মমতাজ বেগম
তিরঙ্গা শীতের সবজি পিঠে
কী কী লাগবে
তিন কাপ চালের আটা, হাফ কাপ গাজরের পেষ্ট, হাফ কাপ পালং শাকের পেষ্ট, নুন, তিন কাপ নারকেল কোরা, দুই কাপ খেজুর গুড়ের পাটালি, এক চতুর্থাংশ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো, হাফ কাপ খোয়া ক্ষীর, প্রয়োজন মতো জল

কীভাবে বানাবেন
প্রথমে চালের আটা তিন ভাগ করে নিলাম। পরিমাণ মতো জল ফুটিয়ে পাশে রেখে দিলাম। খামির করতে গিয়ে জলের প্রয়োজন পড়লে ব্যবহার করা যেতে পারে। মাঝারি আঁচে রান্নার জন্য কড়াই বসিয়ে এক কাপ গরম জল দিয়ে দিলাম, জল ফুটে উঠলে লবণ ও এক কাপ চালের আটা দিয়ে নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে গেলে সুন্দর একটা খামির তৈরি করে নামিয়ে নিলাম। এটা সাদা খামির। দ্বিতীয় ভাগ:ঐ আঁচেতেই অন্য একটি কড়াই বসিয়ে কড়াই গরম করে গাজরের পেষ্ট ঢেলে দিয়ে লবণ দিয়ে দিলাম। এবার এক কাপ চালের আটা দিয়ে দিলাম , পেষ্ট এর পাত্রটা সামান্য গরম জল বুলিয়ে ঢেলে দিলাম। নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে গেলে সুন্দর একটা স্যাফ্রন রঙের খামির তৈরি করে নামিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ভাগ: আবার অন্য একটি পাত্র গ্যাস ওভেনে বসিয়ে দিলাম, পাত্র গরম হলেই পালং শাকের পেষ্ট ঢেলে দিয়ে লবণ দিয়ে দিলাম। যে পাত্রে পেষ্ট ছিল তাতে সামান্য গরম জল বুলিয়ে ঢেলে দিলাম। নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে গেলে সুন্দর একটা সবুজ রঙের খামির তৈরি করে রাখলাম। এবার মাঝারি আঁচে কড়াই বসিয়ে নারকেল কোরা, খেজুরের পাটালি, লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঢেলে দিলাম । খোয়া ক্ষীর ও এলাচের গুঁড়ো দিয়ে দিলাম নারকেলের পুর বানিয়ে কড়াই গ্যাস ওভেন থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে দিলাম। অন্য একটি কানা উঁচু হাঁড়িতে জল ফুটতে দিলাম।
তারপর হাতে ঠান্ডা জল মাখিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে তিন রকম খামির ঠেসে ঠেসে মন্ড গুলি পিঠে পুলি তৈরির করার উপযুক্ত করে তুললাম। এবার চালের আটার মন্ড থেকে লম্বা আকারের বাটি তৈরি করে মধ্যেখানে নারকেলের পুর ভরে মুলোর আকৃতি দিয়ে মুলো বানিয়ে নিলাম, পাতার জন্য পালং শাকের ঠেসে রাখা মন্ড থেকে সামান্য নিয়ে পাতা বানিয়ে মুলোর মাথায় লাগিয়ে দিলাম।এইভাবে ঠেসে রাখা গাজরের মন্ড থেকে নিয়ে গাজর বানিয়ে নিলাম ।
তারপর ঠেসে রাখা পালং শাকের মন্ড থেকে নিয়ে লম্বা পুলি পিঠে বানিয়ে নিয়ে চিমটে দিয়ে চিমটি কেটে কেটে উচ্ছের নকশা তৈরি করে নিলাম। এবার যে হাঁড়িতে জল ফুটতে দিয়েছিলাম তার উপরে একটা জালি পাত্র তেল ব্রাশ করে রেখে দিলাম। ঐ জালি পাত্রের উপরে পিঠে গুলি ভাপ দিয়ে নিলাম। পিঠে গুলি ভেপে সুন্দর একটি সুগন্ধ বের হলে গ্যাস ওভেন বন্ধ করে দিলাম। আমার তেরঙ্গা শীতের সবজি পিঠে বানানো কমপ্লিট।

পূর্ণিমা শীল
তিরঙ্গা চাউমিন
কী কী লাগবে
চাউমিন ১ টা ছোটো প্যাকেট, তিন রঙের ফুড কালার পরিমাণ মতো, লবন পরিমাণ মতো, Shalimar's সাদা তেল পরিমাণ মতো, লবঙ্গ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে কড়া গ্যাসে বসিয়ে তাতে পরিমান মতো জল , সাদাতল 2 চামচ ও লবন পরিমান মতো দিয়ে জল ফুটে উঠলে তাতে চাউমিন দিয়ে সিদ্ধ করে নামিয়ে ঠান্ডা জল ঢেলে কিছু সময় রাখতে হবে। এরপর তিনটে বাটিতে চাউমিন ভাগ করে নিলাম। তারপর একটা বাটিতে গেরুয়া রঙ আর জল দিয়ে গুলে ওতে চাউমিন দিয়ে মেখে আলাদা করে রাখতে হবে। এরপর অন্য বাটিতে সবুজ ফুড কালার রেখে তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ওর মধ্যে চাউমিন দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। শেষে প্লেটে গেরুয়া সাদা ও সবুজ রঙের চাউমিন সাজিয়ে মাঝখানে লবঙ্গ দিয়ে চক্র বানিয়ে নিলেই তৈরী।

শুক্লা শীল
ট্রাই কালার সুইট বল
কী কী লাগবে
১ কাপ ঘসে নেওয়া গাজর
১ কাপ ফুটিয়ে ঘন করা দুধ
২/৩ কাপ গুঁড়ো চিনি
১/২ কাপ নারকেল কোরানো
৪ টি এলাচ গুঁড়ো
৩ টেবিল চামচ কোচানো কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম আলমণ্ড
২ টেবিল চামচ ঘি
১ টেবিল চামচ গুঁড়ো
১/২ কাপ ময়দা
১/২ কাপ চালের গুঁড়ো
১/৪ কাপ সুজি
১/২ কাপ নারকেল কোরানো
৩ টেবিল চামচ পান পাতার পেস্ট
৩ টেবিল চামচ গ্ৰেট করা খোয়া ক্ষীর
১/২ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১ কাপ ফুটিয়ে ঘণ করা দুধ
২ টেবিল চামচ ঘি
১কাপ গুঁড়ো চিনি
২ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ
৩ টেবিল চামচ কোচানো বাদাম(কাজু, পেস্তা, আল মণ্ড)
কীভাবে বানাবেন
একটি কড়াই গরম করে তাতে ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে,একটু গরম হলে,৩ টেবিল চামচ কোচানো বাদাম দিয়ে, হালকা নেড়েচেড়ে, এরমধ্যে ঘসে রাখা গাজর দিয়ে খুব ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
গাজর একটু নরম হলে, এরমধ্যে নারকেল কোরানো ও গুঁড়ো দুধ দিয়ে নেড়েচেড়ে, এক কাপ ফুটিয়ে ঘন করা দুধ দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। গাজর সিদ্ধ হয়ে গেলে, এরমধ্যে গুঁড়ো চিনি ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে, খুব ভালো করে মিশিয়ে, ক্রমাগত নাড়াচাড়া করে, মণ্ডের আকার নিলে, একটি ঘি মাখানো পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। অপর একটি কড়াই গরম করে তাতে, ১.৫ টেবিল চামচ ঘি গরম করে, তারমধ্যে সুজি ঢেলে নাড়াচাড়া করতে হবে, ভাজার সুন্দর গন্ধ বেরোলে, ময়দা ও চালের গুঁড়ো খুব ভালো করে মিশিয়ে সুজির মধ্যে দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে ২ মিনিট। এরপর এরমধ্যে নারকেল কোরানো দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে, ঘন দুধ ঢেলে নাড়াচাড়া করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার এরমধ্যে গুঁড়ো চিনি দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে, একে একে খোয়া ক্ষীর, গুঁড়ো দুধ, কোচানো বাদাম, দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। নাড়াচাড়া করে মণ্ডের আকারে চলে এলে, এবং কড়াই থেকে ছেড়ে এলে একটি ঘি মাখানো পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। এবার একটি কড়াই গরম করে, ১/২ চামচ ঘি দিয়ে, এরমধ্যে পানের পেস্ট ঢেলে দিতে হবে। এবার এই পেস্টের মধ্যে, সাদা রঙের যে মণ্ড তৈরি করা হল তার থেকে ১/২ কাপের একটু বেশি মত মণ্ড নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে সবুজ রঙের মণ্ড তৈরি করে নিতে হবে। নাড়াচাড়া করতে করতে কড়াই থেকে ছেড়ে আসলে নামিয়ে ঘি মাখানো পাত্রে রাখতে হবে। এবার হাতে একটু ঘি মাখিয়ে নিয়ে,তিন রঙের মণ্ড থেকে কিছুটা করে মণ্ড নিয়ে একত্রিত করে, একটি ট্রাই কালারের বল তৈরি করে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল অপূর্ব স্বাদের, রঙের "ন্যাচারাল ট্রাই কালার সুইট বল"।

