ইতিহাসের পাতা বড়ই ছোট! আর ততটাই বড় ভারতবর্ষের বুকে জন্মানো বীর সন্তানদের সংখ্যা। তাই তো তাঁদের কথা শেষ হয় না অথচ ইতিহাসের পাতা ফুরিয়ে যায়। আসুন এমনই এক স্বল্পপরিচিত নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হওয়া যাক। রইল লোক আড়ালে থেকে যাওয়া আত্মত্যাগ ও সাহসের অচেনা এক চেহারার গল্পকথা।

একা এবং একা,
বীর রাইফেলম্যান যশওয়ান্ত সিংহ রাওয়াত
অনেক সংগ্রাম, অনেক আত্মবলিদানের মধ্যদিয়ে যে স্বাধীনতা এল, তাকে ধরে রাখাটা খুব সহজ নয়। এই যে আমরা নিশ্চিন্ত জীবনযাপন করছি, রাতে বালিশে মাথা দিয়ে যে ঘুমোচ্ছি, তা কিন্তু এই বীর সেনানীদের অনিশ্চিত জীবনযাপন, দিনরাত না ঘুমিয়ে পাখির চোখ নিয়ে পাহারা দিচ্ছেন বলেই। এমনই একজন ভারতমাতার বীর সন্তান যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত। কী করেছিলেন, এই বীর সন্তান?
একাই ৩০০ চীন সেনাকে হত্যা করে অরুণাচলপ্রদেশকে রক্ষা করেছেন। ১৭ই নভেম্বর, ১৯৬২। ঘন্টা ৭২-এর যুদ্ধ। চাইনিজ সেনা আক্রমণ করল। যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত। ওই পোস্টে সেদিন নামমাত্র সেনার সঙ্গে ছিলেন। অকস্মাৎ আক্রমনের পর সেনাদের একে একে মৃত্যু হলে তিনি একা হয়ে পরেন। একাই যশওয়ান্ত ৭২ ঘন্টার যুদ্ধে চিনের সেনাকে আধিকে রেখেছিলেন। ভিন্ন ভিন্ন বায়ার থেকে ক্রমাগত চিনাদের দিকে শুলি বর্ষণ করছিল। সেদিন যশওয়ান্ত একা হাতে ৩০০ চাইনিজ হানাদারদের শেষ করে দিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। গভীর আহত অবস্থায় যশওয়াজ সিং রাওয়াতকে গ্রেপ্তার করল চাইনিজ আমি। আর তারপর? তাঁর মৃত্যু তো হয়েইছিল। কিন্তু ঠিক কীভাবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে যায় বইকি। ভারতীয় কোনও সেনা উপস্থিত না থাকায় সঠিক মৃত্যু সম্পর্কে জানা যায় না। তবে পরবর্তীতে খোঁজ খবরের ভিত্তিতে কেউ কেউ বলেন, চিনা সৈন্যরা নির্মমভাবে তাকে মারে। তাঁর মাথা চিনে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঁর স্কন্দ কাটা শরীরটা বুলিয়ে দেয়। আরেকটা মত সে নিজেই শেষ বুলেটটি নিজের দিকে মেরে আত্মাহুতি দেয়। কারণ চিনা সেনাদের কাছে সে ধরা দিতে চায়না। ওদের হাতে মৃত্যু বরণ করতে চায় না। এ'পক্ষরা বলেন, যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত নিজের গুলিতে মারা যায়। যেখানে তাঁর সহযোদ্ধারা কেউই টিকে থাকতে পারেনি, সেখানে কিন্তু সে একা অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে ছিল।

অন্য এক সূত্রে জানা যায়, ভারতের সেনাবাহিনীর বাকি ফৌজরা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছোন, তখন ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় ঠান্ডায় জমে গিয়েছে যশওয়ান্তের রক্তাক্ত দেহ। যশওয়ান্তের এই বিরল আত্মত্যাগ সবাইকেই মুগ্ধ করেছিল। সরকারের কাছ থেকে সম্মান পেয়েছেন। মৃত্যুর পর পেয়েছিলেন মহাবীরচক্র সম্মান। যশওয়ান্তের কাজের জন্য তাঁর পরমবীর চক্র পাওয়া উচিত ছিল না কি। পাহাড়ের উপর যে জায়গাটাতে তিনি মারা গিয়েছিলেন, সেখানে এখনও তাঁর নামাঙ্কিত কুটির সাজানো আছে। নিয়ম করে পরিষ্কার করা হয় তাঁর পোশাক, তাঁর জুতোও। এখনও তাঁর জুতোতে কাদা লেগে থাকতে দেখা যায়। বিছানার চাদর কুঁচকানো অবস্থায় দেখা যায় প্রত্যহ সকালে। এখনও জওয়ান হিসেবে চাকরি বহাল আছে। স্বাভাবিকভাবে তাঁর প্রোমোশন হয়। ছুটিতে তাঁর জামাকাপড় ট্রাঙ্কে ভর্তি করে বাড়িতে দিয়ে আসা হয়। আবার ছুটি শেষে নিয়ে আশা হয়। কিন্তু এসবের মধ্যে সাধারণ মানুষ আর তাঁকে কতটুকুই বা মনে রেখেছেন? তাঁর স্মরণে একটা সিনেমাও তৈরি করেছে বলিউড। কিন্তু তাও যে সবার কাছে পৌঁছেছে, এমনটা বলা যাবে না। আমাদের কি মনের মধ্যে কোনও প্রশ্ন জেগেছে তাঁর সম্বন্ধে? নাকি আমাদের সুরক্ষার জন্য এই মানুষরা নিজেদের জীবন দিয়ে যাবেন, অথচ আমরা সেদিকে ফিরেও তাকাবো!

