top of page

স্পাইস স্টোরি

Writer: Debi PranamDebi Pranam

মানুষের ভালোবাসার পরশ...খাদ্য সংস্কৃতির অনন্য সংযোজন


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাদ্যাভ্যাস বদলেছে। বদলেছে আমাদের স্বাদ। আমাদের রুচি, আমাদের গোটা খাদ্য সংস্কৃতির। জিভে জল আনা আচার বাংলার অন্যতম রসনা তৃপ্তিকর খাবার। খাদ্য, পুষ্টি ও হজমে সহায়ক আচার, চাটনির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দিকগুলোও কম চিত্তাকর্ষক নয়। শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে মজাদার আচারের মজার মজার তথ্য। সুলতানি আমলে মানসিংহের হাত ধরে বাংলায় প্রবেশ ঘটে আচারের। বাংলার অঞ্চল ভেদে পাওয়া যায় হরেক রকম আচার।

ফলের মৌসুম অনুযায়ী আচারের সমাগম ঘটে খাবারের পাতে। বিশেষত শেষ পাতে চাটনি বা আচার খুবই উপাদেয়।

চাটনি আর আচার দুই বস্তু। আর মজার বিষয় হলো, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন খাবারের একটি হলো এই আচার। তুলনায় চাটনি বেশ নবীন।

২০১৮-এর শেষের দিকে। আচার চাটনির অভিনব প্যাকেজিং বাজারে আসবে। নিয়ে আসার মাধ্যম একটা ভালো ব্র্যান্ড। ব্র্যান্ডটির ভাবনা আসে, ভারতের নিজস্ব হট সস ব্র্যান্ড তৈরি করার ইচ্ছে থেকে। কিন্তু মার্কেট সার্ভে করতে গিয়ে জানা গেল এদেশে বেশিরভাগ গ্রসারি শপে বাড়ির তৈরি ফুচকা ও সিঙারার চাটনি বিক্রি হয়, যা খুবই জনপ্রিয়। এ ছাড়াও জানা গেল, ক্রেতারা ট্র্যাডিশনাল ফ্লেভারগুলোই বেশি পছন্দ করেন। সহজে যাতে ব্যবহার করা যায় এবং তা সহজেই ক্যারি করা যায়, এমনটাই তো চাইছিলেন এরা। এরা মানে? স্পাইস স্টোরি। তখনি ওরা ঠিক করল, ভারতের এথনিক চাটনিগুলোকে আধুনিক সসের চেহারায় সহজে ব্যবহারযোগ্য ইকো-ফ্রেন্ডলি বোতলে হাজির করবে।

একটা সময় ফল কেটে রোদে শুকিয়ে তেল মশলা দিয়ে আচার বানিয়ে সব পরিবারই তুলে রাখত সারা বছর খাওয়ার জন্য। তবে চাটনি বাংলার নিজস্ব। আর সস তো সেভাবে রাখা সম্ভব হয় না। তাই এই ব্যস্ত সমস্ত যুগে কি সত্যই হারিয়ে যাবে এই খাদ্য সংস্কৃতি! তাই এই স্পাইস স্টোরি এগিয়ে এল ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটাতে। স্পাইস স্টোরির কোর ফাউন্ডিং টিম বরাবরই খাবারের বিষয়ে খুব আগ্রহী। ওঁদের টিমের প্রত্যেকে চান, খাদ্য জগতে একটা বিশেষ ছাপ ফেলতে। প্রত্যেকে এই বিষয়কে ভালোবেসে ফেলেছেন যে! দেখুন চাটনিকে তো আর মূল খাবারের অংশ বলা যায় না, বলতে হয় হজমের অনুঘটক বা খাবারের সহযোগী। পশ্চিম ভারতে অবশ্য আচার প্রধান খাদ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এক একটা প্রদেশে খাবারের সঙ্গে সস বা চাটনি তো অপরিহার্য।

ঐতিহাসিকভাবে আচার প্রচলিত ছিল বণিক অথবা যাযাবর সম্প্রদায়ের মধ্যে, যারা আবাস ছেড়ে শুকনা খাবার নিয়ে দূর-দূরান্তে পাড়ি দিতেন। তাদের খাদ্য ভাণ্ডারে অবশ্যই আচার থাকতো। ইতিহাসবিদদের মতে, পৃথিবীর প্রাচীনতম খাবার কিন্তু আচার-ই। ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান সভ্যতার সময়কাল থেকেই মানুষ আচার খাওয়া শুরু করে। ফলে এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম খাবারের একটি। আবার পৃথিবীর প্রাচীনতম খাবার আচারের ভেতর প্রাচীন উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় শসার তৈরি আচারের কথা।

এমনও জানা যায়, মিশরের সুন্দরী ও রাজনৈতিক কুশলী রানি ক্লিওপেট্রা আচার খেতেন, যা তিনি প্রেমিক ও রোমান বীর জুলিয়াস সিজারকেও খাওয়াতেন। রানি ক্লিওপেট্রা আচার খেতেন সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য। সিজার খেতেন প্রেমিকাকে তুষ্ট করার জন্য। ইউরোপে সিজারের কাছে আচার অবশ্যই অপরিচিত ছিল। খাদ্য হিসাবেও সেটি পশ্চিমা মুখে উপাদেয় হওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্রেম ও প্রণয়ের তোড়ে তা-ও খেয়েছিলেন সিজার! আশ্চর্য্য তথ্য হলো, আচার ছাড়া ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করতে পারতেন না।

