top of page

একনজরে ফিরে দেখা ২০২৪, এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই(১০টি চায়ের সঙ্গে টা), কাছে পিঠে ১৪ টি পিকনিক স্পট...

নতুন বছর ২০২৫ প্রায় আসন্ন, হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাদেই সেই আনন্দে মাতবে গোটা দেশ। এবছর আমরা যেমন অনেক কিছু পেয়েছি, তেমনি হারিয়েছি ও অনেক! চলুন একনজরে দেখে নিই, এই গোটা বছর টির বিশেষ স্মরণীয় ঘটনাগুলো।


কী কী হারালাম..

২৬ ফেব্রুয়ারি:

এইদিন মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে বেলা ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় গজল সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব পঙ্কজ উদাসের। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। ১৯৮০ সালে প্রকাশিত ‘আহত’ ছিল তাঁর ডেবিউ গজল অ্যালবাম। পরের বছর মুক্তি পায় মুকারার, ১৯৮২ সালে তারান্নুম, ১৯৮৩ সালে মেহফিল এর মতো একের পর এক হিট অ্যালবাম। নাম ছবিতে তাঁর গাওয়া 'চিঠঠি আয়ি হ্যায়' তার বিখ্যাত গানগুলির মধ্যে অন্যতম।

১৩ মে:

ক্যান্সারের আক্রান্ত অবস্থায় দীর্ঘ রোগভোগের পর বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী প্রয়াত হন এইদিন। যিনি শুধু মাত্র বিহার নয়, গোটা দেশেই জনপ্রিয় ছিলেন। এইদিন সন্ধ্যায় দিল্লির এইমসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

৮ জুন:

রামোজি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ইটিভি নেটওয়ার্ক এর প্রধান তথা মিডিয়া ব্যারন রামোজি রাও প্রয়াত হন এইদিন। শ্বাসকষ্ট এবং উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যার কারণে তিনি বহুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এইদিন রাতে হায়দ্রাবাদে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তাঁর তৈরি ‘রামোজি ফিল্ম সিটি’ বিশ্বের বৃহত্তম সিনেমা সেট। ‘উষাকিরণ মুভিজ’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থারও মালিক ছিলেন তিনি।

৮ অগাস্ট:

এইদিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত হন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তথ্য ও জনসংযোগ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪–তে আমন্ত্রিত হিসেবে হলেও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তি হয় ১৯৮৫ সালে। ২০০২ সালে তিনি পলিটব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

১০ আগস্ট:

এইদিন জীবনাবসান হয় প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিং এর। বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বয়সজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। ১৯৫৩ সালে ২২ বছর বয়সে আইএফএস হিসেবে কর্মজীবনের শুরু। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৮৫-৮৬ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মন্ত্রি সভাতে ইস্পাত, খনি, কয়লা ও কৃষি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিসাবে যোগ দেন তিনি।

৯ অক্টোবর:

বয়সজনিত সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমিরেটাস। এইদিন রাতে সেখানে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। ২০০০ সালে তিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পান। এরপর ২০০৮ সালে তিনি ভূষিত হন পদ্মবিভূষণ সম্মানে। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দেশের এক নম্বর ট্যাক্স পেয়ার ছিলেন তিনি।

১ নভেম্বর:

নভেম্বরের শুরুতেই হারাতে হল বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বলকে। গতবছর হৃদরোগজনিত সমস্যার জন্য তাঁকে গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১ নভেম্বর ২০২৪ এ নয়াদিল্লিতে ৬৩ বয়সে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যায় তিনি মারা যান। রোহিত বল ছিলেন দেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। এছাড়াও তিনি ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (FDCI) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তাঁর শেষ শো ছিল ল্যাকমে ইন্ডিয়া ফ্যাশন উইক।

২৬ নভেম্বর:

এসার গ্রুপের কো ফাউন্ডার শশীকান্ত রুইয়া গত হন এইদিন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। অনেক দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। আমেরিকায় চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফেরেন মাসখানেক আগে। শশী এবং তাঁর ভাই রবির কাজের শুরু বাবা নন্দকিশোর রুইয়ার নির্মাণ সংস্থায়। সেই ব্যবসা বাড়াতে বাড়াতে ১৯৬৯ সালে দুই ভাই মাদ্রাজ পোর্ট ট্রাস্টের ২.৫ কোটি টাকার একটি নির্মাণ কাজের বরাত জোগাড় করেন। সেই সময়েই জন্ম এসার গোষ্ঠীর। বর্তমানে এসার গ্লোবাল ফান্ডের অধীনে রয়েছে পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, ধাতু, খনন, প্রযুক্তি এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের বিভিন্ন সংস্থা।

১৫ ডিসেম্বর:

ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হয়ে, মাত্র ৭৩ বছর বয়সে সান ফ্রান্সিসকোতে মারা যান বিখ্যাত তবলা বাদক শিল্পী জাকির হোসেন। পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী এবং সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। তিনি এই বছর ৩টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। মুম্বইয়ে ওস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খান পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

২৬ ডিসেম্বর:

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বেশ কয়েকমাস ধরে বয়সজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন৷ ২৬ ডিসেম্বর রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিল্লির এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হয়৷ এর প্রায় ১ ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা মৃত্যুবরণের খবর নিশ্চিত করেন। এককালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর থেকে ভারতের অর্থমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেন তিনি।


২০২৪ এর বিশেষ স্মরণীয় ঘটনা:

চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ:

২০২৪ সালে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করে একটি নতুন মাইলস্টোন ছুঁয়েছে ইসরো। এর আগের চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পরে, এই বছরের প্রচেষ্টা নিয়ে মানুষের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চল নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে এই অভিযান চালায় ইসরো। এটি বিশ্বের দরবারে ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

অলিম্পিক্সে সাফল্য:

