ধূপধূনোর গন্ধ আর নিষ্ঠাভরে রাঁধা হয় বলেই হয়ত ভোগের স্বাদ হয় অমৃততুল্য। ভাদ্রমাসের অষ্টমী তিথি পড়েছে ৬'ই সেপ্টেম্বর বিকেল ৩:৩৭ মিনিট থেকে পরদিন বিকেল ৪:১৪ মিনিট পর্যন্ত। জন্মাষ্টমীর পুজো রাতে হয় বলে প্রথমদিনটিই সবাই বেছে নেবেন বলাই বাহুল্য। হিসেবমতো হাতে বাকি দুটো দিন। চলুন দেখে নিই কী কী ভোগ হিসেবে নিবেদন করতে পারেন আপনার গৃহদেবতা'কে...


সুস্মিতা চক্রবর্তী
মিল্ক পাউডার মালপোয়া
কী কী লাগবে
1 কাপ সুজি,
1/2 কাপ মিল্ক পাউডার,
1.5 কাপ চিনি,
1 কাপ জল,
1/2 চা চামচ বেকিং পাউডার,
1 চা চামচ মৌরি গুঁড়ো,
1 চিমটি নুন,
পরিমাণ মত তেল,
পরিমাণ মত দুধ
কীভাবে বানাবেন
সুজি ও মিল্ক পাউডার ভালো করে মিশিয়ে নিন।
দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে 5 মিনিট রাখুন।
এবারে বেকিং পাউডার, মৌরি গুঁড়ো ও নুন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং দরকার মত দুধ দিয়ে দিন।
একটি পাত্রে চিনি ও জল দিয়ে ফুটতে দিন এবং সিরা তৈরি করে নিন।
তেল গরম করে ঐ মিশ্রণ থেকে হাতায় করে দিয়ে মালপোয়াগুলো ভেজে তুলে রসে ভিজিয়ে রাখুন।
রস ঢুকে মালপোয়া নরম হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।

তাল ও কলার বড়া
কী কী লাগবে
1 টা তাল,
1 কাপ আটা
1/4 চালের গুঁড়ো,
3 টেবিল চামচ সুজি,
3 টে পাকা কলা,
1/2 নারকেল কোরা,
1.5 কাপ চিনি
1 চিমটি নুন,
পরিমাণ মত সাদা তেল

কীভাবে বানাবেন
তাল ছাড়িয়ে ভালো করে ঘষে পাল্প বার করে নিতে হবে।
এবার এর মধ্যে কলা টা ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং আটা, নারকেল কোরা, সুজি ও চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মাখুন।
চিনি ও নুন দিয়ে ভালো করে মেখে নিন এবং তেল গরম করে নিন।
ঐ মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বড়া ভেজে তুলে নিন।
লালচে করে ভেজে তুলে নিন এবং পরিবেশন করুন মজাদার তালের বড়া।

লাউয়ের মোহনভোগ
কী কী লাগবে
1/2 লাউ কোরানো,
1/2 কাপ ক্ষীর,
8-9টা কাজুবাদাম কিসমিস,
3-4টেবিল চামচ চিনি,
1 চা চামচ ঘি,
1 টা ছোট এলাচ,
1 চিমটি নুন,
1/2 কাপ দুধ,
প্রয়োজন অনুযায়ী ঘি
কীভাবে বানাবেন
প্যানে তেল গরম করে তাতে ছোট এলাচ দিয়ে দিন।
লাউ কোরানো দিয়ে ভালো করে ভাজুন নুন দিয়ে।
দুধ দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন।
এবার চিনি, ক্ষীর ও বাদাম কিসমিস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
নামিয়ে গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

দুষ্টু বিশ্বাস
পাকা কলার মিষ্টি বড়া
কী কী লাগবে
কলা-- ২/৩টে
ময়দা - ২ টেবিল চামচ
চিনি অথবা গুড়-- ১ কাপ
সূজি-- হাফকাপ
গুঁড়ো দুধ -২ টেবিল চামচ
কাজুবাদাম কুচি -১ টেবিল চামচ
কিশমিশ কুচি-১ টেবিলচামচ
বেকিং পাউডার-১ চিমটে
সাদাতেল -ভাজার জন্য

