পুজো স্পেশ্যাল রান্না সাথে পুজোর আগে রূপচর্চা...
- রোজকার অনন্যা
- Sep 30, 2023
- 9 min read
পুজোর বাকি হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন। চলছে জোড় কদমে প্রস্তুতি। প্রতিদিন রোদ ধুলো নোংরায় বিধ্বস্ত ত্বক এবং চুলের যত্নের জন্য লাস্ট মিনিট বিউটি সাজেশন দিলেন কসমেটলজিস্ট সুদেষ্ণা ঘোষ। সাথে রইলো পুজো স্পেশ্যাল রান্না।


পুজোর আগের রূপচর্চা
সুদেষ্ণা ঘোষ
কসমেটোলজিস্ট
চারিদিকে পূজো পুজো রব, আর এর মাঝখানে শুরু হয়ে গেছে পুজোর বাজার। মাসখানেক ধরে রোজ এই বাজার করতে করতে ত্বক আর চুলে নানা সমস্যা দেখা যায়। যেমন, ত্বক কালো হয়ে যাওয়া, পিগমেন্টেশন, চুল পড়া, চুল খরখরে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। আজ আমরা এই সমস্ত সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
পরিচিতি:
প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে যে সমস্যাটা কি আর কিরকম। আমাদের ত্বকের উপরিভাগ কে বলে এপিডারমিস। এই এপিডারমিস স্তরেই দেখা যায় কালো কালো দাগ। এই দাগ গুলোকে চেনা যায় তার জায়গার উপর। যেমন,
১. চোখের চারিপাশের কালো দাগকে বলে ডার্ক সার্কেল।
২. তার নীচের জায়গার কালো দাগকে বলে ব্লেমিস।
৩. চোখের পাশের থেকে গাল পর্যন্ত কালো জায়গায় হওয়া দাগ কে বলে পিগমেন্টেশন।
৪. কপাল, ঠোঁটের নিচে আর চোখের চারপাশের পুরো জায়গার দাগকে বলে আনইভেন স্কিন।
কী করতে হবে?
ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করতে হবে, সম্ভব হলে দিনে দু'বার।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী cleansing milk দিয়ে ভালো করে মুখ টাকে মাসাজ করে ভেজা তুলো দিয়ে মুখটাকে মুছে নিতে হবে।
এরপর মুখ ধুয়ে ত্বক অনুযায়ী টোনার আর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
স্ক্রাবার ব্যবহার করতে হবে।
ঘরোয়া টোটকা:
১. শশার রস আর লেবুর রস মিশিয়ে বরফ করে রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে এক টুকরো বরফ নিয়ে মুখে ঘষতে হবে। তাহলে সাথে সাথেই ট্যান চলে যাবে।
২. Amba haldi, বিটের রস এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান তার পর ভেজা তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
৩. oily skin এর জন্য অর্ধেক টুকরো টমেটোর উপর চিনি লাগিয়ে সারা মুখে ঘষতে হবে। তার পর একটু মাসাজ করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. সমান অনুপাতে ওটস আর মুসুর ভাল নিয়ে একটু শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এই মিশ্রণ ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে টকদই, লেবুর রস আর কলা চটকে মুখে মেখে নিন। একটু শুকনো হলে ভেজা হাত দিয়ে scrub করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটা dry, extreme dry, normal to dry skin এর জন্য খুব ভালো।
৫. ২০০ মি.লি. নারকেল তেল, ২০০ মি.লি. তিল তেল, ২০০ মি.লি. অলিভ অয়েল, ১০ গ্রাম জবা ফুল, ১০ গ্রাম মেথি, ২০ গ্রাম কারিপাতা, ৫ গ্রাম অ্যালোভেরা, ৫ গ্রাম ভৃঙ্গরাজ পাতা ভালো করে ফুটিয়ে ছেঁকে রেখে দিন। শ্যাম্পু করার আগে ভালো করে চুলে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট স্টীম নিয়ে তারপর শ্যাম্পু করতে হবে। এতে চুল পড়া কমবে।
৬. ফ্লেক্স সিড ১০০ গ্রাম নিয়ে তাকে জল দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে জেল মতো হলে ছেঁকে রেখে দিন। সপ্তাহে এক বার এই জেল সারা চুলে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। তাতেই স্পা এর মতন সিল্কি হবে চুল।
৭. টুথপেস্টে অল্প একটু হলুদ মিশিয়ে যদি পা এর নখের উপর ঘষা যায় তাহলে নখ থাকবে চকচকে আর পরিষ্কার।
৮. বেকিং সোডা, অর্ধেক করে কাটা পাতিলেবুর উপর নিয়ে যদি আন্ডার আর্ম, কনুই আর পা এর পাতার উপর ঘষা যায় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওই কালো দাগ উঠে যাবে।
৯. গোলাপ জল, অল্প গ্লিসারিন আর কেশর নিয়ে একটা বোতলে সলিউশন বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই সলিউশন সারা গায়ে ভালো করে মাসাজ করলেই প্রতিদিনের ট্যান চলে যাবে নিমেষেই।

