top of page

জগাইয়ের লেখক খোঁজা

সিদ্ধার্থ সিংহ

ঋককে দেখেই হাতকাটা জগাই চিৎকার করে উঠল, আই ঋকা, ঋকা, এ দিকে শোন তো... এ দিকে শোন।

হাতকাটা জগাইয়ের কথা অমান্য করবে এ তল্লাটে কেন, আশপাশের কোনও তল্লাটের কারও সাধ্য নেই। তাই হাজার তাড়া থাকলেও বড় বড় পা ফেলে ঋক এসে হাজির হল ওর সামনে।

আগে ওর নাম ছিল জগাই। পার্টি-পলিটিক্স করত। দাদাদের হাত ছিল মাথার ওপরে। সেটা ভাঙিয়েই দাদাগিরি করত। তাই সচরাচর কেউ ওকে ঘাঁটাত না। ইলেকশনের আগে রেল লাইনের ধারে কোন ঝুপড়িতে বসে কয়েক জন মিলে বোমা বাঁধছিল। কী থেকে যে কী হয়ে গেল, কিচ্ছু বোঝা গেল না। হঠাৎ বিস্ফোরণ। উড়ে গেল ঝুপড়ি। স্প্লিন্টার বুকে নিয়ে লুটিয়ে পড়ল একজন। একজনের চোখ গেল চিরজীবনের জন্য। একজনের মুখ গেল ঝলসে। আর জাগাইয়ের উড়ে গেল একটা হাত।

সেই থেকে লোকের মুখে মুখে জগাই হয়ে গেল--- না, হাত-ওড়া নয়, হাতকাটা জগাই। যদিও ওর সামনে কেউ ওই নামে ওকে ডাকে না। বলে জগাইদা। আর এই হাত উড়ে যাওয়ার পর থেকেই ও যেন কেমন পাল্টে গেল। মস্তান থেকে সোজা সমাজসেবী। কার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না, কার ছেলে সামান্য নম্বরের জন্য ক্লাসে উঠতে পারেনি, কোথায় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, কোথায় রক্তদান শিবির, কার বাড়িওয়ালা ভাড়াটে তুলতে পারছে না, কোন কেরোসিন তেলের ডিলার প্রকাশ্য দিবালোকে পাচার করে দিচ্ছে ড্রামকে ড্রাম তেল, কোন মেয়েকে কোন ছেলে খারাপ ইঙ্গিত করেছে--- সব জায়গায় ও। না, এখন ওর আরাধ্য দেবতা আর মার্ক্স-লেনিন নন, একমাত্র আরাধ্য--- স্বামী বিবেকানন্দ।

সেই হাতকাটা জগাইকে ঋক জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে গো?

--- এই, তুই তো ওকালতি করিস। প্রচুর লোকের সঙ্গে তোর যোগাযোগ। আমাকে একটা লেখক জোগাড় করে দে না...

--- লেখক? লেখক দিয়ে তুমি কী করবে?

একটু লজ্জা পেয়ে হাতকাটা জগাই বলল, আসলে আমরা একটা বইমেলা করছি...

--- বইমেলা? তুমি?

--- কেন? আমি কি বইমেলা করতে পারি না?

ঋক বলল, না না, তা না। আসলে তুমি আর বইমেলা তো... ঠিক মেলাতে পারছি না।

--- কিচ্ছু মেলাতে হবে না। তুই শুধু আমাকে একটা‌ লেখক জোগাড় করে দে। পারবি?

--- কেন পারব না জগাইদা?

--- তা হলে যত তাড়াতাড়ি পারিস, একটা জোগাড় করে দে।

--- তাকে দিয়ে তুমি কী করাতে চাও, সেটা তো বলো।

হাতকাটা জগাই বলল, আরে, আমি না হয় লেখাপড়া করিনি। তোরা তো করেছিস। এটা বুঝতে পারলি না? তাকে দিয়ে তো আর মাঠের ঘাস ছেঁড়াব না। প্যান্ডেলও বাঁধতে বলব না...

--- আমি তো সেটাই জানতে চাইছি।

--- তাকে দিয়ে ফিতে কাটাব। বইমেলা তো! নেতা-ফেতা দিয়ে হবে না। একজন লেখক চাই।

ঋক বলল, ও তাই বলো। আসলে যাঁকে বলব, তাঁকে তো বলতে হবে কী অনুষ্ঠান, কবে, ক'টায়? তাঁকে কী করতে হবে। তাই আর কি...

