বনেদি বাড়ির হেঁশেল থেকে অতিথি আপ্যায়ন, সবেতেই মানানসই এমন চমৎকার এক রেসিপি দিলেন রক্তিমা কুণ্ডু।
- রোজকার অনন্যা
- Jun 18
- 2 min read
বাংলার রান্নাঘরে মাছের কদর চিরকালীন। প্রতিটি উৎসব, পরব কিংবা বিশেষ দিনের পাতে একটুকরো মাছ যেন আবশ্যিক। কিন্তু যখন মাছের সাথে মিষ্টির মেলবন্ধন ঘটে, তখন সেই রান্না হয়ে ওঠে একেবারে রাজকীয়। মিষ্টি দই দিয়ে বোয়াল মাছ এমনই এক অভিনব পদ যেখানে বোয়ালের গাঢ় স্বাদ ও দইয়ের মোলায়েম টক-মিষ্টি ভাব একসাথে মিশে তৈরি করে এক অদ্ভুত স্বাদ-বিস্ময়। এই রেসিপি বিশেষত তাদের জন্য, যাঁরা রান্নায় চেনা ছকের বাইরে গিয়ে নতুন কিছু চেখে দেখতে ভালোবাসেন।

মিষ্টি দই দিয়ে বোয়াল মাছ
কী কী লাগবে
বড় ২ টুকরো বোয়াল মাছ,
১/২ কাপ মিষ্টি দই,
১/২ কাপ টক দই,
১ চা চামচ বেসন,
১ টি পেঁয়াজ,
১ ইঞ্চি আদা,
৪ টি চেঁরা কাঁচা লঙ্কা,
১ চা চামচ চিনি,
স্বাদমত নুন,
৫ টেবিল চামচ Shalimar's সরষের তেল,
১ টি ছোট এলাচ,
১ টা ছোট তেজপাতা,
১ ইঞ্চি দারচিনি,
১ চা চামচ ঘি,
১/২ টেবিল চামচ Shalimar's Chef Spices কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো,
১ টেবিল চামচ লেবুর রস,
১ চা চামচ Shalimar's Chef Spices গরম মশলার গুঁড়ো,
১ টেবিল চামচ কুচনো ধনেপাতা।

কীভাবে বানাবেন
প্রথমে মাছগুলোকে নুন, কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো, সর্ষের তেল ও লেবুর রস দিয়ে ম্যারিনেড করে রাখতে হবে ১০ মিনিট। টকদই, চিনি, বেসন ও অল্প নুন দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ ও আদা একসাথে মিক্সিতে পেস্ট করে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তার রস টা আলাদা করে নিতে হবে। এবারে ফেটানো দইয়ের মিশ্রনে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ-আদার রস মিশিয়ে নিলেই গ্রেভির মিশ্রণ তৈরী। কড়াইতে তেল গরম করে মাছগুলোকে দুপাশে হাল্কা ভেজে তুলে নিতে হবে। ঐ তেলেই ঘি দিয়ে একে একে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ ফোড়ন দিয়ে ফোড়নের গন্ধ বের হওয়া অবধি নাড়িয়ে গ্যাসের আঁচ একদম কম করে দই এর মিশ্রণ ঢেলে অনবরত নাড়তে থাকতে হবে। ঢাকা না দিয়ে রান্নাটা ৫ মিনিট হতে দিয়ে চেরা কাঁচা লঙ্কা, মিষ্টি দই ও ভাজা মাছ দিয়ে দিতে হবে।মাছগুলো একবার গ্রেভিতে কোট করে প্রতি দিক ৪-৫ মিনিট করে ফুটতে দিতে হবে। এবার গরম মশলার গুঁড়ো, ধনেপাতা ছড়িয়ে হাল্কা হাতে নাড়াচাড়া করে গ্যাস অফ করে ৩-৪ মিনিট ঢেকে রেখে পরিবেশন করতে হবে।
মিষ্টি দই দিয়ে বোয়াল মাছ একটি ভারসাম্যপূর্ণ অথচ ব্যতিক্রমী পদ—যেখানে ঝাল, টক ও মিষ্টির সংমিশ্রণে তৈরি হয় এক অনন্য স্বাদের আবেশ। এটি শুধু পাতে স্বাদই বাড়ায় না, বরং অতিথি আপ্যায়নে বা বিশেষ খাওয়াদাওয়ার দিনে চমকপ্রদ সংযোজন হিসেবেও কাজ করে। পরিমাণমতো মশলা, সময়মতো নাড়াচাড়া আর ধৈর্য নিয়ে বানালে এই পদ আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বাংলার পুরনো জমিদার বাড়ির ভোজন পর্বে, যেখানে প্রতিটি রান্নাই ছিল এক একটি শিল্পকর্ম।
Comments