সোনিলা দাস
🔸️গন্ধরাজ ভাপা ভেটকি🔸️
কী কী লাগবে
▪️২ ভেটকির ফিলে
▪️১০০ গ্রাম জল ঝরানো টক দই
▪️১ গন্ধরাজ লেবু
▪️২ কাঁচালঙ্কা বাটা
▪️১ পেঁয়াজ বাটা
▪️নুন পরিমাণনতো
▪️১ চা চামচ কাসুন্দি
▪️২ চা চামচ চিনি
▪️২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল

কীভাবে বানাবেন
▪️একটি নন-স্টিক প্যানে ১ টেবিল চামচ সর্ষের তেল দিন এবং ভেটকির ফিলে গুলি হালকাভাবে ভাজুন(আপনি চাইলে না ভেজে কাঁচা মাছ ও ব্যবহার করতে পারেন)।
▪️একটি স্টিলের টিফিন বক্স এ গন্দরাজ লেবুর রস, গ্রেট করা লেবুর খোসা, দই, কাঁচালঙ্কা বাটা, পেঁয়াজ বাটা, কাসুন্দি, ১ টেবিল চামচ সর্ষের তেল পরিমাণমতো নুন, ২ চা-চামচ চিনি মিক্স করুন।
▪️এরপর ওই মিশ্রণ এ ভেটকির ফিলে ভাল করে মাখিয়ে ১০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রাখুন।
▪️একটি প্যানে জল বসিয়ে গরম করুন, টিফিন বক্সটি ঢাকনা বন্দ করে জলে রাখুন এবং ২০ মিনিটের জন্য কম আঁচে ঢেকে দিয়ে ভাপান, ২০ মিনিট পর আঁচ বন্ধ করুন, ঠান্ডা হতে দিন, টিফিন বক্স খুলুন, কিছু সর্ষের তেল ওপরে ছড়িয়ে দিন, এটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

🔸️সবজি ডালিয়ার খিচুড়ি
কী কী লাগবে
▪️১ কাপ ডালিয়া
▪️১/৪ কাপ মুগ ডাল
▪️১ ক্যাপসিকাম কুঁচি
▪️১/২ কাপ কাটা গাজর
▪️১ পেঁয়াজ কুঁচি
▪️১ চা-চামচ রসুন কুঁচি
▪️১ চা-চামচ আদা কোড়ানো
▪️১/৪ চা চামচ জিরা
▪️১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
▪️১ চা চামচ গরম মসলা
▪️১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
▪️২ কাপ জল
▪️কাটা ধনে পাতা
▪️স্বাদমতো নুন
কীভাবে বানাবেন
▪️ডালিয়া ২-৩ বার ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
▪️একটি প্রেসার কুকারে তেল গরম করে জিরা, আদা ও রসুন দিন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভাজুন।
▪️এখন সব কাটা সবজি, মুগ ডাল, ডালিয়া, নুন , হলুদ গুঁড়া এবং জল যোগ করুন। ভালো করে নাড়ুন।
▪️ঢাকনা বন্ধ করুন এবং ২ শিস না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
▪️চাপ সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলুন এবং কাঁটাচামচ দিয়ে নাড়ুন।
▪️এবার কাটা ধনে পাতা যোগ করুন এবং পরিবেশন করুন।