--- বলবি, বইমেলার ফিতে কাটতে হবে। সন্ধে ছ'টা নাগাদ আসলেই হবে। দরকার হলে আমরা গাড়ি করে নিয়ে আসব। আবার গাড়ি করেই পৌঁছে দিয়ে আসব। জাস্ট আধ ঘণ্টার ব্যাপার। ফুলের তোরা দেব। গলায় যেটা দেয়, উত্তরের... না কী একটা বলে না... সেটা দেব। মিষ্টির প্যাকেট দেব। প্রচুর ছবি উঠবে। মিডিয়ারা থাকবে। লোকাল চ্যানেলে লাইফ টেলিকাস্ট হবে। উনি শুধু ফিতেটা কেটে দেবেন, ব্যস...

ঋক চুপ করে কথাগুলো শুনল। তার পর বলল, লেখক তো প্রচুর আছে। তোমার কী রকম লেখক চাই, বলো।

--- কী রকম! কী রকম! কী রকম! আমতা আমতা করে বলল, আরে বাবা, লেখক হলেই হল, তার আবার রকমসকম!

--- না... তাও...

--- তা হলে ভাল লেখকই দে। এটা তো তোরও পাড়া, নাকি? পাড়ার নাম হলে তো তোরও ভাল, তাই না? বেশিক্ষণ তো লাগবে না। আসবে। ফিতে কাটবে। চলে যাবে। এই তো... তার জন্য আবার এত কী!

--- না, মানে ওনাকে কি মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে হবে?

হাতকাটা জগাই বলল, যদি বলতে চায়, বলবে। বসেও বলতে পারে।

--- আচ্ছা, ঠিক আছে, আমি কথা বলে তোমাকে জানাব, কেমন?

--- কবে জানাবি?

--- আজকালের মধ্যেই জানিয়ে দেব।

--- ঠিক আছে, পাক্কা। তা হলে ওই কথাই রইল।


ঋক চলে যাওয়ার পরেই হাতকাটা জাগাই ফোন করল মনিরুলকে। মনিরুলই হচ্ছে এই বইমেলা কমিটির সভাপতি। এক কথায় বলতে গেলে এটা ওরই ব্রেনচাইল্ড। ওই এই প্রপোজালটা দিয়েছিল জগাইকে। বলেছিল, তুই যতই বস্ত্র বিতরণ কর বা খোঁড়াদের ক্র্যাচ দে, পনেরোই আগস্ট পদযাত্রা বের কর, যতই ধুমধাম করে স্বামীজির জন্মদিন পালন কর, টপ লোকদের টানতে গেলে কিন্তু তোকে একটা বইমেলা করতেই হবে।

কথাটা শুনেই হাতকাটা জাগাইয়ের চোখ চকচক করে উঠেছিল। ও যত যা-ই করুক, অনুষ্ঠানের দিন যত হোমরা-চোমরাই মঞ্চ আলো করে থাকুক, পাড়ার মেয়ে-বউ-দাদারা যতই এসে ভিড় জমাক, অনুষ্ঠানের পরের দিনই কেউই যেন ওকে আর চিনতে পারে না। ও নিজে যেচে কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারে, তারা আসলে ওকে এড়িয়ে চলতে চায়। তাই বইমেলা করার প্রস্তাবটা ও সঙ্গে সঙ্গে একেবারে লুফে নিয়েছিল।

পর দিনই জরুরি মিটিং ডেকে হাতকাটা জগাই দলবল নিয়ে বসেছিল। গঠন করা হয়েছিল বইমেলা কমিটি। প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছিল ক্লাবের একটানা এগারো বছর ধরে সভাপতি থাকা জনাব নুরুল ইসলামকে। সম্পাদক করা হয়েছিল স্থানীয় কাউন্সিলার আনন্দদাকে। আর মনিরুল যেহেতু প্রপোজালটা দিয়েছিল, তাই ওকেই করা হয়েছিল সাধারণ সম্পাদক। সবাই তো সব পদ পেয়ে গেল, তা হলে হাতকাটা জগাই কি বসে বসে আঙুল চুষবে! তাই তার জন্য নতুন একটা পদ সৃষ্টি করেছিল ওরা। নাম দিয়েছিল--- প্রধান অভিভাবক।

ওকে প্রধান অভিভাবক করার উদ্দেশ্য একটাই। ও থাকলে প্যান্ডেলওয়ালা থেকে ইলেকট্রিকের লোকেরা নামমাত্র খরচায় সব কাজ সুষ্ঠু ভাবে করে দেবে। ব্যানার-পোস্টার, এমনকী যারা মেলার মাঠে কাজ করবে, স্বেচ্ছাসেবক থেকে অতিথি, শিল্পী, নেতানেত্রী--- সবার খাবারের প্যাকেটের স্পনসরও জোগাড় করে দেবে ও।

শুধু তাইই নয়, নাচ, গান, আবৃত্তি করার বিখ্যাত লোকদের নিয়ে আসা দিয়ে আসার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেবে। ওর লাভ শুধু একটাই--- টপ লোকেদের পাশে বসে ছবি তুলবে, আর সেই সব ছবি প্রিন্ট করে নকশাদার বড় ফ্রেমে বাঁধিয়ে বসার ঘরে সাজিয়ে রাখবে।