তন্দ্রা নাথ
ট্রাই কালার চিতই পিঠে
কী কী লাগবে
এক কাপ গোবিন্দ ভোগ চালের গুঁড়ো
দুই চামচ ধনে পাতা পেস্ট
দুই চামচ গাজর পেস্ট
স্বাদ মতো নুন
হাফ চামচ ব্রেকিং পাউডার
পরিমাণ মতো গরম জল
এক চামচ Shalimar's সাদা তেল
কীভাবে বানাবেন
চালের গুঁড়ো একটি পাত্রে নিয়ে নুন ও বেকিং পাউডার ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। আর একটু উষ্ম গরম জল দিয়ে ভালো করে মাখতে হবে। পরে আবারও গরম জল আসতে আসতে করে দিয়ে একটু ঘন করে ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে। ব্যাটার যেন খুব ঘন বা খুব পাতলা না হয়। তারপর ব্যাটার টা তিনটি পাত্রে ভাগ করে নিতে হবে। একটি পাত্রে ধনেপাতা পেস্ট মিশিয়ে নিতে হবে।আর একটি পাত্রে গাজর পেস্ট মিশিয়ে নিতে হবে। অবশ্যই আর একটু চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। এবার গ্যাস জ্বালিয়ে একটি আপে প্যান বসিয়ে গোল অংশতে অয়েল ব্রাশ করে দিতে হবে।আর একদম গ্যাস কমিয়ে একটি ছোট্ট হাতা দিয়ে ব্যাটার ঢেলে দিতে হবে। ভালো করে চাপা দিয়ে ৭ থেকে ৮ মিনিট পর একটি টুথ পিক দিয়ে সেদ্ধ হয়েছে কিনা দেখে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এভাবে সব গুলো তৈরি করে নিতে হবে। তারপর প্লেটিং করে সার্ভ করতে হবে। এটা ঝোলা গুড়ের সাথেও খেতে পারেন, আবার টক ঝাল যেকোনো চাটনির সাথেও খেতে পারেন।

সর্বাণী দত্ত
তিরঙ্গা ইডলি
কী কী লাগবে
চালের গুঁড়ো এক কাপ
বিউলির ডাল বাটা আধ কাপ
নুন
দই
ফুড কালার
বেকিং পাউডার
সাম্বারের জন্য;
তুর ডাল
পেঁয়াজ
ইচ্ছে মতো সবজি
তেতুল টক
সাম্বার মসলা
তেল
কারিপাতা
শুকনো লঙ্কা
সর্ষে
ধনেপাতা
Shalimar's সাদা তেল
কীভাবে বানাবেন
তুর ডাল ভালো করে ধুয়ে প্রেসারে নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা,সর্ষে , করিপাতা ফোড়ন দিন,কেটে রাখা সবজি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। অল্প নুন,হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করা ডাল দিন। ভালো করে নেরে নিন এবার সবজি সেদ্ধ হতে দিন।সবজি আধ সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে সাম্বার মসলা মেশান। কিছুক্ষন ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।ভালো করে সবজি সেদ্ধ হয়ে গেলে তেঁতুল টক আর ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন। চালের গুড়ো,ডাল বাটা একটু নুন মিশিয়ে নিন,তাতে পরিমান মতো দই দিন (টকদই)।ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে এক ঘন্টার জন্য রেখে দিন। এক ঘন্টা হয়ে গেলে তাতে অল্প বেকিং পাউডার দিন। ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার ইচ্ছে মতো ফুড কালার মিশিয়ে দিন। ইডলি প্যানে একটু তেল দিয়ে ব্যাটার দিন। ভাপে ইডলি বানান।

সুপর্ণা মন্ডল
সুজি ও নারকেলের গোলি ইডলি
কী কী লাগবে
১ কাপ সুজি
১/৩ কাপ নারকেল কোরা
১/২ চা চামচ চিলি ফ্লেক্স
১/২ চা চামচ রাই
২ বড়ো চামচ সাদা তিল
১ চা চামচ ইটালিয়ান পিজ্জা seasoning
১ মুঠো ধনেপাতা
১ চা চামচ টমেটো সস
১ চা চামচ Shalimar's সাদা তেল
নুন স্বাদ অনুযায়ী
কীভাবে বানাবেন
১ কাপ জল ফোটাও, তার মধ্যে নুন ও চিলি ফ্লেক্স দিয়ে দাও। এবার ওই গরম জলে সুজি আর নারকেল কোরা মেশাও। দু বার নেড়েচেড়ে গ্যাস বন্ধ করে নামিয়ে নাও।এবার হাতে অল্প অল্প তেল নিয়ে রুটির আটার মতো মতো মাখো। মাখা হয়ে গেলে এর থেকে ছোটো ছোট বল বানিয়ে নাও। এবার বল গুলো কে ৭-৮ মিনিট ভাপিয়ে নাও। এবার একটা প্যান এ সাদা তেল গরম করে তাতে রাই, সাদা তিল, ধনে পাতা, ইটালিয়ান সিজনিং, নুন আর্ টমেটো সস দাও। এবার এর মধ্যে ওই ভাপানো বল গুলো দিয়ে দাও। সব ভালো করে মিশিয়ে নিলেই রেডি। মেয়োনিজ আর্ বার্বিকিউ সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

মৌমিতা সিনহা
ট্রাই কালার প্যানাকোটা
কী কী লাগবে
দুধ দেড় কাপ
ফ্রেশ ক্রিম দেড় কাপ
কনডেন্সড মিল্ক ১/৩ কাপ
ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট ১ চা চামচ
জেলাটিন ৩ চা চামচ
সবুজ খাবার রং ১/৪ চা চামচ
কমলা খাবার রং ১/৪ চামচ চামচ
কীভাবে বানাবেন
একটি প্যানে দুধ কম আঁচে গরম করতে হবে। একটি ছোট পাত্রে জেলাটিন উষ্ণ জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে যতক্ষণ না ফুলে ওঠে ও দানাদার দেখায়। দুধ ফুটলে জেলাটিন ভালোভাবে মেশাতে হবে। কনডেনসড মিল্ক দিয়ে মিশিয়ে গ্যাস বন্ধ করতে হবে। এবার এতে ফ্রেশ ক্রিম আর ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট মেশাতে হবে। মিশ্রনটি ৩ টি আলাদা বাটিতে সমানভাবে ভাগ করতে হবে। একটিতে কমলা আর একটিতে সবুজ রঙ মেশাতে হবে আর বাকিটা সাদা রাখতে হবে। একটি সিলিকন মোল্ডে প্রথমে সবুজ রঙের মিশ্রনটি ঢেলে ১৫-২০ মিনিট ফ্রিজে রাখতে হবে। তারপর সাদা মিশ্রণ ঢেলে আবার ১৫ মিনিট ফ্রিজে সেট করতে হবে। শেষে একই ভাবে কমলা রঙ দিয়ে সেট করতে হবে। পুরোপুরি সেট না হওয়া পর্যন্ত ফ্রিজে রাখতে হবে। ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে।

অমৃতা পান্ডে চক্রবর্ত্তী
তিরঙ্গা (ট্রাইকালার) তন্দুরি পনির
কী কী লাগবে
পনির -২০০ গ্রাম
জল ঝরানো টক দই - ২০০ গ্রাম
বেসন - ৩-৪ টেবিল চামচ
তন্দুরি মশলা - ২ টেবিল চামচ
সেজওয়ান সস - ১/২ টেবিল চামচ
Shalimar's কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো - ১ চা চামচ
Shalimar's গোলমরিচ গুঁড়ো - ১ টেবিল চামচ
লবণ - স্বাদ অনুযায়ী
মেয়োনিজ - ১/২ টেবিল চামচ
ধনে পাতা - ৫০ গ্রাম
রসুনের কোয়া - ২ টি
আদা - ১/৪ ইঞ্চি
কাঁচালঙ্কা - ১ টি
ক্যাপসিকাম - ১ টির ১/২ ভাগ
পিঁয়াজ (মাঝারি) - ১ টির ১/২ ভাগ
টমেটো (মাঝারি) - ১ টি
বাটার - প্রয়োজন মতো
কীভাবে বানাবেন
পনির, পিঁয়াজ, ক্যাপসিকাম ও টমেটো চৌকো করে কেটে নিতে হবে। পনিরের আকারের কাটতে হবে। বেসন গরম প্যানে হালকা নেড়ে নিতে হবে। টক দই এ বেসন, তন্দুরি মশলা, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার ব্যাটার টা তিনটে আলাদা বাটিতে সম পরিমাণ করে তুলে নিতে হবে। প্রথমটিতে সেজওয়ান সস ও কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে যাতে গেরুয়া বা লাল রং আসে। এবার পনির ও টমেটো ভালো ভাবে মাখিয়ে নিতে হবে ব্যাটারে। সবুজ রঙের জন্য ধনেপাতা ধুয়ে ছোটো করে কেটে রসুন, আদা ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মিহি করে মিক্সার এ বেটে ধনে পাতার চাটনি তৈরী করে নিতে হবে। এবার আগে থেকে তুলে রাখা দই এর মিশ্রণের সাথে চাটনি মিশিয়ে নিয়ে পনির কিউব ও ক্যাপসিকাম মাখিয়ে নিতে হবে। সাদা রঙের জন্য টক দই এর মিশ্রণে মেয়োনিজ মিশিয়ে পনির ও পিঁয়াজের কিউবে মাখিয়ে নিতে হবে। মাখিয়ে নেবার পর আধা ঘন্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। এরপর বার করে স্টিকে সাজিয়ে ( যেমন ক্যাপসিকাম পনির ক্যাপসিকাম , টমেটো- পনির - টমেটো, পিঁয়াজ - পনির - পিঁয়াজ) গ্রিল করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে তন্দুরি পনির। গরম গরম স্যালাড ও সসের সাথে পরিবেশন করুন।
অঞ্জুশ্রী মান্ডি
ট্রাই কালার ইডলি সাথে ট্রাই কালার চাটনি

