নবরাত্রি, দেবী দুর্গা পূজিত হন নয় রূপে। কি করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে
আজ নবরাত্রি। ১৫ অক্টোবর, রবিবার, প্রতিপদ। শরতের হিমেল স্পর্শে নবরাত্রির ন'টি দিন দেবী পার্বতীর পুজো হয় নতুন নতুন রূপে। বলা হয়, নবরাত্রির ন'দিনে ন'টি রূপের সমস্ত গুণগুলি রয়েছে পার্বতীর দেবী দুর্গা রূপে। পার্বতী যে-রূপ ধারণ করে বধ করেন অসুর দুর্গমকে। দুর্গম অসুরকে বধ করার কারণেই তাঁর নাম হয় দুর্গা। দেবী দুর্গা হলেন দুর্গতিনাশিনী। পার্বতীর দেবী দুর্গার ন'টি রূপই হল নবদুর্গা৷ ওই ন'টি রূপ হল: শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী৷ নবরাত্রির নয় দিনে প্রতিদিন দেবী পার্বতীর দুর্গা রূপের এই নয় রূপের এক এক দেবীকে পুজো করা হয় ৷ আসলে এই নয়টি রূপের স্বগুন বর্তমান দেবী পার্বতীর দুর্গা রূপের মধ্যে অন্তর্নিহিত হয়ে আসে। এই রূপে দেবী পার্বতী বধ করেছিলেন দুর্গম অসুরকে।
শৈলপুত্রী:
দেবীর ডান হাতে ত্রিশূল আর বাঁ হাতে পদ্ম। শৈলপুত্রীর অন্য নাম শুলধারণী। ইনি পূর্বজন্মে ছিলেন দক্ষরাজার কন্যা সতী দেবী। দক্ষের অমতে শিবকে বিয়ে করার করার কারণে দক্ষ শিবহীন যজ্ঞের আয়োজন করলেন। অনাহূত সতী পিত্রালয়ে গিয়ে অপমানিত হন। পতি নিন্দা সতী সহ্য করতে না পেরে দেহত্যাগ করেন। সতীর দেহত্যাগের খবর শিবের কর্ণগোচর হলে সতীর দেহ কাঁধে নিয়ে তাণ্ডবনৃত্য করে দক্ষের যজ্ঞ ভণ্ডুল করেন। এইসব পৌরাণিক ঘটনা সকলেরই শ্রুত। এরপর দেবী জন্ম নেন হিমালয় কন্যা পার্বতী বা উমার রূপে। শৈলরাজ হিমালয়ের কন্যা হওয়ার কারণে তিনি শৈলপুত্রী। এই জন্মেও তিনি শিবকেই পতিরূপে বরণ করেন। নবরাত্রির প্রথম দিনেই আরাধনা করা হয় দেবী শৈলপুত্রীর। দেবী শৈলপুত্রীর বাহন বৃষ।
ব্রহ্মচারিণী:
নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে পার্বতীর দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মচারিণী। তিনি তপস্বী। ব্রহ্মচারিণী অর্থাৎ তপশ্চারিণী। দেবীর ডান হাতে জপের মালা এবং বাঁ হাতে কমণ্ডলু।
চন্দ্রঘণ্টা:
নবরাত্রির তৃতীয় দিবসে দেবী চন্দ্রঘণ্টা। দেবী মস্তকে ধারণ করেছেন অর্ধচন্দ্র, তাই দেবীকে বলা হয় চন্দ্রঘণ্টা। দেবী হলেন কল্যাণকারী। দশভুজা দেবীর গাত্রবর্ণ স্বর্ণের মতো উজ্জ্বল। দেবীর হাতে রয়েছে কমণ্ডলু, তরোয়াল, গদা, ত্রিশূল, ধনুর্বাণ, পদ্ম, জপমালা। দেবীর হুংকারে প্রকম্পিত হয়।
কুষ্মাণ্ডা:
নবরাত্রির চতুর্থ দিনে পার্বতী কুষ্মাণ্ডা নামে পরিচিতা। ভক্তেরা কুষ্মাণ্ডারূপেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করেন। অষ্টভুজা ত্রিনয়নী দেবী সিংহবাহিনী। দেবীর আট হাতে রয়েছে সুদর্শনচক্র, ধনুর্বাণ, রক্তপদ্ম, কমণ্ডলু, ইত্যাদি। মায়ের হাতে রয়েছে একটি অমৃত কলসও। অর্থাৎ তাঁর হাতে আছে ব্রহ্মজ্ঞানের আধার।
