top of page
Search

রাখি বন্ধনের অজানা কথা..রাখি স্পেশ্যাল ভিন্ন ঘরানার পাঁচটি থালি..

প্রতি বছর শ্রাবণ পূর্ণিমায় বোনেরা তাদের ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধেন এবং সারাজীবন তাদের দীর্ঘায়ু, সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য প্রার্থনা করেন। ভাইয়েরা প্রতিশ্রুতি দেন বোনেদের সমস্ত রকম বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করার। কিন্তু কীভাবে শুরু হলো এই উৎসবের জানেন কী? ইতিহাস কী বলছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।



এবছর রাখি কবে?

পঞ্জিকা অনুসারে আগামী ১৯ অগাস্ট ২০২৪ সোমবার ভোর ৩টে ৪৪ মিনিটে শ্রাবণ পূর্ণিমা পড়বে এবং পূর্ণিমা থাকবে ১৯ অগাস্ট রাত ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত। উদয়া তিথি অনুসারে ১৯ অগাস্ট পালিত হবে রাখি পূর্ণিমা।


সেরা সময়:

সেরা সময় ১৯ অগাস্ট বেলা ১টা ৩২ মিনিট থেকে বিকেল ৪টে ২০ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া প্রদোষ কাল, অর্থাত্‍ সন্ধে ৬টা ৫৬ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৮ মিনিট পর্যন্ত সময়ের মধ্যেও রাখি পরানো যাবে।

ভদ্রাকালে কেন বাঁধা হয় না রাখি?

১৯ অগাস্ট রাখি পূর্ণিমা। তবে এ দিন ভদ্রাকাল থাকবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ভাদ্রমাসকে অত্যন্ত অশুভ একটি মাস হিসেবে মনে করা হয়। এই সময় কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়।


ইতিহাসের পাতায় রাখি বন্ধন উৎসব:

মধ্যযুগে যুদ্ধে যাওয়ার আগে রাজপুত রমণীরা পুরুষদের হাতে রাখি বেঁধে দিতেন। রাখিকে শুভশক্তির প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। আলেকজান্দার যখন ভারত আক্রমণ করেন, তখন তাঁর স্ত্রী রাজা পুরুর হাতে রাখি বেঁধে দেন। সেই থেকে পুরু তাঁকে নিজের বোন হিসেবে স্বীকার করেন এবং আলেকজান্দারের কোনও ক্ষতি না করতে সম্মত হন।

ইতিহাসে আরও পাওয়া যায় যে চিতোরের রানি কর্নাবতী দিল্লির বাদশাহ হুমায়ুনকে একটি রাখি পাঠিয়ে গুজরাতের সুলতান বাহাদুর শাহের আক্রমণ থেকে তাঁর রাজ্য বাঁচানোর অনুরোধ করেন। হুমায়ুন রাখি পেয়ে চিতোর রক্ষা করতে আসলেও বেশ কিছুটা দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে জওহর ব্রত পালন করে আত্মাহুতি দিয়েছেন রানি। বাহাদুর শাহকে হারিয়ে রানির পুত্রের হাতে চিতোর তুলে দেন হুমায়ুন।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রাখি বন্ধন

১৯০৪, বাংলা তখন জ্বলছে। রবীন্দ্রনাথের কলমে একের পর গর্জে উঠছে একের পর এক স্বদেশী কবিতা-গান। লিখলেন- "ধর্ম আমার মাথায় রেখে/ চলব সিধে রাস্তা দেখে/ বিপদ যদি এসে পড়ে/ সরব না, ঘরের কোণে সরব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না/আমি ভয় করব না ভয় করব না॥"

ভয় করেননি তিনি। ১৩১২ বঙ্গাব্দের সেই উত্তাল সময়ে ডাক দিয়েছিলেন রাখি বন্ধনের। কলকাতা, ঢাকা ও সিলেট থেকে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাই ও বোনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন একতার প্রতীক হিসাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করার জন্য।



কেন পালন করা হয় রাখি বন্ধন?