কীভাবে বানাবেন
পাকা কলা খোসা ছাড়িয়ে একটা কাঁটা চামচ অথবা ম্যাশার দিয়ে ম্যাশ করে নিন।
এবার তেল ছাড়া সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরী করুন।
কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে মিশ্রণ হাতে করে বড়া ভাজার মত করে ডুবো তেলে মাঝারি আঁচে ভেজে তুলুন।

তালের হালুয়া
কী কী লাগবে
সুজি-হাফ কাপ
চিনি- পরিমানমতো ,
ঘি ১/২চামচ
এলাচ – ২ টো
তালের পাল্প -- হাফকাপ
কিসমিস – ৮/৯টা
দুধ – ১/৪ কাপ
আমন্ড বাদাম – ২/৩ টো কুচি করা
জল– পরিমাণমতো
কীভাবে বানাবেন
কড়ায় ঘি গরম করে এলাচ ফাটিয়ে দিয়ে দিন এবং নেড়ে নিয়ে সুজি কড়াইতে দিন ।
ভাল ভাবে নাড়তে হবে ।
সুজি লালচে করে ভেজে নিয়ে ১ কাপ জল দিয়ে চিনি এবং দুধ দিয়ে নাড়ুন ।
সুজি সেদ্ধ হলে তালের পাল্প মিশিয়ে ভালো ভাবে নাড়তে হবে।
ঘি ওপরে ভেসে উঠলে নামান নিন।
কিশমিশ ও আমন্ডবাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন তালের হালুয়া।
একটা ছড়ানো পাত্রে ঢেলে নিয়ে ঠান্ডা করে বরফির আকারে কেটে ও পরিবেশন করতে পারেন।

তাল ক্ষীর
কী কী লাগবে
তালের ক্কাথ – ১ কাপ
নারকেল কোরা –হাফকাপ
চিনি – স্বাদ মতো
দুধ – ২কাপ
(ইচ্ছে হলে পেস্তা,কাজুবাদাম কুচি ব্যবহার করা যায়।)

কীভাবে বানাবেন
তালের ক্ষীর বানানোর জন্য প্রথমে দুধ একটু ফুটিয়ে আলাদা করে রাখুন।
তারপর গ্যাসে কড়াই বসিয়ে তালের ক্কাথ দিয়ে মিডিয়াম আঁচে রেখে নাড়িয়ে যেতে হবে।
কিছুক্ষণ পর তালের কাথ্ ফুটে উঠলে ফুটিয়ে রাখা দুধ, নারকেল কোরা এবং চিনি মিশিয়ে নিন।
এইসময় গ্যাস এর আঁচ মিডিয়াম থাকবে ও খুব ভালো করে নাড়তে হবে।
আসতে আসতে তালের ক্ষীর খুব ঘন হয়ে এলে তালের ক্ষীর একেবারে তৈরী।
এরপর ঠাণ্ডা করে উপর থেকে ড্রাই ফ্রুট ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

সুতপা দে
তালের পায়েস
কী কী লাগবে
তালের পাল্প – ১ কাপ
দুধ – ২৫০ গ্রাম
গোবিন্দভোগ চাল – ৫০ গ্রাম
চিনি – ১০০ গ্রাম
কীভাবে বানাবেন
তালের পায়েস বানানোর জন্য প্রথমে মাঝারি আচে দুধ বসিয়ে সেটাকে ভালো ভাবে ফুটিয়ে নিন।
এরপর তাতে আগে থেকে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখা গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে খুব ভালো ভাবে নাড়িয়ে যেতে হবে কিছুক্ষণ।
এরপর তালের পাল্পটা দিয়ে আবারও ভালো ভাবে নাড়িয়ে নিয়ে চিনি দিয়ে কিছুক্ষন ধরে ফুটিয়ে চালটা সেদ্ধ হয়ে আসলেই তৈরি “তালের পায়েস”।