কী কী লাগবে
বিউলির ডাল হাফ কাপ
চিড়ে হাফ কাপ
সেদ্ধ চাল ১কাপ
(ডাল ও চিড়ে একসাথে এবং চাল জলে ভিজিয়ে চার ঘন্টা রেখে দিতে হবে)
কমলা রঙের জন্য
গাজর ১টা ছোটো
টমেটো পিউরি ২ বড়ো চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১/২ছোট চামচ
সবুজ রঙের জন্য
পালং শাক এক কাপ
ধনেপাতা হাফ কাপ
পুদিনা অল্প
তিন রঙের চাটনির জন্য
নারকেল কোরা ১কাপ
কাজুবাদাম ৭/৮(জলে ভেজানো)
বাদাম ৫/৬
টমেটো পিউরি ২ চামচ
ধনেপাতা ১কাপ
পুদিনা পাতা হাফ কাপ
গোটা শুকনো লঙ্কা ৭
গোটা জিরে ১/২ চামচ
নুন স্বাদ অনুসারে
কাঁচা লঙ্কা ২
রসুন ৩কোয়া
Shalimar's সাদা তেল
ছোলার ডাল
কালো সর্ষে দানা ১চামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে ভেজানো ডাল আর চিড়ে একসাথে মিক্সিতে বেটে করে নিতে হবে।ভেজানো চাল টাও মিক্সিতে বেটে নিতে হবে। এরপর চাল আর ডাল বাটা দুটো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে দশ/বারো ঘন্টা মত ঢেকে রাখতে হবে ফারমেন্টশন এর জন্য। এটা আগে র দিন করে নিলে ভালো। এবার কমলা রঙের জন্য ,গাজর ছোট টুকরো করে,ওর সঙ্গে টমেটো পিউরি দিয়ে ভালো করে মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হবে, তারপর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এরসঙ্গে দু হাতা ইডলি ব্যাটার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই কমলা রঙের ব্যাটার তৈরি। এরপর সবুজ রঙের জন্য, পালং শাক একটু গরম জলে ভাপিয়ে, ছেঁকে নিয়ে আরেক বার ঠান্ডা জল দিয়ে ছেঁকে ওর সঙ্গে ধনেপাতা আর পুদিনা পাতা দিয়ে মিহি করে পেস্ট করে নিতে হবে। এরসঙ্গে ইডলি ব্যাটার মিশিয়ে নিলেই তৈরি সবুজ রঙের ব্যাটার। এরপর ইডলি মেকার এ বা স্টিলের বাটিতে তেল ব্রাশ করে তিন রঙের ব্যাটার এক একটা তে দিয়ে রেডি করে নিতে হবে। কুকারে সিটি খুলে ভেতরে জল দিয়ে ইডলি মেকার টা ব্যাটার সহ বসিয়ে ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দিয়ে রাখতে হবে। ১০/১৫মিনিট পর আঁচ বন্ধ করে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। আর যদি স্টিলের বাটিতে করা হয়, তাহলে ব্যাটার দিয়ে কড়াই এ জল দিয়ে একটা স্ট্যান্ড এর উপর বাটি বসিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে স্টিম দিলেই তৈরি হয়ে যাবে তিন রঙের ইডলি।
সাদা চাটনি
নারকেল কোরা,কাজু বাদাম, নুন, গোটা জিরে, গোটা শুকনো লঙ্কা দিয়ে একসাথে মিক্সিতে বেটে নিতে হবে।
কমলা চাটনি
নারকেল কোরা, টমেটো পিউরি, গোটা শুকনো লঙ্কা, কাজুবাদাম, নুন দিয়ে একসাথে মিক্সিতে বেটে নিতে হবে।
সবুজ চাটনি
নারকেল কোরা, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, কাঁচা লঙ্কা, রসুন কোয়া, বাদাম, নুন আর এক টুকরো বরফ দিয়ে একসাথে মিক্সিতে বেটে নিতে হবে।
এরপর একটা পাত্রে একটু সাদা তেল গরম করে কালো সর্ষে মেথি, গোটা শুকনো লঙ্কা কারি পাতা ফোড়ন দিয়ে ওই তেল চাটনি র উপর দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। তিন রঙের ইডলি সঙ্গে তিন রঙের চাটনি আর সম্বর দিয়ে পরিবেশন করেছি।

প্রতীতি দাশগুপ্ত ঘোষ
ট্রাই কালার পুলাও
কী কী লাগবে
বাসমতি চাল - ১.৫ কাপ
ঘী - ৩ চামচ এবং ১/২ কাপ
নুন - পরিমাণ অনুযায়ী
চিনি - পরিমাণ অনুযায়ী
আদা বাটা - ৩ চামচ
রসুন বাটা - ৩ চামচ
পেয়াঁজ বাটা - ৩ চামচ
লঙ্কা বাটা - ৩ চামচ
স্টার ফুল - ৩ টি
গোটা গরম মশলা - পরিমাণ অনুযায়ী
বড়ো এলাচ - ৩ টি
তেজ পাতা - ৩ টি
গোটা জিরা - ১ চামচ কমলা রং - ১ ফোঁটা
সবুজ রং - ১ ফোঁটা
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিয়ে তিনটে পাত্রে আলাদা আলাদা করে সমান ভাবে নিয়ে নিতে হবে। এবার আলাদা আলাদা করে তিনটি পাত্রে এক চামচ করে ঘি, আদা বাটা , রসুন বাটা , পেয়াঁজ বাটা , গোটা গরম মশলা অবশ্যই একটু থেতো করে নিতে হবে , বড়ো এলাচ , স্টার ফুল সব দিয়ে মেখে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা মতো , এক টি পাত্র কে ছাড়া বাদ বাকি দুটো পাত্র এর মধ্যে একটি তে কমলা রং , আরেক টা পাত্রে সবুজ রং চালের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এর পর গ্যাস এর ওপর একটি কড়া বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো ঘী দিতে হবে। ঘী একটু গরম হলে গোটা জিরে ও তেজ পাতা ফোড়ন দিয়ে প্রথমে একটি পাত্রে রাখা চাল ছেড়ে দিতে একটু নাড়াচাড়া করে চাল টা একটু ভাজা হলে এক কাপ জল মিশিয়ে দিতে হবে এবং ঢাকা চাপা দিয়ে দিতে হবে এবং গ্যাস এর আঁচ টা পুরো বাড়িয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট রেখে তারপর ঢাকা খুলে দিয়ে ওপর নিচ উল্টে পাল্টে দিয়ে , ঢাকা চাপা দিয়ে পাঁচ মিনি
ট রাখলেই তৈরী একটি পাত্রের পোলাও। এভাবে আরো দুটো মেখে রাখা চাল থেকে পোলাও তৈরী করে নিলেই তৈরী ট্রাই কালার পোলাও। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এবং খুব অল্প জিনিষ দিয়ে চট জলদি তৈরি হয়ে যায় এই পোলাও। এবার আমাদের ভারতবর্ষের পতাকার তিন রঙের মতো করে পোলাও সাজিয়ে পরিবেশণ করুন যে কোন পনির এর তৈরী ডিস এর সাথে।

অনামিকা চক্রবর্তী
ট্রাই কালার সুজি ধোকলা
কী কী লাগবে
দেড় কাপ সুজি
এক কাপ টক দই
এক চা চামচ বেকিং সোডা
পালং শাক
গাজর
নুন
সর্ষে
কাঁচালঙ্কা
লেবু
চিনি
Shalimar's সাদা তেল
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে টক দই দিয়ে সুজি মিশিয়ে রেখেছি আধাঘন্টা। এরপর পালক শাক, গাজর আলাদা আলাদা করে পেস্ট করে রেখেছি। আধঘন্টা পর টক দই মেশানো সুজিকে তিন ভাগে ভাগ করেছি। এরপর এক ভাগে দুই চামচ পালক পেস্ট, আরেক ভাগে দুই চামচ গাজর পেস্ট মিশিয়েছি। কড়াইতে জল বসিয়ে ফুটতে দিয়েছি। এরপর একটা বাটিতে তেল মাখিয়ে নিয়েছি।পালক মেশানো বেটার এ একটু সোডা মিশিয়ে মেশানো বেটার বাটিতে ঢেলে গরম জলে বসিয়ে ৫ মিনিট রেখেছি। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা উঠিয়ে সাদা বেটারে সামান্য সোডা দিয়ে মিশিয়ে মেশানো ব্যাটার বাটিতে ঢেলে দিয়ে পাঁচ মিনিট ঢাকা দিয়ে দিয়েছি। পাঁচ মিনিট পর গাজর মেশানো ব্যাটারে সোডা মিশিয়ে মেশানো বেটার বাটিতে ঢেলে দিয়ে ঢাকা দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করেছি। এরপর গ্যাস বন্ধ করে জল থেকে বাটিটা নামিয়ে নিয়েছি। এরপর অন্য একটা ফ্রাইং পেনে তেল দিয়ে সরষে, কাঁচা লঙ্কা পূরণ দিয়ে তাতে সামান্য জল দিয়েছি। এরপর তাতে এক চামচ চিনি, এক চামচ লেবুর রস দিয়ে ফুটিয়ে ধোকলাার উপর ছড়িয়ে নামিয়ে নিয়েছি ট্রাই কালার সুজি ধোকলা।

