ডায়মন্ড সিটি নর্থে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে গত পয়লা ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয়েছিল এক রান্নার প্রতিযোগিতার।

সকাল থেকেই ছিল খাদ্যবিলাসী এবং রন্ধনে আগ্রহী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এই প্রতিযোগিতায় পনির দিয়ে বানানো কিছু অসাধারণ রান্না নিয়ে হাজির ছিলেন ৪০ জন রন্ধন পারদর্শী।

শাহী পনির , কড়াই পনির, পনির দিলখুশের মতো একের পর এক অভিনব রেসিপির মধ্যে সেরা পাঁচজন কে বেছে নেওয়া সহজ ছিল না! শেফ দেবজিৎ মজুমদারের বিচারে বেছে নেওয়া সেরাদের পুরস্কৃত করা হয় এইদিন।

পনির মটর মেথি মালাই বানিয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন উর্মিলা শর্মা। চতুর্থ স্থানে ছিলেন দীপা মিরানী, তিনি বানিয়েছিলেন পনির প্যানকেক টপড্ উইথ ছানার রাবড়ি। কটেজ চিজ ফ্রানেজ ফারসি নামক এক অভিনব রেসিপি বানিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন শিঞ্জীনি ঘোষ।

পনির দিয়ে বানানো বার্ড লিস্ট বানিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন মৌসুমী সাহা। এরপর পালা প্রথম স্থান অধিকারীর নাম ঘোষণার। ছানার হরগৌরী বানিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন অদিতি লাহিড়ী। ঐতিহ্য থেকে অভিনবত্ব সবদিক থেকেই একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার মতো রেসিপি এবং খাবার পরিবেশনে মুগ্ধ হন বিচারক থেকে অতিথিরা সকলেই।

এইদিনের অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আবাসিক বৃন্দরা আয়োজন করেছিলেন এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয় এমন কিছু বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের, কালের নিয়মে যারা হারিয়ে গেছেন অথচ তাদের গান এবং শিল্প সত্ত্বায় আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন চিরজীবন। যাদের সুরের মূর্ছনায় আজ ও হারিয়ে যায় ৮-৮০ সকলে।

লতা মঙ্গেশকর, গীতা দত্ত, কানন দেবী এমন কিছু মহান সঙ্গীতশিল্পীর অপূর্ব কিছু সৃষ্টি নিয়ে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ পরিবেশনার। মোট ২০-২২ জন খুঁদে শিল্পী নাচ গানের মাধ্যমে মন জয় করে নেন সবার। অপূর্ব এই আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শ্রী সমীর দত্তগুপ্ত (বাবুয়া দা)।

टिप्पणियां