ঘন দুধ, সুজি এবং কেশরের রঙ ও সুগন্ধ মিশিয়ে তৈরি, উৎসবের মিষ্টি আনন্দের এক অনন্য রূপ। রেসিপি দিলেন মনমিতা কুণ্ডু।
- রোজকার অনন্যা

- 2 minutes ago
- 1 min read
গন্ধ, রং আর স্বাদের মেলবন্ধনে কেশরিয়া হালুয়া একেবারে রাজকীয় মিষ্টান্ন। ‘কেশর’ বা জাফরান শুধু রঙের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং হালুয়াকে দেয় এক অনন্য সুগন্ধ ও সমৃদ্ধ স্বাদ। উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন বা বিশেষ দিন যে কোনো উপলক্ষেই এই হালুয়া মিষ্টি খাওয়ার আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

কী কী লাগবে
সুজি – ১ কাপ
ঘি/ Shalimar's Soyabean তেল– ১/২ কাপ
চিনি – ১/৩ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী কমবেশি)
জল – ২ কাপ
দুধ – ১ কাপ
কেশর (জাফরান) – এক চিমটি
এলাচ গুঁড়ো – ½ চা চামচ
কাজুবাদাম কুচি – ১ টেবিল চামচ
কিসমিস – ১ টেবিল চামচ

কীভাবে বানাবেন
১. প্রথমে দুধ সামান্য গরম করে তাতে কেশর ভিজিয়ে রাখুন।
২. একটি প্যানে ঘি গরম করে সুজি হালকা সোনালি রং হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। ঘি-র সুবাস বেরোলে নামিয়ে রাখুন।
৩. অন্য একটি পাত্রে জল ও চিনি ফুটিয়ে নিন। চিনি গলে গেলে তাতে দুধে ভেজানো কেশর মিশিয়ে দিন।
৪. এবার ধীরে ধীরে ভাজা সুজি ওই গরম জল-চিনি মিশ্রণে ঢেলে দিন এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যাতে দলা না বাঁধে।
৫. মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে এলাচ গুঁড়ো, কাজু ও কিসমিস মিশিয়ে দিন।
৬. আরও ২–৩ মিনিট নেড়ে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
৭. চাইলে ছাঁচে ঢেলে ঠান্ডা করে কেটে পরিবেশন করতে পারেন, অথবা গরম গরমও খাওয়া যায়।
পরিবেশন টিপস:
গরম গরম কেশরিয়া হালুয়া উপরে সামান্য কেশর ও কাজুবাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। বিশেষ উপলক্ষে রূপে ও গন্ধে এটি যে কোনো মিষ্টির আসর মাতিয়ে দেবে।
শেষকথা:
কেশরিয়া হালুয়া শুধু একটি মিষ্টান্ন নয়, এটি ঐশ্বর্যের প্রতীক — প্রতিটি চামচে লুকিয়ে থাকে কেশরের মাধুর্য, ঘি-র সুবাস আর উৎসবের উচ্ছ্বাস।








Comments