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি চাটনি আচারের প্রচলন দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে। সেখানকার খাবার পরিবেশনের সময় নানা পদের সঙ্গে চাটনি আচার থাকবেই। বিশেষত, সেখানে নন-ভেজ বা নিরামিষাসীর প্রাধান্য অত্যাধিক। কিন্তু বর্তমান সময়টি খুবই কঠিন সময় আমাদের কাছে যা আমাদের বারবার বাধ্য করছে নিজেদের বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণাকে পালটে ফেলতে। এ বছরের শুরুতে ক্রেতাদের মানসিকতা স্বাভাবিক হয়ে উঠছিল বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় তরঙ্গের পর আবার ধাক্কা খেল। আমরা এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়ে আছি, যেখানে একদিকে মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন। অন্যদিকে তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিটা এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় খুব সতর্ক হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতি বদল হতে পারে মানুষ যত ভ্যাকসিন দেবে, তার উপর। হয়ত কনজিউমার্স কনফিডেন্স গড়ে তোলার কিছু পলিসি এলে, এই বদলানো কাজটা অনেক দ্রুত হবে।

স্পাইস স্টোরির ফাউন্ডাররা প্রত্যেকেই বেশ অভিজ্ঞ ও এই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। যারা পালের হাওয়া ঘুরিয়ে দিতে পারেন। প্রত্যেকেরই শক্তিশালি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। যেমন ধরুন না কেন, সৌমদীপের কথা। সৌমদীপ হলেন এফএমসিজি ও ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেস-এ ১৯ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডিস্ট্রিবিউশন স্পেশালিস্ট। তিনি ভারত, মিডল ইস্ট ও আফ্রিকাতে প্রচুর কাজ করেছেন। আবার গায়িত্রী হলেন, মার্কেটিং ও ব্র্যান্ড স্পেশালিস্ট। বিশ্বের বেশ কিছু নামিদামি ব্র্যান্ডে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। তিনি কেরিয়ার শুরু করেন ব্র্যান্ড মার্কেটিং এজেন্সি থেকে। পরবর্তীতে ভারতে ম্যাকডোনাল্ড ম্যানেজ করেন এবং একটি মেজর ডিটুসি কসমেটিক কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। আর বিভোরের বৈশিষ্ট হল প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্ট, ফুড টেক ও মেনু ক্রিয়েশন। তাজ হোটেলস ও গোদরেজ বয়েস-এর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আছে প্রচুর। ফলে এঁদের সকলের চেষ্টায় ও মেধায় এই স্পাইস স্টোরি যে একটা কিছু করবে, তা নিশ্চিত। ওঁরা সব সময় মনে করেন, যে আচার, পাঁপড় ও চাটনি আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির অনেকটা অংশ জুড়ে থাকে। খাবারে অন্যমাত্রা এনে দিতে এরা অপরিহার্য। সিঙ্গারার উপর পুদিনার চাটনি হোক বা কচুরীর উপর শুকনো আদা কুচি, কিংবা রোলের মধ্যে সস। স্পাইস স্টোরি এই পারম্পরিক স্বাদ গুলোকে খুব সহজ ব্যবহার্যের উপযোগী করে হাজির করেছে জন সমক্ষে। যা সারা দেশের সমস্ত ক্রেতারই হাতের মুঠোয়। স্বাদে ও উপকরনে এরা অন্থেটিক। এঁদের পদ্ধতির দৌলতে এঁদের প্রোডাক্টগুলির সেলফ লাইফ তুলনামুলকভাবে অনেকটাই বেশি। ওঁদের ইকো-ফেন্ডলি বোতলগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ও স্টোর করে রাখার জন্য খুব সুবিধাজনক।

এই মুহূর্তে স্পাইস স্টোরি কি চায়? তাঁদের উদ্দেশ্য, ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক আরও জোরালো করে তোলা। আপাতত ওরা মাত্র আটটি শহরে অফ লাইন কাজ করছে। এবং সেই শরগুলিতেই আরও বিস্তার ঘটানোর প্রয়োজন বলে উপলব্ধি করছে। তা তারা করবেই। ওঁদের সঙ্গে কথা বলে তেমনটাই বোঝা গেল। ওদের ডিটুসির ক্ষেত্রও স্ট্রং। ওদের শরীরী শক্তি প্রবল। সঙ্গে জাগ্রত ইচ্ছাশক্তি। মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এরা আলাপ, পড়ে বিস্তারে এগিয়ে যেতে চায় লক্ষের পথে। আগে পরিচয়ের জমি তৈরি হোক, তারপর কমিউনিকেশনে মন দেওয়া। স্পাইস স্টোরির এই মুহূর্তে প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য এমন একটা শক্তিশালী ব্র্যান্ড তৈরী করা, যাতে মানুষ অনেক বেশি করে আপন করে নেবে। তাঁদের আস্থা বাড়বে। বিশ্বাস বাড়বে। স্বাদে গন্ধে ফিরে পাবে যেন নিজেকেই।



 

コメント


ssss.jpg
sssss.png

QUICK LINKS

ABOUT US

WHY US

INSIGHTS

OUR TEAM

ARCHIVES

BRANDS

CONTACT

© Copyright 2025 to Debi Pranam. All Rights Reserved. Developed by SIMPACT Digital

Follow us on

Rojkar Ananya New Logo.png
fb png.png

 Key stats for the last 30 days

bottom of page