স্কন্দমাতা:
নবরাত্রির পঞ্চম দিনে দেবী স্কন্দমাতা। দেবী দুর্গার পঞ্চম শক্তি। তিনি স্কন্দ অর্থাৎ কার্তিকের জননী। তাই তাঁকে বলা হয় স্কন্দমাতা। পৌরাণিক বিশ্বাস, সূর্যমণ্ডলের প্রধান দেবতা হওয়ার কারণে, তিনি বিশ্বজুড়ে আলোকিত।
কাত্যায়নী:
নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে দেবী হলেন কাত্যায়নী। এর পিছনে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি, বৈদিক যুগে এক ঋষি ছিলেন। তাঁর নাম কাত্যায়ন| এক পুত্রসন্তানের পিতা কাত্যায়নের একান্ত ইচ্ছা একটি কন্যসন্তানের| কন্যা লাভের জন্য দেবী পার্বতীর তপস্যা করেন তিনি। তাঁর তপস্যায় তুষ্ট পার্বতী নিজেই জন্ম নিলেন ঋষি কাত্যায়নের কন্যা রূপে | তাই তাঁর নামকরণ হয় কাত্যায়নী| দেবী পার্বতী কাত্যায়নী রূপ নিয়ে বধ করেছিলেন মহিষাসুরকে।
কালরাত্রি:
নবরাত্রির সপ্তম দিনে দেবী কালরাত্রি হলেন কৃষ্ণবর্ণা। এলোকেশী দেবী শত্রুর সংহারে ধাবিত। তাঁর কণ্ঠে বিদ্যুতের মালিকা। ত্রিনয়নী দেবীর শ্বাসপ্রশ্বাসে আগুনের হলকা। ভীষণদর্শনা চতুর্ভুজা দেবীর তিন হাতে অস্ত্র, অন্য হাতে ভক্তদের প্রতি বরাভয়। কালিকা রূপে দেবী ভক্তের মঙ্গল করেন| তাই তিনি শুভঙ্করীও। দেবীর বাহন গাধা|
মহাগৌরী:
হিমায়লকন্যা উমা বা পার্বতী ছিলেন গৌরবর্ণা। শিবের কঠিন তপস্যা করে রৌদ্রে পুড়ে তিনি হলেন কৃষ্ণা। মহাদেব গঙ্গাজলে তাঁকে স্নান করানোর পর তিনি হয়ে ওঠেন গৌরবর্ণা। তাই তাঁর নাম হল মহাগৌরী। ভক্তদের বিশ্বাস, নবরাত্রির অষ্টম রাত্রে দেবীর পুজো করলে ধুয়েমুছে যাবে সব পাপ। সাদা পোশাক পরিহিতা চতুর্ভুজা দেবীর চার হাতে থাকে পদ্ম, ত্রিশূল, ডমরু আর অন্য হাতে মানুষের প্রতি তাঁর বরাভয় প্রদান। দেবীর বাহন বৃষ।
সিদ্ধিদাত্রী:
নবরাত্রির নবম অর্থাৎ শেষ দিনে দেবী হলেন সিদ্ধিদাত্রী। চতুর্ভুজা দেবীর চার হাতেই আশীর্বাদী মুদ্রা। দেবী সিদ্ধি দান করছেন। দেবীর আরাধনায় সংসার ভরে উঠবে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তিতে। সবাইকেই তিনি বরাভয় দেন। তিনি সবাইয়েরই মা।
এমনকী দেবাদিদেব মহাদেব নিজেই দেবী পার্বতীকে পুজো করেছিলেন সিদ্ধিদাত্রী রূপে। তার ফলেই মহাদেব লাভ করেন সবরকম সিদ্ধি। অর্থাৎ সিদ্ধিদাত্রীর সর্বসিদ্ধির আশীর্বাদ বর্ষিত হয় মহাদেবের ওপর। নবদুর্গার শেষ রূপই হল সিদ্ধিদাত্রী।
ঘরে সুখ-সমৃদ্ধির জন্য নবরাত্রিতে কি করবেন:
ঘর পরিষ্কার রাখবেন। ঘরে প্রবেশদ্বারের ওপর স্বস্তিক প্রতীক আঁকবেন।
ঘরের ভিতর থেকে সবরকম অদরকারি জিনিসপত্র বাইরে বার করে দেবেন বা ফেলে দেবেন। ঘরের দেওয়ালে গঙ্গাজলের ছিটে দিন।
এরপর নবরাত্রির প্রথম দিনে, আপনার ঠাকুরের আসনে গঙ্গাজল, না পেলে পরিষ্কার জল ভর্তি একটি কলস রাখুন। কলসে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখবেন।