মৌমিতা সিনহা
ডিম ড্রিম স্যালাড
কী কী লাগবে
সেদ্ধ ডিম (মাঝখান থেকে দু ভাগ করা ),
3 টি কমলা লেবুর কোয়া (পাতলা করে কাটা )
লেটুস পাতা
মৌরি পাতা
পেঁয়াজ কুচি (হাল্কা ভাজা)
ড্রেসিং এর জন্য:
বালসেমিক ভিনিগার ১৫ মিলি
ডিজন মাস্টার্ড ১০ মিলি
অরেঞ্জ ক্রাশ ১০ মিলি
অলিভ অয়েল ৩০ মিলি
নুন
Shalimar'sগোলমরিচ গুঁড়ো
কীভাবে বানাবেন
ড্রেসিং এর সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে রাখতে হবে। প্লেটে ডিম রেখে কমলা লেবু,লেটেস্ট আর ড্রেসিং মিশিয়ে মৌরি পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

মহাশ্বেতা জাগুলিয়া
তিরঙ্গা ভাপা পুলি
কী কী লাগবে
হাফ কাপ চালের গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ গ্রেট করা খোয়া ক্ষীর
২টেবিল চামচ মিল্ক মেড
সবুজ ও কমলা ফুড কালার (৮/১০ফোঁটা করে)
পরিমানমতো কুসুম গরম জল
অল্প লবণ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে একটি পাত্রে চালের গুঁড়ো কুসুম গরম জল ও লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে একটি ডো বানিয়ে নিতে হবে । ডো টা খুব বেশি শক্ত বা বেশি নরম হবেনা ।এবার ডো টা সমান তিন ভাগ করে নিতে হবে ।একভাগে কমলা রঙ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে । আর একটি ভাগে সবুজ রঙ মিশিয়ে একই ভাবে মেখে তিনটি ভাগই ভিজে কাপড় দিয়ে আধ ঘন্টা ঢেকে রাখতে হবে। এবার গ্যাসে প্যান বসিয়ে খোয়া ক্ষীর ও মিল্ক মেড মিশিয়ে ঢিমে আঁচে পুরটা বানিয়ে নিতে হবে। যেহেতু মিল্ক মেড মিষ্টি তাই আলাদা করে চিনি মেশানোর দরকার নেই। এরপর সাদা,কমলা ও সবুজ ডো থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে ক্ষীরের পুর ভরে পুলির আকারে গড়ে নিতে হবে। সব পুলি বানানো হয়ে গেলে একটি ডিশে সাজিয়ে ভাপে বসাতে হবে। একটি ডেকচিতে অল্প জল দিয়ে তার মধ্যে একটি ছোট স্ট্যান্ড দিয়ে তার উপর পুলির ডিশ বসিয়ে ঢাকা দিয়ে মিনিট কুড়ি ঢিমে আঁচে ভাপিয়ে নিলেই তৈরী তিরঙ্গা ভাপপুলি। ভাপে দেওয়ার জন্য মোমো স্ট্যান্ডও ব্যবহার করা যেতে পারে। এবার পছন্দসই ডিশে জাতীয় পতাকার মতো কমলা, সাদা ও সবুজ পরপর সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে। গরম গরম শুধুই খেতে ভালো লাগে। ঝোলা নলেন গুড় দিয়ে খেতেও বেশ ভালো লাগবে।

গার্গী ঘোষ
ক্ষীর ভরা তিরাঙ্গা ভাপা পুলি
কী কী লাগবে
বাড়ি তে বানানো ক্ষীর, পালং শাক বাটা, গাজর বাটা, ময়দা, সুজি, চালের গুড়ো ,নুন, চিনি, দুধ, গুড়ো দুধ, কাজু, কিশমিশ, চেরি, নলেন গুড়
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে দুধে চালের গুড়ো ,সুজি, ময়দা, অল্প নুন,অল্প চিনি মিশিয়ে একটি মণ্ড করে নিতে হবে। তারপর আলাদা আলাদা পাত্রে মণ্ড নিয়ে তাতে গাজর বাটা মিশিয়ে কমলা রঙ এর মণ্ড করে নিতে হবে।তারপর অপর পাত্রে পালং বাটা মিশিয়ে সবুজ রঙ এর মণ্ড করতে হবে।তারপর একে একে তিন রঙ এর মণ্ড দিয়ে পুলি বানিয়ে নিতে হনে ক্ষীর এর পুর ভরে।সব শেষে সব পুলি গুলো ১০ মিনিট ভাপিয়ে নিয়ে ভালো ভাবে কাজু কিশমিশ দিয়ে নলেন গুড় সহযোগে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে ক্ষীর এর পুর ভরা তিরাঙ্গা ভাপা পুলি।

মৌসুমী ঘোষ দাস
চিল্লি চিজি ট্রাইকালার টোস্ট
কী কী লাগবে
পাউরুটি - ২ পিস
মাখন - ৩ বড় চামচ
গাজর গ্রেট করা - ১ টি
ক্যাপসিকাম কুচি - ১ টি
চীজ গ্রেট করা - ১/২ কাপ
ছানা - ২ বড় চামচ
রসুন কুচি - ১ ছোট চামচ
কাঁচা লঙ্কা কুচি - ২ টি
চিল্লি ফ্লেক্স - সামান্য
Shalimar's গোলমরিচ গুঁড়ো - সামান্য
ম্যাগী মশলা - সামান্য
টমেটো সস - ১ বড় চামচ
গ্রীন সস - ১ বড় চামচ
মেয়োনেজ - ১ বড় চামচ
নুন
লবঙ্গ - ১২ টি
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে পাউরুটির পিস গুলো হালকা মাখন দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর একটি বাটিতে চীজ, গাজর, চিল্লি ফ্লেক্স, ম্যাগী মশলা, রসুন কুচি, টমেটো সস আর নুন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে রাখতে হবে। আবার আর একটি বাটি নিয়ে তাতে চীজ, ছানা, গোলমরিচ গুঁড়ো, ম্যাগী মশলা ,রসুন কুচি, নুন আর মেয়োনেজ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে রাখতে হবে। আবার একটি বাটি নিয়ে চীজ, ক্যাপসিকাম কুচি, ম্যাগী মশলা , লঙ্কা কুচি, নুন, গ্রীন সস দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। তারপর পাউরুটির পিস গুলো তে প্রথমে গাজরের মিশ্রণ লাগাতে হবে লম্বা করে , তারপর ছানার মিশ্রণ সবার শেষে ক্যাপসিকাম এর মিশ্রণ। তারপর মাঝখানে লবঙ্গ গুলো দিতে হবে। ঠিক ভারতের পতাকার রঙের মত সাজিয়ে নিতে হবে। আবার পাউরুটির পিসগুলো একটু মাখন গরম করে সেঁকে নিতে হবে ঢাকা দিয়ে।

জয়া দাস
নারকেলের পুরভরা তিরঙ্গা পাটিসাপটা
কী কী লাগবে
ময়দা -১ কাপ
চালের গুড়ো -১ কাপ
সুজি - ১ কাপ
চিনি -১ কাপ
নারকেল - ১টা
নুন স্বাদ মতো
এলাচ গুঁড়ো সামান্য
দুধ- হাপ লিটার
নলেন গুড় -২০০ গ্রাম
আর ফুড কালার কমলা ও সবুজ
সামান্য ঘি।
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর একটি পাত্রে চালের গুড়ো,ময়দা, সুজি,এলাচ গুঁড়ো, পরিমাণ মতো চিনি , আর স্বাদ বজায় রাখার জন্য সামান্য নুন নিতে হবে, তারপর অল্প অল্প করে দুধ দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে, ৭-১০ মিনিট চাপা দিয়ে রাখতে হবে। তারপর তিনটি পাত্রে ব্যাটারটা ভাগ করে নিতে হবে একটি তে কমলা ফুড কালার আর একটি তে সবুজ ফুড কালার মিশিয়ে নিতে হবে আর একটি পাত্রে ব্যাটার সাদাই থাকবে। তারপর নারকেল টা কুরিয়ে নিতে হবে,এবার গ্যাসে একটি পাত্রে নারকেল কোরা আর গুড়, আর এলাচ গুড়ো মিশিয়ে পুর বানিয়ে নিতে হবে। এবার গ্যাসে ফ্রাইংপ্যান বসিয়ে সেটা গরম হয়ে এলে তাতে হালকা করে ঘি ব্রাশ করে প্রথমে কমলা ব্যাটার টা দিতে হবে, তার নিচে সাদা ব্যাটার টা দিতে হবে তার নিচে সবুজ ব্যাটার টা দিতে হবে, কিছু সময় রেখে তার উপরে নারকেলের পুর টা দিয়ে ভাজ করে রোলের মতো করে গড়ে তুলতে হবে তিরঙ্গা পাটিসাপটা। তারপর সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

