top of page
Search

যমুনা নদীর তীরে, Awesome ওটস...

রাই কিশোরীর সেই যমুনা আজ বিষন্ন। এর বুকে আর কথা কয় না প্রেমিকযুগল। তবু জল বয়ে যায়। আপনিও পায়ে পায়ে পৌঁছে যান এই নদীর কাছে। উত্তর ভারতের সেই পুরনো শহরগুলোর কাছে।

আগ্রা

আগ্রা ইতিহাস বিজড়িত ভারতের প্রসিদ্ধ স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রাসাদ ও মসজিদের ছড়াছড়ি এই শহরে। তাজমহল দেখতে প্রায় সারাবছরই দেশ-বিদেশের পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের ভীড় লেগেই থাকে।


কী কী দেখবেন:

তাজমহল যমুনা নদীর ধারে শ্বেতপাথরের তৈরি মমতাজ মহলের সমাধি আজও পর্যটকদের আকর্ষণ করে। স্থপতি ওস্তাদ ইশা তাঁর এই কাজের মধ্যে দিয়ে এখনও অমর হয়ে আছেন। লাল বেলেপাথর আর শ্বেত পাথরে গড়া এই সৌধ পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি। মুঘল সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞীর সমাধির চারিদিকে শ্বেতপাথরের জালির নিখুঁত কাজে ফুটে উঠেছে কোরানের বানী। যমুনার বুকে না জানি কত জল বয়ে গেছে। সময় সাক্ষী হয়েছে কত লুটতরাজ আর পালা বদলের। কিন্তু ভালোবাসার এই স্মৃতি মলিন হয়নি। তাই আজও হাতে হাত রেখে প্রেমিকযুগল পৌঁছে যায় এখানে।


পায়ে পায়ে ঘুরে দেখে, ছুঁয়ে অনুভব করে এর না বলা কথা। তারপর ফিরতি পথে কাছের বাস্কে বন্দী ছোট্ট তাজ তাদের সঙ্গী হয়। কত সময় ধরে না জানি এটাই আগ্রার রীতি হয়ে এসেছে। তবে ওখানে গেলে তাজমহলের পাশে স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। নানা রকম হাতের কাজের জিনিস পাওয়া যায় সেখানে। অবশ্যই চেখে দেখবেন আগ্রার বিখ্যাত পেঠা।

আগ্রা ফোর্ট:

দুর্গটি তৈরি করেছিলেন সম্রাট আকবর। এই দূর্গে দেখতে পাবেন- আকবর মহল, যোধাবাঈ মহল-মন্দির, জাহাঙ্গীর মহল, ঔরঙ্গজেব-এর হাতে শিবাজী-র বন্দী থাকার কক্ষ, শাহজাহানী মহল, খাস মহল, হামাম (বাদশা বেগমের স্নানঘর), শীসমহল, মীনা মসজিদ, দেওয়ানী আম, মাচ্ছি ভবন, মতি মসজিদ, সূর্যঘড়ি আর মীনাবাজার। আকবরের সমাধি- সিকান্দ্রায় আকবরের পাঁচতলা সমাধিসৌধ। এরই নীচে সম্রাট আকবরের আসল

সমাধি। পাশেই লাল পাথরে তৈরী সমাধিতে শায়িত সম্রাটের রাজপুত বেগম সাহেবা মরিয়ম বিবি। মৃত্যুও যেন ওদের কখনও আলাদা করতে পারেনি।




ইতমদ্-উল-দৌলা-র সমাধি:

জাহাঙ্গীরের প্রধানমন্ত্রী ও নূরজাহানের পিতা ইতমদ-উল-দৌলার মৃত্যুর পর এই সমাধিসৌধ নির্মাণ করা হয়। পারস্য দেশীয় মোজেক ও শ্বেত পাথর দিয়ে নির্মিত এই সৌধ তাজমহলের মতোই দৃষ্টিনন্দন।

চিনি-কা-রৌজা-শাহজাহানের প্রধান মন্ত্রী ও ফার্সী কবি আফজল খান মুল্লা-র সমাধি। মৃত্যুর আগে তিনি নিজেই এটি তৈরী করিয়েছিলেন।


দয়ালবাগ:

দয়াল সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী স্বামী মহারাজ-এর সমাধি মন্দির। ১৯৪০ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। একে স্বামীবাগ বা পরমপ্রভুর বাগও বলা হয়।