নবরাত্রির প্রতিদিন দেবী দুর্গার আরাধনা করবেন। নবরাত্রির শেষদিনে সারা বাড়িতে ওই কলসের পবিত্র জল ছিটিয়ে দেবেন। সংসারের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করবে। কলস সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি বৃদ্ধি করবে।
আরও একটি কথা মনে রাখতে হবে, কলসের সামনে বা ঠাকুরের আসনের সামনে রাখা প্রদীপ যেন কখনওই না-নেভে। অর্থাৎ অখণ্ড জ্যোতি যেন সবসময় প্রজ্বলিত থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। অখণ্ড জ্যোতিতে তেল ব্যবহার করা চলবে না ঘি ব্যবহার করতে হবে। এই অখণ্ড জ্যোতি গৃহে সৌভাগ্য এবং শান্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি
নবরাত্রির ৯ টি ভোগ...
ব্রহ্মপুরাণ অনুযায়ী নবরাত্রির প্রথম দিন আদ্যাশক্তি প্রকট হন। তাঁর আদেশেই ব্রহ্মা চৈত্র শুক্লপক্ষের প্রতিপদা তিথিতে সৃষ্টির নির্মাণ শুরু করেন। মৎস্য পুরাণ অনুযায়ী চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিন বিষ্ণপ মৎস অবতার ধারণ করেন। এই নবরাত্রিতেই রামের রূপে নিজের সপ্তম অবতার নেন বিষ্ণু। এ কারণে এই নবরাত্রির মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায়। এই ন’দিন দুর্গার নয়টি রূপের আরাধনা করা হয়।
নবরাত্রির প্রথম দিন পুজো করা হয় মা শৈলপুত্রীর। শৈলপুত্রী হলেন হিমালয়ের কন্যা। এদিন ঘি আর দুধ দিয়ে কোনও প্রসাদ বানিয়ে নিবেদন করা হয়। মনে করা হয় এতে রোগব্যাধি দূর হয়ে যায়।
ঘি'য়ে ভাজা লুচি, সিমুইয়ের পায়েস
দ্বিতীয় দিন দেবী ব্রহ্মচারিণী রূপে পূজিত হন। এদিন চিনির তৈরি কোনও প্রসাদ নিবেদন করলে সংসারের বিভিন্ন রোগ, দুঃখ, কষ্ট দূর হয়ে যায়।
চিনির নাড়ু
তৃতীয় দিন পুজো হয় দেবী চন্দ্রঘন্টার। এদিন ভোগ হিসেবে দুধের তৈরি কোনও খাবার যেমন ক্ষীর, দধি, ছানা, সুজির পায়েস এসব দেওয়া হয়। এই প্রসাদ নিবেদনের মাধ্যমে মানসিক শান্তি ফেরে। আর্থিক দিক থেকেও সুরাহা হয়।
কমলালেবুর রসমালাই
চতুর্থীতে হয় মা কুষ্মাণ্ডার পুজো। এইদিন প্রসাদ হিসেবে ভোগে মালপোয়া দেওয়া হয়। তবে পুজো শেষে বলা হয় তা গরীব মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে। এতে বিদ্যা-বুদ্ধি বাড়ে, মানসিক স্থিতি আসে।
তালের মালপোয়া
পঞ্চম দিনে হয় স্কন্দমাতার পুজো। দেবী ভগবতীর পঞ্চম রূপ স্কন্দমাতা। এছাড়াও তাঁকে স্কন্দমাতা বলার কারণ তিনি ব্রহ্ম স্বরূপ সনাতকুমারের মা। এদিনের নৈবেদ্যতে চাল-কলা ফল মিষ্টি সাজিয়ে দেওয়া হয়। এতে কর্মজীবনে উন্নতি হয় এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে অগ্রগতিও আসে।
নৈবেদ্য