শর্মিষ্ঠা মিত্র
তিরঙ্গা মেদু বড়া
কী কী লাগবে
২০০ গ্রাম বিউলির ডাল
১/২ ইঞ্চি আদা
২টো কাঁচা লঙ্কা
ধনেপাতা
১/২ চা চামচ মৌরি
১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা
১/৪ চা চামচ জাফরান রঙ
স্বাদ অনুসারে লবণ
ভাজার জন্য Shalimar's সাদা তেল
কীভাবে বানাবেন
বিউলির ডাল ভালো করে ধুয়ে জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন কাঁচা লঙ্কা আদা দিয়ে মিক্সিতে ডাল পেস্ট করে নিতে হবে। এবার ওই পেস্টে লবণ ও বেকিং সোডা মেশাতে হবে। ওই পেস্ট তিনটে আলাদা আলাদা পাত্রে ভাগ করে রাখতে হবে। একটা ভাগে জাফরান রঙ ভালো করে মেশাতে হবে। আর একটি পেস্টে ধনেপাতা বাটা মেশাতে হবে। এবার কড়াই গ্যাসে চাপিয়ে তেল গরম করতে হবে। একটা হাতার পেছনে ডালের পেস্ট গোল করে দিয়ে আঙ্গুল দিয়ে মাঝখান গর্ত করতে হবে। এবার গরম তেল এর হাতা টা ধরতে হবে। আস্তে আস্তে বড়া হাতা থেকে ছেড়ে তেলে ভাজা হবে। এই ভাবে আলাদা আলাদা রঙের বড়া ভেজে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল মেদু বড়া।

তন্দ্রা নাথ
ট্রাই কালার তিন রেসিপি
(গাজর এর ছেঁচকি, কলমি শাক ভাজা ও লোটে ভর্তা)
কী কী লাগবে
দুই কাপ গ্রেট করা গাজর
এক আঁটি কুচানো কলমি শাক
৩০০ গ্রাম লোটে মাছ
এক চামচ আদা বাটা
এক চামচ রসুন বাটা
দুটো বড়ো পেঁয়াজ কুচি
একটা টমেটো কুচি
স্বাদ মতো নুন
এক চামচ চিনি
এক চামচ Shalimar's হলুদ গুঁড়ো
দুটি শুকনো লঙ্কা
এক চামচ Shalimar's লঙ্কা গুরো
হাফ কাপ Shalimar's সর্ষের তেল
গোটা রসুন দুটি
হাফ চামচ কালো জিরে
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে লোটে মাছ ছোট্ট টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর গ্যাসে করাই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু কষিয়ে, লোটে মাছ রসুন বাটা,আদা বাটা,গুরো মশলা সব কিছু দিয়ে ভালো করে কষিয়ে একদম শুকনো হয়ে আসলে নামিয়ে নিতে হবে। কলমী শাক কুচি করে ধুয়ে কড়াই তে সামান্য তেল দিয়ে গরম হলে শুকনো লঙ্কা ও রসুন থেতো করে দিয়ে শাক ছেড়ে একটু নুন দিয়ে ভালো করে ভেজে সামান্য চিনি মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এবার করাতে তেল দিয়ে কালো জিরে ও লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে গ্রেড গাজর দিয়ে খুব ভালো করে নেড়ে নুন,হলুদ,চিনি দিয়ে মিশিয়ে গায়ে গায়ে হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে।
আমি এই তিনটি রেসিপি দিয়ে একটা পতাকার রূপ দিতে চাইলাম। পতাকার উপরের অংশ টা গাজর এর ছেঁচকি, মাঝের অংশ প্লেন ভাত,নিচের অংশ কলমী শাক ভাজা আর পতাকার হাতল টা আমি লোটে ভর্তা দিয়ে বানিয়েছি।

সমাপ্তি দে
তিনরঙ্গা নাড়ু
[নারকেল নাড়ু, গাজরের নাড়ু, নারকেল ও ধনেপাতার নাড়ু]
কী কী লাগবে
১টা নারকেল কোরা
৬ টা গাজর
১ আঁটি ধনে পাতা
১/২ কাপ মিল্কমেড
২০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর
২ কাপ চিনি
২ চামচ এলাচ গুঁড়ো
১ চামচ ঘি
১ কাপ দুধ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে নারকেল কোরা, দুধ, চিনি দিয়ে পাক দিয়ে খোয়া ক্ষীর দিয়ে পাকিয়ে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিলাম।তারপর উষ্ণ গরম

গরম থাকতে থাকতে গোল করে ছাঁচে দিয়ে সাদা নাড়ু বানালাম। এই নাড়ুর থেকে কিছুটা তুলে ধনে পাতার রস মিশিয়ে ওই একই ভাবে সবুজ নাড়ু করলাম। গাজর কুড়িয়ে ঘি দিয়ে ভালো করে ভেজে দুধ, মিল্কমেড চিনি দিয়ে পাক দিয়ে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে ওই একই ভাবে গেরুয়া নাড়ু বানালাম। এবার সাজানোর সময় গেরুয়া, সাদা, সবুজ এই ভাবে সাজালাম।

বেবী ভট্টাচার্য
তেরঙ্গা পাস্তা মিষ্টি
কী কী লাগবে
৩ টে বড় গাজর
১ কাপ গুঁড়ো দুধ
১/৪ কাপ খোয়া ক্ষীর
৩ কাপ লিকুইড দুধ
১/২ কাপ কনডেন্সড মিল্ক সামান্য নুন
২ চা চামচ ঘি
২ ফোঁটা সবুজ রঙ
১ টেবিল চামচ ময়দা
১ টেবিল চামচ চিনি
১/২ চা চামচ ঘি
১ কাপ গুঁড়ো দুধ
তৈরী করার জন্য একটা বড় কাঁটা চামচ
কীভাবে বানাবেন
গাজর ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। মিহি করে গ্রেট করতে হবে। একটা পাত্রে জল, গাজর আর সামান্য নুন দিয়ে ভাপিয়ে নিতে হবে।গরম জল ফেলে সাথে সাথে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে। ঝুড়িতে ঢেলে ও চেপে সম্পূর্ণ জল ঝরিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে গরম হলে গাজর দিতে হবে। লো ফ্লেমে অনবরত নাড়তে হবে। অল্প ভেজে লিকুইড দুধ দিতে হবে। নেড়ে মিশিয়ে দিতে হবে। এক কাপ গুঁড়ো দুধ, অল্প অল্প করে দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। গাজর সিদ্ধ ও দুধ শুকিয়ে এলে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিতে হবে। খোয়া ক্ষীর গ্রেড করে দু চা চামচ রেখে বাকিটা প্যানে দিতে হবে। অনবরত নাড়তে হবে। প্যান থেকে আলগা হয়ে মণ্ডের আকারে তৈরী হলে নামিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা করতে হবে। দুটো পাত্রে হাফ হাফ করে রাখতে হবে।একটা পাত্রে সবুজ রঙ মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে মাখতে হবে। আবারও ওভেনে প্যান বসিয়ে এক কাপ জল দিতে হবে। জল উষ্ণ হলে, এক কাপ গুঁড়ো দুধ অল্প অল্প করে দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। ২ টেবিল চামচ চিনি দিতে হবে। চিনি গলে গেলে ২ টেবিল চামচ গ্রেড করা খোয়া ক্ষীর ও ময়দা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিতে হবে। ১/২ চা চামচ ঘি দিয়ে নাড়তে হবে। প্যান থেকে আলগা হয়ে মণ্ডের আকারে তৈরী হলে নামিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা করতে হবে। পরিমাণ মতো নিয়ে, কাঁটা চামচের কাঁটার দিকে পাতলা করে পাতিয়ে দিতে হবে। কাঁটা চামচের কাঁটার দিক থেকে ধীরে ধীরে উল্টো দিকে রোলের মতো করে তুলতে হবে।সবগুলো একই ভাবে তৈরী করতে হবে। তৈরী হয়ে যাবে তেরঙ্গা পাস্তা মিষ্টি।