রাখিপূর্ণিমাকে ঘিরে রয়েছে অনেক গুলো পৌরাণিক কাহিনি।

রাখী বন্ধনের দিন গণেশের বোন গণেশের হাতে একটি রাখি বেঁধে দেন। এতে গণেশের দুই ছেলে শুভ ও লাভের হিংসে হয়। তাদের কোনও বোন ছিল না। তারা বাবার কাছে একটা বোনের বায়না ধরে। গণেশ তখন তাঁর দুই ছেলের সন্তোষ বিধানের জন্য দিব্য আগুন থেকে একটি কন্যার জন্ম দেন। এই দেবী হলেন গণেশের মেয়ে সন্তোষী মা। সন্তোষী মা শুভ ও লাভের হাতে রাখি বেঁধে দেন।

অন্য একটি কাহিনি রয়েছে, দৈত্যরাজা বলি ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত। বিষ্ণু বৈকুণ্ঠ ছেড়ে বালির রাজ্য রক্ষা করতে চলে এসেছিলেন। বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য এক সাধারণ মেয়ের ছদ্মবেশে বলিরাজের কাছে আসেন। লক্ষ্মী বলিকে বলেন, তাঁর স্বামী নিরুদ্দেশ। যতদিন না স্বামী ফিরে আসেন, ততদিন যেন বলি তাঁকে আশ্রয় দেন। বলিরাজা ছদ্মবেশী লক্ষ্মীকে আশ্রয় দিতে রাজি হন। শ্রাবণ পূর্ণিমা উৎসবে লক্ষ্মী বলিরাজার হাতে একটি রাখী বেঁধে দেন। বলিরাজা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে লক্ষ্মী আত্মপরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বলেন। এতে বলিরাজা মুগ্ধ হয়ে বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। বলিরাজা বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেন। সেই থেকে শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিটি বোনেরা রাখীবন্ধন হিসেবে পালন করে।



ভিন্ন মত অনুযায়ী, সুভদ্রা কৃষ্ণের ছোট বোন, কৃষ্ণ সুভদ্রাকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তবে আপন বোন না হয়েও দ্রৌপদী ছিলেন কৃষ্ণের অতীব স্নেহভাজন। একদিন সুভদ্রা কিছুটা অভিমান ভরে কৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন, এর কারণ কী। উত্তরে কৃষ্ণ জানান, ‘যথা সময়ে এর কারন তুমি বুঝতে ‘এর কিছুদিন পর শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে রক্ত ঝরছিল, তা দেখে সুভদ্রা রক্ত বন্ধ করার জন্য কাপড় খুঁজছিলেন, কিন্তু কোথাও কোনও পাতলা সাধারণ কাপড় পাচ্ছিলেন না, এর মাঝে দ্রৌপদী সেখানে এসে দেখেন কৃষ্ণের হাত থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছে।

সেই ঘটনা দেখামাত্রই বিন্দুমাত্র দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে নিজের মুল্যবান রেশম শাড়ি ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাত বেধে দেন, কিছুক্ষণ পর রক্তপাত বন্ধ হয়। তখন শ্রীকৃষ্ণ বোন সুভদ্রাকে ডেকে বলেন-‘এখন বুঝতে পেরেছ কেন আমি দ্রৌপদীকে এত স্নেহ করি?’ সুভদ্রা তখন বুঝত পারলেন, ভক্তি ও পবিত্র ভালবাসা, শ্রদ্ধা কী জিনিস! দাদা কৃষ্ণের চেয়ে মুল্যবান বস্ত্র নিজের কাছে বেশি প্রিয়, এটা ভেবে সুভদ্রা দারুণ লজ্জিত হয়ে পড়েন।




কোন বোন তার ভাইয়ের কোনও রকম কষ্ট, অমঙ্গল সহ্য করতে পারে না। ভাইয়ের কষ্ট দুর করার জন্য সে সর্বত্তম চেষ্টা করে। অন্যদিকে ভাই ও তার বোনকে পৃথিবীতে সর্বাধিক স্নেহ করে, সারাজীবন তাঁকে রক্ষা করে থাকে, যে রকম শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় চরম কলঙ্ক থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাই, এই পবিত্র বন্ধনের দিনে, সকল ভাই-বোনের উচিত এরকম ভক্তিভাব ও ভালবাসা বজায় রাখা।

 

আমার ভাই যেন থাকে মাছেভাতে...