সে দিন মনিরুল ওকে বলেছিল, বইমেলা তো! মনে রাখবি, এখানে কিন্তু নেতা-নেত্রী চলবে না। একজন লেখককে দিয়ে উদ্বোধন করাতে পারলে খুব ভাল হয়। সঙ্গে সঙ্গে ওর মুখের কথা টেনে নিয়ে হাতকাটা জগাই বলেছিল, কোনও চিন্তা নেই। একবার যখন মুখ ফুটে বলেছ, ব্যস হয়ে যাবে।

বলে তো ফেলেছে, হয়ে যাবে। কিন্তু ও লেখক পাবে কোথায়! কাকে বলবে! না, পাড়ার কাউকে বলা যাবে না। পাড়ায় যদি ভাল কোনও লেখক থেকেও থাকে, তাকে দিয়ে আর যা-ই করানো যাক না কেন, এ রকম একটা মেলা, বইমেলার ফিতে তাকে দিয়ে কিছুতেই কাটানো যাবে না। তার চেয়ে যদি একটু কম দামি লেখকও হয়, তো হোক। তাও ভাল। তাকে শুধু অন্য পাড়ার হতে হবে, ব্যস, তা হলেই হল।

একজন লেখকের জন্য কাকে ধরা যায়! কাকে ধরা যায়! কাকে ধরা যায়! এ সব ও যখন ভাবছে, ঠিক তখনই ওর চোখে পড়ে গেল ঋক। ঋক পাড়ারই ছেলে। ওকালতি করে। বিভিন্ন লোক বিভিন্ন কেস নিয়ে ওর কাছে আসে। সে সব লোকের মধ্যে কি একজনও লেখক নেই! নিশ্চয়ই আছে। থাকতেই হবে। অন্তত তার জন্য থাকতে হবে। তাই সঙ্গে সঙ্গে ও চিৎকার করে উঠেছিল, আই ঋকা, ঋকা, এ দিকে শোন তো... এ দিকে শোন।


মনিরুল ফোন ধরতেই হাতকাটা জগাই বলল, দাদা, পেয়ে গেছি। বইমেলার ফিতে কাটার জন্য লেখক পেয়ে গেছি। এক্ষুনি কথা হয়ে গেল। লেখকের সঙ্গে আমি ডাইরেক্ট কথা হলে নিয়েছি। লেখক বলল, আপনি যখন নিজে বলছেন, আমি যাব না, তা কখনও হয় দাদা? আমি যাব। অবশ্যই যাব। যখন যেতে বলবেন, তার অন্তত আধ ঘণ্টা আগেই আমি মেলার মাঠে পৌঁছে যাব। আসলে আমাকে চেনে তো, তাই...

ও প্রান্ত থেকে মনিরুল বলল, তাই নাকি? এ তো খুব ভাল খবর।

--- হ্যাঁ দাদা, সব নাম যখন ঠিক হয়ে গেছে তা হলে আর দেরি করব না, কাল কিংবা পরশুই পোস্টার ছাপতে পাঠিয়ে দেব।

--- আমার নামটা কিন্তু ওপর দিকে দিস।

--- এ আর বলতে! দেব গো দাদা, দেব। শুধু ওপর দিকে না। বড় বড় অক্ষরে সবার উপরে দেব, দেখে নিয়ো।

--- বলছিস?

হাতকাটা জগাই বলল, বলছি দাদা, বলছি। আর একটা কথা বলার ছিল দাদা...

--- বল না...

--- বলছিলাম কি, আমাকে না একজন ধরেছে।

--- কী ব্যাপারে?

--- ওই বইমেলায় একটা বোর্ড বসাতে চায়।

--- কীসের বোর্ড?

ইতস্তত করে হাতকাটা জগাই বলল, ঝান্ডা মুকুটের।

একটু দমে গেল মনিরুল--- ঝান্ডা মুকুটের! সে তো জুয়াখেলা...

--- আরে বাবা, 'জুয়াখেলা' থেকে 'জুয়া'টা বাদ দিয়ে দাও না...

--- তাতে লাভ?

--- 'খেলা' পড়ে থাকবে।

নিজের ঘাড়ের ওপর থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলার জন্য মনিরুল বলল, দ্যাখ, যা করবি, ভেবেচিন্তে করবি। পরে যেন এই নিয়ে কোনও কথাকথি না হয়...

--- দাদা, আমাদের মাথার ওপরে তুমি আছ, কে কী বলবে? কার ঘাড়ে ক'টা মাথা? বসিয়ে দিই? কী বলো?