শ্বাশ্বতী দাস মজুমদার
রুই মাছের গঙ্গা যমুনা
কীভাবে বানাবেন
রুই মাছ ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে ১০মিনিট রেখে দিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে রাখতে হবে।
সর্ষে, পেঁয়াজ, লঙ্কা আলাদা করে বেটে রাখতে হবে।
এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে পিয়াজ আর লঙ্কা বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে যতক্ষণ পেঁয়াজের গন্ধ চলে না যায়।
হলুদ গুঁড়ো,জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে,পরিমাণ মতো নুন ও চিনি দিতে হবে।
প্রয়োজনে অল্প জল দিতে হবে। এরপর সর্ষে বাটা দিয়ে অল্প নেড়ে নিয়ে ওভেন বন্ধ করে দিয়ে ভাজা মাছ গুলো খুব সাবধানে দিয়ে দিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে মাছ যেনো পুরোটা ডুবে না যায়।
এরপর অন্য একটা কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে তার মধ্যে আগে থেকে তেতুলের একটু ঘন করে করে রাখা জল দিয়ে নাড়তে হবে।
হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে নাড়তে হবে। স্বাদ মত চিনি দিতে হবে,একটু বেশি পরিমাণ দিতে হবে।
এরপর একটু ঘন হয়ে এলে ওভেন বন্ধ করে খুব সাবধানে মাছ গুলো তুলে তেঁতুলের বানানো গ্রেভি-র মধ্যে দিয়ে একটু ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

চিংড়ি ভাপা
কীভাবে বানাবেন
চিংড়ি মাছ ভালো করে ধুয়ে নিন হলুদ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে।
এরপর বড়ো একটা টিফিন বক্স এ কালো সর্ষে সাদা সর্ষে বাটা,এক টেবিল চামচ টক দই(optional), হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মসলা বানিয়ে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
পরিমাণ মতো নুন দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে চিংড়ি মাছ এ নুন আগে থেকে মাখানো ছিল।
এরপর কাঁচা সর্ষের তেল আর ৬-৭ টা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভালো করে টিফিন বক্স বন্ধ করে দিতে হবে।
এরপর বড়ো একটা কড়াইতে জল দিয়ে টিফিন বক্স খুব সাবধানে জলে বসিয়ে দিতে হবে।
২০মিনিট পরে ওভেন বন্ধ করে দিতে হবে.. তৈরি চিংড়ি ভাপা।
গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

