বসন্ত পঞ্চমীতে কেন হয় সরস্বতী পুজো জানেন কি? চলুন জেনে নিই পুরানে বর্নিত দেবী সরস্বতীর উদ্ভবের অজানা কাহিনী..
ইতিহাসে সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পুজোর বর্তমান রূপটি আধুনিক কালে প্রচলিত হয়েছে। তবে প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পুজো করতেন বলে জানা যায়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির উপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াত কলম রেখে পুজো করার প্রথা ছিল। শিব ও পার্বতীর মেয়ে হিসেবেই আমরা বাঙালিরা সাধারণ ভাবে দেখতে অভ্যস্ত দেবী সরস্বতীকে। পুরাণ কিন্তু অন্য কথা বলছে। বাগদেবীর সৃষ্টি হয়েছিল ব্রহ্মার মুখ গহ্বর থেকে। জেনে নিন পুরাণের সেই অজানা কাহিনি।
হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ আসনে থাকা তিন দেবতার অন্যতম হলেন ব্রহ্মা। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে নিয়েই ত্রিমূর্তি। পুরাণ অনুসারে ব্রহ্মা হলেন স্বয়ম্ভু অর্থাত্ তাঁর কোনও পিতা ও মাতা নেই। তিনি নিজেই নিজের জন্ম দিয়েছেন। এই আশ্চর্য জন্মের পর ব্রহ্মা ধ্যানে বসেন। সেই ধ্যানে তিনি তাঁর সকল ভালো গুণকে একত্র করতে থাকেন। আর ব্রহ্মার সকল ভালো গুণ একত্রিত হয়ে তা ধীরে ধীরে এক নারীর আকার নিতে থাকে। এই ভাবেই ব্রহ্মার মুখ গহ্বর থেকে সৃষ্টি হয় দেবী সরস্বতীর। ব্রহ্মার প্রথমে একটিই মুখ ছিল। অত্যন্ত সুন্দর সেই দেবীকে দর্শন করার জন্যই ব্রহ্মার আরও চারটি মুখের সৃষ্টি হয়। পুরাণ অনুসারে ব্রহ্মা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করলেও নিজের সৃষ্টি নিয়ে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। সরস্বতী তাঁকে এই বিশ্বকে কী ভাবে আরও সুন্দর করে তোলা যায়, সে সম্পর্কে পরামর্শ দেন। পুরাণের কোথাও কোথাও সরস্বতীর স্বামী হিসেবে বিষ্ণুর কথা উল্লেখ করা আছে। আবার কোথাও ব্রহ্মাকে সরস্বতীর স্বামী হিসেবে বলা হয়েছে।
পুরাণের একটি কাহিনি অনুসারে একবার কোনও একটি অনুষ্ঠানে ব্রহ্মার পাশে সময়মতো এসে উপস্থিত হতে পারেননি সরস্বতী। সেই কারণে ব্রহ্মা গায়ত্রী নামে নিজের আরও এক স্ত্রীর সৃষ্টি করেন। সেই কথা জানতে পেরে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন সরস্বতী। তিনি ব্রহ্মাকে অভিশাপ দেন যে ত্রিমূর্তির অন্যতম হলেও মর্ত্যলোকে ব্রহ্মার পুজো করা হবে না। সেই কারণে শিব ও বিষ্ণু পুজিত হলেও ব্রহ্মার মন্দির সে ভাবে কোথাও দেখা যায় না। বসন্ত পঞ্চমীতেই দেবী সরস্বতীর জন্ম হয়। সরস্বতী সকল বেদের মা বলে মনে করা হয়। সকল শব্দ ও ভাষার উত্পত্তি তাঁর থেকে হয়েছিল বলে ব্রহ্মা সরস্বতীর নাম দেন বাগদেবী। আমাদের রাজ্য সহ পূর্ব ভারতের অনেক জায়গাতেই সরস্বতীকে শিব ও পার্বতীর কন্যা বলে মনে করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মে সরস্বতীকে মঞ্জুশ্রী নামে আরাধনা করা হয়।
সরস্বতী পুজোর ভোগ..
আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরেই সরস্বতী পুজো। হাতে কিছুটা সময় থাকলেও, পুজোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন অনেকেই। পুজো-পার্বণ মানেই ভোগ। খিচুড়ি, লাবড়া, পাঁচ রকম ভাজা, মিষ্টি, ফলমূল দিয়ে সাজানো হয় ভোগের থালা। নিমন্ত্রিত অতিথিদেরও পরিবেশন করা হয় পুজোর ভোগ। এসব ছাড়াও নাড়ু, মোয়া, তক্তিও থাকে পুজোর প্রসাদে। এবছর একটু অন্যরকম কিছু পদে ভোগের থালা সাজাতে চাইলে রইলো তার হদিশ।
সুতপা বৈদ্য
পনীর মহারানী
কী কী লাগবে
২৫০ গ্রাম পনীর কেটে নেওয়া, ১ টেবিল চামচ বেসন, ১ চা চামচ কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ জিরে, ১/২ চা চামচ ধনে, ১/২ চা চামচ মৌরি, ১/২ চা চামচ কসুরি মেথি, ১/২ ইঞ্চি আদা + ১টা কাঁচালঙ্কা + ১ টা টমেটো বাটা (ভালো করে মিক্সিতে বেটে নিতে হবে), ৫ টা কাজুবাদাম অল্প দুধে ভিজিয়ে বাটা, খুব সামান্য চিলি ফ্লেক্স, এক চিমটি হিং, স্বাদমতো লবণ, প্রয়োজন মতো তেল
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে পনীরের মধ্যে লবন, লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মশলা, দই দিয়ে ৫ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। এরপর একটি প্যানে জিরে, ধনে, মৌরি, কসুরি মেথি ড্রাই রোস্ট করে তুলে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