তাল পরোটা
কী কী লাগবে
পাকা তাল ১টি,
ময়দা ৪ কাপ,
চিনি ১ কাপ,
খাবার সোডা ১ চিমটি,
এলাচ গুঁড়ো ১ চিমটি,
ঘি বা তেল ভাজার জন্য
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে তাল খোসা ছাড়িয়ে রস বের করে নিন।
এবার একটি পাত্রে ময়দা, চিনি, এলাচ গুঁড়া, খাবার সোডা ও পাকা তালের রস দিয়ে শক্ত ডো তৈরি করুন।
এবার লেচি কেটে পরোটার মতো করে বেলে নিন।
গ্যাসে তাওয়া দিয়ে তাতে পরোটা হালকা সেঁকে নিন।
তারপর ২ চা চামচ ঘি দিয়ে ভাজুন।
গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার তাল পরোটা।

তালের লুচি
কী কী লাগবে
1 কাপ তালের পাল্প
1 কাপ ময়দা
1 টেবিল চামচ চিনি
প্রয়োজন মত সাদা তেল
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে একটা বাটিতে ময়দা, নুন, চিনি ও 2-3 টেবিল চামচ তেল দিয়ে ময়াম দিতে হবে।
তারপর তালের পাল্প দিয়ে মেখে ডো তৈরি করে নিতে হবে। ডো ঢাকা দিয়ে 10 -15 মিনিট রেখে দিতে হবে
এবার হাতে একটু তেল লাগিয়ে ডো টা আরও একটু মেখে নিয়ে ছোট ছোট লেচি বানিয়ে বেলনা দিয়ে বেলে নিতে হবে।
গ্যাস এ কড়াই বসিয়ে তেল দিতে হবে।
গরম হলে একটা করে লুচি ছেড়ে ভেজে তুলে নিতে হবে।

সঞ্চিতা দাস
পায়েস
কী কী লাগবে
১০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল
১ লিটার দুধ
পরিমাণমতো ঘি
পরিমাণমতো চিনি
কাজুবাদাম ও কিশমিশ
দু'টো তেজপাতা
এক চামচ ছোট এলাচ গুঁড়ো
কীভাবে বানাবেন
সর্বপ্রথমে একটা পাত্রে চাল নিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিন এক ঘণ্টা। তারপর ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
এরপর কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে কাজুবাদাম, কিশমিশ ও তেজপাতা দিয়ে হালকা করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
এবার কড়াইতে দুধ ঢালুন। জ্বাল দিয়ে ভালো করে দুধ ঘন করে নিন। দুধ ফুটে উঠলে তাতে চাল দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর পর চামচ দিয়ে নাড়তে হবে, যাতে পাত্রের তলায় বসে না যায়।
তারপর তাতে তেজপাতা ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে থাকুন।
চাল সেদ্ধ হলে চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। চিনি আগে দিয়ে দিলে চাল সেদ্ধ হতে চায় না।
নামানোর আগে ওপরে কাজু, কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।

তাল ফুলুরি
কী কী লাগবে
তাল- ১ থেকে ২ টি
ময়দা- ১ কাপ
সুজি- ১ কাপ
নারকেল কোরা
চিনি- ১ কাপ
নুন- ১/৪ চামচ
কীভাবে বানাবেন-
তাল ছাড়িয়ে তালের মাড় বের করে রাখতে হবে।
এবার একটা বড় ছাকনি নিয়ে মাড় ছেঁকে নিন।
ওর মধ্যে ময়দা, সুজি, নারকেল কোরা, চিনি দিয়ে খুব ভালো করে মেখে রাখতে হবে।
অন্তত ২ ঘন্টা রাখতেই হবে।
যতবেশি সময় মেখে রাখতে পারবেন ততই ভালো।
কড়াইতে সাদা তেল গরম করুন।
তেল গরম হলে মিশ্রণ আরও একবার ফেটিয়ে বড়ার আকারে তেলে ছেড়ে লাল করে ভেজে নিলেই তৈরি তালের ফুলুরি।