"হোক না নুন কম কিম্বা আঁধপোড়া,

আজকের দিনে রেস্তোরাঁ নয়

বোনের হাতের রান্নাই সেরা।"

পছন্দের উপহার আদান-প্রদান আর এলাহি খাওয়াদাওয়া। রাখী তো উপলক্ষ মাত্র! আসলে এ যেন এক মিলোনৎসব।

ধান-দূর্বা-চূয়া-চন্দন-ঘিয়ের প্রদীপে সাজানো থালা সাথে মাছ মাংস পোলাও মিষ্টির জম্পেশ আয়োজন। বাঙালি থেকে কন্টিনেন্টাল এমন পাঁচটি জিভে জল আনা পদে থালা সাজালেন রোজকার অনন্যা পরিবারের সদস্যারা।

পাপিয়া সান্যাল চৌধুরী

প্যান-সিয়ার্ড ফিস উইথ লেমন বাটার ক্রীম সস্‌


কী কী লাগবে

ভেটকি মাছের ফিলে ২ পিস (বড়), পাতিলেবুর রস ১/৪ কাপ, লেবুর জেস্ট ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ, বাটার ৪ টেবিল চামচ, মধু ১ চামচ, ক্রিম ১/২ কাপ, নুন স্বাদমতো, পার্সলে বা ধনেপাতা কুচি ১/৪ কাপ, গোলমরিচের গুঁড়ো ১/২ চামচ


কীভাবে বানাবেন

মাছের ফিলে গুলো নুন ও গোলমরিচ দিয়ে ম্যারিনেট করে ১০ মিনিট রাখুন। মাঝারি আঁচে ফ্রাইং প্যান বসিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ সাদা তেল দিয়ে মাছ ভালো করে দু’পিঠ ফ্রাই করে নিন। ঐ একই প্যান-এ রসুন কুচি দিয়ে হালকা ফ্রাই করে তাতে লেবুর জেস্ট, লেবুর রস, বাটার আর মধু মিশিয়ে একটি সস বানিয়ে নিন। এবার ক্রিম মিশিয়ে তাতে পার্সলে বা ধনেপাতা কুচি দিন। আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে ১ মিনিট ফুটিয়ে পরিবেশন করুন।

বেকড্‌ বিনস্‌ উইথ বাটারড্‌ রাইস

কী কী লাগবে

বেকড্‌ বিনস্‌ এর জন্য

ড্রাই বিনস্‌ ২০০ গ্রাম (সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে), অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ,

পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, রসুন কুচি ১/২ চামচ,

টমেটো পিউরি ১ কাপ, টমেটো কেচাপ ২ টেবিল চামচ, মধু ১ চামচ, আপেল সিডার ভিনিগার ১ চামচ, ড্রাই অরিগ্যানো ১ চামচ,

ক্রাশড্‌ গোলমরিচ ১ চামচ, ভেজিটেবিল বা চিকেন স্টক ১ কাপ, ড্রাই পার্সলে ১/২ চামচ,

ধনেপাতা ১ চামচ (অপশনাল), কর্ণফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, নুন পরিমাণমতো

বাটারড্‌ রাইস এর জন্যঃ

বাটার ২ চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ চামচ, সেদ্ধ বাসমতি রাইস ১ কাপ, ড্রাই পার্সলে ১/২ চামচ, ধনেপাতা ২ চামচ, নুন স্বাদমতো