২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারত মোট ৬ টি পদক জিতেছে। এরমধ্যে একটি রুপোর পদক রয়েছে, আর বাকিগুলো ব্রোঞ্জ। শুটিংয়ে জোড়া ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন ভারতের মনু ভাকর। ১টি পেয়েছেন সরবজিৎ সিং। শুটিংয়ে আরও ১টি ব্রোঞ্জ পদক এসেছে স্বপ্নীল কুশালের হাত ধরে। অন্যদিকে, টোকিও অলিম্পিক্সের পর প্যারিসেও ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে ভারতীয় হকি দল। এরপর জ্যাভলিন থ্রোয়ে রুপোর পদক জয় করেছেন ভারতের অ্যাথলিট নীরজ চোপড়া। আর অবশেষে কুস্তিতে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন আমন শেহরাওয়াত।

ক্রিকেটে বিশ্বসেরা:

চলতি বছর টি-২০তে বিশ্বসেরা হয়েছে ভারত। ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একের পর এক বিশ্বকাপে অংশ নিলেও ট্রফি অধরাই থেকে গিয়েছে। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টানটান ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ এসেছিল ভারতের ঘরে।

৬৪ খোপের যুদ্ধে ইতিহাস:

আদপেই ইতিহাস গড়েছেন ডি গুকেশ। কনিষ্ঠতম হিসাবে দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এবছর বিশ্বসেরার তাজ উঠেছে ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টারের মাথায়। বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন গুকেশ।

প্যারা অলিম্পিকে সাফল্য:

২০২৪ এ প্যারালিম্পিকে ৫০টিরও বেশি পদক জেতার নজির গড়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। এবছর প্যারিসে আয়োজিত প্যারালিম্পিক থেকে মোট ২৯টি পদক নিয়ে ফিরছেন ভারতীয় প্যারাঅ্যাথলিটরা। মোট ৭ জন ভারতীয় অ্যাথলিট সোনা জিতেছেন। ভারতের পদক তালিকায় এসেছে ৯ রুপো এবং ১৩ ব্রোঞ্জও।

সুরের জগতে ৩ পালক:

বাঁশির সুরে বিশ্বজয় করেছেন রাকেশ চৌরাসিয়া। বেস্ট কনটেম্পোরারি ইনস্ট্রুমেন্টাল এবং বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স এই দুই ক্যাটাগরিতেই সেরার সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ভারতীয় বংশীবাদক। এছাড়াও নিজের দেশ কে গর্বিত করেছেন শংকর মহাদেবন এবং উস্তাদ জাকির হুসেন। সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি জিতে নিয়েছে তাঁদের ব্যান্ড ‘শক্তি’। অ্যালবামের নাম 'দিস মোমেন্ট’।

অযোধ্যা রামমন্দির উদ্বোধন:

বহু প্রতীক্ষিত এবং ঐতিহাসিক রামমন্দির এর উদ্বোধন হয় ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ এ। ৭০ একরের একটি কমপ্লেক্সের ৭.২ একর জায়গা জুড়ে ৩ তলা এই মন্দিরটি বানানো হয়েছে। নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে গোলাপি চুনাপাথর ও কালো গ্রানাইট পাথর। এতে এখনও পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে ২১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।

জম্মু কাশ্মীরে প্রথম বিধানসভা নির্বাচন:

৩৭০ ধারা বিলোপের পর ২০২৪ সালে জম্মু-কাশ্মীরে প্রথমবারের মতো বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেষবার এখানে ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে।

অসমের বন্যা পরিস্থিতি:

অতিরিক্ত বর্ষার কারণে ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বহু এলাকা প্লাবিত করে। কয়েক লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হন। সরকারি হিসেবে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ১০০ জনের।

খেলার মাঠে স্বপ্নভঙ্গ:


  • ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজ়ে হারাতে পারলেও নিউজ়িল্যান্ডের কাছে ০-৩ এ সিরিজ়ে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া।


  • ফিফার র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০২৩ সালে ভারত ছিল ১০২ নম্বর স্থানে আর ২০২৪ সালে নেমে গিয়েছে ১২৭-এ।

  • ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্ব থেকে ছিটকে যায় ভারত। কুয়েতের কাছে ০-১ গোলে জেতার পর ভারত হেরে যায় কাতার ও আফগানিস্তানের কাছে।


  • অন্তিম পাঙ্ঘাল, জেসমিন ল্যাম্বোরিয়া, প্রীতি পাওয়ারের পর অলিম্পিক্সে বক্সিংয়ে পদক জয়ের দৌড় থেকে ছিটকে যান নিখাত জ়ারিন।


  • প্যারিস অলিম্পিক্সে নিশ্চিত পদক প্রাপক হিসেবে ধরা হয়েছিল পিভি সিন্ধুকে। কিন্তু গত দুবার জিতলেও এবার বাদ চলে যান তিনি।



২০২৪ এ পদ্ম পুরস্কার পেলেন কারা কারা??

সাবেকি দুর্গা প্রতিমা গড়ায় তার অসাধারণ প্রতিভার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পেলেন ৬৮ বছর বয়সী শিল্পী সনাতন রুদ্র পাল। UNESCO থেকেও সম্মানিত হয়েছেন তিনি।



ভাদু শিল্পী রতন কাহার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হলেন এবছর। 'বড়লোকের বিটি লো' গান খ্যাত এই শিল্পী টুসু, ঝুমুর, ভাদু লোকগীতির জন্য পরিচিতি লাভ করেছেন।


পুরুলিয়ার সিন্দ্রি গ্রামের বাসিন্দা দুখু মাঝি প্রায় পাঁচ হাজার গাছ রোপন করেছেন। বিখ্যাত এই গাছ দাদু পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন এইবছর।


মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মান পেলেন ছৌ নৃত্যের জন্য মুখোশ তৈরির কারিগর নেপালচন্দ্র সূত্রধর। তিন প্রজন্ম ধরে ছৌ নৃত্যের মুখোশ তৈরি করে চলেছেন এই সূত্রধরেরা।




বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের পদ্মশ্রী পেয়েছেন একলব্য শর্মা এবং নারায়ণ চক্রবর্তী। শিল্পে পদ্মশ্রী প্রাপকের নাম তাকদিরা বেগম এবং গীতা রায় বর্মণ।


এছাড়াও পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপকের তালিকায় রয়েছেন দেশের প্রথম মহিলা মাহুত, অসমের পার্বতী বড়ুয়া, ছত্তীসগঢ়ের জশপুরের আদিবাসী উন্নয়নকর্মী জগেশ্বর যাদব এবং আদিবাসী পরিবেশবিদ এবং নারী উন্নয়নকর্মী চামি মুর্মু, হরিয়ানার দিব্যাঙ্গ সমাজকর্মী গুরবিন্দ্র সিংহ কেরলের কাসরগোড়ের কৃষক সত্যনারায়ণ বেলেরি, মিজ়োরামের আইজ়লের সমাজকর্মী সংথানকিমা, ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুরের প্রাচীন ওষধি চিকিৎসক হেমচাঁদ মাঞ্জি সহ মোট ১১০ জন।


প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী এবং সংসদ সদস্য বৈজয়ন্তীমালা বালি, অভিনেতা কোনিদেলা চিরঞ্জীবী, সমাজকর্মী শ্রী বিন্দেশ্বর পাঠক এবং ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী পদ্মা সুব্রহ্মণ্যম এই বছর পদ্মবিভূষণে ভূষিত হয়েছেন।

ভারতরত্ন, ২০২৪:

দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন ২০২৪ পাচ্ছেন কর্পূরী ঠাকুর। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে। ১৯৭০ থেকে ১৯৭১ সাল ও ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ তিনিই প্রথম শুরু করেন। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে একাধিক স্কুল তৈরি হয়েছিল তাঁর আমলে, যা আজও তাঁর নামেই পরিচিত। বিহারে মাদক নিষিদ্ধ করেছিলেন তিনিই।


ভালো মন্দ মিশিয়ে ২০২৪। আগামী বছর সবার খুব ভালো কাটুক, টিম অনন্যার পক্ষ থেকে এই প্রার্থনা।

এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই...

(১০টি চায়ের সঙ্গে টা)

যতরকম পানীয় রয়েছে তারমধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হল চা। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ওজন নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে চা। এ ছাড়া, চা তে পটাশিয়াম, প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীর ও মন প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। চায়ের মধ্যে লেবু, আদা, লবঙ্গ ইত্যাদি মিশিয়ে পান করলে ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা উপশম হয়। চা পাতা যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা অনেক রকম সমস্যার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ত্বক ভালো রাখে। হজম ভালো হয়। সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও কিন্তু দারুণ ভাবে সাহায্য করে।


বেড টি হোক কি খাবার টেবিল, সাতসকালে উঠে এককাপ চা সবার চাই। নয়ত দিনের শুরুটাই যেন ঠিক মতো হয় না! তা সে চায়ের ও তো রকমফের প্রচুর। গ্রিন টি, লেবু চা, দুধ চা.. আরো কত কি! চা ফোঁটার গন্ধে মন ভালো হয়ে যায় সবার। মাথা যন্ত্রণা থেকে গঙ্গার ধারে ফার্স্ট ডেট মাটির ভারে এককাপ চা মানেই পরিতৃপ্তির আনন্দ। এবারের রবিবারের অনন্যার পাতা আমরা সাজিয়েছি বিভিন্ন রকম চা দিয়ে। সঙ্গে রয়েছে টুকটাক টা ও। রেসিপি দিলেন সঞ্চিতা দাস।

অপরাজিতা চা:

হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষায়, চর্বি কমাতে, মেদ ঝরাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে, শরীরের কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে, সৌন্দর্য বাড়াতে, ত্বকের যত্নে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই চা কার্যকরী। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মুটিয়ে যাওয়ার কারণে যকৃতের যেসব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো প্রতিরোধে নীল চা বেশ উপকারী।


জল ফুটিয়ে ওর মধ্যে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি দিয়ে ঢেকে রাখুন। রং নীল হলে ছেঁকে নিয়ে ওর মধ্যে মেশান মধু আর লেবুর রস। গরম অথবা ঠান্ডা যেমন পছন্দ খেতে পারেন।

তুলসী চা:

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে তুলসী চা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, স্তন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে আপনার ভালো ঘুম হতে তুলসী চা বেশ উপকারী। এ ছাড়া যাদের শ্বাস- প্রশ্বাস কিংবা সাইনাসের সমস্যা আছে তারা তাদের প্রতিদিনের চায়ের তালিকায় খুব সহজেই তুলসী চা রাখতেই পারেন।


এক বাটি জলে এক মুঠো তুলসী পাতা ফুটতে দিন। টগবগ করে ফুটলে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিটে ফুটিয়ে নিন। এর পর এতে মেশান এক চামচ মধু আর দু’চামচ লেবুর রস। ব্যস তৈরি আপনার তুলসী চা।

লেবু চা:

লেবু চা নিয়মিত সেবন শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, অন্যদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এই ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উন্নতি করতে পারে।


জলে চিনি দিয়ে ফোটান। গ্যাস বন্ধ করে এবার চা পাতা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ছেঁকে ওর মধ্যে মেশান বিট নুন আর লেবুর রস। ব্যাস তৈরি।

মশলা চা:

মশলা চায়ে ব্যবহার্য সকল মশলা ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। শুধু গরম মশলা র ব্যবহার যেন এক কাপ চা পানের উপকারিতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। চায়ে মশলা ব্যবহারের ফলে এরা পরিপাকে সাহায্য করে। মৌসুমি সর্দি ও কাশি প্রতিরোধেও এই চা অত্যন্ত চমৎকার কাজ দেয়।


জলে চিনি, আদা, লবঙ্গ, ছোট এলাচ আর চা পাতা দিয়ে ফোটান। দুধ মিশিয়ে আরো কিছু সময় জ্বাল দিন। ছেঁকে নিয়ে পরিবেশন করুন।

কেশর চা:

সারাদিন অফিসে পরিশ্রম করার পর কেশর দেওয়া চা খেলে এক নিমেষে ক্লান্তি দূর হয়ে যেতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কেশরের গন্ধে মানসিক অবসাদও কেটে যায়। কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে।


দুধে চিনি দিয়ে ফুটে উঠলে চা পাতা দিন। হয়ে গেলে ছেঁকে নিয়ে ওপর কেশর ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

কমলালেবুর চা:

এই চায়ের প্রধান উপকরণই হল কমলালেবুর খোসা। ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ এই চা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়িয়ে তুলবেই। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি, ফোলেট, পটাশিয়াম, লিউটিন, ফসফরাস কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকরী। এছাড়া লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড কিডনি স্টোন দূর করতে পারে। এমনকী শরীরকে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস গ্রহণে সাহায্য করে।


দারচিনি গুড়ো দিয়ে জল ফুটিয়ে নিন। আঁচ বন্ধ করে চা পাতা আর কমলালেবুর খোসা দিয়ে ঢেকে রাখুন।‌ ছেঁকে নিয়ে মধু মেশান। শীতের সকালে খুব ভালো লাগবে।

কুচো চিংড়ির বড়া


কী কী লাগবে

কুচো চিংড়ি- ২৫০ গ্রাম, মুসুর ডাল বাটা – ১ কাপ, বেসন- ১ টেবিল চামচ, চাল গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ, কালো জিরে- আধ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি- ১ টেবিল চামচ, আদা-রসুন বাটা- ২ চা চামচ, কাঁচালঙ্কা কুচি- ২/৩ টে, ধনেপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ, নুন, চিনি, শালিমার শেফ মশলা হলুদ গুঁড়ো, শালিমার শেফ মশলা লঙ্কা গুঁড়ো, শালিমার সরষের তেল


কীভাবে বানাবেন

প্রথমেই চিংড়ি মাছ নিয়ে ভালো করে ধুয়ে আরেকটু কুচো করে কেটে নিন। এবার একটা পাত্রে চিংড়ি মাছ, মুসুর ডাল বাটা, বেসন, চালগুঁড়ো, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, আদা-রসুন বাটা আর সমস্ত গুঁড়ো মশলা, নুন-হলুদ-চিনি দিয়ে ভালো করে শুকনো শুকনো মেখে নিন। দেখবেন জল বেশি দেবেন না যেন। এবার বড়ার আকারে গড়ে নিন। কড়ায় সরষের তেল গরম করে ভেজে তুলুন। গরম ভাতের সঙ্গে মুচমুচে কুচো চিংড়ির বড়া একেবারে জমে যাবে।


লটে ফ্রাই

কী কী লাগবে

লটে মাছ, কাঁচা লঙ্কা কুচি, টমেটো কুচি, ধনেপাতা কুচি, শালিমার হলুদ গুঁড়ো, নুন, শালিমার গোলমরিচ গুঁড়ো, বিস্কুটের গুঁড়ো, সিদ্ধ আলু, ডিম, শালিমার সাদা তেল, পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, টমেটো কুচি, লেবুর রস




কীভাবে বানাবেন

লোটে মাছগুলিকে নুন আর হলুদ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এর পর হালকা করে ভেজে নিন একে একে। এ বার মাছগুলি থেকে কাঁটা বার করে নিন ভালো করে। খেয়াল রাখবেন যাতে একটাও কাঁটা পাওয়া না যায়। মাছটি খুব ভালো করে চটকে নিতে হবে। এ বার একটি ননস্টিক পাত্রে তেল গরম করে নিন। তাতে পেঁয়াজ, রসুন বাটা আর টমেটো দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিন। নুন হলুদ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে মাছ আর সিদ্ধ করা আলু ভালো করে চটকে নিন।মিনিট পাঁচেক পর ধনেপাতা কুচি, লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। কাটলেটের আকারে গড়ে নিন। এরপর ডিমে চুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন। চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

পনির পসিন্দা


কী কী লাগবে

পনির, নুন, শালিমার গোলমরিচ গুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, রসুন, লেবুর রস, চাট মশলা, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বেসন, কালোজিরে, বেকিং সোডা, শালিমার সাদা তেল


কীভাবে বানাবেন

পনির চৌকো এবং পাতলা করে কেটে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জলে নুন দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এবার পনিরগুলি জল থেকে তুলে নুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো মাখিয়ে রাখুন। অন্যদিকে মিক্সিতে ধনে পাতা, কাঁচালঙ্কা আর রসুন দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ওর মধ্যে লেবুর রস আর চাট মশলা মিশিয়ে নিন। এবার দুই টুকরো পনির নিয়ে মাঝখানে ধনেপাতার পেস্ট দিয়ে দিন। একটি পাত্রে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার বেসন, কালোজিরে, বেকিং সোডা আর জল দিয়ে একটা ব্যাটার তৈরি করে নিন। এবার পনির একে একে ব্যাটারে ডুবিয়ে ভেজে তুলে নিলেই তৈরি সুস্বাদু পনির পসিন্দা।

চিজ বল


কী কী লাগবে

সেদ্ধ আলু, ময়দা, বেকিং সোডা, আদার গুঁড়ো, রসুনের গুঁড়ো, অরিগ্যানো, চিলি ফ্লেক্স, নুন, ব্রেডক্র্যাম্ব, মোজারেলা চিজ, শালিমার সাদা তেল