--- কী বলি বল তো!

--- বসিয়ে দিই, বসিয়ে দিই... আর তোমার নামটা শুধু পোস্টারেই নয়, বড় বড় যে ফ্লেসগুলো হচ্ছে, সেখানেও আরও বড় বড় করে দিয়ে দিচ্ছি, কেমন?

--- ঠিক আছে, বলছিস যখন... দিয়ে দে...


মোড়ে মোড়ে ব্যানার পড়ে গেছে। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার। মাইকিং করে গোটা এলাকা প্রচার করা হচ্ছে। কলকাতার কলেজ স্ট্রিট থেকে বেশ কয়েক জন প্রকাশক আসছে। আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে লিটল ম্যাগাজিনগুলোও। চারিদিকে সাজ সাজ রব। পাড়ার কচিকাঁচাদের নিয়ে বেলা তিনটের সময় শোভযাত্রা হবে। সঙ্গে থাকবে ব্যান্ডপার্টি। রণ-পা। ছৌ-নৃত্য। ঢোল-হরতাল, মিকি মাউস, চার্লি চ্যাপলিন, মনীষীদের সাজে বাচ্চারা--- সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে হাতকাটা জগাই। শুধু ওই সময় ও নিজে থাকতে পারছে না। কারণ, সে সময় ঋকের জোগাড় করে দেওয়া ওই লেখককে আনতে যাবে ও। গাড়িতে করেই নিয়ে আসবে। আর যাবার সময় ওই গাড়িরই ড্রাইভার তাঁকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে। না, বেশিক্ষণ লাগবে না। যেতে আসতে খুব বেশি হলে এক ঘণ্টা আর উনি হয়তো থাকবেন মেরেকেটে বড়জোর আরও এক ঘণ্টা।

ঋক এসে হাজির হয়েছে একটু আগেই। জগাই তো চেনে না, তাই ঋকই নিয়ে যাবে। চা খেয়ে ওরা দু'জন পিছনের সিটে পাশাপাশি বসে রওনা হয়ে গেল সেই লেখকের বাড়ির উদ্দেশে। যেতে যেতে জগাই বলল, এখন এখানে বসেছিস, ঠিক আছে। কিন্তু লেখককে নিয়ে আসার সময় না... তুই ড্রাইভারের পাশে সামনের সিটে চলে যাস। আমি আর লেখক এখানে বসব, কেমন?

ঘাড় কাত করল ঋক। গাড়ি রুদ্ধশ্বাসে ছুটে চলেছে। ঋক তখন সেই লেখকের প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ। এত সুন্দর লেখে না... যে কী বলব! সবাই একবাক্যে স্বীকার করে। লেখা তো নয়, যেন মুক্তর দানা। এত বড় লেখক এ দেশে খুব কমই জন্মেছে। একবার আলাপ হলেই বুঝতে পারবে।

গাড়ি চলছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে লেখকের প্রশংসা। গাড়ি এ গলি ও গলি পেরিয়ে অবশেষে এসে দাঁড়াল সেই লেখককে বাড়ির সামনে। গাড়ি থেকে নামতেই ঋক আঙুল তুলে লেখকের বাড়ির দরজাটা দেখিয়ে বলল, ওই দেখুন, লেখকের নাম কী রকম জ্বলজ্বল করছে।

জগাই দরজাটার দিকে তাকিয়ে দেখল, দরজার গায়ে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে তার নাম। আর তার ঠিক নীচে একটু ছোট ছোট হরফে লেখা--- দলিল লেখক।

ওটা দেখে একেবারে গদগদ হয়ে গেল জগাই। ও দেখেছে, ডাক্তারদের নামের পাশে নানান রকম ডিগ্রি লেখা থাকে, এর নামের পাশে লেখা আছে--- লেখক। না, শুধু লেখক নয়, দলিল লেখক। তার মানে ইনি নিশ্চয়ই আরও বড় লেখক। অনেক বড় মাপের লেখক। তাই একগাল হেসে ঋকের দিকে তাকিয়ে হাতকাটা জগাই বলল, বাঃ, এত দিনে তুই একটা কাজের মতো কাজ করেছিস। আমি চেয়েছিলাম, এমনি একজন লেখক। কিন্তু তুই যে তার চেয়েও বড়, একেবারে দলিল লেখক জোগাড় করে দিবি, আমি তা কল্পনাও করতে পারিনি। কী বলে যে তোকে ধন্যবাদ দেব! চল চল, ভেতরে চল। আগে গিয়ে ওনাকে ধরি।

ওরা দু'জন দরজা ঠেলে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেল।

Comments


Rojkar Ananya New Logo copy.jpg

Your key stats for the last 30 days

Follow us on

fb png.png

©2023 to Debi Pranam. All Rights Reserved

bottom of page