ভোগের খিচুড়ি
কী কী লাগবে
গোবিন্দভোগ চাল,
সোনামুগের ডাল,
ফুলকপি,
আলু,
মটরশুঁটি,
আদা বাটা,
হলুদ-জিরে-লঙ্কাগুঁড়ো,
গোটা শুকনো লঙ্কা,
গরমমশলা গুঁড়ো,
পাঁচফোড়ন,
তেজপাতা,
নুন-মিষ্টি স্বাদ মতো,
ঘি
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে শুকনো খোলায় সোনা মুগের ডাল ভেজে নিন।
* চাল ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
* আলু-ফুলকপি ডুমো করে কেটে নুন-হলুদ মাখিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে তুলুন।
* হাঁড়ি বাঁ কড়াইতে ঘি দিয়ে সেখানে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, শুকনোলঙ্কা, আদা বাটা ফোড়ন দিন।
* সুগন্ধ বেরোলে চাল-ডাল দিয়ে কষাতে থাকুন।
* এরপর হলুদ-জিরে-লঙ্কাগুড়ো দিন। এই সময় মটরশুঁটি দিয়ে কষতে থাকুন।
* নুন-মিষ্টি ও গরম মশ্লা গুঁড়োও দিন।
* কিছুক্ষণ কষানোর পর গরম জল, আলু, ফুলকপি দিয়ে ঢেকে দিন হাঁড়ির মুখ।
* চাল-ডাল নরম হলে, জল টেনে গেলে নামানোর আগে ঘি, গরম মশলা প্রয়োজনে কাজু-কিশমিশ ছড়িয়েও দিতে পারেন।

ঐন্দ্রিলা মজুমদার
ছানার পায়েস পান্নাকোটা উইথ অরেঞ্জ মালপোয়া
কী কী লাগবে
ছানার পায়েস পান্নাকোটা
কী কী লাগবে
৫০০ মিলি + ২ টেবিল চামচ ফুল ক্রীম দুধ
২ টেবিল চামচ ভিনিগার
২ টেবিল চামচ জল
১/২ কাপ মিল্কমেড
১ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
২ চা চামচ আগর আগর
কীভাবে বানাবেন
২ টেবিল চামচ গরম দুধে আগর আগর মিশিয়ে রাখুন ১৫ মিনিটের জন্য।
২৫০ মিলি দুধ ফুটিয়ে নিয়ে ৩ মিনিট পরে সম পরিমাণ ভিনিগার আর জল মিশিয়ে দুধ কাটিয়ে ছানা বানিয়ে নিন। ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে একটা মসলিন কাপড়ে ছানা রেখে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন ৪৫ মিনিটের জন্য।
এবার ছানাটা ভালো করে মেখে নিন।
বাকি ২৫০ মিলি দুধ ফুটিয়ে ক্রমাগত নাড়িয়ে নিয়ে অর্ধেক করে নিন।
ছানা দিয়ে মিশিয়ে নিন। মিল্কমেড, এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
এবার আগর আগর মিশ্রণ টা দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। গ্যাস বন্ধ করুন। মোল্ডে ঢেলে ৩- ৪ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন ।
মালপোয়া ইন অরেঞ্জ সস
মালপোয়ার জন্য
১ কাপ আটা
৪ টেবিল চামচ সুজি
২ কাপ দুধ
১/২ কাপ মিল্কমেড
১ চুটকি লবঙ্গ
৪ টেবিল চামচ মৌরি
১ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
পরিমাণ মতো তেল + ঘি
সিরাপের জন্য
১/২ কাপ কমলালেবুর রস
১ কাপ চিনি
২ কাপ জল
সাজাবার জন্যঃ
আনার দানা, কমলালেবুর টুকরো, পুদিনা পাতা , ক্রিস্টাল জেলি, চেরি।
কীভাবে বানাবেন
সিরাপ বানানোর জন্য প্রথমে সিরাপের সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে গ্যাস জ্বালিয়ে ফোটান আর ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণ টা একটু ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
মালপোয়ার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন ভালো করে, ১ ঘন্টার জন্য ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
এবার মালপোয়ার ব্যাটার রেডি। যদি একটু বেশি ঘন হয়ে যায়, তাহলে আর একটু দুধ মিশিয়ে আর একটু পাতলা করে নিন।
এবার তেল আর ঘি একসঙ্গে গরম করে হাতায় করে ব্যাটার নিয়ে এক এক করে মালপোয়া গুলো ভেজে নিন।আঁচ মাঝারি রাখবেন।
১৫ মিনিটের জন্য মালপোয়া গুলো অরেঞ্জ সিরাপে ভিজিয়ে রাখুন। তৈরি অরেঞ্জ মালপোয়া।
সাজানোর জন্য একটা প্লেটে অরেঞ্জ সিরাপ ঢেলে প্রথমে একটা মালপোয়া, তারপর ছানার পায়েসের পান্নাকোটা রেখে ক্রিস্টাল জেলি, কমলালেবুর টুকরো, আনার দানা, চেরি, আর পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মুখরোচক এই মিষ্টি।

