যত যাই নতুন পদ আসুক চিংড়ির মালাইকারির কোনো বিকল্প নেই। সেই রেসিপি দিলেন তীর্না বক্সি।
- রোজকার অনন্যা

- Jul 13
- 2 min read
বাঙালির রান্নাঘরে চিংড়ি মাছের এক আলাদা সম্মান আছে। আর যখন সেই চিংড়ি ধীরে ধীরে ডুবে যায় নারকেলের ঘন দুধে, তখন তা রূপ নেয় এক রাজকীয় পদে চিংড়ি মালাইকারি। এটি শুধুই একটি রান্না নয়, এটি একটি আবেগ, পারিবারিক অনুষ্ঠানে, পয়লা বৈশাখে, বিয়েবাড়ির থালায় যার অনুপস্থিতি অনেক সময় অপূর্ণতা বয়ে আনে। মশলার ভারসাম্য, নারকেলের মাধুর্য আর চিংড়ির নিজস্ব স্বাদের মেলবন্ধনে তৈরি এই পদ বহুদিন ধরেই বাঙালি রসনার তৃপ্তির অন্যতম চাবিকাঠি। চলুন, এবার দেখে নিই কিভাবে বানাবেন এই ক্লাসিক পদটি।

কী কী লাগবে
বড় সাইজের চিংড়ি (গলদা বা ব্যাগদা) – ৫০০ গ্রাম
নারকেল দুধ – ১ কাপ (ঘন)
পেঁয়াজ বাটা – ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা – ১ চা চামচ
Shalimar's Chef Spices শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
Shalimar's Chef Spices হলুদ গুঁড়ো – ১ চা চামচ
নুন – স্বাদমতো
চিনি – ১ চা চামচ
Shalimar's Chef Spices গরম মসলা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
তেজপাতা – ১টি
ছোট এলাচ – ২টি
দারচিনি – ১টি ছোট টুকরো
লবঙ্গ – ২টি
Shalimar's সরষের তেল – পরিমাণমতো
ঘি – ১ চা চামচ

কীভাবে বানাবেন
১. চিংড়ি মাছ ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। লবণ ও হলুদ মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন।
২. কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে চিংড়িগুলো হালকা ভেজে তুলে রাখুন (বেশি ভাজবেন না, চিংড়ি শক্ত হয়ে যাবে)।
৩. তেলেই তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ফোড়ন দিন।
৪. এবার পেঁয়াজ বাটা দিয়ে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত কষান।
৫. তারপর আদা, রসুন বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে কষাতে থাকুন। সামান্য জল ছিটিয়ে মশলা ভাজা রাখুন।
৬. মশলা কষে গেলে চিনি দিয়ে দিন, তারপর নারকেল দুধ ঢেলে দিন।
৭. ফুটে উঠলে ভাজা চিংড়িগুলো দিয়ে দিন। ঢেকে ৭–৮ মিনিট রান্না হতে দিন।
৮. শেষে গরম মসলা ও ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
চিংড়ি মালাইকারি সবচেয়ে ভালো মানায় গরম সাদা ভাতের সঙ্গে। তবে পোলাও বা মিষ্টি বাসমতি চালের সঙ্গেও অসাধারণ লাগে। এটি এমন একটি রান্না, যা একবার পরিবেশন করলে অতিথি-আপ্যায়নের মান নিজে থেকেই বেড়ে যায়। নারকেলের ক্রীম আর চিংড়ির সামুদ্রিক স্বাদের অপূর্ব মেলবন্ধন এই হল চিংড়ি মালাইকারি। একবার খেলে, বারবার মন চাইবে!








Comments