এবার ম্যারিনেট করা পনীরের উপর থেকে শুকনো বেসন ছড়িয়ে কোট করে নিয়ে, তেল গরম করে পনীর গুলো হালকা ভেজে তুলে নিতে হবে। এবার তেলে হিং ফোড়ন দিয়ে আদা কাঁচালঙ্কা ও টমেটোর পেস্ট দিয়ে কষিয়ে, অর্ধেক গুঁড়ো মশলা দিয়ে কষাতে থাকতে হবে। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে কাজুবাদামের পেস্ট আর স্বাদ মতো লবন দিয়ে কষিয়ে প্রয়োজন মতো গরম জল দিয়ে দিতে হবে। জল ফুটে উঠলে পনীরগুলো দিয়ে একটু ফুটিয়ে ঝোল ঝোল থাকতেই চিলি ফ্লেক্স ও বাকি গুঁড়ো মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে। (কাজু থাকায় গ্রেভিটা গাড় হয়ে যাবে, সেটা বুঝে নামাতে হবে।) এবার সরস্বতী পুজোয় লুচি, পরোটা, নান, পোলাও যার সাথে ইচ্ছে পরিবেশন করুন।
চিনির নারকেল নাড়ু
কী কী লাগবে
নারকেল ২টি, ঘন দুধ ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, চিনি ৫০০ গ্রাম, ঘি ২ টেবিল চামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে প্যানে ঘি গরম করে নিন। এবার এতে নারকেল কোরা, চিনি ও দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। ভালো করে সবগুলো উপকরণ মেশানো হলে এতে এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আঁচ হালকা রেখে অনবরত নাড়ুন। খেয়াল রাখতে হবে কোনোভাবেই যেন প্যানে মিশ্রণটি লেগে না যায়। বেশ কিছুক্ষণ নাড়লে মিশ্রণটি ভাজা ভাজা হয়ে আসবে।একটু আঠালো ভাব এলেই আঁচ বন্ধ করে প্যান থেকে নামিয়ে নিন। এবার হাতে একটু ঘি মাখিয়ে নিয়ে মিশ্রণটিকে ছোট ছোট নাড়ুর আকার দিলেই তৈরি।
নারকেলী আলুর দম
কী কী লাগবে
ছোট আলু, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে, আদা বাটা, হিং, কসুরি মেথি, নারকেলের দুধ, সরষের তেল, ঘি।
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে তাতে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো আর সামান্য জল দিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিতে হবে। এরপর ওই ফোড়নে আদাবাটা, হিং দিয়ে নাড়াচাড়া করে তাতে সেদ্ধ আলুগুলো দিয়ে দিন। কিছুটা ভাজা ভাজা হলে তাতে জল দিয়ে ঢেকে রাখুন। ঝোল ঘন হলে নারকেলের দুধ, নুন, মিষ্টি এবং কসুরি মেথি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন নিরামিষ নারকেলী আলুর দম।
ছোলা পনির
কী কী লাগবে
কাবলি ছোলা, পনির, আদা বাটা, টমেটো কুচি, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, সরষের তেল, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা গরম মশলা, চিনি, ঘি।
কীভাবে বানাবেন
কাবলি ছোলা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সেদ্ধ করে নিন। তেল গরম করে পনির ভেজে তুলে নিন। ঐ তেলে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা গরম মশলা নেড়ে একে একে আদা বাটা, টমেটো কুচি, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো অল্প জল দিয়ে কষুন। সেদ্ধ কাবলি ছোলা দিয়ে নেড়ে কিছুসময় রান্না করুন। হয়ে গেছে বুঝলে ঘি, চিনি আর ভাজা পনির মেশান। ২-৩ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন।
শাহি পনির
কী কী লাগবে
পনির ৪০০ গ্রাম, কাজু ২ টেবিল চামচ, চারমগজ দেড় চা চামচ, পোস্ত ১ টেবিল চামচ, আদা এক ইঞ্চি, কাঁচালঙ্কা ৪-৫টা, তেজপাতা ১ টি, এলাচ ৩ টি, দারচিনি ১ টি, লবঙ্গ ২ টি, কাশ্মীরী লঙ্কার গুঁড়ো ১ চামচ, দুধ (জ্বাল দেওয়া) ৫০০ মিলি, গরম মশলার গুঁড়ো হাফ চা চামচ, ঘি ১ চামচ, কসৌরি মেথি ১ চামচ, সাদা তেল পরিমাণ মতো, নুন চিনি স্বাদমতো।
কীভাবে বানাবেন
পনির চৌকো করে কেটে নিন। সাইজে একটু বড় করলে ভালো হয়। কাজু, চারমগজ এবং পোস্ত উষ্ণ গরম জলে ঘণ্টা দুয়েক ভিজিয়ে রাখতে হবে। আদার খোসা ছাড়িয়ে নিন। একটি বাটিতে উষ্ণ গরম জল রেখে দিন। এতে পনিরগুলি ডোবাতে হবে।
কড়াইয়ে তেল গরম করে পনির সোনালি করে ভেজে নিন। ভাজা পনিরগুলি উষ্ণ গরম জলে ডুবিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতে পনির তুলতুলে নরম হয়ে যাবে। রান্নার পর খেতে দারুণ লাগবে। এবার কাজু, চারমগজ, পোস্ত, কাঁচা লঙ্কা এবং আদা একসঙ্গে বেটে নিন। মিক্সিতে পেস্ট করার সময় প্রয়োজন মতো জল দেবেন। একেবারে মিহি একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি এবং লবঙ্গ ফোঁড়ন দিন। হাতে তালুতে কসৌরি মেথি গুঁড়ো করে সেগুলি পনিরে দিয়ে মিশিষে নিন। এবার এক চামচ গরম মশলা এবং এক চামচ ঘি এতে দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। অল্প আঁচে ফুটিয়ে নিন। রান্না হয়ে গেলে বেশ কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রেখে নিবেদন করুন।
দুষ্টু বিশ্বাস
ক্ষীর গুড়ের নারকেল নাড়ু
কী কী লাগবে
নারকেল কোড়া
গুড়
চিনি
ছোট এলাচ গুঁড়ো
গাওয়া ঘি
কীভাবে বানাবেন
নারকেল কুড়িয়ে নিয়ে একটা কড়াই কম আঁচে গ্যাসে বসান।
এইবার গোটা গুড় টা ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে, খুন্তির সাহায্যে গুড় টা ভেঙে ভালো করে নেড়ে চেড়ে নারকেলের সাথে মেশাতে থাকবেন। এবার খোয়া ক্ষীর টা ও দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন (কেউ যদি খোয়া ক্ষীর না দিলেও কোনো অসুবিধা নেই)।