ষষ্ঠীর দিনে মা দুর্গার বোধন হয়। এদিন মহর্ষি কন্যা কাত্যায়নীর আরাধনা হয়। বলা হয়, এইদিন মধুপর্ক নিবেদন করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। এতে সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধি প্রাপ্তি ঘটে।
পঞ্চামৃত
সপ্তমীর দিন কালরাত্রির পুজো করা হয়। এইদিন গুড়ের নৈবেদ্য নিবেদন করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। এবং পরে এই নৈবেদ্য সবার মধ্যে বিলিয়ে দিন। এতে নানা সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
গুড়ের কাঁচাগোল্লা
অষ্টমীর দিন দেবী মহাগৌরীকে নারকেল নিবেদন করা হয়। এছাড়াও এইদিন ফল, অন্নভোগ, লুচি, পায়েস, মালপোয়া, মিষ্টান্ন ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়। অনেক বাড়িতেই এদিন অন্নপূর্ণা পুজো হয়।
খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি, পায়েস
নবমী নবরাত্রির শেষ দিন। এইদিন হয় সিদ্ধিদাত্রীর পুজো। প্রসাদে গুড় ছোলা তো থাকেই, সেই সঙ্গে ভোগে ফল প্রসাদ, লুচি, খিচুড়ি, পোলাও, নাড়ু সবকিছুই দেওয়া হয়। এইদিন পুজো করলে ঘরের শান্তি বজায় থাকে, সমৃদ্ধি ও আসে।
সুজির হালুয়া, ছোলা, পুরি
পুজোর জলখাবার...
হিসেবমতো মহালয়ার পরদিন থেকেই পুজোর ছুটির শুরু। আর ছুটি মানেই ঘুম থেকে উঠে একথালা পছন্দমতো জলখাবার। দেশ বিদেশী আটটি রেসিপি রইলো আজ। দেখুন আর বানিয়ে ফেলুন আপনার রান্নাঘরে।
মৌমিতা মুখার্জি
টোস্টেড ব্রেড উইথ হামাস, এগ এ্যন্ড চিলি বাটার
কী কী লাগবে
২ পিস শাওয়ার ডো অথবা বড় স্লাইস স্যান্ডউইচ ব্রেড
১ কাপ সেদ্ধ করা কাবুলি চানা
২ কোয়া রসুন
সাদা তিল বাটা দের চা চামচ
লেবুর রস হাফ চা চামচ
অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ
নুন স্বাদমতো
সেদ্ধ ডিম চাকা চাকা করে কাটা দুইটি
দের চা চামচ মাখন
হাফ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো অথবা চিলি ফ্লেক্স
কীভাবে বানাবেন
পাউরুটি টোস্ট করে রাখুন।
কাবুলি চানা, রসুন নুন সাদা তিল বাটা একসাথে ব্লেন্ডারের পেস্ট করে নিন। একটু একটু করে অলিভ অয়েল যোগ করতে থাকুন যাতে মিশ্রণটি পাতলা হয় শেষে লেবুর রস দিয়ে আর একবার মিক্সি ঘুরিয়ে বন্ধ করে নিন। হামাস তৈরি।
টোস্ট করা পাউরুটির ওপরে মোটা করে হামাস লাগিয়ে নিন এর ওপর চাকচাক করে কাটা ডিম সেদ্ধ সাজিয়ে নিন।
একটি ছোট প্যানে মাখন গরম করতে দিন ওতে লঙ্কা গুঁড়ো অথবা চিলি ফ্লেক্স যোগ করুন মাখনটা গলে লঙ্কার সঙ্গে মিশে গেলে ডিমের ওপরে চিলি বাটার ছড়িয়ে দিন।
ফ্ল্যাট নুডলস উইথ চিলি অয়েল ব্রথ এ্যন্ড শ্রেডেড পোচড চিকেন
কী কী লাগবে
২০০ গ্রাম ফ্ল্যাট নুডলস
চিকেন স্টক এক কাপ
চিলিফ্লেক্স এক টেবিল চামচ
রসুন কুচি এক টেবিল চামচ
সাদা তিল এক টেবিল চামচ
সয়া সস এক চা চামচ
সাদা তেল ১/৪ কাপ + ১ টেবিল চামচ