সৌমি সরকার
চিকেন কোরেজালা
কী কী লাগবে
চিকেন লেগ এক কেজি
টক দই
গোল মরিচ গুঁড়ো এবং গোটা
কাজু কিসমিস
খুব সামান্য পোষ্ট এবং চর্মগজ বাটা
এলাচ দারচিনি লবঙ্গ জায়ফল জয়িত্রী তেজপাতা
শাহ জিরে শাহ মরিচ
পিঁয়াজ বড়ো তিন চারটে
আদা এক ইঞ্চি
সামান্য রসুন মাত্র ছয় সাত কোয়া
ঘি তিন চার টেবিল স্পুন
সাদা তেল
শুকনো লঙ্কা
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে মুরগির মাংস দই একটা পিয়াঁজ কুচি কিছুটা আদা বাটা খুব সামান্য রসুন বাটা অল্প গোলমরিচ গুঁড়ো একটা শুকনো লঙ্কা বাটা দিয়ে অল্প তেল ও ঘি দিয়ে অন্তত এক ঘন্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে।
তারপর বাকি তিনটে পিয়াঁজ কুচিয়ে একটা বেরেস্তার জন্য ভেজে নিন।আর বাকিটা মিহি করে জুলিয়েন ভাবে কেটে রাখতে হবে রান্নার জন্য।
এবার সমস্ত শুকনো মশলা গুলোকে গরম তাওয়ায় হালকা নেড়ে ভেজে গুঁড়ো করে রাখুন।
দু একটা দারচিনি আর এলাচ খালি ফোড়নের জন্য রাখুন|
এবার কিছু কাজু কিসমিস চারমগজ আর পেস্ত পেস্ট করে একটা মিশ্রণ তৈরী করুন।
ফাইনালী সব রেডি করে হাতের কাছে রান্না শুরু করুন।
প্রথমেই কড়াইতে ঘি আর তেল মিক্স করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা গোলমরিচ, গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন। তারপর একে একে পেঁয়াজ আদা বাটা দিয়ে কষিয়ে ম্যারিনেটেড চিকেন দিয়ে দিন।
সবটুকু দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। হালকা তেল ছাড়লে কাজু কিসমিস পোস্ত চারমগজ বাটা অল্প গরম জলে গুলে দিয়ে দিন। এবার একটা রিচ ব্যাপার আসবে।নুন মিষ্টি আপনার স্বাদ মতো দেবেন। ফাইনালি বেরেস্তা আর কয়েকটা ভাজা কাজু কিসমিস দিয়ে নামিয়ে নেবেন।
এটা সবকিছুর সাথেই দুর্দান্ত যায়। নবাবী খুশবুদার রান্নায় সেদিন সকলের মন খুশী হতে বাধ্য।

মাথানিয়া মির্চ রাজস্হানি লাল মাস
কী কী লাগবে
মাটন ১ কেজি
রাজস্হানি মাথানিয়া লঙ্কা :বারো চোদ্দোটা বেশ বড়ো
ঘি:চার পাঁচ টেবিলচামচ
টক দই: চার টেবিল চামচ
পেঁয়াজ: কুচি বড়ো চারটে
আদা :এক টেবিল চামচ
রসুন: বাটা তিন টেবিল চামচ
গোটা গরম মশলা :চার টে এলাচ, দারুচিনি,লবঙ্গ
সর্ষের তেল: দুই টেবিল চামচ
নুন স্বাদমতো
এই রান্নায় চিনি লাগেনা কারন মাথানিয়া খুব সামান্য মিষ্টিও হয়
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে প্যান বা কড়াইতে ঘি দিয়ে গরম করে তাতে গোটা লবঙ্গ দারচিনি এলাচ দিয়ে জুলিয়েন করে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে ভাজতে হবে গোলাপি করে।
তারপর তাতে দুঘন্টা ধরে রসুন আদা ,সামান্য দই দিয়ে ম্যারিনেট করা মাটন দিয়ে কষতে হবে।
বেশ খানিক কষানোর পর ভিজিয়ে রাখা মাথানিয়া লঙ্কা পেস্ট দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে।
বেশ করে কষে গেলে দেখবেন ঘি গোটা গরম মশলা আর লঙ্কার সুগন্ধের সাথে মাটন মিশে দারুন গন্ধ বেরোবে।
এবার আরো সামান্য টক দই সাথে সামান্য সর্ষের তেল দিয়ে ফের কষুন।
এবার তেল ছাড়লে সামান্য গরম জল দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করুন মাটন গুলো।
মাঝেমধ্যে নেড়ে আধ ঘন্টা পর ঢাকনা খুলে দেখবেন যেমন সুন্দর মন কাড়া লাল টুকটুকে রং আর তেমন সুস্বাদু লাল মাস রেডি।

