জিলিপি মানেইতো জিভে জল, আর তাতে যদি থাকে কেশরের সুগন্ধ তাহলে তো কথাই নেই! সেই কেশর জিলিপির রেসিপি দিলেন মনমিতা কুণ্ডু।
- রোজকার অনন্যা

- Aug 17
- 2 min read
গণেশ চতুর্থী মানেই ঘরে ঘরে আনন্দ, শঙ্খ-ঘণ্টার ধ্বনি আর ভক্তির আবহ। এই দিনে ভগবান গণেশকে নিবেদিত হয় নানা রকম মিষ্টি, বিশেষত মোদক। তবে এর পাশাপাশি কেশরের সুগন্ধে ভরপুর সোনালি জিলিপিও থাকে ভোগের বিশেষ আকর্ষণ। কেশর জিলিপি শুধু মিষ্টি নয়, এটি সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক। কেশরের উজ্জ্বল রঙ যেন ভক্তির দীপ্তি, আর জিলিপির মিষ্টি স্বাদ ভক্তদের মিলনের আনন্দকে আরও গভীর করে তোলে।

কী কী লাগবে
জিলিপির রসের জন্য:
এক কাপ চিনি, পৌনে এক কাপ জল, একটা ছোট অর্ধেক পাতিলেবুর রস, আধ চা চামচ কেশর।
জিলিপির জন্য:
এক কাপ ময়দা, ১ কাপ টক দই, ১ চা চামচ ভিনিগার, ১/২ চা চামচ বেকিং সোডা, সামান্য জল।
ভাজার জন্য ঘি বা Shalimar's Sunflower তেল
কীভাবে বানাবেন
একটা বড় পাত্রে ময়দা, টক দই, ভিনিগার ও বেকিং সোডা নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ১০ মিনিট রেখে দিন। ১০ মিনিট পরে মিশ্রণে সামান্য জল মেশান ও হুইস্কার দিয়ে ভালো করে নাড়াতে থাকুন, যাতে ময়দার কোনও দানা না থাকে। মাঝারি আঁচে চিনি ও পৌনে এক কাপ জল একটা প্যানে নিন। চিনি গলতে শুরু করলে একটু একটু নাড়তে থাকুন। এইসময় চিনির রস পরিষ্কার করার জন্য ওর মধ্যে লেবুর রসটা দিয়ে দিতে হবে। এবার কেশরটা রসে মিশিয়ে নাড়তে থাকতে হবে। চিনির রসে খুব সুন্দর কেশরের রঙ ও সুগন্ধ চলে এলে দু আঙ্গুলের মাঝে নিয়ে এক তারের কন্সিসটেন্সি আছে কিনা দেখে নিতে হবে। জিলিপির মিশ্রণটা আরেকবার ভালো করে ফেটিয়ে একটা পাইপিং ব্যাগে বা প্লাস্টিকের সরু মুখওয়ালা সসের বোতলে মিশ্রণটা ঢেলে নিতে হবে। একটা ফ্রাইং প্যানে সাদা তেল বা ঘি গরম করে ছোট ছোট গোল-গোল প্যাঁচ দিয়ে জিলিপি তেলে ছাড়তে হবে। প্যাঁচ একদম বাইরের গোলে গিয়ে আবার ভিতরের দিকে টেনে শেষ করতে হবে। হাল্কা সোনালি রঙ এসে গেলেই তেল থেকে জিলিপি গুলো তুলে গরম রসে ফেলে দিতে হবে। এরপর ৩-৪ মিনিট ঐ রসে জিলিপি গুলো ডুবিয়ে রাখতে হবে। ব্যাস কেশরের রঙে রাঙানো ও সুন্দর কেশরের গন্ধওয়ালা গরম গরম জিলিপি প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আজকের দিনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে গণেশ চতুর্থীর ভোগ তালিকায় কেশর জিলিপি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। ভক্তি, আনন্দ আর পারিবারিক মিলনমেলার আবহে এই মিষ্টি যেন দেবতার আশীর্বাদস্বরূপ। কেশরের আভা আর জিলিপির মাধুর্য ভক্তদের মনে পৌঁছে দেয় এক অনাবিল আনন্দবার্তা, বিঘ্ননাশক ভগবান গণেশ আমাদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও মাধুর্য বয়ে আনুন।








Comments