কীভাবে বানাবেন

প্রথমে ভিজিয়ে রাখা বিনস্‌ কে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি হালকা সতে করুন। টমেটো পিউরি ও আপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে অতিরিক্ত জল ফেলে দিয়ে সেদ্ধ করা বিনস্‌ ও চিকেন স্টক মেশাতে হবে। ১৫-২০ মিনিট মিডিয়াম আঁচে ফুটিয়ে টমেটো কেচাপ, অরিগ্যানো, মধু, ক্রাশড্‌ গোলমরিচ এবং কর্ণফ্লাওয়ার জলে গুলে মিশিয়ে নিন।

নুন ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

এবার বাটারড্‌ রাইস বানানোর জন্য কড়াইতে বাটার গলিয়ে পেঁয়াজ কুচি অল্প সতে করে সেদ্ধ করে রাখা বাসমতি রাইস দিয়ে স্বাদমতো নুন মিশিয়ে উপর থেকে ড্রাই পার্সলে ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে বেকড্‌ বিনস্‌-এর সাথে পরিবেশন করতে হবে এই স্বাস্থ্যকর পদ।

ক্রিম ক্যারামেল

কী কী লাগবে

ক্যারামেল বানানোর জন্য

চিনি ১/২ কাপ, জল ১ টেবিল চামচ + ২ টেবিল চামচ,‌ লেবুর রস ১ চামচ


ক্রিম বানানোর জন্য

ডিম ৬ টি (৩ টি পুরো + ৩ টি কুসুম), দুধ ৫০০ মি.লি., ক্রিম ২৫০ মি.লি., চিনি ৬ টেবিল চামচ,

ভ্যানিলা এসেন্স ১ টেবিল চামচ, নুন ১/৪ চামচ


কীভাবে বানাবেন

প্রথমে ক্যারামেল বানানোর জন্য ননস্টিক প্যানে চিনি ও ১ টেবিল চামচ জল দিন।

চিনি গলে হালকা লাল রং ধরলে ক্রমাগত নাড়িয়ে যেতে হবে। লাল হয়ে যাবার পর ২ টেবিল চামচ জল + লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশে গেলে বেকিং মোল্ডে ঢেলে নীচের পুরো অংশে ছড়িয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে।

একটা মিক্সিং পাত্রে ডিমগুলো আর চিনি মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার দুধ ও ক্রীম (২:১ অনুপাতে ) মিশিয়ে গ্যাসের ওভেন-এ বসিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে। ডিমের মিশ্রণটির মধ্যে অল্প দুধ মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার এই ফেটানো মিশ্রণটি বাকী দুধের মধ্যে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে এবং তার সাথে ভ্যানিলা এসেন্স ও নুন দিয়ে একটি বড় ছাঁকনি তে ছেঁকে নিতে হবে।

মাইক্রো ওভেন প্রি-হিট করে নিতে হবে ১৫০ ডিগ্রী তে। ক্যারামেল দেওয়া বেকিং মোল্ডে দুধের মিশ্রণ টি দুই হাতা মতো করে ঢেলে মোল্ডগুলি একটি ট্রের উপর বসিয়ে ট্রে-তে অল্প জল ঢেলে দিতে হবে। ৪০-৪৫ মিনিট বা পুরোপুরি বেকড্‌ হবার পর ঠান্ডা করে নিতে হবে। ৪-৫ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।

সায়নী নন্দী


ভেজ হাক্কা নুডলস

কী কী লাগবে

নুডলস, লম্বা করে কাটা লাল হলুদ সবুজ ক্যাপসিকাম, জুলিয়ান কাট গাজর, গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ভিনিগার, কাঁচালঙ্কা কুচি, বাঁধাকপি কুচি, স্প্রিং অনিয়ন কুচি

কিভাবে বানাবেন

প্রথমে নুডলস সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। এবার প্যানে সাদাতেল গরম করে তারমধ্যে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। সামান্য ভিনিগার আর সবজি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে তারমধ্যে নুডলস দিয়ে হালকা হাতে নেড়ে নিলেই তৈরী। নামানোর পর স্প্রিং অনিয়ন কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।