রত্না বল্লরী গোস্বামী
ট্রাই কালার রাভা /সুজি মোদক
কী কী লাগবে
সুজি/রাভা:-১কাপ
শুকনো নারকেল কোরা:-১/৪কাপ
গুঁড়া চিনি:-৩/৪ কাপ
পাউডার দুধ:- ১/৪ কাপ
ঘি:- ২ বড় চামচ
জ্বাল দেওয়া লিকুইড দুধ:-১/৪ কাপ
এলাচ গুঁড়া:-১/২ চা চামচ
ফুড কালার:-কমলা, সবুজ প্রয়োজন মত
মোদকের পুরের জন্য:-
কাজুবাদাম:-১/৪ কাপ
আমন্ড বাদাম:-৮/১০ টা
শুকনো নারকেল কোরা:-১/৪ কাপ
গুড়:-১/৪ কাপ
এলাচ গুঁড়া:-১/২ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
পুরের সব উপকরণ গুলো মিক্সিতে একসাথে গুঁড়ো করে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিতে হবে। বেশী শুকনো মনে হলে প্রয়োজনে একটু লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।এই বলে গুলো পুর হিসাবে মোদকের ভেতরে দেবো। একটা কড়াই গরম করে তাতে দুই বড় চামচ ঘি দিয়ে সুজি/রাভা হালকা আঁচে পাঁচ মিনিট ভাজতে হবে। সুজির রং এর যেন কোন পরিবর্তন না হয়। এবার সুজির মধ্যে শুকনো নারকেল কোরা দিয়ে দু, তিন মিনিট নাড়াচাড়া করতে হবে এবং একটা সুন্দর গন্ধ বের হলে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে আবার নাড়াচাড়া করে গুঁড়া চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। হালকা আঁচে আস্তে আস্তে চিনি গলে নরম হয়ে যাবে। চিনি গলে গেলে এর মধ্যে লিকুইড দুধ মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে যখন কড়াই থেকে উঠে আসবে তখন একটা থালায় নামিয়ে নিতে হবে। এবার সুজির মন্ড টা ঠান্ডা হয়ে এলে সমান তিন ভাগের ভাগ করতে হবে।একটা ভাগ সাদা রাখতে হবে, দ্বিতীয় ভাগে দুই,চার ফোটা কমলা ফুড কালার মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। তৃতীয় ভাগে দুই,চার ফোঁটা সবুজ ফুড কালার মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবার তিন রং এর মন্ড তৈরি হলো।এখন সমান ভাবে লেচি কেটে নিলাম।একটা মোদকের ছাঁচ নিয়ে তার মধ্যে ঘি মাখিয়ে এক এক টা লেচি দিয়ে ভালো করে ছাঁচের গায়ে চেপে চেপে লাগিয়ে নিয়ে মাঝ খানে পুর ভরে দিয়ে আবার উপর থেকে একটু সুজির মন্ড লাগিয়ে দিতে হবে। এবার মোদক ছাঁচ টা খুলে বের করে নিতে হবে। জাতীয় পতাকার রং অনুযায়ী একটা অংশ সাদা মোদক বানাতে হবে,আর একটা অংশ কমলা মোদক বানাতে হবে, আর একটা অংশ সবুজ মোদক বানাতে হবে।
তিন রং এর মোদক তৈরি হয়ে গেলে জাতীয় পতাকার রং অনুযায়ী সাজিয়ে দিতে হবে।আমি সাজানোর সময় একটু গোলাপের পাপড়ি ব্যাবহার করেছি।

নবনীতা মন্ডল চ্যাটার্জী
ট্রাই কালার ধোকলা
কী কী লাগবে
সুজি:- ২০০গ্রাম
বেসন:- ১০০গ্রাম
গাজর:- ২টি
পালং শাক:- ২৫০গ্রাম
পাতিলেবু:- ১টি
কাঁচা লঙ্কা:- ১০-১২টি
স্বাদমতো নুন
Shalimar's সাদা তেল পরিমাণ মতো
বেকিং সোডা/ ইনো ফ্রুট সল্ট:- ২ টেবিল চামচ
কারি পাতা:- ২০টি
গোটা সর্ষে:- ১ চা চামচ
চিনি:-২চা চামচ
নারিকেল কোরা:- ১কাপ
টক দই:- ৫০০ গ্রাম
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে সুজি অর্ধেক করে দুটো বাটিতে নিয়ে নিতে হবে তারপর স্বাদমতো নুন ও দই দিয়ে ভালো করে মিক্স করে চাপা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে।এবার গাজর পেস্ট করে নিতে হবে। পালং শাক হালকা গরম জলে ডুবিয়ে ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর একটি বাটিতে বেসনের সাথে গাজরের পেস্ট দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরমধ্যে ভালো রং আনার জন্য ফুড কালার অথবা হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। অন্য একটি সুজির বাটিতে পালং শাক বাটা মিশিয়ে নিতে হবে। আরেকটি সুজির বাটি সাদা রংয়ের জন্য একই ভাবে রেখে দেবেন। এরপর একটি কড়াইতে জল দিয়ে তার মধ্যে একটি স্ট্যান্ড দিয়ে গরম হতে দেবেন। তারপর ছোট ছোট স্টিলের বাটিতে ভালো করে তেল লাগিয়ে নেবেন। প্রথমে সবুজ রঙের মিক্সচারের মধ্যে লেবুর রস, ইনো ফ্রুট সল্ট অথবা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটি বাটিতে তিন ভাগের এক ভাগ দিতে হবে। এবার জল ফুটতে শুরু করলে বাকিগুলি কড়াই এর মধ্যে দিয়ে চাপা দিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট হতে দিতে হবে। তারপর সাদা ব্যাটারে প্রথমে নারকেল কোরা ও তারপর ইন ফ্রুট সল্ট অথবা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। এবার বাটি গুলি বের করে সবুজ রঙের ওপর সাদা ব্যাটার দিয়ে দিতে হবে। তারপর আবার চার থেকে পাঁচ মিনিট ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিতে হবে। এবার বেসনের ব্যাটারের মধ্যে সাদা তেল এবং ইনো ফ্রুট সল্ট অথবা বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে হবে। আবার বাকিগুলি বের করে তার মধ্যে কমলা রঙের বেটার দিয়ে আবার ঢাকা দিয়ে ১৫ মিনিট সেদ্ধ হতে দিতে হবে।
ধোকলা তৈরি হয়ে গেলে ঠান্ডা হতে দিন তারপর বাটি থেকে আস্তে আস্তে বের করে নিন। এরপর একটা প্যানে প্রথমে সাদা তেল তারপরে কারিপাতা ও সরষে ফোড়ন দিন। এরপর চেরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে হালকা নাড়াচাড়া করে একে একে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নামিয়ে নিন। ধোকলার ওপর ওই মিশ্রণটি দিয়ে দিন। তারপর ওপর থেকে নারকেল কোরা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

প্রতীতি দাশগুপ্ত ঘোষ
বাটার ফ্রাই খই পনির টিক্কা
কী কী লাগবে
পনির - ২০০ গ্রাম ( বড়ো বড়ো টুকরো করে কাটা )
জল ঝরানো টক দই - ২০০ গ্রাম
বাটার - ২৫ গ্রাম
খই - ১ কাপ মতো
কমলা রং - ১ ফোঁটা
সবুজ রং - ১ ফোঁটা
লেবুর রস - ১ টা গোটা লেবুর
Shalimar' sগোলমরিচ গুঁড়ো -- ১/২ চা চামচ
Shalimar's চাট মশলা - ১ চা চামচ
বিট নুন - ১ চা চামচ
নুন - পরিমাণ অনুযায়ী
চিনি - ১ চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি ও ধনে পাতা কুচি
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে দই টা কে জল ঝরানোর জন্য একটি পাত্রে রাখতে হবে। পনির টা কে বড়ো বড় কিউব করে কেটে নিতে হবে এবং প্রত্যেক টি পনিরের টুকরো কে মাঝে খান থেকে চিরে নিতে হবে ছবির মত। এবার প্রথমে জল ঝরানো টক দই নিয়ে নিতে হবে তিনটে পাত্রে আলাদা আলাদা করে সমান ভাগে । এবার ওই তিনটে ভাগে রাখা দই এর মধ্যে খই দিয়ে দিতে হবে এবং ভালো করে নেড়ে একটু সময় রেখে দিতে হবে নরম হওয়ার জন্য । কিছুক্ষণ পর তার মধ্যে গোলমরিচ গুঁড়ো , বিট নুন , চাট মশলা , চিনি , নুন , লেবুর রস মিশিয়ে একটা স্টাফিং তৈরী করে নিতে হবে। ওই তিনটে এর মধ্যে একটা পাত্র কে বাদ দিয়ে বাকি দুটোর একটি মধ্যে কমলা রং ও আরেকটির মধ্যে সবুজ রং মিশিয়ে দিতে হবে। এবার পনিরের টুকরো নিয়ে প্রথমে সাদা রঙের স্টাফিং দিয়ে ভালো করে ভরে দিতে হবে । তার পর কমলা রঙের তৈরী স্টাফিং দিয়ে পনিরের টুকরো গুলো কে ভরে নিতে হবে এবং সব শেষে সবুজ রঙের স্টাফিং দিয়ে পনিরের টুকরো গুলো কে ভরে নিতে হবে। এবার গ্যাসের ওপর একটি ননস্টিক ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তাতে বাটার দিয়ে এক এক করে প্রথমে সাদা তারপর কমলা এবং সব শেষে সবুজ রঙের পনির এর টুকরো গুলো হালকা হালকা করে ভেজে নিতে হবে এবং নামিয়ে নিয়ে একটি সার্ভিং ট্রে তে সাজিয়ে ওপর থেকে আরো একটু লেবুর রস , কাঁচা লঙ্কা কুচি ও ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

চৈতি দাস
তিরঙ্গা শ্রীখন্ড
কী কী লাগবে
জল ঝড়িয়ে নেওয়া টক দই ১ বাটি, ৩ চামচ কমলা লেবুর রস ও এসেন্স, পেস্তা বাদাম বাটা ৩ চামচ এবং এসেন্স। কনডেন্সড মিল্ক ১/২ বাটি, এলাচ গুঁড়ো ১ চামচ।
কীভাবে বানাবেন
মোট ৩টে বাটিতে তৈরি করতে হবে। একটা ছোট বাটিতে সামান্য পরিমাণে জল ঝড়ানো টকদই নিয়ে তাতে পেস্তা বাদাম বাটা ও কনডেন্সড মিল্ক ২চামচ আর পেস্তা এসেন্স দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলে তৈরি পতাকা সবুজ রঙ।
আবার সামান্য পরিমাণে টক দই একটি ছোট বাটিতে নিয়ে কনডেন্সড ম্লিক ও এলাচ গুড়ো দিয়ে ভালো করে
মিশিয়ে নিলে তৈরি সাদা রঙ। আর একটি বাটিতে টকদই নিয়ে কনডেন্সড ম্লিক কমলা লেবুর রস ও এসেন্স দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলে তৈরি গেরুয়া রং। এবার একটা গ্লাস মধ্যে প্রথমে পেস্তা বাদাম শ্রী খন্ড দিয়ে তার উপর এলাচ শ্রী খন্ড দিয়ে শেষ কমলা শ্রী খন্ড দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