নীতা দত্ত
'হাতে মাখা ভেটকি'
কী কী লাগবে
টাটকা ভেটকি মাছ ৬ পিস
একটি বড়ো সাইজের পেঁয়াজ বাটা
২ টি পেঁয়াজ মিহি করে কুচানো
৪ টে কাঁচালঙ্কা
৩ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
১ চামচ করে হলুদ গুঁড়ো,
ধনে গুঁড়ো,
জিরে গুঁড়ো,
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো
নুন পরিমাণ মতো
ধনেপাতা কুচি ২ চামচ
কীভাবে বানাবেন
একটি বড়ো সাইজের পেঁয়াজ বাটা আগেই করে রেখেছিলাম।
এবার কড়াইতে ২ টি পেঁয়াজ কুচি, ৪ টে কাঁচা লঙ্কা, ১ চামচ করে হলুদ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো পরিমাণ মতো নুন ও পেঁয়াজ বাটা এবং ৩ চামচ সর্ষের তেল ও ১চামচ ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভালো করে মেখে তার মধ্যে কাঁচা মাছ গুলো দিয়ে মিনিট দশেক ফোটাতে হবে।
গা মাখা ঝোল হয়ে মাছ সিদ্ধ হয়ে এলে উপরে আরও ১ চামচ ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করেছি। দুর্দান্ত খেতে হয়েছিল।

'কেসরিয়া মোহনভোগ '
কী কী লাগবে
১ লিটার ফুল ক্রিম দুধ
কাগজি/পাতি লেবু ১টা
ভালো ঘি ৫০ গ্রাম
৫০ গ্রাম গণেশ সুজি
খোয়া ক্ষীর ৭০ গ্রাম
কাজু, পেস্তা, কিশমিশ,আমন্ড কুচি এক টেবিল চামচ করে
জাফরান ১২/১৩ টা
গুঁড়ো চিনি হাফ কাপ
গোটা এলাচ ৩ টে
এলাচ গুঁড়ো সামান্য
কীভাবে বানাবেন
প্রথমেই হাফ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে লেবুর রস দিয়ে ছানা কাটিয়ে নিয়েছি। ঠান্ডা জলে একটা ছাঁকনিতে রেখে ছানাটা ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
সুজিটাকে ব্লেন্ডারে ভালো করে পাউডারের মতো গুঁড়ো করে নিয়েছি।
ঐ বাকি হাফ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে সেখান থেকে এক বাটি দুধ নিয়ে জাফরান ভিজিয়ে রেখেছি।
প্যানে এক চামচ ঘি দিয়ে আগে থেকেই ভিজিয়ে কুচি করে রাখা ড্রাই ফ্রুটস গুলো হালকা করে ভেজে রেখেছি।
এবার ঐ ছানা এবং খোয়া ক্ষীর হাতের তালু দিয়ে ঠেসে ঠেসে মেখে নরম করে নিয়েছি। কোনো দানা থাকলে চলবে না। মসৃণ হবে।
কড়াই তে বাকি ঘি টা দিয়ে ঐ গোটা তিনেক এলাচ ফাটিয়ে দিয়ে সুজি টা ভালো করে ভেজে একটু একটু করে দুধটা দিয়েছি, এসময় ঐ ছানা ও খোয়ার মিশ্রণটা দিয়ে ভালো করে নাড়াতে হবে তাতে তলায় লেগে না যায়। অর্ধেক ভাজা ড্রাই ফ্রুটস এবং জাফরান ভেজানো দুধটাও এ সময় দিয়ে দিয়েছি।
এই মিষ্টিতে যেহেতু খোয়া থাকছে তাই চিনি হাফ কাপের একটু বেশি দিলেই হবে। মোটামুটি ঘন হয়ে এলেই এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নামিয়ে নিয়ে উপরে বাকি ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে দিয়েছি।এই ডিশটি ঠান্ডা বা গরম দু'ভাবেই ভালো লাগে।
আশাকরি একবার বানিয়ে খেলে সকলের ভালো লাগবে। এই মিষ্টি যেকোনো পুজোয় বানিয়ে ঠাকুরকে নিবেদন করা যায়।