গ্যাসের ফ্লেম কম রেখেই নাড়তে থাকবেন। রান্না কম আঁচেই করতে হবে। গুড়টা সম্পূর্ণ গলে গেলে চিনি দিয়ে আবার নাড়তে থাকবেন। মিনিট দশেক এই রকম ভাবে নাড়বার পর যখন দেখবেন কড়াই এর গা থেকে নারকেল ছেড়ে ছেড়ে আসছে, তখন ১ চামচ ঘি দিয়ে দেবেন। ভালো করে মিশিয়ে গ্যাস অফ করে দিন। তারপর ওপর থেকে ছোট এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। একটু পরে ঠাণ্ডা হলে, ঘি হাত করে নাড়ু পাকিয়ে নিন। নাড়ু গুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে যাবে, ব্যাস হয়ে গেল তৈরি ক্ষীর গুড়ের নারকেল নাড়ু।
কাশ্মীরি আলুর দম
কী কী লাগবে
ছোট গোটা আলু--২৫০ গ্ৰাম
আদা বাটা--১ চা চামচ
টমেটো বাটা ১ চা চামচ
পোস্ত বাটা--২ চা চামচ
চালমগজ বাটা-- ১ টেবিলচামচ
কাজুবাদাম বাটা-- ২ টেবিলচামচ
হলুদ গুঁড়ো--প্রয়োজনমতো
লঙ্কা গুঁড়ো-- প্রয়োজন মতো
কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো--১চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো-- হাফ চা চামচ
জিরেগুঁড়ো-- ২চা চামচ
ধনেগুঁড়ো--১চা চামচ
ফোড়ন দেওয়ার জন্য
গোটা জিরে-- ১চিমটে
গোটা গরমমশলা --১টেবিলচামচ
তেজপাতা--২টো
শুকনো লঙ্কা--১টা
টক দই--২টেবিলচামচ
নুন-চিনি স্বাদমতো
ধনেপাতা কুচি-- মুঠোভরে
চেরা কাঁচালঙ্কা --২/৩টে
ঘি-- ২চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে তেল গরম করে তাতে আলু অল্প নুন ,হলুদ দিয়ে হালকা ভেজে তুলে রেখে ঐ তেলে গোটা গরমমশলা,তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে। খানিক নেড়েচেড়ে কড়াইতে আদা বাটা দিতে হবে। এরপর হলুদ, লঙ্কা, জিরে, ধনে গুঁড়ো দিয়ে তেলে ভাল করে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিতে হবে। তেল বেরিয়ে আসলে টমেটো পেষ্ট দিয়ে দিতে হবে। আবারও খানিকক্ষণ ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। মশলা যাতে ধরে না যায়, তার জন্য হালকা জল দিতে হবে। একটু ঘন হয়ে এলে পোস্ত বাটা, কাজু বাদাম বাটা এবং চারমগজ বাটা ও ফেটানো টকদই দিতে হবে। এরপর পরিমাণ মতো নুন ও চিনি যোগ করতে হবে।
কষানো হয়ে গেলে কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন কষে সামান্য গরম জল দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। খানিক পরে হালকা করে ভাজা রাখা আলু গুলো দিয়ে রান্না করতে হবে অন্তত ১০ মিনিট। কিছুক্ষণ পরে ঢাকা খুলে উপর থেকে ঘি ও গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে সবশেষে চেরা কাঁচালঙ্কা ও মুঠোভরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন ।কড়াইশুঁটির কচুরি, ছাতুর কচুরি, লুচি পরোটা,ফ্রায়েড রাইসের সাথে খুব ভালো লাগবে।
চিড়ের নাড়ু
কী কী লাগবে
চিড়ে - ১ কাপ
ঝোলা গুড় - ১ কাপ
সাদা তিল -- ২ টেবিলচামচ
কীভাবে বানাবেন
একটি কড়াইয়ে ঝোলা গুড় ঢেলে নিতে হবে। এরপর কড়াই গ্যাসের মিডিয়াম আঁচে রাখতে হবে, যতক্ষণ না ফুটে উঠে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। ফুটে এলে হালকা নেড়ে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। অন্য একটি শুকনো প্যানে চিড়ে দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন এতে চিড়ের স্বাদ ভালো আসবে। চিড়ে নামিয়ে সাদা তিল গুলোও একই ভাবে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তিল এর কারণে নাড়ুতে ভিন্ন স্বাদ আসবে । এরপর চিড়ে এবং তিল গরম গুড়ের মধ্যে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। গ্যাস থেকে নামিয়ে হাতের সহ্যের মধ্যে এনে ছোট করে মিশ্রণ নিয়ে হাতের তালুতে নিয়ে গোল করে নাড়ুর আকার দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে দারুন স্বাদের চিড়ের নাড়ু।
মুড়ির মোয়া
কী কী লাগবে
মুড়ি-২৫০ গ্রাম,
আখের বা খেজুরের গুড়-১০০ গ্রাম,
জল সামান্য,
ঘি (মোয়া গোল করার জন্য)
কীভাবে বানাবেন
অল্প আঁচে কড়াই বসিয়ে নিন। এর পর গুড় জ্বালাতে হবে। গুড় গলতে শুরু করলে সামান্য জলের ছিটে দিন। এবার গুড় কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে আঠালো করতে হবে। গুড় আঠালো হয়ে গেলে মুড়ি দিয়ে দিন। গুড় ও মুড়ি ভালোভাবে নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার নামিয়ে হালকা ঠান্ডা হলে হাতের তালুতে সামান্য ঘি মেখে সহনীয় গরম থাকতেই ভালোভাবে চেপে হাতের তালুতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোল মোয়া বানিয়ে নিতে হবে।
কাশ্মিরী পনীর চমন
কী কী লাগবে
২০০ গ্রাম পনির
২ কাপ দুধ
২ টেবিল চামচ ঘি