বাটন মাশরুম স্লাইস করে কাটা হাফ কাপ
বকচয় স্লাইস করে কাটা হাফ কাপ
সেদ্ধ করা বোনলেশ চিকেন ব্রেস্ট স্রেড করে রাখা
কীভাবে বানাবেন
ফ্ল্যাট নুডলস সেদ্ধ করে নিন। এক টেবিল চামচ তেল গরম করে মাশরুম ও বকচয় ভেজে নিন।
একটি পাত্রে চিলি ফ্লেক্স, রসুন কুচি, সাদা তিল, সয়া সস মিশিয়ে নিন। সাদা তেল বাকিটা প্যানে গরম করে এই মিশ্রণে ঢেলে দিন।
চামচে করে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
দুটি রামেন বোল নিন। তৈরি করা চিলি অয়েল দুইটি পাত্রে ভাগ করে দিন। তাতে গরম করা চিকেন স্টক মিশিয়ে নিন।
সেদ্ধ করা নুডুলস দুটি পাত্রে ভাগ করে দিন। একইভাবে চিকেন, মাশরুম-বকচয় মিশ্রণ দুটি পাত্রে ভাগ করে দিন। উপর থেকে চিলি অয়েল ছড়িয়ে দিন। চাইলে একটি করে ডিমের পোচ ও যোগ করতে পারে।
সুস্মিতা চক্রবর্তী
ছোলে ভাটুরে
কী কী লাগবে
২০০ গ্রাম কাবুলী ছোলা
২ টো পেঁয়াজ কুচি
১ টেবিল চামচ আদা রসুন ও কাঁচা মরিচ থেঁতো
দেড় চা চামচ ধনে জিরে গুঁড়ো
১ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১/২ চা চামচ জিরা
১ টা শুকনো লঙ্কা
২-৩ টে গোটা গরম মশলা
১ চা চামচ পাতিলেবুর রস
১ চা চামচ চাট মশলা গুঁড়ো
১ চা চামচ আদা জুলিয়ান করে কাটা
স্বাদ মত নুন ও চিনি
ভাটুরার জন্য
২৫০ গ্রাম ময়দা
১ টেবিল চামচ ড্রাই ঈষ্ট
১ কাপ উষ্ণ দুধ
১ চা চামচ চিনি
১/৪ চা চামচ নুন
পরিমাণ মত তেল
কীভাবে বানাবেন
ফুটন্ত গরম জলে ছোলা দিয়ে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার নুন দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন।
উষ্ণ দুধে চিনি ও ঈষ্ট মিশিয়ে ফুলে উঠলে ময়দা তে তেল ও নুন সহ মিশিয়ে নিন এবং জল দিয়ে মেখে নিন এবং সরিয়ে রেখে দিন।
তেল গরম করে তাতে জিরা, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ও গোটা গরম মশলা দিয়ে দিন এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে নিন।
আদা রসুন কাঁচা মরিচ দিয়ে সব গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে ভাজুন নুন হলুদ দিয়ে।
ছোলা সিদ্ধ করে দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে জল দিয়ে ফুটতে দিন।
ময়দা থেকে লেচি কেটে গোল করে বেলে নিন এবং তেল গরম করে তাতে ভাজুন।
ছোলের ওপর আদা জুলিয়ান, লেবুর রস ও চাট মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন ও ভাটুরে সহ পরিবেশন করুন।
রাধাবল্লভী
কী কী লাগবে
রাধাবল্লভীর ওপরের অংশের জন্য:
৩০০ গ্রাম ময়দা
১ চা চামচ কালো জিরা
১/২ চা চামচ নুন
পরিমাণ মত তেল ময়ানের জন্য
পুরের জন্য:
১ কাপ ছোলার ডাল(আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা)
১" আদা
৩-৪টে কাঁচা মরিচ
১.৫ চা চামচ ধনে জিরে গুঁড়ো
১ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ জিরা