প্ৰন টেম্পুরা

কী কী লাগবে

চিংড়ি মাছ, আদা+ রসুন+ কাঁচালঙ্কা বাটা, লেবুর রস, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, সোডা ওয়াটার, সাদাতেল




কিভাবে বানাবেন

প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলো খুব ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে লেবুর রস, নুন, আদা রসুন কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে আধঘন্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। অন্যদিকে ব্যাটার বানানোর জন্য একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ ময়দা, ২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন ও সোডা ওয়াটার দিয়ে ঘন ব্যাটার বানিয়ে নিতে হবে। এবার ওই ব্যাটারের মধ্যে মাছগুলো ডুবিয়ে সাদা তেলে ফ্রাই করতে হবে। ফ্রায়েড প্ৰণ গুলো স্যালাড ও মেয়োনিজ এর সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ড্রাগন চিকেন

কী কী লাগবে

বোনলেস চিকেন (লম্বা করে কাটা), লাল হলুদ, সবুজ বেলপেপার, আদা+রসুন+কাঁচালঙ্কা কিমা, ভিনিগার, টমেটো কেচাপ, চিলি সস, সয়া সস এবং শুকনো লঙ্কার বীজ বার করে নিয়ে পেস্ট করা, কর্নফ্লাওয়ার, কাজুবাদাম, ডিম, গোলমরিচ গুঁড়ো, স্প্রিং অনিয়ন কুচি ও পেঁয়াজকুচি, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, নুন

কিভাবে বানাবেন

প্রথমে চিকেন ভিনিগার, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ম্যারিনেট করে আধঘন্টা রেখে দিতে হবে। তারপর ডিম, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, কর্নফ্লাওয়ার মাখিয়ে চিকেন গুলো ভালো করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এবার সস বানানোর জন্য প্রথমে বীজ বার করা শুকনো লঙ্কার পেস্ট, টমেটো কেচাপ, চিলি সস, সয়া সস ও ভিনিগার একটা বাটিতে গুলে রাখতে হবে। তারপর প্যানে সাদা তেল দিয়ে তাতে মৌরি, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে ওর মধ্যে আদা রসুন কাঁচালঙ্কার কিমা, পেঁয়াজকুচি দিয়ে নেড়ে, আগে থেকে তৈরী করা সস দিয়ে এবার ওর মধ্যে সমস্ত বেলপেপার কুচি, ফ্রায়েড চিকেন, গোটা কাজু দিয়ে টস করে নামিয়ে নিলেই তৈরী। এবার গার্নিশিং এর জন্য ওপর থেকে স্প্রিং অনিয়ন ছড়িয়ে দিন।


ফ্রায়েড ড্রামস্টিক

কী কী লাগবে

চিকেন লেগ পিস ৪ টি, আদা রসুন পেস্ট, রেড চিলি পাউডার, সেজওয়ান সস, টমেটো কেচাপ, পেঁয়াজকুচি, নুন, কর্নফ্লাওয়ার, ডিম, গোলমরিচ গুঁড়ো, সাদাতেল, ভিনিগার

কিভাবে বানাবেন

প্রথমে চিকেন লেগ পিস গুলোকে ছুরি দিয়ে একটু করে চিরে নিতে হবে। এবার ওর মধ্যে আদা রসুন পেস্ট, রেড চিলি পাউডার এবং ভিনিগার মাখিয়ে ম্যারিনেট করতে হবে ১ ঘন্টা। তারপর দ্বিতীয় মারিনেশন এর জন্য নুন, কর্নফ্লাওয়ার, গোলমরিচ গুঁড়ো, ডিম দিয়ে বানানো বাটারের মধ্যে চিকেন গুলো কোট করে সাদা তেলে ডিপ ফ্রাই করতে হবে। এবার অন্য একটি প্যান এ তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি দিয়ে তাতে ৩ টেবিল চামচ সেজওয়ান সস, একটু রেডচিলি পাউডার, গোলমরিচ গুঁড়ো, নুন, টমেটো কেচাপ দিয়ে ওর মধ্যে ভাজা চিকেন গুলো দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিলেই রেডি ফ্রায়েড ড্রামস্টিক। নামানোর আগে স্প্রিং অনিয়ন ছড়িয়ে দিলে আরো ভালো লাগবে।