স্বাদ অনুসারে লবণ
২ চা চামচ মৌরি গুঁড়ো
১/২ চা চামচ আদা গুঁড়ো
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ গোটা জিরে
৩ টি ছোট এলাচ
৩ টি লবঙ্গ
১ চিমটি কেশর
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে পনির টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
এইবার একটি পাত্রে দুধ গরম করে নিতে হবে এবং ওই গরম দুধের মধ্যে পনিরের টুকরো গুলো ২০-২৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
পনির নরম হওয়ার পর প্যানে ঘি গরম করে গোটা জিরে,এলাচ ও লবঙ্গ ফোঁড়ন দিয়ে সুগন্ধ বেরোলে দুধের থেকে পনির গুলো উঠিয়ে নিয়ে দুধ টা প্যানে ঢেলে দিতে হবে। দুধ ফুটে উঠলে মৌরি গুঁড়ো, হলুদ, স্বাদ অনুসারে লবণ ও আদার গুঁড়ো সব একত্রে দিয়ে দুধ টা ফুটতে দিতে হবে।
এরপর পনিরের টুকরো গুলো দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। যখন দুধ ঘন হয়ে ক্রিম বেরিয়ে আসবে তখন ওপর থেকে গরম মশলা গুঁড়ো ও কেশর ছড়িয়ে ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে, যাতে কেশর ও গরম মসলার সুগন্ধ পনিরের মধ্যে ঢুকে যায়। তারপর পোলাও বা রুটি পরোটার সাথে পরিবেশন করতে হবে কাশ্মীরি পনির চমন।
গন্ধরাজ বাদামী পোলাও
কী কী লাগবে
২কাপ গোবিন্দভোগ অথবা বাসমতী চাল
১ টা গন্ধরাজ লেবুর রস,
অর্ধেকটা গন্ধরাজ লেবুর জেস্ট,৪-৫ টা গন্ধরাজ লেবুর পাতা,
৩-৪ টে গন্ধরাজ লেবুর স্লাইস,
আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো,
আধ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো,
১০-১২ টা কাজুবাদাম,
১০-১২ টা কিসমিস,
মুঠোভরে খোসাসমেত চিনেবাদাম
১টেবিলচামচ গোলমরিচ গুঁড়ো,
স্বাদ মত নুন ও চিনি
তেজপাতা ২টো,
গোটা জিরে হাফ চা চামচ,
২-৩ টে ছোট এলাচ,
৩-৪ টে লবঙ্গ,
১ টি দারচিনি,
২-৩ টেবিল চামচ সাদা তেল,
ঘি ২ টেবিলচামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে গোবিন্দভোগ অথবা বাসমতি চাল ভাল করে ধুয়ে ১০-১৫মিনিট জলে ভিজিয়ে রেখে,জল ছেঁকে নিতে হবে। একটি সস প্যানে ৫-৬ কাপ জল গরম করে,ওতে অল্প নুন, গন্ধরাজ লেবুর রস ও পাতা দিয়ে ফুটিয়ে,ভেজানো চাল দিতে হবে। ৮০ শতাংশ সেদ্ধ হলে, ফ্যান গেলে নিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল আর ঘি মিশিয়ে সব বাদাম ভেজে তুলে নিতে হবে,এরপর গোটা গরম মশলা,তেজপাতা ও জিরে ফোঁড়ন দিয়ে সেদ্ধ ভাত, নুন, চিনি, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। একটু ভাজা হলে লেবুর রস, জেস্ট, গন্ধরাজ লেবুর পাতা ও ঘি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। এবার গন্ধরাজ লেবুর স্লাইস দিয়ে, সুন্দর করে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে এই দারুণ স্বাদের গন্ধরাজ বাদামী পোলাও।
ভোগের খিচুড়ি
কী কী লাগবে
গোবিন্দভোগ চাল বা আতপ চাল- ২ কাপ
সোনামুগের ডাল- দেড় কাপের চয়ে একটু বেশি
ফুলকপি- একটি
আলু- ৩টি
মটরশুঁটি- ১ কাপ
পটল- ৫টি
কুমড়ো- খানিকটা
ঘি- রান্নার জন্য
পাঁচফোড়ন- ১ চা চামচ
তেজপাতা- ৩টি
গোটা শুকনো লঙ্কা- ৩-৪টি
হিং- ১ চা চামচ
আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো- আধ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো- আধ টেবিল চামচ
গরমমশলা গুঁড়ো- আধ টেবিল চামচ
নুন- স্বাদ মতো
চিনি- স্বাদ মতো
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। শুকনো খোলায় সোনা মুগের ডাল ভেজে নিন। আলু, ফুলকপি, পটল, কুমড়ো ডুমো করে কেটে নুন-হলুদ মাখিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে তুলুন। কড়াইয়ে ঘি গরম করুন। ঘিয়ে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা এবং শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিন।
সুগন্ধ উঠলে তাতে আদা বাটা দিয়ে ভেজে নিন। আদার কাঁচাগন্ধ চলে গেলে তাতে হিং ফোঁড়ন দিন। এবার এতে চাল-ডাল দিয়ে কষাতে থাকুন।
এরপর এতে হলুদ, জিরে, লঙ্কা গুঁড়ো এবং মটরশুঁটি দিয়ে ফের একবার কষাতে থাকুন। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে স্বাদমতো নুন ও চিনি দিয়ে মেশান। সামান্য গরম মশলা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ কষানোর পর এতে ভেজে রাখা আলু, ফুলকপি, পটল, কুমড়ো মিশিয়ে দিন এবং গরম জল দিয়ে হাঁড়ির মুখ ঢেকে দিন।
চাল-ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে এবং জল শুকিয়ে আসলে নামিয়ে নিন। তবে নামানোর আগে ঘি, গরম মশলা দিয়ে দিতে ভুলবেন না। অনেকেই হয়তো জেনে কিংবা না জেনে, কিংবা কিছুটা অভ্যাসবশতঃ খিচুড়ির পাশেই ঠাকুর ধূপ জ্বালিয়ে দেন। এই ধূপের গন্ধেই নাকি খিচুড়ির স্বাদ বদলে যায়।
সুতপা দে
গাজরের হালুয়া
