সম্প্রতি সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ডায়মন্ড সিটি নর্থ সোশ্যাল ফোরাম এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক বর্ণাঢ্য সঙ্গীতানুষ্ঠানের, "স্মরণে সলিল চৌধুরী"।

সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর লেখা কিছু বিখ্যাত কালজয়ী গানে স্মরণ করা হলো বাংলার তথা ভারতীয় সঙ্গীতের এক বর্ণময় অধ্যায়কে। তবে শুধু গান নয়, আবৃত্তি এবং প্রখ্যাত গীতিকার সলিল চৌধুরীর বিভিন্ন গল্প কথা নিয়ে এ ছিল এক বৈঠকী অনুষ্ঠান তথা আলোচনা চক্র। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা এবং বিভিন্ন জ্ঞানীগুণী ব্যাক্তিত্ব। এহেন এক অভিনব প্রয়াসের বাস্তবায়িত রূপের সাক্ষী থাকলেন এখানকার সমস্ত আবাসিকবৃন্দ এবং সম্মানীয় অতিথিরা।

সলিল চৌধুরী, একজন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার। জন্ম ১৯ নভেম্বর ১৯২৫, মৃত্যু ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। তিনি মূলত বাংলা, হিন্দি, এবং মালয়ালম চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা হিসেবে এবং গণসংগীতের প্রণেতা হিসেবে তিনি একজন স্মরণীয় বাঙালি। বাবার কাছেই সলিল চৌধুরীর সংগীত শিক্ষার হাতেখড়ি হলেও মূলত নিখিল চৌধুরীর ঐক্যবাদন দল 'মিলন পরিষদ'-এর মাধ্যমেই গানের জগতে শৈশবেই সম্পৃক্তি।

তাঁর প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র "পরিবর্তন" মুক্তি পায় ১৯৪৯ সালে। এবং মোট ৪১টি বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল "মহাভারতী" যা ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। ১৯৫৩ সালে বিমল রায় পরিচালিত দো বিঘা জামিন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সলিল চৌধুরীর হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পে অভিষেক ঘটে।

এটি প্রথমে ফিল্মফেয়ার সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং কান চলচ্চিত্র উৎসবে আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে নেয়। তিনি প্রায় ৭৫টির বেশি হিন্দি চলচ্চিত্র, ৪০টির বেশি বাংলা চলচ্চিত্র, প্রায় ২৬টি মালয়ালম চলচ্চিত্র, এবং বেশ কিছু মারাঠী, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, গুজরাতি, ওড়িয়া এবং অহমিয়া চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেন।

তথ্যসূত্র ঋণ স্বীকার:
সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, সম্পাদনাঃ অঞ্জলি বসু, ২য় খণ্ড, চতুর্থ সংস্করণ, সাহিত্য সংসদ, ২০১৫
কলকাতা বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান। ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ৩৯৮।
সলিল চৌধুরী: জীবনী chandrakantha.com
Comments