জুথি চক্রবর্তী
পেশওয়ারি চিকেন
কী কী লাগবে
মুরগির টুকরো - ৪০০ গ্রাম,
কাঁচা পেঁপের পেস্ট - ১ কাপ,
দই - ২ টেবিল চামচ,
আদা রসুন বাটা,
ধনেপাতা কুচি - ২ টেবিল চামচ,
লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ,
লবণ স্বাদ অনুযায়ী,
সাদা তেল এক কাপ,
কাঁচা লঙ্কা - ২ টো,
হলুদ গুঁড়ো - ১ চা চামচ,
লাল লঙ্কার গুঁড়ো - ১ চা চামচ,
গোল মরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
মুরগির টুকরোগুলো পরিষ্কার করে সব উপকরণ দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন ১ ঘণ্টা।
এরপর একটা করাই তে তেল গরম করুন এবং ম্যারিনেট করা মুরগি যোগ করুন।
ঢেকে ৩৫ মিনিটের জন্য কম আঁচে রান্না করুন। পরোটার সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন পেশওয়ারি চিকেন ।

কেলফুলাচি ভাজি
কী কী লাগবে
মোচা ১ টি মাঝারি আকারের,
পেঁয়াজ সূক্ষ্মভাবে কাটা - ২ কাপ,
কোরানো নারকেল - ১ কাপ,
কাটা টমেটো - ২, কারিপাতা,
কাটা ধনেপাতা - ২ চা চামচ,
সর্ষে - ১ চা চামচ,
কাঁচা লঙ্কা - ৪-৫ টা,
আদা রসুন বাটা- ১ চা চামচ,
গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ,
ধনে গুঁড়ো - ১ চা চামচ,
জিরে গুঁড়ো - ১ চা চামচ,
লবণ স্বাদ অনুযায়ী,
২ টেবিল চামচ তেল,
হলুদ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে মোচা থেকে ফুলগুলো আলাদা করে ভালো করে কেটে নিন।
তারপর লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে অতিরিক্ত জল ঝরিয়ে রাখুন।
এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করে তাতে সরিষা, কারিপাতা ও কাঁচা লঙ্কা দিন।
এরপর পেঁয়াজ কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে ভালো করে ভাজুন।
এবার একটি মিক্সার জারে অর্ধেক ভাজা পেঁয়াজ ও গ্রেট করা নারকেল নিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন।
এই পেস্টটি প্যানে যোগ করুন, ভাল করে ভাজুন এবং তারপরে কাটা টমেটো, সমস্ত মসলা যোগ করুন এবং ভালভাবে মেশান।
সেদ্ধ কলার ফুল যোগ করুন, এবং ৫-৭ মিনিটের জন্য কম আঁচে রান্না করুন। পরোটা বা ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ইলিশ মাছের মালাইকারি
কী কী লাগবে
ইলিশ মাছের বড় পিস ৪-৫ টা,
সর্ষে বাটা হাফ কাপ,
পোস্ত বাটা হাফ কাপ,
সর্ষের তেল মাছ ভাজার জন্য,
হলুদ গুঁড়ো,
কাশ্মীরি লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১ চামচ,
নারকেল দুধ ১ কাপ,
লবণ স্বাদমতো
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে মাছের টুকরো গুলি ধুয়ে হলুদ নুন মেখে সর্ষের তেল ভেজে নিন।
এরপর করাইতে তেল দিয়ে কাঁচালঙ্কা, শুঁকনো লঙ্কা গরম দিয়ে সর্ষে বাটা, পোস্ত বাটা ঢেলে দিন, ভালোভাবে নাড়াচাড়া করুন।
ঢিমে আঁচে রান্না করুন এবং একটু কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিন।
এরপর নারকেলের দুধ দিয়ে দিন। ভাজা মাছ গুলি দিয়ে দিন, ঢিমে আঁচে ১ মিনিট রেখে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সাথে ইলিশ মাছের মালাইকারি।