১ টা তেজপাতা
১ টা শুকনো লঙ্কা
১/২ চা চামচ হিং
স্বাদ মত নুন ও চিনি
পরিমাণ মত তেল
আলুর দম করতে লাগছে
৫টা মাঝারি আলু
১ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ কাঁচা মরিচ বাটা
১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১ চা চামচ ভাজা মশলা গুঁড়ো
১/২ টমেটো কুচি
১/৪ চা চামচ হিং
১/২ চা চামচ জিরা
১ টা তেজপাতা
১ টা শুকনো লঙ্কা
স্বাদ মত নুন ও চিনি
পরিমাণ মত তেল
কীভাবে বানাবেন
ময়দা নুন, কালো জিরা ও তেল দিয়ে মিশিয়ে নরম করে মেখে রেখে দিন। এবারে ভিজিয়ে রাখা ছোলার ডাল আদা ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে ভালো করে বেটে নিন।
কড়াই এ তেল গরম করে তাতে জিরা তেজপাতা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দিন এবং হিং দিয়ে মিশিয়ে নিন।
ধনে জিরা গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, নুন হলুদ ও চিনি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ডাল বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
আলু খোসা ছাড়িয়ে চার টুকরো করে কেটে সামান্য নুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
তেল গরম করে তাতে জিরা তেজপাতা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দিন এবং আলু দিয়ে ভালো করে ভাজুন নুন হলুদ দিয়ে।
এবারে আদা বাটা, ধনে জিরা গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো ও টমেটো কুচি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন নুন হলুদ দিয়ে।
ভাল করে কষিয়ে চিনি ও ভাজা মশলা দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
ময়দা থেকে লেচি কেটে নিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে ফেলুন এবং মাঝে পুর ভরে লুচির মত বেলে নিন।
বেশ খানিকটা তেল গরম করে তাতে দিয়ে দিন এবং ভাল করে ভাজুন। এবার আলর দম ও সিমুই এর পায়েস সহ পরিবেশন করুন।
বিনীতা হাজরা গুপ্তা
ক্র্যাব কচুরি
কী কী লাগবে
ক্র্যাব (কাকড়া) ৫০০গ্রাম
ময়দা মাখা ১ বাটি
পেঁয়াজ কুচি ১ টা
কাঁচা লঙ্কা কুচি ২ টো
আদা রসুন পেস্ট ২ চামচ
সেদ্ধ আলু হাফ
জিরে, ধনে, কাশ্মীরি লঙ্কা, হলুদ, গোলমরিচ গুঁড়ো হাফ চামচ করে
গরম মশলা গুঁড়ো ১ চামচ
লেবুর রস ৩/৪ চামচ
স্বাদ মতো নুন চিনি
সাদা তেল বা ঘি (ভাজার জন্যে)
ধনে পাতা কুচি
তেঁতুলের চাটনি
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে ক্র্যাব বা কাকড়া গরম জলে ৫-৭ মিনিট সেদ্ধ করে নেবার পর কাঁটা চামচ এর সাহায্যে ক্র্যাব এর মাংসের অংশটুকু সংগ্রহ করে নিতে হবে।
তারপর প্যান গরম করে তাতে পেঁয়াজ, লঙ্কা কুচি ভেজে নিয়ে আদা রসুন পেস্ট দিয়ে কিছুক্ষন নেড়ে নেবার পর ক্র্যাব এর মাংস দিয়ে নারাচাড়া করে সেদ্ধ আলু দিতে হবে।