মমতাজ বেগম
তেরঙ্গা ভাপা পুলি পিঠে
কী কী লাগবে
তিন কাপ চালের আটা
হাফ কাপ গাজরের পেষ্ট
পালং শাকের পেষ্ট
ক্ষীরসা পুর বানানোর জন্য:
হাফ কাপ চালের আটা
হাফ কাপ মিল্কমেড
হাফ কাপ খেজুর গুড়ের পাটালি গুঁড়ো
চার কাপ ফুল ক্রিম তরল দুধ
দুটি থেঁতো এলাচ।
প্রয়োজন মতো জল খামির তৈরির জন্য
লবণ (খামির তৈরি করার জন্য)
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে গ্যাস ওভেন জ্বালিয়ে মাঝারি আঁচে রান্নার জন্য কড়াই বসিয়ে কড়াই গরম করে ফুল ক্রিম তরল দুধ ঢেলে দিলাম। দুধ ফুটে উঠলে খেজুর গুড়ের পাটালি গুঁড়ো ও এলাচ দিয়ে দিলাম । দুধ কিছুটা কমে গেলে চালের আটা দিয়ে নাড়তে থাকলাম , এবারে মিল্কমেড মিশিয়ে দিলাম। তারপর অনবরত নাড়তে নাড়তে ক্ষীরসা তৈরি করে নামিয়ে নিলাম। চালের আটা তিন ভাগে ভাগ করে রাখলাম । অন্য একটি পাত্রে পরিমাণ মতো জল ফুটিয়ে পাশে রেখে দেওয়া হয় প্রয়োজন পড়লে নেওয়া হবে। প্রথম ভাগ মাঝারি আঁচে কড়াই বসিয়ে কড়াই গরম করে পরিমাণ মতো গরম জল ঢেলে দিলাম , এক নখ লবণ দিয়ে দিলাম। জল ফুটতে শুরু করলে এক কাপ চালের আটা দিয়ে দিলাম । অনবরত নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে গেলে সুন্দর একটা খামির তৈরি করে নামিয়ে নিলাম। দ্বিতীয় ভাগ অন্য একটি কড়াইয়ে গাজরের পেষ্ট ও এক নখ লবণ দিয়ে দিলাম । গাজরের পেষ্ট রাখা বাটিতে গরম জল বুলিয়ে ঢেলে দিলাম । তারপর এক কাপ চালের আটা ঢেলে দিয়ে হাতা দিয়ে নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে গেলে সুন্দর একটা খামির তৈরি করে নামিয়ে নিলাম। তৃতীয় ভাগ আবার গ্যাস ওভেনে অন্য একটি কড়াইয়ে পালং শাকের পেষ্ট ও এক নখ লবণ দিয়ে দিলাম। পালং শাকের পেষ্ট রাখা বাটিতে গরম জল বুলিয়ে ঢেলে দিলাম । তারপর এক কাপ চালের আটা মিশিয়ে দিয়ে হাতা দিয়ে নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে গেলে সুন্দর একটা খামির তৈরি করে নামিয়ে নিলাম । এবার প্রত্যেক ধরনের খামির আলাদা আলাদা গোল থালায় ঠেসে ঠেসে পিঠে তৈরির জন্য উপযুক্ত করে তুললাম, প্রত্যেক মন্ড থেকে আলাদা আলাদা ভাবে ছোট ছোট গোল গোল লেচি কেটে নিয়ে বাটি বানিয়ে ভিতরে ক্ষীরসা পুর ভরে পুলি পিঠে বানিয়ে নিলাম। তারপর ডিপ প্যানে পরিমাণ জল দিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটতে দিলাম। জল ফুটে উঠলে একটা জালি পাত্র তেল ব্রাশ করে নিয়ে জলের উপরে বসিয়ে দিলাম। প্রত্যেক পুলি পিঠে সাজিয়ে ভাপতে দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দিলাম । পুলি পিঠে ভেপে সুগন্ধ বের হলে গ্যাস ওভেন বন্ধ করে দিলাম। পাঁচ মিনিট পরে ঢাকনা খুলে পুলি পিঠে অন্য একটি পাত্রে রেখে দিলাম। আমার তেরঙ্গা পুলি পিঠে বানানো কমপ্লিট। অন্য একটি পাত্রে তেরঙ্গা পুলি পিঠে নলেন গুড়ের সঙ্গে সাজিয়ে পরিবেশন করে দিলাম।

শ্রাবন্তী দত্ত
ট্রাই কালার ওটস হালুয়া শটস্
কী কী লাগবে
২ কাপ প্লেন ওটস
১ কাপ তরল দুধ
৬ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক
৪ টেবিল চামচ গ্রীন ম্যাংগো সিরাপ
৪ টেবিল চামচ অরেঞ্জ সিরাপ
১/৪ কাপ চিনি
১/২ চা চামচ ছোট এলাচ গুঁড়ো
১/৪ কাপ কাজু বাদাম
৪ টেবিল চামচ ঘি
পরিবেশন করার জন্য :-
২ টি শট গ্লাস
কীভাবে বানাবেন
কাজু বাদাম অল্প দুধ দিয়ে বেটে রাখুন। কড়াইতে ঘি গরম করে ওটস দিয়ে ২-৩ মিনিট নেড়ে নিয়ে তারপর চিনি দিন। খুব ভালো করে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে কম আঁচে রাখুন চিনি সম্পূর্ণ গলে যাওয়া পর্যন্ত। তারপর বাকি দুধ মেশান, ভালো করে নাড়তে থাকুন। এবার কাজু বাদাম বাটা ও কনডেন্সড মিল্ক দিন। অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে ছোট এলাচ গুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে অল্প আঁচে শুকনো করে নিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর মিশ্রণটি তিন ভাগ করে নিন। এক ভাগ সাদা রাখুন, এক ভাগে গ্রীন ম্যাংগো সিরাপ ও আরেক ভাগে অরেঞ্জ সিরাপ দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবারে শট গ্লাসে প্রথমে গ্রীন ম্যাংগো সিরাপ মেশানো হালুয়া, তারপর সাদা হালুয়া এবং তার ওপরে অরেঞ্জ সিরাপ মেশানো হালুয়া দিন। ফ্রিজে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা করে নিয়ে পরিবেশন করুন এই দারুন সুস্বাদু ট্রাই কালার ওটস হালুয়া শটস্।

অনন্যা মন্ডল
ট্রাই কালার হালুয়া
কী কী লাগবে
গ্রেট করা গাজর ১ কাপ
সাদা ভাত ২ কাপ
চিনি ২ চামচ
মিল্কমেড ৩ চামচ
এলাচ গুঁড়ো ½ চা চামচ
ঘি ৩ চামচ
পালং শাক এবং ধনেপাতার রস ২ চামচ
লবণ সামান্য
কাজুবাদাম এবং চিনাবাদামের গুঁড়ো ১ চামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে ওভেনের মধ্যে একটা কড়াই বসিয়ে এক চামচ ঘি দিয়ে ওর মধ্যে সাদা ভাত, মিল্কমেড, এলাচের গুঁড়ো এবং লবণ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে। আবার কড়াইয়ের মধ্যে ঘি দিয়ে গ্রেট করা গাজরের মধ্যে চিনি দেড় চামচ, মিল্কমেড দেড় চামচ, এলাচ গুঁড়ো এবং বাদামের গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে। শেষের সবুজের জন্য অন্য কড়াইয়ের মধ্যে ঘি দিয়ে সবুজের মিশ্রণ ঢেলে একটু গাঢ় হলে ওর মধ্যে ১/২ চামচ চিনি, ১/২ চামচ মিল্কমেড, এলাচ গুঁড়ো এবং লবণ, সাদা ভাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল ট্রাই কালার হালুয়া।

শর্মি
তিন রঙের ইডলি
কী কী লাগবে
চাল ৩ কাপ, বিউলির ডাল ১ কাপ, মটরশুঁটির পেস্ট ১ কাপ, খাবার সোডা ১ চামচ, কমলা ফুড কালার সামান্য, কারিপাতা, নারকেলের চাটনি, সাম্বার
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে চাল ও ডাল ভিজিয়ে রেখেছিলাম চার,পাঁচ ঘন্টা। তারপর মিক্সিতে বেটে নিয়ে সাত থেকে আট ঘন্টা ঢাকা দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম।তারপর খাবার সোডা দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর তিনভাগে ভাগ করে নিয়ে একভাগে কমলা ফুড কালার,আর এক ভাগে মটরশুঁটির পেস্ট মাখিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর ইডলির ষ্ট্যান্ডে তেল মাখিয়ে তিন রকমের গোলা দিয়ে পনেরো মিনিট স্টিম দিয়ে তিন রঙের ইডলি বানিয়ে নিয়েছি। সাম্বার ও নারকেলের চাটনির সাথে সাজিয়ে দিলাম।