কীভাবে বানাবেন

প্রথমে আলু সেদ্ধ করে, খোসা ছাড়িয়ে, গ্রেট করে নিন। এবার আলুর মধ্যে ময়দা, বেকিং সোডা, আদার গুঁড়ো, রসুনের গুঁড়ো, অরিগ্যানো, চিলি ফ্লেক্স আর লবণ দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। এবার পাত্রে জল দিয়ে ময়দা গুলে ব্যাটার বানিয়ে নিন। আর কিছুটা ব্রেডক্রাম্ব নিয়ে নিন পাত্রে। আর কিছুটা মোজেরেলা চিজ নিয়ে নিন আরও একটি পাত্রে। সেদ্ধ আলু হাতে নিয়ে গোল করে মাঝে মোজারেলা চিজ দিয়ে গোল করে নিন। এবার ময়দার কোটিং দিয়ে ব্রেডক্রাম্ব মাখিয়ে তেলে লাল করে ভেজে নিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম চিজ বল।

চিকেন কাটলেট


কী কী লাগবে

বোনলেস চিকেন, নুন, কাঁচা লঙ্কা, আদা-রসুন বাটা, শালিমার শেফ মশলা গরম মশলা গুঁড়ো, শালিমার শেফ মশলা লঙ্কার গুঁড়ো, শালিমার শেফ মশলা চাট মশলা, শালিমার শেফ মশলা ধনের গুঁড়ো, শালিমার শেফ মশলা গোলমরিচের গুঁড়ো, শালিমার সাদা তেল, ক্যাপসিকাম, গাজর, আলু সেদ্ধ, পেঁয়াজের টুকরো, কাঁচালঙ্কার টুকরো, ধনেপাতা, ডিম, ব্রেডক্র্যাম্ব




কীভাবে বানাবেন

বোনলেস চিকেন ভাল করে ধুয়ে একটি পাত্রে রাখুন। এবার ওভেনে কড়াই বসিয়ে চিকেনের টুকরোগুলি দিয়ে নুন, কাঁচা লঙ্কা, আদা-রসুন বাটা, গরম মশলা, লঙ্কার গুঁড়ো, চাট মশলা, ধনের গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো, তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে জল ঢেলে ঢাকা দিয়ে দিন। এবার কড়াইয়ের ঢাকা খুলে টুকরো করা ক্যাপসিকাম, গাজর আরও কিছুটা জল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রাখুন। এবার ঢাকা খুলে চিকেন ভাল করে স্ম্যাশ করে পাত্রে ঢেলে রাখুন। এবার ওই মিশ্রণে সেদ্ধ আলু গ্রেট করে দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। এবার পেঁয়াজের টুকরো, কাঁচালঙ্কার টুকরো, ধনেপাতা দিয়ে মেখে কাটলেটের আকারে গড়ে নিন। এবার পাত্রে ডিম ভেঙে ফেটিয়ে নিন। এবার একে একে কাটলেটগুলি ডিমের গোলার মধ্যে ডুবিয়ে ব্রেডক্র্যাম্প মাখিয়ে নিন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে কাটলেটগুলির দুপিঠ লাল করে ভেজে নিয়ে পরিবেশন করুন গরম ক্রিস্পি চিকেন কাটলেট।

কাছে পিঠে ১৪ টি পিকনিক স্পট, লিখেছেন কমলেন্দু সরকার।

বেশ লাগে: বনকাটি

অজয় নদীর ধারে ছোট্ট মনোরম এক গ্রাম বনকাটি। পশ্চিম বর্ধমানের বাংলার এই গ্রামে টেরাকোটা মন্দির আর পিতলের রথ মুগ্ধ করবেই। যেমন মুগ্ধ করেছিল শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুকে। গ্রাম বাংলার প্রায় সব গ্রামেই একটা চণ্ডীমণ্ডপ আর কালীতলা পাওয়া যায়। এই গ্রামেও তার অন্যথা নেই। এখানে রেখদেউল আর আটচালার মন্দির, পঞ্চরত্ন মন্দির দেখলে বিস্মিত হতে হয়।


শুধু স্থাপত্য নয়, মন্দির-গায় টেরাকোটার কাজ দেখতে দেখতে বিস্ফারিত হবে চোখ। রামায়ণ, মহাভারত, রাধাকৃষ্ণর নৌকাবিলাস, ইংরেজ চরিত্রের সঙ্গে ওই আমলের টমটম গাড়ি-সহ আর কত কী রয়েছে পোড়ামাটির কাজে। এইসব চাক্ষুষ করার সময় ফিরিয়ে দেবে সেকালে। সেইসব শিল্পীদের কাছে যাঁরা পোড়ামাটিতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন এইসব শিল্পকর্ম। অবাক করবে সুদৃশ্য পিতলের রথটি! গড় জঙ্গলের কাছেই বা এলাকার মধ্যেই বনকাটি। এই গড় জঙ্গলের গভীরে শ্যামারূপার মন্দির। দুর্গার এক রূপ। মন্দিরের আছে এক মস্ত সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করতেন দেবী চৌধুরানি। জানা যায়, সুড়ঙ্গটি গড় জঙ্গলের গভীরে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে। তবে এখন এই সুড়ঙ্গ-মুখ বন্ধ। গড় জঙ্গলে মুক্ত ময়ূর ঘুরে বেড়ায়। ঘেরাটোপে রয়েছ ৭০-৭৫টি হরিণের দল। অজয় নদী আর গড় জঙ্গলে মোড়া জায়গাটি বেশ লাগে ছুটি কাটানোর জন্য।


কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে বনকাটির দূরত্ব প্রায় ১৭৬ কিমি।

দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ধরে বর্ধমান, পানাগড় হয়ে দার্জিলিং মোড়। এখান থেকে ১৮ কিমি এগারো মাইল বাসস্ট্যান্ড। এখান থেকে বাঁদিকে ন'কিমি দেউল। দেউল থেকে বনকাটি পাঁচ কিমি। কোথায় থাকবেন: দেউল পার্ক রিসর্ট, কটেজের ভাড়া ১৬৮০ টাকা, এসি ডাবল বেড ১২৬০ টাকা, নন এসি ৮০০ টাকা, পাঁচ শয্যার ঘর ১৫০০ টাকা, ছ'শয্যার ঘর ২০০০ টাকা, ১৫ শয্যার এসি ঘর ৫০০০ টাকা, নন এসি ৪৫০০ টাকা। খাওয়াদাওয়া: মিল নিরামিষ ২৫০, মাছ ১৫০, মুরগি ২৫০, দেশি মুরগি ৩২০, মাটন ৩৫০ টাকা। শাকসবজি সব অরগ্যানিক নিজেদের।


মন নিয়ে

ভাবছেন পরিচালক সলিল সেনের উত্তমকুমার-সুপ্রিয়া অভিনীত ছবির কথা বলছি। না, তা একেবারেই নয়। এটি হল পিকনিকের জায়গা-- মন নিয়ে। রোম্যান্টিক নাম। জায়গাটিও বেশ রোম্যান্টিক। পিকনিকে গিয়ে আরও রোম্যান্স জাগবে যখন দেখবেন আস্ত একটা সুইমিং পুল আছে আপনার অপেক্ষায়। এমনটাই আছে দত্তপুকুর শিবালয় কবরখোলায় 'মন নিয়ে গার্ডেনে। পাহাড়, ঝরনাও আছে। সবই কৃত্রিম। পুরো বাগানটাই লন। অভ্যাগতদের জন্য ফুটে থাকে কতশত রং-বেরঙের ফুলা গাছগাছালির ছায়ায় রোদ্দুরের আঁকিবুকি কাটা। মাঠে লুটোপুটি খায় রোদ্দুর। গা-ভিজিয়ে দিন লনের রোদ্দুরে। দিঘির পাড়ে বসে গল্পগুজবও করতে পারেন। তবে সবকিছুই কোভিড নিয়ম মেনে। পিকনিক স্পটের সঙ্গে দোতলার একতলাটি দেওয়া হয়। ভাড়ার কোনও হেরফের নেই। প্রতিদিনই ভাড়া- ৩২৫০০ টাকা। বারাসত ডাকবাংলোর মোড় কৃষ্ণনগর রোড ধরে কমবেশি ১১ কিমি। যোগাযোগ: 09831789014.


নন্দী বাগানবাড়ি

ব্যারাকপুরের কাছেই দেবপুর। ছ'বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে চমৎকার এক পিকনিক স্পট নন্দী বাগানবাড়ি। আছে গাছগাছালি ঘেরা দোতলা বাংলো। উঁচু পাঁচিলে ঘেরা। মরশুমি ফুলে ভরে ওঠে বাগান। ফুলের জলসায় বেশ লাগে নন্দী বাগানবাড়ি। আছে দিখিও। তার পাড়ে বসে গল্পগুজবে কেটে যাবে পিকনিকের অলস দুপুর। কিংবা একাকী বসে থাকতেও বেশ লাগে। ছোটদের জন্য ব্যবস্থা ভিন্ন। পিকনিকের অবসবে একফাঁকে ঘুরেও আসতে পারেন গান্ধীঘাট, মঙ্গল পাজে উদ্যান। শনি, রবি এবং ছুটির দিন ভাড়া- ১২০০০, অন্যান্য দিন ১০০০০ টাকা। বারাসত-ব্যারাকপুর রোড ধরে দেবপুকুর নাকিমি। যোগাযোগ: 09883394992.


নীলদীপ গার্ডেন

সবুজের সমারোহে নীলদীপ গার্ডেনের রূপ-সৌন্দর্য ফেটে পড়েছে। গাছগাছালির পাতার ফাঁকে রোদ্দুরে আলোছায়ার আলপনা দেয়। মরশুমি ফুলের ওপর রোদ এসে খেলা করে। কতসব রঙিন ফুল ফুটে আনন্দ দান করে অতিথিদের। সবমিলিয়ে প্রকৃতির মাঝে অপরূপা নীলদীপ গার্ডেন। চড়ুইভাতি এসে সময় কাটানোর আদর্শ জায়গা এই বাগিচা। ছোটদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা আছে।


নীলদীপের আছে নিজস্ব রেস্তরাঁ। আগে বলে রাখলে ব্রকফাস্ট টু লাঞ্চ সব মিলবে। ভাড়া- শনি, রবি এবং ছুটির দিন ১৪০০০ টাকা, অন্যান্য দিন ১০০০০ টাকা। যোগাযোগ: বাদীপ ঘোষ, ফোন- 09830381827.


শিয়ালদা থেকে বারুইপুর লোকালে বারুইপুর নেমে অটোতে জোগাইলপুকুর মোড়, কাছেই নীলদীপ গার্ডেন। সড়কপথে বাইপাস ধরে বারুইপুর শেষে ডানদিকে আমতলার রাস্তা সেখান থেকে জোগাইলপুকুর মোড়। ল্যান্ডমার্ক হল আই হসপিটাল।


শীতকালে পিকনিকের অন্যতম সেরা এবং জনপ্রিয় জায়গা ডায়মন্ড হারবার। সেখানেই হয়েছে চমৎকার এই পিকনিক স্পট পুষ্পবন। অপূর্ব! গাছগাছালি আর মরশুমি ফুলের মেলা। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা। শীতের হিমেল হাওয়া গঙ্গার জলস্পর্শে আরও হিম হয়ে যখন শরীর ছুঁয়ে যায় তখন এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়ে শিহরন জাগায়! গঙ্গার জলে বিলি কেটে দেয় উত্তুরে হিমেল বাতাস!