সুচরিতা পাল


মোহন পোলাও

কী কী লাগবে

গোবিন্দভোগ চাল ১ কাপ, কাজু কিসমিস ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, বেরেস্তা ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চামচ, গরম মসলা ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১/২ চা চামচ, জায়ফল জয়ত্রী গুঁড়ো ১ চা চামচ, গোলাপজল, সাদা তেল এক টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ


কিভাবে বানাবেন

প্রথমে চাল এক ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রেখে জল ঝরিয়ে নিন। কেশরী রং মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এরপর কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। চাল দিয়ে কিছু সময় নেড়ে তাতে মাপমতো জল ও লবণ দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। চাল সেদ্ধ হলে গ্যাস বন্ধ করে কিছু সময় রেখে দিলে দেখা যাবে পোলাও ঝরঝরে হয়ে গেছে। এরপর অন্য একটি কড়াইতে জল ও চিনি দিয়ে অল্প রস বানিয়ে নিন। ওই চিনির রসে ভাত দিয়ে তাতে আগে থেকে ভাজা কাজু ও বেরেস্তা দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি মোহন পোলাও।


সয়া পাতুরি

কী কী লাগবে

সয়াবিন বড়ি সেদ্ধ করে বাটা ১ কাপ, কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা বাটা ১ টেবিল চামচ, ১ টেবিল‌ চামচ নারকেল কোরা, সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা লঙ্কা কয়েকটি, সেঁকে নেওয়া কলাপাতা, ভাজার জন্য সরষের তেল


কিভাবে বানাবেন

একটি বাটিতে কাঁচালঙ্কা, কলাপাতা ও সরষের তেল বাদে সমস্ত উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। কলাপাতায় অল্প করে এই মিশ্রণ রেখে মুড়ে সুতো বেঁধে নিন। প্যানে সর্ষের তেল দিয়ে তাতে উল্টে-পাল্টে হালকা আঁচে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সয়া পাতুরি।

আনারসি চিকেন


কী কী লাগবে

চিকেন ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ, আদা রসুন বাটা দেড় টেবিল চামচ, ১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা, ১ চামচ চিনি, স্বাদমতো লবণ, ১ চামচ জিরা গুঁড়ো, ১ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ টক দই, ১/২ কাপ আনারসের পাল্প, গোটা গরম মশলা ১ চা চামচ, সাদা তেল


কিভাবে বানাবেন

প্রথমে একটি পাত্রে চিকেন নিয়ে তাতে পেঁয়াজ বাটা, আদা রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, টক দই দিয়ে ভালো করে মেখে এক থেকে দুই ঘণ্টা রাখতে হবে। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে নেড়েচেড়ে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। কিছু সময় পর ঢাকনা খুলে আবার নেড়েচেড়ে রান্না করতে হবে। চিকেন সেদ্ধ হয়ে তেল ছাড়লে চিনি ও আনারসের পাল্প দিয়ে নাড়তে হবে। গা মাখা হলে নামিয়ে নিলেই তৈরি আনারসি চিকেন।


ছানার পায়েস


কি কি লাগবে

দুধ ১ লিটার, চিনি ১/৪ কাপ, জলঝরানো ছানা ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ৩ টেবিল চামচ, এলাচ গুঁড়ো অল্প


কিভাবে বানাবেন

একটি প্যানে দুধ দিয়ে ফুটতে দিন। ঘন হলে তাতে কাজুবাদাম, চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর এতে ছানা ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে অল্প আঁচে সমানে নাড়তে থাকুন। এবার এলাচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ছানার পায়েস। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

