টুকটাক স্ন্যাকস অথবা বাচ্চাদের জন্য চমৎকার এই পদটি। রেসিপি দিলেন সোমা রায়।
- রোজকার অনন্যা

- Sep 8
- 2 min read
খামন ঢোকলা গুজরাটের অন্যতম জনপ্রিয় নাশতা। নরম, স্পঞ্জি আর হালকা এই খাবারটি একদিকে যেমন পেট ভরায়, তেমনি স্বাদে ভরপুর। বেসন দিয়ে তৈরি এই সোনালি রঙের পদে মিষ্টি, টক আর ঝালের সুন্দর মিশেল থাকে। ভাপে রান্না করা ঢোকলার উপরে সর্ষে, কারি পাতা আর কাঁচালঙ্কার ফোড়ন ঢালা হয়, যা খাওয়ার আনন্দ দ্বিগুণ করে। সকালের নাশতা, বিকেলের চা-সঙ্গী কিংবা অতিথি আপ্যায়ন সবক্ষেত্রেই এই পদ মানানসই। সহজ উপকরণে, অল্প সময়ে বানানো যায় বলেই ঢোকলা আজও ঘরে ঘরে জনপ্রিয়।

কী কী লাগবে
বেসন – ১ কাপ
সুজি – ২ টেবিলচামচ (ঐচ্ছিক, বাড়তি টেক্সচারের জন্য)
টক দই – আধা কাপ
জল – ১/২ কাপ (প্রয়োজনমতো)
লেবুর রস – ১ টেবিলচামচ
চিনি – ১ টেবিলচামচ
আদা-সবুজ লঙ্কা বাটা – ১ চা চামচ
ইনো – ১ চা চামচ (অথবা বেকিং সোডা – আধা চা চামচ)
লবণ – স্বাদমতো
ফোড়নের জন্য:
Shalimar's Sunflower তেল – ২ টেবিলচামচ
সর্ষে – ১ চা চামচ
কাঁচালঙ্কা – ২–৩ টি (চিরে দেওয়া)
কারিপাতা – ৭–৮ টি
চিনি – ১ টেবিলচামচ
জল – ১/২ কাপ
সাজানোর জন্য:
ধনেপাতা কুচি
নারকেল কোরানো (ঐচ্ছিক)
কীভাবে বানাবেন
একটি পাত্রে বেসন, সুজি, দই, জল, চিনি, লেবুর রস, আদা-লঙ্কা বাটা ও লবণ দিন।
ভালোভাবে ফেটিয়ে মসৃণ বাটা বানান। ঘনত্ব আইডলি ব্যাটারের মতো হবে।
ভাপে দেওয়ার আগে ইনো মিশিয়ে দিন। হালকাভাবে নাড়ুন। এতে বাটা ফেনার মতো হালকা হয়ে যাবে।
একটি ইস্পাতের থালা বা ঢোকলা স্ট্যান্ডে তেল মেখে নিন।
সঙ্গে সঙ্গে বাটা ঢেলে দিন।
স্টিমারে বসিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫–২০ মিনিট ভাপে রান্না করুন।
একটি কাঠি ঢুকিয়ে দেখে নিন সেদ্ধ হয়েছে কিনা। ঠান্ডা হলে পছন্দমতো আকারে কেটে নিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে সর্ষে ফোড়ন দিন।
তারপর কারি পাতা ও চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা দিন।
আলাদা করে চিনি ও জল মিশিয়ে কড়াইয়ে দিয়ে ফোটান।
এই গরম ফোড়ন ঢোকলার উপরে সমানভাবে ছড়িয়ে দিন।
উপর থেকে ধনেপাতা কুচি আর নারকেল কোরানো ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
সবুজ চাটনি বা টক-মিষ্টি তেঁতুল চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করলে খেতে আরও মজা।
টিপস:
ইনো না থাকলে বেকিং সোডা ব্যবহার করা যায়, তবে ইনোতে ঢোকলা বেশি ফ্লাফি হয়।
বাটা ফেটানোর সময় বেশি করে বাতাস ঢুকালে ঢোকলা আরও স্পঞ্জি হবে।
সময় কম থাকলে ভাপে না দিয়ে মাইক্রোওয়েভেও বানানো যায় (৪–৫ মিনিট)।








Comments