পুষ্পবনের অদূরেই কেল্লার খণ্ডহর। পর্তুগিজ আর ইংরেজ আমলে তৈরি। পিকনিকের অবসরে ঘুরে এলে ভাল লাগবে। পুষ্পবনে পিকনিক স্পট দু'টি। ভাড়া- ৪০০০ এবং ৫০০০ হাজার টাকা। অ্যাটাচড বাথ-সহ ঘর। যোগাযোগ: জয়ন্ত চৌধুরী, ফোন- 09831039032, যেতে হবে শিয়ালদা থেকে ডায়মন্ড হারবার লোকালে ডায়মন্ড হারবার নেমে টোটোতে ৭৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ড। মহুয়া হোটেলের বিপরীতে পুষ্পবন। সড়কপথে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার রাস্তা।


কমলা গার্ডেন

শিবালয় বনবীথির বিপরীতে কমলা গার্ডেন। বাইরে থেকে ভিতরটা বোঝা যায় না। চমক লাগে ভিতরে ঢুকলে। চারিপাশে শুধুই গাছপালা, বাগান, দিঘি, বাঁধানো বসার জায়গা। ছোটদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা। দত্তপুকুর-শিবালয় অঞ্চলে পাঁচ বিঘা জমির ওপর চমৎকার এই গার্ডেন। দিঘির পাড়ে বসে গুলতানি। শীতের দুপুর বেশ মনোরম লাগে। পিকনিকের জন্য বাথরুম সংলগ্ন ঘর। কেটারিংয়েরও ব্যবস্থা আছে।


সড়কপথে বারাসত ডাকবাংলো থেকে কৃষ্ণনগর রোড ধরে নাকিমি কমলা গার্ডেন। ট্রেনে শিয়ালদা থেকে বনগাঁ লাইনের ট্রেনে দত্তপুকুর স্টেশন। তারপর ভ্যানরিকশায় মিনিট কুড়ি। যোগাযোগ: 09831789014.


নহবত

নাম শুনলেই সানাইয়ের বাজনা কানে ভাসে। কিন্তু এ নহবত সোনারপুরে পিকনিকের ছোট্ট এক চমৎকার জায়গা। নহবতের সঙ্গে বাঙালির চিরন্তন সম্পর্ক। গাছে গাছে ঘেরা নহবত মরশুমি ফুলে ছাওয়া। এই বাগানবাড়িতে রয়েছে বিশ্রামঘর, খাওয়ার ঘর ইত্যাদি।


পিকনিকের ফাঁকে ঘুরে আসা যাবে বহুকালের পুরনো লৌকিক দেবতা পঞ্চানন্দের মন্দির। স্থানীয়দের বিশ্বাস ইনি খুব জাগ্রত দেবতা। আছে বিপত্তারিণী মায়ের মন্দির। ইনিও খুব জাগ্রত।


শিয়ালদা সাউথ থেকে লোকালে সোনারপুর নেমে অটোতে আসতে হবে। এখান থেকে মাত্র এক কিমি। ভাড়া- ৩০০০ বোসপুকুর মোড়। পাশেই নহবত। সড়কপথে রাজপুর হয়ে টাকা। কোভিডের জন্য চল্লিশজনের বেশি অনুমতি নেই। যোগাযোগ: 09830781988.


বিশ্রাম বাগানবাড়ি

ইছামতী নদীর ধারে বাগানবাড়ি বিশ্রাম। নামেই আরাম। খুব বেশি দূর নয়। যেতে হবে টাকি। পিকনিকের জন্য আদর্শ। পিকনিকের মাঝে ঘুরে আসা যায় মাছরাঙা দ্বীপ। খুব রোমাঞ্চকর জার্নি। আগে বলা থাকলে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। নিজেরাও রান্নবান্নার লোক নিয়ে যেতে পারেন। ভাড়া- রাত্রিবাস করলে ডাবল বেড ৬৫০ টাকা।


পিকনিকের জন্য ভাড়া- ৭২৫০ টাকা। যোগাযোগ: 09007012271/09007012275.

চানকাপুরী

না, না, নাম শুনে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। কাছেই এই পিকনিক স্পট। সড়কপথে বারুইপুর থেকে ক্যানিং রোড ধরে যেতে হবে। আর শিয়ালদা সাউথ থেকে বারুইপুর স্টেশন নেমে ক্যানিং রোড ধরে আট কিমি। চাণকাপুরীতে আছে মুগ্ধ করা ফুলের বাগান। নৌবিহারের ব্যবস্থা আছে। ছোটদের জন্য রয়েছে বিনোদনের আলাদা ব্যবস্থা। ভাড়া- ১৫০০০ এবং ১৮০০০ হাজার টাকা। যোগাযোগ: 09831138502.


ধুতুরদহ

বিদ্যাধরী নদীর ধারে চমৎকার একটি রিসর্ট। গাছগাছালির সবুজ আর আকাশ নীলে মাখামাখি। চারিপাশে মনকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে নিশিযাপন করা যায়। পিকনিকও করা যায়। দু'একটা দিন কাটাতে মন্দ লাগবে না। মনের আনন্দে পিকনিক করতে বেশ লাগে।


এখানে পিকনিক করতে হলে ওদের কাছে খাবার খেতে হবে। নিশিযাপনের জন্য লাগবে ২৫০০ টাকা আর গাছবাড়িতে থাকলে দিতে হবে প্রতিরাত ৩৫০০ টাকা।


পিকনিকের জন্য লাগবে মাথাপিছু ৯৯৯ টাকা আর রাতে থাকলে ১২০০ টাকা। পাওয়া যাবে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, স্ন্যাকস। রাতে থাকলে ডিনার। দুপুরের খাবারে থাকবে- গলদা চিংড়ি, কচি পাঁঠার ঝোল, ভেটকি-সহ আরও কিছু। এখানে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। নিজেরা তো রান্না করাই যাবে না।


সায়েন্স সিটি থেকে কমবেশি ৪১ কিমি। সায়েন্স সিটি থেকেবাস, ম্যাজিক গাড়ি পাওয়া যায়। যোগাযোগ: 09830985968.