রূপসা বসু কর

কফি চকোলেট লেয়ার্ড পানাকোটা


কী কী লাগবে

দুধ ১ কাপ, আধ কাপ চিনি, আধ কাপ ফ্রেশ ক্রিম, কফি পাউডার ২ চা চামচ, কোকো পাউডার ২ চা চামচ, জিলেটিন ২ চা চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা চামচ


কিভাবে বানাবেন

বড় একটি পাত্রে দুধ, চিনি আর ফ্রেশ ক্রিম নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে গরম করে নিতে হবে। জিলেটিন জলের সাথে মিশিয়ে দুধের মিশ্রণে ঢেলে নাড়তে হবে যতক্ষন না জিলেটিন মিশে যায়। তারপর দুধের মিশ্রণ টি তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগে কফি, দ্বিতীয় ভাগে কোকো পাউডার ও তৃতীয় ভাগে ভ্যানিলা মিশিয়ে নিন। একটা গ্লাসে এক ভাগ কফি মিশ্রন, তারপর ভ্যানিলা মিশ্রন আর কোকো পাউডারের মিশ্রন পরপর ঢেলে, কমপক্ষে ৩-৪ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।


দেশী চিকেন মশলা পাস্তা

কী কী লাগবে

সেদ্ধ করা পাস্তা ১ কাপ, ১ টা বড় পেঁয়াজ কুচি করা, রসুন ২-৩ কোয়া কুচি করা, আদা কুচি ১ চা চামচ, ১ টা মাঝারি টমেটো কুচি, বোনলেস চিকেন আধ কাপ, সাদা তেল ২ চামচ, কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো আধ চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধ চামচ, ধনে গুঁড়ো আধ চামচ,

টমেটো সস ২ চামচ, পাস্তা স্টক ৪ চামচ, স্বাদমতো নুন, ওরেগানো ও চিলিফ্লেক্স আধ চামচ, মোজারেলা চিজ, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ


কিভাবে বানাবেন

কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, আদা কুচি, টমেটো কুচি দিয়ে সতে করে নিন। এবার একে একে ছোট টুকরো করা চিকেন, নুন, কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও অল্প একটু জল দিয়ে কষিয়ে নিন। তেল উঠে এলে পাস্তা স্টক ও টমেটো সস দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে সেদ্ধ করে রাখা পাস্তা, অরেগেনো, চিলিফ্লেক্স আর মোজারেলা চিজ দিয়ে সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে ওপর থেকে আবার কিছুটা চিজ ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন দেশী চিকেন মশলা পাস্তা।

মাশরুম ব্রুশেটা


কী কী লাগবে

২০০ গ্রাম মাশরুম, ব্রুশেটা ব্রেড, দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি,

একটা মাঝারি মাপের টমেটো কুচি, এক চা চামচ কাঁচালঙ্কা কুচি,

এক চা চামচ রসুন কুচি, স্বাদ মতো নুন, ধনেপাতা কুচি,

২ টেবিল চামচ মাখন, অরেগানো ও চিলিফেক্স


কিভাবে বানাবেন

প্যানে মাখন গরম করে তাতে একে একে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, রসুন কুচি দিয়ে সতে করে নিন। এবার কুচোনো মাশরুম, নুন, অরেগানো, চিলিফ্লেক্স দিয়ে কিছুক্ষন রান্না করে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। এবার ব্রুশেটা ব্রেড লম্বা করে কেটে সেঁকে নিন। ওপরে এই মিশ্রন সমানভাবে লাগিয়ে অরেগানো আর চিলিফ্লেক্স ছড়িয়ে ইচ্ছে মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মৌমিতা মিত্র

খুসকা পোলাও

কী কী লাগবে

৪ কাপ বাসমতি চাল, ৬ কাপ জল, ২ কাপ দুধ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, কাজু কিশমিশ পরিমানমত, দুধে ভেজানো কেশর, ঘি, নুন এবং চিনি স্বাদমতো