কী কী লাগবে
৫০০ গ্রাম গাজর,
১/২ লিটার দুধ,
৬০ গ্রাম ঘি,
১/২ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো,
২ টো ছোট এলাচ,
১০০ গ্রাম গুড়,
১৫০ গ্রাম খোয়া,
এক মুঠো কাজু ও কিশমিশ
কীভাবে বানাবেন
গাজরগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার কুচি কুচি করে কাটতে পারেন। তবে গ্রেট করলে গাজরের হালুয়া সবচেয়ে ভাল হয়। গাজর কুচিয়ে ফেলার পর জল ছড়িয়ে নেবেন। এবার একটি সসপ্যানে দুধ গরম বসান। দুধে এলাচ থেঁতো করে ফেলে দিন। দুধ জ্বাল দেওয়া হলে এতে কুচিয়ে রাখা গাজরটা দিয়ে দিন। খেয়াল রাখুন যাতে দুধ অতিরিক্ত ঘন না হয়ে যায়। এবার এতে গুড় মিশিয়ে দিন। ছোট একটি কড়াইতে ঘি গরম করুন। এতে দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে দিন। এরপর এতে খোয়া কুচিয়ে দিয়ে দিন। এবার এটা দুধ ও গাজরের মিশ্রণে দিয়ে দিন। ঘন না হওয়া অবধি ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। উপর দিয়ে কাজু, কিশমিশ, আমন্ড ছড়িয়ে দিন।
ঘেভর
কী কী লাগবে
২০০ গ্ৰাম ময়দা
৩ চা চামচ ঘি
১/২ কাপ ঠান্ডা দুধ
৩ কাপ ঠান্ডা জল
১ চা চামচ লেবুর রস
প্রয়োজন অনুযায়ী বরফের টুকরো
প্রয়োজন অনুযায়ী ভাজার জন্য তেল আর ঘি
রাবড়ির উপকরণ
১ লিটার দুধ
২ টেবিল চামচ চিনি
রসের উপকরণ
১ কাপ চিনি
১/৪ কাপ জল
পরিমাণ মত কেশর
স্বাদ মত এলাচের গুঁড়ো
প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানোর জন্য কিছু পেস্তা আর আমণ্ড কুঁচি
২ টেবিল চামচ কেশরের জল
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে একটা পাত্রে ঘি আর বরফ নিয়ে হাতদিয়ে ভালো করে ফেটাতে হবে। ঘি টা যখন ক্রিমের মতো হয়ে যাবে তখন বরফের টুকরো গুলোকে তুলে নিতে হবে। এবার এতে ময়দা আর দুধ দিয়ে তাতে অল্প অল্প করে জল ঢেলে একটা স্মুথ ব্যাটার তৈরি করতে হবে। যেটা চামচ দিয়ে তুললে সহজে নিচের দিকে গড়াতে পারে। লাস্টে লেবুর রস মেশাতে হবে। এবার একটা বাটিতে বরফ নিয়ে তার উপর ব্যাটার টা রাখতে হবে।
এবার একটা মোটা সস প্যান নিয়ে তাতে ঘি আর তেল (আমি দুটোই ব্যাবহার করেছি, তবে যেকোনো একটা নেওয়া যায়।) নিয়ে গরম করতে হবে। জোর আঁচে তেলে এক চামচ করে ব্যাটার ঢালতে হবে আর একটা লম্বা চামচের সরু দিকটা দিয়ে ব্যাটার কে সাইডে সরিয়ে দিতে হবে। এই ভাবে ৫-৬ চামচ ব্যাটার ঢালতে হবে। যখন মোটা লেয়ার তৈরি হয়ে যাবে তখন এটাকে তেল ঝড়িয়ে তুলে নিতে হবে। এই ভাবে বাকি গুলো তৈরি করে নিতে হবে।এবার চিনির রস বানাতে হবে। তার জন্য প্যানে চিনি আর জল মিশিয়ে ফোটাতে হবে। একটু ঘনো হলে তাতে এলাচের গুঁড়ো আর কেশর দিয়ে নামাতে হবে। আমি বেশি মিস্টি পছন্দ করিনা তাই ঘেবর কে রসে না চুবিয়ে তার উপর দিয়ে রস ঢেলে দিয়েছি।এবার রাবড়ির জন্য দুধ গরম করে কম আঁচে ফুটিয়ে দুধকে হাফ করে নিতে হবে। এবার চিনি মিশিয়ে একটু ফুটিয়ে নিলেই রাবড়ি তৈরি।পরিবেশন এর জন্য একটা প্লেটে ঘেবর রেখে তার উপর রাবড়ি দিয়ে কেশর মেশানো জল চামচে করে ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার পেস্তা আর বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
সবজি খিচুড়ি
কী কী লাগবে
১৫০ গ্রাম গোবিন্দ ভোগ চাল
১৫০ গ্রাম মুগ ডাল
পরিমাণ মতো সর্ষের তেল
২ টো মাঝারি মাপের আলু
১ টা টমেটো
পরিমাণ মত ঘি
১/২ কাপ সবুজ মটর
পছন্দমত সবজি
স্বাদ মতো লবণ ও শুকনো লঙ্কার গুড়ো
২ টো তেজপাতা
২ টো শুকনো লঙ্কা
১/২ চা চামচ গোটা জিরে
পরিমাণ মতো গোটা গরম মশলা
১ চা চামচ করে ধনে ও জিরে গুড়ো
স্বাদ মতো কাঁচালঙ্কা
১ চা চামচ আদা বাটা
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে চাল এবং ডাল আলাদা করে ধুয়ে ভালো করে জল ঝরিয়ে শুকনো করে নিতে হবে। এবং আলু ডুমো করে কেটে রাখতে হবে। এবার কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে আলু গুলো হাল্কা করে একটু লবণ দিয়ে ভেজে তুলে নিতে হবে। তার পর তেলের মধ্যে শুকনো লংকা, গোটা জিরে, তেজ পাতা ও গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে ভালো সুগন্ধ বের হলে ডাল গুলো দিয়ে বেশ ভাজা ভাজা হলে এবার চালটাও দিয়ে দিতে হবে এবং সাথে সাথে দিতে হবে টমেটো কুচি আদার পেষ্ট কাঁচালঙ্কা চেরা ও গুড়ো মসল এবং স্বাদ মতো লবণ। সব কিছু ভালো করে কষে নিয়ে ভাজা আলু গুলো আর বাকি সবজি দিয়ে দিতে হবে ও আন্দাজ মতো গরম জল দিয়ে দিতে হবে। যদি একটু পাতলা খিচুড়ি পছন্দ হয় সেই হিসাবে জল দিতে হবে। এবার মাঝারি আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করতে হবে, মাঝে মাঝে একটু নাড়িয়ে দিতে হবে, অর্ধেক সিদ্ধ হলে তখন সবুজ মটর গুলো দিতে হবে, তারপর আবারো ঢাকা দিয়ে রান্না করতে হবে। যারা মিষ্টি পছন্দ করেন তারা এই সময় স্বাদ মতো চিনি ঘি ও গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে আবারো একটু ফুটিয়ে বন্ধ করে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখলেই তৈরি সুস্বাদু খিচুড়ি।