কমলা পিকনিক গার্ডেন

কলকাতা শহরের ভিতর এমন চমৎকার একটা জায়গা আছে তা না-গেলে জানা যায় না। গাছগাছালি আর লেক ঘেরা অপূর্ব এক পিকনিক স্পট। বহু রকমের ফুল ফুটে থাকে বাগান জুড়ো রঙে রঙে রাঙিয়ে দেয় ফুলগুলো। আপনাআপনি মেতে উঠতে ইচ্ছে করে আনন্দে। সাত বিঘার বিশাল জায়গা। আছে দেড় বিঘার একটি লেক। ইচ্ছে করলে বোটিং করা যায়। একটি বেডরুম এবং হলঘরও আছে। তবে এ-বছর দেওয়া হবে না। মাঠেই পিকনিক করতে হবে। তবে ওয়াশরুম আছে বাইরে, কোনও অসুবিধা হবে না। ভাড়াও এ-বছর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোম থেকে শুক্রবার ১০০০০ হাজার টাকা, শনিবার ১২০০০ হাজার টাকা, রবি ও ছুটির দিন ১৫০০০ হাজার টাকা।


যেতে হবে ঠাকুরপুকুর-বাখরাহাট রোড ধরে, দিল্লি পাবলিক স্কুল থেকে মাত্র দেড় কিমি। যোগাযোগ: অলোক মুখোপাধ্যায়, ফোন- 09830086556.



জুবিলি পাক

কল্যাণীর কাছে পিকনিকের অপূর্ব জায়গা। বিশাল বিশাল গাছগাছালির মাঝে বেশ মনোরম। রকমারি ফুল গাছও আছে। রয়েছে প্রকাণ্ড এক লেক। বোটিংও করা যায়। প্রচুর পাখি দেখা যায় এখানে।


শিয়ালদা থেকে লোকাল ধরে কাঁচরাপাড়া বা কল্যাণী নেমে যেতে হবে। দু'টি জায়গা থেকেই দূরত্ব সাড়ে পাঁচ কিমি। সড়কপথে বাঁশবেড়িয়া হয়ে ঈশ্বর গুপ্ত সেতু পেরিয়ে কল্যাণী পৌঁছনো যায়। ভাড়া- ১০০০ হাজার টাকা। যদি ওদের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আলাদা করে পিকনিকের জন্য টাকা দিতে হবে না। শুধু খাওয়াদাওয়ার দিলেই হবে। প্যাকেজের সুবিধা আছে। পার্কে প্রবেশের জন্য ৫০ টাকা মাথাপিছু। যোগাযোগ: ০৪১১০৭১৯



রামমন্দির বাগানবাড়ি

নিরিবিলি বাগানবাড়ি। অফিস, পাড়া কিংবা পরিবারের সববে মিলে পিকনিক করার জন্য আদর্শ। সত্তর একর জায়গার ওপর শাল, সেগুন, আম, কাঁঠাল, জাম, পাম গাছে ভরা এই বা এসবের মাঝে ফুটে থাকে রং-বেরঙের ফুল। আছে শাদ ধাঁধাচনা দিখি। দিঘির চারিদিক বিশাল বিশাল গাছে গাছে ঘেরা। ছায়ায় চলতে পারে নিপাট, নির্ভেজাল আড্ডা। প্রকান্ড একটি যাদ গাছে গাছবাড়ির আদলে মাচা বাঁধা। বাচ্চাদের বিসেসনের কলক্স ভিন্ন।


কলকাতা থেকে কমবেশি ৪৫ কিমি। সড়কপথে কোনা এবায়েদ ধরে শলপ হয়ে যেতে হবে। এ-বছরের জন্য তাড়া কমানো হয়েছে। ছুটি এবং শনি-রবি ৫০০০ হাজার টাকা, অন্যান্য দিন ৪০০০ হাজার টাকা। এবারে ৫০ জনের বেশি প্রবেশের অনুমতি নেই। যোগাযোগ: 09830346682/033 2445 8026


কাশফুল বাগানবাড়ি

কাশফুল শব্দটি শুনলেই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে শরতের হায়া গড়ে মন হয়ে ওঠে উচাটন। এই শীতে কাশফুল পাওয়া যাবে জোনাজা আছে কাশফুল বাগানবাড়ি। গাছে গাছে ঘেরা এই বাগানবাড়ি পুরো এলাকা ভরে থাকে কাশফুলে। এখানে সলবেঁধে সিজনায়ার মজাই আলাদা। সড়কপথে বড় জাগুলিয়া থেকে ভৌমিকপাড়ার আনন্দপুর।

শিয়ালদা থেকে লোকালে কাঁচরাপড়া। তারপর অটো বা ঘাসে ভৌমিকপাড়া। আগে বলা থাকলে রান্নার ব্যবস্থা এখান থেইেগ করা যায়। নিজেরা ব্যবস্থা করে আনলে এখানেও করা যায় ভাড়া- ৪০০০ হাজার টাকা। যোগাযোগ: রঞ্জিত ভৌমিক, 09231919780


 
 
 

Comments


ssss.jpg
sssss.png

QUICK LINKS

ABOUT US

WHY US

INSIGHTS

OUR TEAM

ARCHIVES

BRANDS

CONTACT

© Copyright 2025 to Debi Pranam. All Rights Reserved. Developed by SIMPACT Digital

Follow us on

Rojkar Ananya New Logo.png
fb png.png

 Key stats for the last 30 days

bottom of page