চকলেট ফাজ স্টাফ মাখানা সন্দেশ
কী কী লাগবে
২০০ গ্রাম মিল্ক চকলেট কম্পাউন্ড
৩০০ গ্রাম মিল্কমেড
2 কাপ মাখানা
৩০০ গ্রাম ফুল ক্রীম দুধ
১ টেবিল চামচ পেস্তা কুচি
১ টেবিল চামচ আমন্ড কুচি
১ টেবিল চামচ ঘি বা মাখন
২ টেবিল চামচ চকোলেট সিরাপ
ডেকরেশনের জন্য কিছু সুগার বলস
কীভাবে বানাবেন
একটা তলা ভারি পাত্রে মাখানা ড্রাই রোস্ট করে নিন। এরপর মিক্সার গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন।
একই পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিন, মিল্কমেড যোগ করে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। মাখানা পাউডার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আমন্ড আর পেস্তা কুচি মিশিয়ে দিন।
১ চামচ ঘি একটা চৌকো পাত্রে ছড়িয়ে গ্রিজ করে নিন এবার মাখানা সন্দেশ ঢেলে একটা স্প্যাটুলা দিয়ে সমান ভাবে ছড়িয়ে দিন। ওপর থেকে আরো কিছু আমন্ড আর পেস্তা কুচি ছড়িয়ে ঠাণ্ডা হলে ই তৈরি মাখানা সন্দেশ।
নিজের পছন্দ মতো চৌকো বা গোল শেপে কেটে নিন।
একটা সন্দেশ একটু বড়ো বলের আকারে, আর একটা একটু ছোটো বলের আকারে বানিয়ে নিন।
ডাবল বয়লার পদ্ধতিতে মিল্ক চকোলেট কম্পাউন্ড গলিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ মিল্কমেড যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ একটা চকোলেট মোল্ডে ঢেলে ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন। কিছু চকলেট চৌকো, গোল আকারে বানিয়ে নিন।
আগে বলের আকারে বানানো
মাখানা সন্দেশ গলানো চকোলেটে ডুবিয়ে ফ্রিজে রেখে জমিয়ে নিন। তৈরি হল চকোলেট বল।
সাজানোর জন্য একটা প্লেট নিয়ে চকোলেট সিরাপ দিয়ে ডিজাইন বানিয়ে কিছু ক্ষণ ফ্রিজে রেখে বের করে নিয়ে প্লেটের ওপরে প্রথমে একটা মাখানা সন্দেশ রেখে , তারপরে চকোলেট ফাজ রেখে, আবার একটা মাখানা সন্দেশ রেখে একদম ওপরে চকোলেট বল, তার ওপরে আর একটা ছোট, গোল মাখানা সন্দেশ রেখে চকোলেট সিরাপ আর সুগার বলস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন দারুণ মজাদার চকোলেট ফাজ স্টাফড মাখানা সন্দেশ।