নিরামিষ ভেজিটেবল পকোড়া
কী কী লাগবে
১ কাপ মটরশুঁটি ,গাজর, বিন্স কুচি
১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি
১ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি
১ চা চামচ ভাজা মসলা গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ আদা কুচি
১টেবিল চামচ ভাজা বেসন
স্বাদ অনুযায়ী নুন ও চিনি
কীভাবে বানাবেন
সব্জী কুচি একটু নুন দিয়ে ভাপিয়ে নিনl এবার ভাল করে চটকে নিন আলু সেদ্ধ দিয়েl ধনে পাতা ও কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিনl নুন, চিনি ভাজা মসলা ও বেসন দিয়ে মেখে নিন। তেল গরম করে ছোট ছোট বড়ার মতো করে ভেজে তুলে নিন।
নিরামিষ পনির পোলাও
কী কী লাগবে
বাসমতী চাল
১ টেবিল চামচ বেরেস্তা (ভাজা পেঁয়াজ)
১০০ গ্রাম পনির
কাজুবাদাম কয়েকটা
কিশমিশ কয়েকটা
আমন্ড কয়েকটা
আখরোট কয়েকটা
১ টেবিল চামচ গোটা গরম মশলা
নুন ও চিনি স্বাদমতো
২ টেবিল চামচ দুধে ভেজানো কেশর
ঘি পরিমাণমতো
কীভাবে বানাবেন
চাল ভালো করে ধুয়ে গ্যাসে বসান। ভাত রান্না করার সময় জলে গোটা গরম মশলা ও অল্প ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে দেবেন। ভাত বেশি ফুটিয়ে ফেলবেন না। একটু শক্ত থাকতে থাকতেই নামিয়ে নিন। পনির ছোটো ছোটো করে কেটে হালকা ভেজে নেবেন। ২-৩টে মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুচি করে একেবারে মুচমুচে করে ভেজে নিন। এর পর কড়াইতে ঘি গরম করে বাকি ড্রাই ফ্রুটস হালকা ভেজে নিন। এবার কড়াইতে সব ভাত দিয়ে দেবেন। ভাতে একে একে পনির, কেশর ভেজানো দুধ, বেরেস্তা, নুন ও চিনি দিয়ে সামান্য নেড়ে ঢাকা দিয়ে দেবেন। কিছুক্ষণ পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। গরম গরম পরিবেশন করুন পনির পোলাও।
সঞ্চিতা দাস
কমলালেবুর পোলাও
কী কী লাগবে
গোবিন্দভোগ চাল- ১ কাপ
কমলালেবু- ১
খোয়া ক্ষীর-২ চামচ
চিনি- হাফ কাপ
নুন- ২ চামচ
ছোট এলাচ- ৪টে
লবঙ্গ- ৪টে
আমন্ড-১০
কাজুবাদাম -১০
কিশমিশ- ১২
কমলার জুস- হাফ কাপ
চেরি-৫ টা পাঁচটা
পেস্তা- ১০ টা দশটা
কীভাবে বানাবেন
চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার শুকনো কড়াইতে ২ চামচ ঘি দিয়ে ওর মধ্যে কাজু, কিশমিশ, আমন্ড দিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। আরও এক চামচ ঘি দিয়ে তাতে গোটা গরম মশলাগুলো দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে চাল দিয়ে দিন। চাল ভাজা হলে চিনি মিশিয়ে দিন। এবার কমলালেবুর রসের সঙ্গে স্বাদমতো নুন-চিনি মিশিয়ে ভাতে ঢেলে দিন। এই রস যেন মিষ্টি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে খোয়া ক্ষীর, ভেজে রাখা কাজু কিশমিশ মিশিয়ে দিন। আবারও ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এবার কমলার খোসা উপর থেকে ছড়িয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। ৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে কাজু-পেস্তা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
ক্ষীরের নাড়ু
কী কী লাগবে
নারকেল, দুধ ও চিনি
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে। তারপর অন্য একটা পাত্রে ৩ কাপ ব্লেন্ড করা নারকেল নিয়ে তাতে ১ কাপ চিনি দিয়ে নাড়তে হবে। নারকেল নাড়তে নাড়তে যখন একটু শুকিয়ে আসবে, তখন এতে আগে থেকে করে রাখা ক্ষীর ঢেলে দিতে হবে। পুরো মিশ্রণ ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়তে হবে। এরপর নারকেলের পাক হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে গরম থাকা অবস্থায় হাতে গোল করে নাড়ুর আকার দিতে হবে।
কেশর নাড়ু
কী কী লাগবে
টাটকা নারকেল কোরা ২ বড় কাপ, গুঁড়োনো চিনি ২ কাপ, ছোট এলাচ ২-৩ টি, কেশর, দুধ
কীভাবে বানাবেন
একটি পাত্রে চিনি, নারকেল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে ; এবার শুকনো কড়া গরম করে এরমধ্যে চিনির গুঁড়ো মেশানো নারকেল কোরা দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। ছোট এলাচ গুঁড়ো করে এর মধ্যে দিতে হবে।
মিনিট দশেক কড়ায় নাড়াচাড়া করার পর চিনি গলে গেলে দুধ দিয়ে সমানে নাড়তে থাকুন। নারকেলের সাথে মিশে ডো মতো হয়ে এলে নামাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে নারকেল যেন শুকিয়ে না যায়। এবার কেশর মিশিয়ে হাতের তালুতে সামান্য ঘি মাখিয়ে নারকেল কোরা তুলে সাড়ে তিন ইঞ্চি মাপের গোল পাকিয়ে নাড়ু বানাতে হবে৷
