top of page
Search

পিসিওএস, পিসিওডি... হরমোনাল পিল নয়, হবে যোগাসনে রোগমুক্তি... লিখলেন যোগাচার্য্য মধুবন্তী দে...

Updated: May 7, 2023

যোগাচার্য্য মধুবন্তী দে (গোল্ড মেডেলিস্ট) - যোগা এবং ওয়েলনেস কোচ






বর্তমানে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ভারতীয় নারী পিসিওস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম) অথবা পিসিওডি (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিসিজ) এ আক্রান্ত। এই রোগের খুঁটিনাটি এবং সুস্থতার উপায় নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো।



পিসিওডি, পিসিওস কি?



এটি মূলত হরমোনের তারতম্যের কারণে হয়। সাধারণত একটি বয়স অতিক্রম করার পর সব মেয়েরই ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে ডিম নির্গত হয়। নিষেক না ঘটলে সেই ডিম দেহ থেকে বার হয়ে যায় রক্তের মাধ্যমে।


পিসিওডি-র ক্ষেত্রে এই ডিম নির্গত হওয়ার নিয়মটি নির্দিষ্ট রীতি মেনে হয় না। কখনও অপরিণত ডিম, কখনও বা আংশিক সম্পূর্ণ ডিমে ভরে যায় ডিম্বাশয়। এই অপরিণত ডিমগুলো দেহ থেকে বার হতেও পারে না। এক সময় সেই ডিমগুলোই জমে সিস্টের আকার নেয়। ছোট ছোট টিউমারের আকারে দেখতে এই সিস্টগুলো তরল বা অর্ধতরল উপাদান দিয়ে তৈরি।দু’টি ঋতুচক্রের মাঝে একটি ডিম্বাণু এসে হাজির হয় জরায়ুতে। কিন্তু ডিম্বাশয়ে সিস্ট থাকলে ডিম্বাণু সম্পূর্ণ হতে পারে না ও ডিম্বাশয় ছাড়িয়ে জরায়ুর দিকে এগোতেও পারে না। এ দিকে শুক্রাণু নিষিক্ত হওয়ার জন্য এসে পড়লেও তার উপযুক্ত ডিম সিস্টের ভিড়ে খুঁজেই পায় না। ফলে একটা সময়ের পর বিনষ্ট হয়ে যায়। ‘পলি’ কথার অর্থ অনেক। অনেক সিস্ট ডিম্বাশয়ের উপর জমলে এই অসুখ বেশি করে দেখা যায়। কমবেশী ৬ মিলিলিটার পর্যন্ত ওজন হতে পারে এই সিস্টগুলির। প্রতি ডিম্বাশয়ে ১২-১৫ টা সিস্ট দেখা যেতে পারে।



কি করে বুঝবেন আপনি এই রোগে আক্রান্ত?



১. হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি এবং ওজন হ্রাসে বিপত্তি



২. মুখে, গলায় ক্রমাগত ব্রণ হওয়া এবং সহজে না কমা



৩. সমগ্র শরীরে অতিরিক্ত চুল হতে শুরু করা



৪. মাথার চুল পাতলা হয়ে আসা



৫. অনিয়মিত মাসিক চক্র, অতিরিক্ত রক্তপাত



৬. বিষন্নতা



পিসিওডি থেকে অন্য আর কি কি রোগ হতে পারে?



১.উচ্চ রক্তচাপ 



২.কার্ডিওভাসকুলার রোগ



৩.কোলেস্টেরল এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি



৪.গর্ভপাত



৫.বন্ধ্যাত্ব



৬.গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস



৭.নিদ্রাহীনতা



৮.টাইপ 2 ডায়াবেটিস



৯.বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক ব্যাধি



১০.এন্ডমেট্রিয়াল ক্যান্সার



১১.অস্বাভাবিক জরায়ু রক্তপাত



১২.দীর্ঘস্থায়ী লিভারের প্রদাহ



সমাধান



আপনার জীবনশৈলীর পরিবর্তন ই আপনাকে এইরোগ থেকে মুক্তি দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম, সঠিক পরিমাণে স্বাস্থ্যকর আহার এবং যোগাসন এটুকু মেনে চললেই আপনি সুস্থ থাকবেন। দেখে নিন কী কী যোগাসন এই রোগের ক্ষেত্রে উপকারী...



১.সূর্যনমস্কার

২.চাক্কি চালন

৩.জানুশিরাসন

৪.মালাসন

৫.ভদ্রাসন



৬.সেতুবন্ধাসন



৭.বিতিলাসন



৮.মার্জারি আসন


৯.আনন্দবালাসন


১০.অনুলোম বিলোম

Comments


bottom of page