জামা মসজিদ:

শাহজাহান পারসিক শিল্পশৈলীর অনুকরণে ১৬৬৪ সালে জামা মসজিদ নির্মাণ করান। এগুলোর পাশাপাশি তাজ মিউজিয়াম, ফতেপুর সিক্রি ঘুরে দেখতে পারেন। নৌকা নিয়ে যমুনায় সময় কাটাতে পারেন।


কীভাবে যাবেন:

কলকাতা থেকে আগ্রা যাওয়ার অনেক ট্রেন আছে। শিয়ালদহ থেকে সওয়ার হতে পারেন।

শিয়ালদহ-আজমের অনন্যা এক্সপ্রেস (বৃহস্পতিবার), শিয়ালদহ-জয়পুর এক্সপ্রেস (শুক্রবার), ইত্যাদি। হাওড়া থেকে-উদ্যান আভা তুফান এক্সপ্রেস (প্রতিদিন সকাল), হাওড়া-যোধপুর এক্সপ্রেস

(প্রতিদিন রাতে), চম্বল এক্সপ্রেস ( শুক্রবার), ইত্যাদি। কলকাতা থেকে দিল্লী গিয়ে গাড়ি বা বাসে করেও আগ্রা যাওয়া যায়।

মথুরা:

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র মথুরা। এখানকার ঝুলনযাত্রা ও দোলযাত্রা বিখ্যাত। শ্রীকৃষ্ণের বাল্য ও কৈশোর কাটে মথুরাতে। তাঁর বাল্যলীলাকে কেন্দ্র করে হাজারেরও বেশী মন্দির গড়ে উঠেছে যা বৈষ্ণবদের কাছে পরম পবিত্র স্থান। এখানে সারা বছরই বেশ লোকসমাগম থাকে।


কী কী দেখবেন:

গীতা মন্দির:

মথুরার সবথেকে আকর্ষণীয় মন্দির যা সাম্প্রতিক কালে নির্মিত। মন্দিরটির গঠনশৈলী, কারুকার্য, চিত্রশিল্প এবং স্তম্ভের গায়ে খোদাই করা গীতার শ্লোক পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

দ্বারকাধীশ মন্দির:

মথুরা শহরের কেন্দ্র স্থলে ১৮১৪ সালে শেঠ গোকুল দাস এই মন্দির নির্মাণ করেন। সকাল-সন্ধ্যায় মনোরম আরতি দেখার জন্য পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।


কংসের দুর্গ:

যমুনা নদীর উত্তর দিকে রাজা কংসের দুর্গ ছিল। পরে অম্বরের রাজা মানসিংহ কারাগারটির সংস্কার করেন।


জুম্মা মসজিদ:

ঔরঙ্গজেবের অনুপ্রেরণায় তৈরি লাল বেলেপাথরের মকবারা বা জুম্মা মসজিদ।


কীভাবে যাবেন:

আগ্রা থেকে মথুরার দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিমি। গাড়ি বা বাসে যাওয়া যায়। যারা কলকাতা থেকে সরাসরি মথুরা দর্শনে যাবেন তাঁদের হাওড়া থেকে উদ্যান আভা এক্সপ্রেস-এ যাওয়াই সুবিধাজনক। এছাড়া বিমানেও যেতে পারেন।

বৃন্দাবন:

মথুরা নগর থেকে ১২ কিমি দূরে বৃন্দাবনধাম অবস্থিত। কোনও এক সময় এখানে যমুনা প্রবাহিত হত। এখানকার

লীলাস্থলগুলির সংখ্যা প্রায় ৩৭৭৫। এখানে বেশ কয়েকটি হোটেল ও ধর্মশালাও আছে।


কী কী দেখবেন:

মদনগোপাল মন্দির: মন্দিরটির স্থাপত্য কৌশল চোখে পড়ার মতো।

গোবিন্দ মন্দির জয়পুরের রাজা মানসিংহ ১৫৯০ সালে গ্রীক স্থাপত্য রীতি মেনে সাততলা এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এখন এর তিনতলা বাকি আছে।


রঙ্গজীর মন্দির:

এটি বৃন্দাবনের দীর্ঘতম মন্দির ১৮৫১ সালে শেঠ গোবিন্দ দাস মন্দিরটি নির্মাণ করান।

রাজপুতানা:

স্থাপত্যশৈলী অনুসরণে নির্মিত মন্দিরটির ধ্বজস্তম্ভ সোনার পাত দিয়ে মোড়া।

শ্রীরাধিকার ক্রীড়াস্থলী:

আজ এখানে কুঞ্জবিহারীর মন্দির প্রতিষ্টিত। সম্প্রতি এর নাম নিধুবন।

যুগলকিশোর মন্দির: কোশিঘাটে ১৬২৭ সালে এই মন্দির নির্মিত হয়। এর নাটমন্দিরের খিলানের নিচে গোবর্ধনলীলা

উৎকীর্ণ রয়েছে। খোদাই-এর এমন নিখুঁত কাজ সচরাচর চোখে পড়েনা।

গোকুল:

মথুরা থেকে ৪.৫ কিমি দূরে যমুনা নদীর ধারে গোকুল অবস্থিত। এখানে মথুরানাথের মন্দির, শ্যামলালজীর মন্দির ও

রাস খাঁ-এর সমাধি দর্শন করার মতো।

যশোদা মায়ের মন্দির:

শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলার পীঠস্থান। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর সময় 'অন্যকূট মহোৎসব'-এ যোগদানের জন্য হাজার হাজার লোক আসে। এছাড়া কার্তিক মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে 'ত্রিনবৎ' মেলা ও উৎসব জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। চুরাশি খাম্বা এটা নন্দভবন হিসাবে খ্যাত। মেবারের রাণা কাটিয়া সুবিশাল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরে রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আজও পূজিত হচ্ছে।

তাজমহোৎসব:

তাজমহোৎসব অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে। তখন থেকেই এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এই উৎসব কেন্দ্রিয় পর্যটন বিভাগের বিশেষ তালিকাভুক্ত। প্রতিবছর মার্চ মাসে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে লোকজন অসেন এই উৎসবের অংশ হতে। এখানকার হস্তশিল্প মেলা শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দেয়। সাথে আপনারাও পেয়ে যাবেন হাতে তৈরী চমৎকার কারুকার্য করা বিভিন্ন জিনিস আপনার সাধ্যের মধ্যেই।




তাজমহোৎসবে প্রতিবছর প্রায় ৪০০জন শিল্পী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের শিল্পকর্মের সম্ভার নিয়ে আসেন। যেমন- তামিলনাড়ুর কাঠ/পাথরের জিনিসপত্র, উত্তর-পূর্ব ভারতের বাঁশ/বেতের জিনিস, দক্ষিণ ভারত ও কাশ্মীরের কাগজের মন্ডের কাজ, আগ্রার মার্বেল ও জারদৌসি কাজ, সাহারনপুরের কাঠের কাজ, মোরাদাবাদের কাঁসার জিনিস, খুরজার মাটির জিনিস, লক্ষ্ণৌর চিকন, বেনারসের সিল্ক ও জরির কাজ, কাশ্মীর ও গুজরাটের শাল ও কার্পেট, ফারুখাবাদের হাতে আঁকা ছবি এবং পশ্চিম বাংলার কাঁথা স্টিচ, ইত্যাদি। অনবদ্য শিল্প সম্ভারের পাশাপাশি এই মহোৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও চোখে পড়ার মতো। এখানকার ধ্রুপদী, লোকগীতি ও নৃত্যানুষ্ঠান আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিল্পীরা আসেন তাদের সুর ও ছন্দের ডালি সাজিয়ে। এসব ছাড়াও এই মহোৎসবে পাবেন নানারকম লোভনীয় খাবার। এখানে জিভে জল আনা দেশ-বিদেশের নানান সুস্বাদু পদ পেয়ে যাবেন। সেগুলো চেখে দেখতে ভুলবেন না। পাশাপাশি থাকে আনন্দমেলা যেখানে শুধু বাচ্চারাই নয় বড়রাও ছোট-বড় বিভিন্ন রাইড চড়ার আনন্দ নিতে পারবেন।

তাজমহোৎসব সংক্রান্ত সবরকম তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:

অফিস সেক্রেটারি, তাজমহোৎসব সমিতি, ইউ.পি.ট্যুরিজম

৬৪, তাজ রোড, আগ্রা-২৮২০০১

ফোন- ৯১ ৫৬২ ২২২ ৬৪৩১/২২৩৩০৫৬

এছাড়াও বৃন্দাবনে ভূতেশ্বর মন্দির, ধেনাকামুর, ধ্রুবটিলা, কুমুদবন, রাধাকুণ্ড শান্তনু কুণ্ড, গাটুলি, গুলান কুণ্ড, প্রিয়াজী মন্দির, কদমখণ্ডী, প্রেমসরোবর, সবনসরোবর, ক্ষীরসাগর, মানসসরোবর, লৌহবন ইত্যাদি বিখ্যাত।

কীভাবে যাবেন:

মথুরা থেকে বৃন্দাবন পর্যন্ত সকাল ৫-৩০ থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত বাস চলাচল করে।


Awesome ওটস

রাত দিন চারিদিকে একটাই কথা, ভালো খান, সুস্থ থাকুন। কিন্তু এই ভালো খাবারের তালিকায় স্বাদের পাল্লা একটু ডগমগ। স্বাদে হিট মেনু স্বাস্থ্যে ফিট নয়। আবার যে-খাবার স্বাস্থ্যকর তার স্বাদ ঠিক জুতসই নয়। যেমন ধরুন ওটস। হাজারো গুণাগুণ, কিন্তু খেতে গেলেই সবার মুখ বেজার। এবারের রান্নার পাতায় থাকল এই সমস্যার সমাধান। বিস্বাদ ওটসের কিছু সুস্বাদু রেসিপি। জমিয়ে খান, সুস্থ থাকুন।

ওভারনাইট ওটস


কী কী লাগবে

ওটস ১/২ কাপ, দই ১/৩ কাপ, দুধ ১/২ কাপ, ফ্লাক্স সিড (তিসি বীজ) ১ টেবিল চামচ, ভ্যানিলা ১/২ চা চামচ, মধু অথবা ম্যাপল সিরাপ ২ টেবিল চামচ, টাটকা স্ট্রবেরি (কুচোনো) ১/৪ কাপ, ক্রিম চিজ ৩ টেবিল চামচ, পাতি লেবু (জেস্ট, রস) ১/২ টি, নুন ১ চিমটি

কীভাবে বানাবেন

সবক'টি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি কাচের বয়ামে ভরে ঢাকনা আটকে দিন। সারা রাত অথবা কমপক্ষে ৪-৫ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে সার্ভ করুন।

ওটস ইডলি


কী কী লাগবে

ওটস (কুইক কুকিং/রোল ওটস) ২ কাপ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ টেবিল চামচ, গোটা সর্ষে ১ টেবিল চামচ, অড়হর ডাল ১ টেবিল চামচ, ছোলার ডাল ১/২ টেবিল চামচ, কাঁচা লঙ্কা (কুচোনো) চা চামচ, গাজর ১ কাপ, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ, দই ১/২ কেজি, খাওয়ার সোডা ১ চিমটি, নুন স্বাদ অনুযায়ী

কীভাবে বানাবেন

শুকনো খোলায় ওটস ভেজে গুঁড়ো করে নিন। তেল গরম করে সর্ষে, অড়হর ডাল, ছোলার ডাল দিয়ে সোনালি করে ভেজে তাতে লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা ও গাজর দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে হলুদ গুঁড়ো, নুন, ওটসের গুঁড়ো ও টকদই দিয়ে থকথকে ব্যাটার বানান। প্রয়োজনে আরও কিছুটা দই মেশাতে পারেন। স্টিমিং প্লেটে তেল ব্রাশ করে ইডলি ব্যাটার ঢেলে ১৫-২০ মিনিট স্টিম করলেই তৈরি। পছন্দসই চাটনি সহ পরিবেশন করুন।

ওটস উপমা


কী কী লাগবে

ওটস রোস্টিং-এর জন্য, ওটস (কুইক বুকিং) ১ কাপ, সাদা তেল ১/২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ

অন্যান্য উপকরণ:

গোটা সর্ষে ১ চা চামচ, অড়হর ডাল ১ চা চামচ, শুকনো লঙ্কা ২ টি, কাজু বাদাম ৮-১০ টি, আদা (কুচোনো) ১ ইঞ্চি, কাঁচা লঙ্কা (কুচোনো) ১ টি, পেঁয়াজ (মিহি করে কুচোনো) ১/২ টি, গাজর ১/২ টি, ফ্রেঞ্চ বীনস (কুচোনো) ৬ টি, কারি পাতা ৫ টি, মটরশুঁটি ১/৪ কাপ, ধনেপাতা গার্নিসের জন্য, জল ২ কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, নুন স্বাদ অনুযায়ী