বেদমী পুরি
কী কী লাগবে
বিউলি ডাল : ১ কাপ
গোটা মৌরী : ১চা চামচ
গোটা জিরে : ১ চা চামচ
কাঁচালংকা : ৫ টা
আদা : ১ ইঞ্চি
আটা: ২৫০ গ্রাম
সুজি : ১০০ গ্রাম
নুন : স্বাদমত
চিনি : ১ চা চামচ
কাশ্মীরি লংকা গুঁড়ো : ১চা চামচ
জোয়ান : ১/২ চা চামচ
ঘি : ৪চা চামচ
সাদা তেল : ভাজার জন্য
কীভাবে বানাবেন
বিউলির ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ভেজানো ডালের সাথে গোটা মৌরি, গোটা জিরে, কাঁচালংকা, আদা দিয়ে ভালো করে বেটে নিন। অন্য একটি পাত্রে একে একে আটা, সুজি, ডাল বাটার মিশ্রণ, নুন, চিনি, কাশ্মীরি লংকা গুঁড়ো, জোয়ান, সাদা তেল/ঘি আর পরিমাণ মত জল দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। সাদা তেল ভালো করে গরম করে আটার মিশ্রণ থেকে লেচি কেটে লুচির মতো বেলে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। নিরামিষ ঘুগনির সাথে পরিবেশন করুন।
কাকলি দাস
ভাপা পনির
কী কী লাগবে
ফ্রেশ পনির -২০০ গ্রাম
কাঁচা লঙ্কা - ৩-৪ টে
কালো সর্ষে - ১ চা চামচ
সাদা সর্ষে - ২ চা চামচ
পোস্ত - ১ চা চামচ
কাজু বাদাম - ৫-৬ টা
চারমগজ - ১ চা চামচ
উষ্ণ গরম জল - ১/২ কাপ
সর্ষের তেল - ১ টেবিল চামচ
নুন -দরকার মত
কীভাবে বানাবেন
কাঁচা লঙ্কা, কালো সর্ষে, সাদা সর্ষে, পোস্ত, চারমগজ, কাজু বাদাম উষ্ণ গরম জলে ভিজিয়ে ৩০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। এরপরে জল ছেঁকে নিয়ে এক চিমটি নুন দিয়ে মিহি করে বাটতে হবে।
স্টীমারে জল গরম করতে বসাতে হবে। যে পাত্রে ভাপানো হবে সেই পাত্রে ওই পনির কিউব,বাটা উপকরণ সর্ষের তেল ও পরিমান মত নুন দিয়ে একটা চামচের সাহায্যে সমস্ত মিশিয়ে নিতে হবে। ভালো করে ঢাকা এঁটে স্টীমারে বসিয়ে ১৫ মিনিট রান্না করে নিতে হবে।নামিয়ে ঢাকা খুলে সার্ভ করুন গরম গরম ভাপা পনির।
মিঠা দুধ পনির
কী কী লাগবে
ফ্রেশ পনির - ২০০ গ্রাম
কাজুবাদাম - ৫-৬ টা
কিশমিশ - ১ চা চামচ
টমেটো - ১ টা মিডিয়াম সাইজের টুকরো করা
চারমগজ - ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা -১ টি
দুধ - ১ কাপ ও ১/২ কাপ
কসৌরি মেথি - ১/৪ চা চামচ
শাহী গরম মশলার গুঁরো- ১/২ চা চামচ
নুন - স্বাদ মত
চিনি -১ ও ১/২ চা চামচ
সাদা তেল - ১ টেবিল চামচ
ঘি - ১ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
কাজু, কিশমিশ, চারমগজ, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা একসাথে পেস্ট করে নিতে হবে।
প্যানে সাদা তেল ও ঘী দিয়ে গরম করে পনির হালকা ভেজে তুলে নিতে হবে।
ওই তেলেই বাটা পেস্ট দিতে হবে। সাথে নুন ও চিনি দিতে হবে। ঢাকা দিয়ে ৩ -৪ মিনিট স্লো আঁচে রান্না করতে হবে। এতে দুধ দিতে হবে। সমস্তটা মিলিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা পনির এবং গরম মশলার গুঁড়ো দিতে হবে। একটু ঘন হলে কসৌরি মেথি দিয়ে ১ মিনিট মত ফুটিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন করতে হবে।
নিরামিষ দম-আলু
কী কী লাগবে
নুন দিয়ে সেদ্ধ করা মাঝারি সাইজের আলু - ৮ টি
টমেটো - মাঝারি সাইজের একটা টুকরো করা
আদা - ২ ইঞ্চি
রসুন - ৫-৬ কোয়া
সরষের তেল - ২ টেবিল চামচ
জিরে - ১ চামচ
শুকনো লঙ্কা - ২ টি
তেজপাতা -১ টি
নুন - স্বাদমত
হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
কাশ্মীরী লঙ্কার গুঁড়ো- ১ চা চামচ
চিনি- ১ চা চামচ
জিড়ে গুঁড়ো -১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো-১ চা চামচ
হিং - ১/৪ চা চামচ
গরম মশলার গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
ধনেপাতা কুঁচি - ১ মুঠো
কীভাবে বানাবেন
টমেটো, আদা, রসুন বেটে নিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে জিরে, শুকনো লঙ্কা,তেজপাতা ফোড়ন দিতে হবে।
ফোড়ন ভাজা হলে সেদ্ধ আলুগুলোকে তেলে দিয়ে ভেজে নিতে হবে লাল করে তুলে রাখতে হবে।
এবারে ওই তেলেই নুন, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, কাশ্মীরী লঙ্কার গুঁড়ো, চিনি, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো একে একে দিতে হবে। টমেটো, আদা, রসুন বাটা দিতে হবে। সামান্য জলের ছিটে দিয়ে স্লো আঁচে কষাতে হবে। মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গিয়ে সুন্দর গন্ধ বাড় হলে ভাজা আলুগুলো দিয়ে ওতে ১ কাপ গরম জল দিয়ে নেড়ে চেড়ে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এতে হিং দিতে হবে।
১ মিনিট মত ঢাকা দিয়ে রান্না করে গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে নামাতে হবে। উপর থেকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
নলেন গুড়ের পায়েস
কী কী লাগবে
গোবিন্দ ভোগ চাল - ১ মুঠো
গরুর দুধ - ১ লিটার
লিকুইড নলেন গুড় - ১৫০ মি.লি.