কিভাবে বানাবেন

চাল ধুয়ে ৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইতে ঘি দিয়ে কাজু কিশমিশ ভেজে তুলে নিন। এবার তেজপাতা, গোটা গরম মশলা দিয়ে সুন্দর গন্ধ বেরোলে চাল দিয়ে খুব ভালো করে ভেজে নিয়ে উষ্ণ গরম জল আর দুধ দিন। স্বাদমতো নুন এবং চিনি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন। এবার কিছুক্ষন পর হয়ে এলে কেশর, ঘি, কাজু কিশমিশ ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে ১৫ মিনিট রাখলেই তৈরি খুসকা পোলাও।


শামি কাবাব

কী কী লাগবে

২৫০ গ্রাম বোনলেস চিকেন, এক কাপ ছোলার ডাল, একটা পেঁয়াজ, আদা, রসুন, শুকনো লঙ্কা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, গরম মশলা গুঁড়ো, ডিম ১ টা, সাদা তেল পরিমাণমতো

কিভাবে বানাবেন

কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা আর গরম মশলা বাদে বাকি সব উপকরণ পরিমানমত জল দিয়ে সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে নিন। মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই মিশ্রণের মধ্যে কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা, ডিম ও গরমমশলা দিয়ে ভালো করে মেখে টিক্কির শেপে তৈরি করে নিয়ে অল্প তেলে ভেজে নিলেই তৈরী।


মুর্গ কোরমা

কী কী লাগবে

৫০০ গ্রাম মাংস, আদা রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ, একটা বড় পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নেওয়া, সাদা তেল পরিমাণমতো, ঘি পরিমান মত, নুন চিনি পরিমান মত, ধনেগুঁড়ো আধ চামচ, টক দই আধ কাপ, ফ্রেশ ক্রিম ২ চামচ, কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো প্রয়োজন মতো, লংকা গুঁড়ো প্রয়োজন মতো, আমন্ড স্লাইস, জয়ত্রী জায়ফল গুঁড়ো অল্প, কেওড়া জল, গোলাপ জল



কিভাবে বানাবেন

মাংস ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিয়ে তাতে নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো আর আধ চামচ তেল মাখিয়ে রেখে দিন দু ঘন্টা। এরপর কড়াইতে ঘি দিয়ে মাংস গুলো এপিট-ওপিঠ করে হালকা বাদামি রং আসা পর্যন্ত ভেজে তুলে নিন। আরো কিছুটা তেল ও ঘি দিয়ে একটু গরম করে তাতে গোটা গরমমশলা, তেজপাতা দিয়ে সুন্দর গন্ধ বেরোলে আদা রসুন বাটা দিয়ে একটু কষে মাংস গুলো দিতে হবে। ৫ মিনিট মত কষে টকদই মিশিয়ে পরিমাণ মতো গরম জল দিয়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে কাজুবাদাম বাটা দিয়ে আরো কিছুসময় রান্না করুন। হয়ে এলে নামানোর আগে বেরেস্তা, ঘি, জায়ফল জয়ত্রী গুঁড়ো, কেওড়া জল, গোলাপ জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে ২ মিনিট মত রান্না করে গ্যাস বন্ধ করে ফ্রেশ ক্রিম মিশিয়ে পরিবেশন করুন।


ফিরনি

কী কী লাগবে

৫০০ মি.লি. দুধ, ২৫ গ্রাম বাসমতি চালের গুঁড়ো, পরিমান মত চিনি, এলাচ গুঁড়ো পরিমানমতো, ঘি ১ চা চামচ, কেশর, গোলাপ জল, কেওড়া জল, পেস্তা


কিভাবে বানাবেন

দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। এবার দুধের মধ্যে কেশর, এলাচ গুঁড়ো, চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটতে দিন। সমানে নাড়বেন। চাল সেদ্ধ হলে চিনি মেশান। নামানোর আগে ঘি, গোলাপ জল, কেওড়া জল মেশান। পছন্দ মতো পাত্রে ঢেলে ঠাণ্ডা হলে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

 

Comments


bottom of page