি।

শম্পা দাস
গ্রিলড চিকেন ইন গার্লিক অ্যান্ড ডেট পাম জ্যাগারি সস
কী কী লাগবে
২ টি চিকেন ফিলেট
ম্যারিনেশনের জন্য: অর্ধেক লেবুর রস, ১ চা চামচ রসুন বাটা, ১ চা চামচ Shalimar's গোলমরিচ গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ নুন
সসের জন্য: ১/২ চা চামচ রসুন বাটা, ২ টেবিল চামচ নলেন গুড়, ১/২ চা চামচ লাইট সয়া সস
ভাজার জন্য: ১ টেবিল চামচ + ১ চা চামচ অলিভ অয়েল
কীভাবে বানাবেন
চিকেন ফিলেট গুলো নোড়া দিয়ে একটু থেতো করে, এবার ম্যারিনেশনের সব উপকরণ দিয়ে মেখে ১ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এক ঘন্টা বাদে গ্রিল প্যানে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে চিকেন ফিলেট গুলো গ্রিল মার্ক আসা পর্যন্ত গ্রিল করে নিতে হবে। অন্য একটি প্যানে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল ও রসুন বাটা দিয়ে একটু সতে করে সয়া সস দিয়ে নাড়ুন। এবার গ্রিল করা চিকেন ফিলেট গুলো ওরমধ্যে ভালো করে মিশিয়ে নলেন গুড় দিয়ে সসটা একটু ঘন হলে নামিয়ে নিন। সুন্দর করে সাজিয়ে সতে্ করা ভেজিটেবল আর ম্যাশড পটেটোর সাথে পরিবেশন করুন।
Comments