গুড়ের বাতাসা - ১০০ গ্রাম
কাজু বাদাম -৫০ গ্রাম
কিশমিশ - ৫০ গ্রাম
গুঁড়ো দুধ - ১ টেবিল চামচ
কীভাবে বানাবেন
চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। দুধ জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। এক কাপ দুধ তুলে রেখে বাকি দুধে চাল দিয়ে আঁচে বসিয়ে সেদ্ধ করতে হবে স্লো আঁচে। সমানে নেড়ে দিতে হবে। নাহলে তলায় লেগে যেতে পারে।
তুলে রাখা দুধে গুঁড়ো দুধ গুলে বাতাসা ভিজিয়ে রাখতে হবে। চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে বেশ গাঢ় হয়ে যাবে।তখন বাতাসা মেশানো দুধ এতে দিয়ে দিতে হবে। কাজু কিশমিশ মেশাতে হবে। ১ -২ মিনিট ভালো করে নেড়ে নিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নলেন গুড় মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।
সরিতা নাথ
নারকেল দুধের পোলাও
কী কী লাগবে
২ কাপ গোবিন্দভোগ চাল
১/৪ কাপ কাজু বাদাম , কিসমিস
১/২ চা চামচ কেশর
১ কাপ নারকেলের দুধ
৪ কাপ জল
গোটা গরম মশলা
স্বাদ মত নুন ও চিনি
পরিমাণ মত ঘি
কীভাবে বানাবেন
চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে শুকনো করে নিন।
তেল ও ঘি গরম করে তাতে জিরা তেজপাতা, গোটা গরমমশলা দিয়ে দিন এবং বাদাম কিসমিস দিয়ে ভালো করে ভাজুন। চাল দিয়ে ভালো করে ভাজুন নারকেলের দুধ ও জল দিয়ে ফুটতে দিন, নুন ও চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন আর কেশর দিন। চাল সিদ্ধ হয়ে জল শুকিয়ে গেলেই তৈরী ঝরঝরে নারকেল পোলাও।
সুস্মিতা চক্রবর্তী
মিক্সড ডালের খিচুড়ি
কী কী লাগবে
১ কাপ মুগ ডাল
১/২ কাপ ছোলার ডাল
১/২ কাপ মটর ডাল
২কাপ গোবিন্দভোগ চাল
১ চা চামচ আদা বাটা
১চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১.৫ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো
১ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১ টা টমেটো কুচি
১/২ নারকেল কোরা
২টেবিল চামচ নারকেল কুচি
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ টা শুকনো লঙ্কা
২টো তেজপাতা
১/২ চা চামচ জোয়ান
১/৪ চা চামচ মৌরি
১/৪ চা চামচ হিং
স্বাদ মত নুন ও চিনি
পরিমাণ মত গোটা গরম মশলা
পরিমাণ মত তেল ও ঘি
কীভাবে বানাবেন
মুগ ডাল শুকনো খোলায় ভেজে তুলে নিন এবং সব ভাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন।জল গরম করে নিন নুন ও হলুদ দিয়ে, ফুটলে ডাল দিয়ে দিন এবং অর্ধেক সিদ্ধ করে নিন।এবার আগের থেকে ভিজিয়ে রাখা চাল ধুয়ে দিয়ে দিন।অন্য দিকে তেল গরম করে তাতে জিরা, মৌরি,জোয়ান, তেজপাতা ও হিং দিয়ে দিন এবং সুন্দর গন্ধ বেরোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
একটি বাটিতে সব গুঁড়ো মশলা জল দিয়ে গুলে নিন, আদা বাটা তেলে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে মশলা দিয়ে দিন এবং ভাল করে ভাজুন, নারকেল কোরা দিয়ে মিশিয়ে নিন। চাল ভালো সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন, নারকেল কুচি তেল দিয়ে ভেজে ওপরে দিয়ে দিন এবং নামিয়ে নিন।দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন, অর্ধেক হয়ে গেলে চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন। আঁচ কমিয়ে দিন এবং ভাল করে জ্বাল দিন, ঘন হলে নামিয়ে নিন।
কুলের চাটনি
কী কী লাগবে
২০০ গ্রাম কুল
১০০ গ্রাম গুড়
৫০ গ্রাম চিনি
ফোঁড়ণের জন্য
১/২ চা চামচ পাঁচফোড়ন
১ টা শুকনো লঙ্কা
ভাজা মশলার উপকরণ
১ চা চামচ পাঁচফোড়ন
১ চা চামচ সর্ষে
স্বাদ মত নুন
পরিমাণ মত তেল
কীভাবে বানাবেন
কুল বোঁটা ছাড়িয়ে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। একটি পাত্রে পাঁচ ফোড়ন ও সর্ষে দিয়ে শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন। ঐ প্যানে তেল গরম করে তাতে গোটা শুকনো লঙ্কা ও পাঁচ ফোড়ন দিন, সুন্দর গন্ধ বেরোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।এবারে কুল দিয়ে দিন এবং ভাল করে নেড়ে নিন নুন হলুদ দিয়ে।পরিমাণ মত জল দিয়ে ফুটতে দিন, সেদ্ধ করে নিন।সেদ্ধ হয়ে গেলে হাতা দিয়ে ফাটিয়ে গুড় ও চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন,অর্ধেক মশলা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।ঘন হলে নামিয়ে নিন এবং ওপরে বাকি ভাজা মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। পরিবেশন করুন শেষ পাতে।
তিলের নাড়ু
কী কী লাগবে
২০০ গ্রাম সাদা তিল
২০০ গ্রাম আখের গুড়
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে সাদা তিল শুকনো খোলায় ভেজে তুলে রাখুন।কড়াই এ গুড় দিয়ে দিন এবং ভাল করে জ্বাল দিন।গুড়ে পাক ধরলে গ্যাস বন্ধ করে দিন এবং তিল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।হাতে তেল মেখে নিন এবং ঐ মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট নাড়ু গড়ে নিন।
কুমড়োর ছক্কা
কী কী লাগবে
১ ফালি কুমড়ো
১ টা আলু
১ মুঠো ছোলা সেদ্ধ
১/৪ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ কাঁচা মরিচ বাটা
১ চা চামচ ধনে জিরে গুঁড়ো
১ চা চামচ ভাজা মশলা গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ জিরা
১ এর টা তেজপাতা
১ টা শুকনো লঙ্কা
১ চিমটি হিং
১/৪ নারকেল কোরা
স্বাদ মত নুন ও চিনি
পরিমাণ মত তেল
কীভাবে বানাবেন
আলু ও কুমড়ো চৌকো করে কেটে নিন এবং ধুয়ে ফেলুন।
তেল গরম করে তাতে জিরা তেজপাতা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দিন।হিং দিয়ে দিন এবং আলু ও কুমড়ো দিয়ে ভালো করে ভাজুন নুন হলুদ দিয়ে,আঁচ কমিয়ে দিন। আদা কাঁচা মরিচ বাটা ও ধনে জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন এবং নরম হতে দিন। নারকেল কোরা, ভাজা মশলা আর চিনি মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
Comentários