কাকলী দাস
মতিচূর লাড্ডু
কী কী লাগবে
মতি তৈরীর জন্য
চেলে নেওয়া ছোলার ডালের মিহি বেসন - ১ কাপ
বেসন গোলবার জন্য জল - ১ কাপ ও ১/৪ কাপ
মতি ভাজবার জন্যে ঘী - ৩ কাপ
খুব ছোট গর্ত ওয়ালা ছান্তা - ১ টি
রসের উপকরণঃ
চিনি -২ কাপ
জল -১ কাপ ও ১/৪ কাপ
কেশরী রঙ - প্রয়োজন মত
গোলাপ জল - ১ চা চামচ
কেওড়া জল -১/২ চা চামচ
পাতি লেবুর রস - কয়েক ফোঁটা
ছোট এলাচের গুঁড়ো - ১/৪ চা চামচ
আনুসঙ্গীক উপকরণঃ
আমন্ড বাদাম - ৫-৬ টা (লম্বাদিকে কুঁচি করা)
পেস্তা বাদাম - ৮ টা (লম্বাদিকে কুঁচোনো)
রোস্টেড মগজ - ২ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে অল্প অল্প জলে বেসনটা গুলে নিতে হবে।
কড়াইএর উপর দিকে ছান্তা ধরে কিছুটা করে গোলা দিয়ে ছান্তা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে মতি ছাড়তে হবে গরম ঘীতেএবং তখুনি ওগুলো ভাজা হলেই তুলে নিতে হবে।
এই ভাবে সমস্ত মতি ভেজে নিতে হবে।
ভাজবার সময় প্রতিবার কড়াইতে মতি ছাড়া হলে ছান্তার তলা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
একটা তলা মোটা পাত্রে জল চিনি ও রসের সমস্ত উপকরণ দিয়ে বসিয়ে চিনি গুলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চিনি গুলে গেলেই ওর মধ্যে মতি দিয়ে সমানে নাড়তে হবে।
মতি পাত্রের গা ছাড়লেই নামিয়ে নিতেহবে।এবং একটি ছড়ানো পাত্রে ঘন্টা খানেক ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
এই সময়ে এতে আমন্ড বাদাম ও মগজ মিশিয়ে নিতে হবে।
ঠান্ডা হলে হাতে মুঠো করে চেপে চেপে নাড়ু পাকানোর মত লাড্ডু তৈরী করে নিতে হবে।
এবারে ভগবানকে ভোগ দিন মতিচূর লাড্ডু।

সারিতা নাথ
সন্দেশ পাতুরি
কী কী লাগবে
1 লিটার দুধ
1 কাপ নারকেল কোরা
6-7 টা কাজুবাদাম, কিছু কিশমিশ, আখরোট, পেস্তা
দশ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক
3 টেবিল চামচ ঘি
1 টা কলাপাতা গোটা
2 টেবিল চামচ গোলাপ জল
•কেশর
কীভাবে বানাবেন
• প্রথমে 1 লিটার দুধ কে লেবুর রস অথবা ভিনিগার দিয়ে কাটিয়ে নিতে হবে।
তারপর জল চেপে চেপে ফেলে শুকনো করে নিতে হবে একদম।
তারপর জল ঝড়ানো ছানা অনবরত হাত দিয়ে ডোলে যেতে হবে,ছানা থেকে তেল বেরোতে শুরু করলে বুঝতে হবে এটা সন্দেশ করার জন্য তৈরি।
• এবার ওই ছানার সাথে নারকেল কোরা, কনডেন্স মিল্ক আর ড্রাই ফ্রুটস কুঁচি, গোলাপ জল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
• কলাপাতা গুলো ছোটো ছোটো চারকোনা করে কেটে ওর মধ্যে ছানার মিশ্রন রেখে, ওপর থেকে কেশর ছড়িয়ে কলাপাতা মুড়ে বেঁধে নিতে হবে।
• এবার তাওয়াতে ঘি গরম করে পাতুরি গুলো সেঁকে নিতে হবে,তাহলেই তৈরি সন্দেশ পাতুরি।