কীভাবে বানাবেন

প্যানে সামান্য তেল গরম করে ওটস, একটু হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মুচমুচে করে ভেজে নিন।

ভাজা ওটস নামিয়ে রেখে আরেকটু তেল গরম করে সর্ষে, অড়হর ডাল, শুকনো লঙ্কা, কাজু বাদাম ও কারিপাতা দিন। এগুলো ভাজা হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, আদা কুচি, গাজর, মটরশুঁটি আর ওটস দিয়ে দিন। সব একসঙ্গে ভালো করে মেশান। এতে নুন, হলুদ গুঁড়ো ও চিনি মিশিয়ে ১-২ কাপ জল দিয়ে হালকা আঁচে রান্না হতে দিন। সময় মতো নামিয়ে লেবুর রস ও ধনেপাতা ছড়িয়ে গরম গরম সার্ভ করুন।

ওটস মাফিন

কী কী লাগবে

ময়দা দেড় কাপ, ওটস ১ কাপ, চিনি ১/২ কাপ, ডিম ১ টি, দুধ ৩/৪ কাপ, সাদা তেল ১/৩ কাপ, পাকা কলা (চটকানো) ১ টি, বেকিং পাউডার ২ চা চামচ, বেকিং সোডা ১ চা চামচ, ভ্যানিলা ১/২ চা চামচ, নূন ১/২ চা চামচ


কীভাবে বানাবেন

সবরকম শুকনো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি বড় বাটিতে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন। এবার শুকনো উপকরণের মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এই ব্যাটারটি ১২ টি মাফিন কাপে ভরে ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (২০৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট)-এ ১৮-২০ মিনিট বেক করে নিন।

ব্যানানা ওটস প্যান কেক


কী কী লাগবে

পাকা কলা ২ টি, ডিম ২ টি, ওটস ১/২ কাপ, বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ, ম্যাপল সিরাপ বা মধু স্বাদ অনুযায়ী, টাটকা ফল (কুচোনো) পছন্দ অনুযায়ী, নুন ১ চিমটি

কীভাবে বানাবেন

ব্রেন্ডারে কলা, ডিম, ওটস, বেকিং পাউডার এবং নুন দিয়ে ভালকরে ব্লেন্ড করে ১০-১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। ননস্টিক প্যানে তেল গরম করে এই ব্যাটার দিয়ে কয়েকটি প্যান কেক বানিয়ে নিন। মধু অথবা ম্যাপল সিরাপ ছড়িয়ে ফল দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চকলেট ওটস বার


কী কী লাগবে

ওটস ৩ কাপ, মাখন ১ কাপ, ব্রাউন সুগার ১/২ কাপ, চকলেট চিপস (সেমি সুইট) ১ কাপ, পিনাট বাটার ১/২ কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ


কীভাবে বানাবেন

চৌকো আকৃতির প্যানে মাখন ব্রাশ করুন। মাখন গলিয়ে চিনি, ভ্যানিলা এবং ওটস মিশিয়ে কম আঁচে ২-৩ মিনিট রান্না করুন। এই মিশ্রণের অর্ধেকটা মাখন মাখানো প্যানে ভালো করে বিছিয়ে দিন। এবার চকলেট চিপস ও পিনাট বাটার কম আঁচে মিশিয়ে বসিয়ে মিশিয়ে ফেলুন। চাইলে গরম জলে বাটি বসিয়ে মেশাতে পারেন, তাহলে পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। কারণ, চকলেট খুব তাড়াতাড়ি পুড়ে তেতো হয়ে যায়। চকলেট গলে গেলে ওটসের মিশ্রণের ওপর ঢেলে দিন এবং এই চকলেট লেয়ারের ওপর বাকি ওটসের মিশ্রণ ছড়িয়ে আলতো চাপ দিয়ে সেট করুন। এবাব এটি ঢাকা দিয়ে ২-৩ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন। সার্ভ করার ঠিক আগে বের করে বারের আকারে কেটে নেবেন।

Comments


bottom of page