সুপর্ণা মন্ডল
কাঁচা আম দিয়ে বাসা মাছের কাটলেট সঙ্গে আছে তিন রঙের স্যালাড, বার্বিকিউ সস, মেয়োনিজ আর্ কাঁচা আমের চাটনি
কী কী লাগবে
৫০০ বাসা/ভেটকি ফিলে
৪ চা চামচ টক দই
১ টি কাঁচা আমের অর্ধেক কুচি করে কেটে নিন
২ মুঠো ধনে পাতা
৫-৬ টি কাঁচা লংকা
১ চামচ আদা রসুন বাটা
১ চামচ লেবুর রস
৩ টি ডিম
৩ চামচ ময়দা
৩ চামচ কর্নফ্লাওয়ার
১ চামচ গোলমরিচ
১ মুঠো ভুজিয়া
১ চামচ Shalimar's কাশ্মীরি লাল লংকা গুঁড়ো
নুন স্বাদমতো
২ চামচ অলিভ অয়েল
১ বাটি Shalimar's সরষের তেল
১ বাটি ব্রেড ক্রাম্ব
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে বাসা ফিলে গুলো কাটলেটের আকারে কেটে একটু হ্যামার এ পিটিয়ে নিন অথবা ছুরি দিয়ে পুরোটায় একটু কাট লাগিয়ে নিন। নুন, লেবুর রস আর গোলমরিচ মাখিয়ে দশ মিনিট রাখুন। এবার মিক্সি তে ধনে পাতা, কাঁচালঙ্কা, দই, কাঁচা আম, নুন আর্ চিনি দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। একটু আদ বাটা করে সেই বাটা একটু বের করে নিন। তারপর অলিভ অয়েল আর ভূজিয়া দিয়ে মিহি বেঁটে নিন। ওই মিহি বাটা টা চাটনি হিসাবে ব্যবহার হবে। আর বের করে নেওয়া আধবাটা চাটনি টা র সাথে আদা রসুন বাটা আর্ ডিম মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। এবার মাছের ফিলে গুলো ওতে ম্যারিনেট করে রাখুন কম করে ১৫ মিনিট। ১৫ মিনিট পর একটা বাটিতে ময়দা কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে তাতে নুন গোলমরিচ আর কাশ্মীরি লংকা দিয়ে মিশিয়ে নিন। শুকনো ই রাখুন জলের দরকার নেই। অন্যদিকে ডিম দুটো নুন গোলমরিচ দিয়ে ফেটিয়ে নিন। এবার ম্যারিনেট করা মাছ গুলো ওই শুকনো ময়দা আর কর্নফ্লাওয়ার এ গড়িয়ে তারপর ডিমের গোলায় চুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্ব মাখিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে দিন কম করে এক ঘন্টা। খাওয়ার আগে গরম ডুবো তেলে ভেজে নিন।

অনামিকা চক্রবর্তী
ট্রাই কালার ভ্যানিলা কেক
কী কী লাগবে
ময়দা এক কাপ
চিনি গুঁড়ো এক কাপ
বেকিং সোডা চার ভাগের এক ভাগ চা চামচ
বেকিং পাউডার আধা চা চামচ
ভিনিগার এক টেবিল চামচ
লিকুইড দুধ এক কাপ
গ্রিন অরেঞ্জ ফুড কালার
চকো চিপস
সাদা তেল চার ভাগের এক কাপ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে এক কাপ চিনি গুড়া করে রেখেছি। এরপর আধা কাপ দুধে এক চামচ ভিনেগার দিয়ে বাটার মিল্ক বানিয়েছি। এরপর একটা বাটিতে ময়দা বেকিং পাউডার বেকিং সোডা মিশিয়ে রেখেছি। এরপর আলাদা বাটিতে তেল, বাটার মিল, লিকুইড দুধ দিয়ে তার মধ্যে শুকনো উপকরণ দিয়ে কেকের বেটার বানিয়েছি। এরপর এই বেটার কে তিন ভাগে ভাগ করে দুটো ভাগে অরেঞ্জ আর গ্রীন কালার মিশিয়েছে। এরপর একটা কেক মোল্ডে প্রথমে গ্রীন এরপর সাদা এরপর অরেঞ্জ ব্যাটার ঢেলে একটা কেক মোল্ডে বসিয়ে উপর থেকে চকো চিপস ছড়িয়ে দিয়েছি। এরপর বেটার দিয়ে রাখা কেক মোল্ড ওটিজিতে ১৬০ ডিগ্রী টেম্পারেচারে বসিয়ে দিয়েছি. আধা ঘন্টা পর নামিয়ে নিয়েছি, ট্রাই কালার ভ্যানিলা কেক।

শ্রাবন্তী দত্ত
মুড়ির থ্রি-ইন-ওয়ান বাটি সন্দেশ
কী কী লাগবে
১৫০ গ্রাম মুড়ি
১০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর
১/২ কাপ দুধ
৪ টেবিল চামচ চিনি
৫ টেবিল চামচ অরেঞ্জ সিরাপ
৫ টেবিল চামচ গ্রীন ম্যাঙ্গো সিরাপ
১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
প্রয়োজন মত নীল রঙের ক্যাডবেরি জেমস
প্রয়োজন মত ঘি
প্রয়োজন মত ছোট ছোট সারভিং কাপ বা বাটি
কীভাবে বানাবেন
মুড়ি গুঁড়ো করে নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে প্রথমে গুঁড়ো করে রাখা মুড়ি একটু ভেজে নিয়ে তারপর দুধ ও চিনি মিশিয়ে খুব ভালো করে নাড়তে থাকুন। এবারে খোয়া ক্ষীর মেশান, নাড়তে নাড়তে শুকনো করে নিন। মিশ্রণটি নামিয়ে ঠান্ডা করে ৩ ভাগ করে নিন। এক ভাগে অরেঞ্জ সিরাপ, এক ভাগে গ্রীন ম্যাংগো সিরাপ ও এক ভাগ সাদা রেখে তাতে ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবারে একটি ছোট সারভিং বাটিতে প্রথমে অরেঞ্জ সিরাপ দেওয়া কমলা মিশ্রণ, তারপর ভ্যানিলা এসেন্স দেওয়া সাদা মিশ্রণ ও তারপর গ্রীন ম্যাঙ্গো সিরাপ দেওয়া সবুজ মিশ্রণ পাশাপাশি ভাবে দিন। এইভাবে আরো কয়েকটি ছোট সারভিং বাটিতে মিশ্রণ দিয়ে সাদা অংশের মাঝখানে একটি করে নীল রঙের ক্যাডবেরি জেমস দিয়ে দিন। ফ্রিজে রেখে অল্প ঠান্ডা করে বা এমনি পরিবেশন করুন এই অত্যন্ত সুস্বাদু মুড়ির থ্রি-ইন-ওয়ান বাটি সন্দেশ। একটি বাটিতেই তিনটি ফ্লেভারের সন্দেশ......কমলা লেবুর ফ্লেভার, ভ্যানিলা ফ্লেভার ও গ্রিন ম্যাঙ্গো ফ্লেভার।

সুপর্ণা মন্ডল
সবুজ কিনুয়া স্যালাড, রায়তা, বেসনের কাঠি ভাজা, আঙ্গুর
কী কী লাগবে
বেসনের কাঠি ভাজা র জন্য
১/৩ কাপ বেসন
১/২ চামচ কালো জিরা
১/২ চামচ জোয়ান
পরিমাণ মতো নুন
স্বাদ বুঝে Shalimar's লাল লংকা গুঁড়ো
১/২ চামচ Shalimar's হলুদ গুঁড়ো
এয়ার ফ্রায়ারে করলে ১/২ চামচ Shalimar's তেল (নাহলে ১/২ কাপ তেলে ডিপ ফ্রাই করতে হবে)
সবুজ কিনুয়া স্যালাড এর জন্য
১/২ কাপ কিনুয়া সিদ্ধ
১/২ পিয়াজ
১ মুঠো ধনেপাতা
১ চামচ বাদাম
১/২ চামচ তিল
২ চামচ মটরশুঁটি
১ টা কাঁচা লংকা
কীভাবে বানাবেন
বেসনের কাঠির জন্য সব উপকরণ মিশিয়ে শক্ত করে মেখে নিতে হবে। কাঠি ভাজার মেশিন দিয়ে কাঠি বের করে ভেজে নিতে হবে। কিনুয়া স্যালাড এর জন্য বাদাম ও তিল রোষ্ট করে রাখুন। পিয়াজ মিহি করে কুচি করে নিন। ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা, মটরশুঁটি আর্ ওই রোস্ট করে রাখ তিল ও বাদাম একসাথে ঘুরিয়ে নিন। এবারের সাথে কিনুয়া সিদ্ধ টা মিশিয়ে দিন। স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। রায়তা র সাথে খান।

তৃষ্ণা বর্ধন
ভাপা ছানার কেক
কী কী লাগবে
ছানা
চিনি
ঘন দুধ
দুই রকম রঙ
ময়দা
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে দুধ ছানা করে নিলাম। তারপরে ছানার জল ঝরিয়ে হাতে ঘসে মেশালাম। চিনি গুঁড়ো, ময়দা ও ঘন দুধ এরপরে ছানা মাখাটা তিনটে ডো বানালাম। তারপর দুই রকম রঙ মেশালাম। এরপর একটা থালাতে ঘি মাখিয়ে কড়াতে গরম জলে স্ট্যান্ড ৩০ মিনিট থালা টা চাপালাম এই ভাবে বানালাম ছানার ভাপার কেক।
Komentáře