অনুরাধা সেনগুপ্ত
মুগ মালাই বরফি
কী কী লাগবে
৩ টেবিল চামচ মুগডাল
২৫০ মিলি দুধ
৫ টেবিল চামচ ঘি
১ বাটি নারকেল কোরা
১০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর
১ বাটি বা প্রয়োজন অনুযায়ী চিনি
১৫ টি গোটা কাজুবাদাম
১ টেবিল চামচ কাজুবাদাম কুচি
১০ টি আমন্ড
১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
১ চিমটি লবণ
কীভাবে বানাবেন
মুগ ডাল শুকনো খোলায় ভেজে নিয়ে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। অল্প দানা যেন থাকে।
নারকেল কোরা কাজুবাদাম দিয়ে বেটে নিন। একটা প্যানে দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিন।
অন্য প্যানে ঘি গরম করে মুগ ডাল বাটা দিয়ে কম আঁচে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করুন।
১ চিমটে লবণ, নারকেল - কাজুবাদাম বাটা , খোয়া ক্ষীর , ঘন করে নেওয়া দুধ দিয়ে মিশিয়ে নিন।
থকথকে হয়ে আসলে একটু পরে চিনি, কাজু কুচি, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে যেতে হবে প্রায় ৩০ মিনিট, যতক্ষণ না মিশ্রণ টা প্যানের গা ছেড়ে উঠে আসে।
দরকার হলে আর একটু ঘি যোগ করতে হবে।
এবার একটা স্টিলের থালা ঘি দিয়ে ব্রাশ করে নিয়ে সমানভাবে মিশ্রণটা ছড়িয়ে দিন। অল্প ঠান্ডা হলে ছুরি দিয়ে বরফির আকারে কেটে নিন।
ওপরে ১ টা করে আমন্ড, কাজুবাদাম কুচি সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

মৌসুমী দাস
তাল বিচিত্রা
কী কী লাগবে
তালের পাল্প ৩ চামচ,
খোয়া ক্ষীর ২ চামচ,
ময়দা ২ চামচ,
ছানা ৩ চামচ,
নারকেল কোরা ২ চামচ,
ভাজা জিরে-ধনে গুঁড়ো ২ চামচ,
নুন-চিনি পরিমাণ মতো,
আদা বাটা ১ চামচ,
টমেটো বাটা ২ চামচ,
কাঁচা লঙ্কা বাটা ১চামচ,
গোটা জিরে ১ চামচ,
গোটা গরম মশলা ১ চামচ,
হলুদ গুঁড়ো ১ চামচ,
জিরে গুঁড়ো ১ চামচ,
ধনে গুঁড়ো ১ চামচ,
কাশ্মীরি লাল লংকা গুঁড়ো ১ চামচ,
ঘি ১চামচ,
গরম মশলা গুঁড়ো ১\২ চামচ,
সাদা তেল পরিমাণ মতো।
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে একটা বাটিতে খোয়া ক্ষীর ২চামচ, ময়দা ২চামচ, ছানা ৩চামচ, নারকেল কোড়া ২চামচ, ভাজা জিরে-ধনে গুঁড়ো ১চামচ, নুন,চিনি পরিমাণ মতো আর ৩ চামচ তালের পাল্প দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
তারপর কড়াইতে সাদা তেল গরম করে হালকা আঁচে ভেজে নিয়ে তুলে রাখতে হবে।
এবার কড়াইতে ৪ চামচ সাদা তেল গরম করে তাতে গোটা গরম মশলা ও গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে তাতে ২ চামচ টমেটো বাটা, ১ চামচ আদা বাটা, ১চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা দিয়ে তাতে হলুদ,জিরে,ধনে,কাশ্মীরি লংকা গুঁড়ো সব ১ চামচ দিয়ে একটু জল দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
তারপর তাতে ভাজা গুলো দিয়ে ১\২ চামচ গরম মসলা গুঁড়ো ও ১ চামচ ঘি দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি তাল বিচিত্রা।
Comments