কোকোনাট এগ মশালা
কী কী লাগবে
৪টি সেদ্ধ ডিম (অর্ধেক করে কাটা)
২ টেবিল চামচ নারকেল পেস্ট
ধনে পেস্ট ১ চা চামচ
আধা চা চামচ শুকনো লাল মরিচের পেস্ট
আধা চা চামচ জিরা পেস্ট
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
আধা চা চামচ মৌরি পেস্ট
১ চা চামচ টমেটো সস
২ চা চামচ পেঁয়াজ বাটা
আধা চা চামচ রসুন বাটা
স্বাদ অনুযায়ী লবণ
চিমটি চিনি
আধা কাপ বেসন
২ চা চামচ চালের গুঁড়ো
সরিষা তেল
প্রয়োজন অনুযায়ী জল
১ চা চামচ কাটা ধনে পাতা
আধা চা চামচ গরম মসলা
কীভাবে বানাবেন
🔺একটি বাটিতে চালের গুঁড়া, বেসন, লবণ, চিমটি হলুদ গুঁড়ো, ভালো করে মিশিয়ে নিন।
🔺এবার জল দিয়ে একটি মসৃণ ব্যাটার তৈরি করুন।
🔺এবার ডিমের টুকরোগুলো ব্যাটারে ডুবিয়ে রাখুন।
🔺সোনালি বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন এবং একপাশে রাখুন।
🔺একটি প্যান নিন, ৫ চা চামচ তেল দিন এখন পেঁয়াজ এবং রসুনের পেস্ট দিন এবং ১ মিনিটের জন্য ভাজুন।
🔺তারপর ধনে, জিরা, মৌরি, লাল মরিচ, নারকেল, টমেটো সস দিয়ে দিন।
🔺আধা কাপ জল দিন এবং প্যান থেকে তেল আলাদা না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
🔺সবশেষে লবণ এবং চিনি যোগ করুন, আবার কম আঁচে ২ মিনিট রান্না করুন।
🔺এখন ১কাপ জল যোগ করুন এবং রান্না করুন যতক্ষণ না মসলা একটু ঘন হয়।
🔺এই পর্যায়ে গরম মসলা যোগ করুন এবং এটি ভালভাবে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
🔺একটি সার্ভিং প্লেট নিন, ডিমের টুকরোগুলো রাখুন...
🔺এবার ডিমের উপরে মসলা ঢেলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

জ্যাগারি কোকোনাট প্যাড়া
কী কী লাগবে
১ কাপ সুজি (ভাজা)
আধা কাপ কোড়ানো নারকেল
১ কাপ ভাজা গুড়
৩ চা চামচ মাখন/ঘি
৪ চা চামচ গুঁড়ো দুধ
২ চা চামচ কাটা বাদাম
৪ চা চামচ জল
কীভাবে বানাবেন
🔺একটি নন-স্টিক প্যানে ১ চা চামচ ঘি গরম করুন, নারকেল এবং সুজি দিন, কম আঁচে ৫ মিনিট ভাজুন...
🔺এবার দুধের গুঁড়া যোগ করুন, ভালো করে মেশান।
🔺গুড়, জল এবং ১ চা চামচ ঘি মেশান যতক্ষণ না মিশ্রণটি প্যান থেকে আলাদা হয়..আঁচ বন্ধ করুন।
🔺কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঠান্ডা করুন।
🔺এবার ঘি দিয়ে হাতের তালু মাখুন।
🔺এবার অল্প পরিমাণে মিশ্রণটি নিয়ে প্যাড়ার আকার দিন।
🔺কাটা বাদাম দিয়ে সাজান..
Comentarios