তারপর সবরকম মশলা, স্বাদ মতো নুন, চিনি, লেবুর রস, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভেজে নিয়ে পুর বানিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
এরপর ময়দা থেকে লেচি কেটে নিতে পুর ভরে হাল্কা হাতে প্রেস করে কচুরির আকারে বানিয়ের প্যানে তেল ঘি গরম করে হাল্কা আচে ভেজে নিয়ে গরম গরম তেঁতুলের চাটনি বা সব্জি সাথে পরিবেশন করুন ক্র্যাব কচুরি।
দেবযানী গুহ বিশ্বাস
ওটসের উপমা
কী কী লাগবে
আপনার পছন্দমতো কিছু সবজি(আমি নিয়েছি গাজর, কড়াইশুঁটি, ক্যাপসিকাম, আলু),
১ কাপ রোস্টেড ওটস,
১টা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ(মিহি কুচোনো),
কাঁচা লঙ্কা কুচি,
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল /ঘি,
কারি পাতা,
চিনাবাদাম,
লবণ স্বাদমতো,
১ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো,
সামান্য চিনি,
১ টা শুকনো লঙ্কা,
১চা চামচ গোটা সর্ষে
জল
কীভাবে বানাবেন
কড়াই গরম করে তাতে তেল বা ঘি দিন।
গোটা শুকনো লঙ্কা আর সর্ষে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, চিনাবাদাম আর কারি পাতা দিয়ে দিন।
কয়েক মিনিটের জন্য ভাজুন। এরপর অন্যান্য সবজিগুলো দিয়ে আবারও কিছুক্ষণ ভেজে নিন।
৫ থেকে ৭ মিনিট ভাজার পর ওটস, স্বাদমতো লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিন।
ভালো করে একবার সবকিছু মিশিয়ে নিয়ে, জল ও সামান্য চিনি দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন।
নামানোর আগে আবার কিছু কারিপাতা কুচি করে দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন আর গরম গরম পরিবেশন করুন ওটসের উপমা।
সঞ্চিতা দাস
মেথি পুরি
কী কী লাগবে
১ কাপ ময়দা,
১/২ কাপ আটা,
১/৩ কাপ সুজি,
১ কাপ দুধ,
১ কাপ হালকা গরম জল,
১ টেবিল চামচ চিনি,
স্বাদ অনুযায়ী নুন,
মেথি পাতা
ভাজার জন্য সাদা তেল
কীভাবে বানাবেন
তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পরিমাণমতো জল দিয়ে মেখে রাখুন একঘন্টা।
লেচি কেটে বেলে ডুবো তেলে ভেজে তুলে নিন।
ছোলার ডাল, আলু ফুলকপির রসা অথবা আলুর দমের সাথে ভালো লাগবে।
মশলা লুচি
কী কী লাগবে
১ কাপ ময়দা,
১/২ কাপ আটা,
১/৩ সুজি,
১ টেবিল চামচ চিনি,
স্বাদ অনুযায়ী নুন ,
১ টেবিল চামচ সাদা তেল
ভাজার জন্য পরিমাণমতো তেল
কীভাবে বানাবেন
ভাজার তেল বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এবার হালকা গরম জল দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।
গায়ে তেল মাখিয়ে ২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
এবার গ্যাস জ্বালিয়ে কড়াই তে তেল দিয়ে ছোট ছোট লেচি কেটে ভেজে নিন।
গরম গরম পরিবেশন করুন পছন্দ মতো সবজির সাথে।
Comments