আহা। মিষ্টি চেহারার গাড়োয়ালি যুবক যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত। স্বভাবেও অতুলনীয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান (নম্বর ৪০৩৯০০৯)। বয়স মাত্র ২১ বছর। যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত অরুণাচলের তাওয়াং সীমান্ত প্রহরায় আছে। তার ৪ নং গাড়োয়াল রেজিমেন্টের সঙ্গে। হাসি, ঠাট্টা, গানে, গল্পে তিনি জমিয়ে রাখেন তাঁর ইউনিটকে। তিনি সবার প্রিয়। সকালে তার মুখ দেখলে নাকি দিন ভালো যায়।
ডিউটি চেঞ্জের সময় পোস্ট থেকে ক্যাম্পে যাওয়া আসার পথে রোজ তাঁর দেখা হয় দুই মনপা উপজাতীয় সুন্দরী যুবতীর সঙ্গে। সুন্দরী যুবতী দুটির গাল গোলাপের মতো লাল, একজনের নাম সেলা, অন্যজন তার ছোট বোন নুরা। সুঠাম চেহারা আর মিষ্টি স্বভাবের যশবন্তকে তারা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ভালোবেসে ফেলে। ভারতের পূর্বাঞ্চলের পাহাড়গুলিতে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। সে সমাজে নারীরাই সর্বেসর্বা। মেয়েরা এগিয়ে এসে অক্লেশে ছেলেদেরকে প্রেম নিবেদন করতে পারে। তাই একদিন দুজনে একসাথে যশওয়ান্তকে প্রেম নিবেদন করে বসলো। চমকে উঠলেন যশওয়ান্ত। ফর্সা মুখ মুহূর্তে লাল হয়ে গেল, "শুনুন, এসব কী বলছেন? আমি বিবাহিত, বাড়িতে আমার স্ত্রী আছে"।

কিন্তু প্রেমে অন্ধ দুই পাহাড়ি তরুণী নাছোড়বান্দা। সেলা আর নুরা বলল, চিন্তা নেই, আমরা দুজন তোমার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রী হতেও রাজি। তোমার প্রথম স্ত্রীকে আমরা আমাদের বড় দিদি হিসেবে সেবা করব। তাতেও রাজি নন যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত। এইভাবে দিনের পর দিন চলল যশওয়ান্তের মন পাওয়ার চেষ্টা। শেষমেশ দুই বোনে একটা ফন্দি অটিলো। পুরুষের মন জয় করতে হলে পুরুষকে খাইয়ে খুশি করতে হবে। তারা রোজ ভালো রান্না করে নিয়ে আসতে লাগলো। যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত মেয়ে দুটিকে ভালোবেসে ফেলেছে ইতিমধ্যে। কিন্তু এ ভালোবাসা প্রেম নয়। পিঠোপিঠি বয়সের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে যে ভালোবাসা থাকে, এটা কিন্তু সেই অকৃত্রিম ভালোবাসা।

অন্যদিক থেকে সেলা আর নুরার যশওয়ান্তের প্রতি অনুরাগ ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হতে লাগল। রোজ বিকেলে দুই বোন নদীর ধারে যশওয়ান্তের সঙ্গে দেখা করতো। যশওয়ান্ত তাদেরকে কখনও হাত জড়ো করে, কখনও ধমক দিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সেলা আর নুরা শুধু হাসে। উল্টে যশওয়ান্ত সিং রাওয়াতকে বোঝাবার চেষ্টা করে। দেশ স্বাধীন হয়েছে মাত্র ১৫ বছর। কিন্তু শত্রুপক্ষের আক্রমণের কি আর শেষ হল। ব্রিটিশদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেও অন্য অন্য দেশ, জাতি- তারা তো প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করছে ঝাঁপিয়ে পরতে। স্ব- অধীনতাকে পর-অধীনতায় পরিণত করতে। তাই প্রতি মুহূর্তে তাকে রক্ষা করার দায় এই সামরিক বাহিনীর উপর ন্যস্ত করে আমরা দিব্য থাকি। আর ওই দেশরক্ষার দায়িত্ব যাঁরা স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নিজেদের পরাধীন করে দেশের স্বাধীনতাকে আগলে রাখার চেষ্টায় ব্রত, তাঁদের কথা আমরা স্মরণে রাখি! সুখ ও বৈভবে কাটাতে কাটাতে একবারও কি মনে আসে তাঁদের কথা!
সালটা ১৯৬২, মাসটা নভেম্বর, পূর্ব সীমান্তের বিভিন্ন সেক্টরে ইতিমধ্যে ভারত ও চিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সীমান্তে গোলাগুলির আওয়াজ ক্রমশ বাড়ছে। রাইফেলম্যান যশওয়ান্ত সিং রাওয়াতর রাইফেল। আগুন ঝরায় অমিতবিক্রমে। কাছেই, গ্রামের বাড়িতে দুই বোন রাতে দুচোখের পাতা এক করতে পারে না। প্রতিটা গুলির শব্দের সঙ্গে চলে তাদের প্রার্থনা। একটা প্রাণ বাঁচুক, সে প্রাণ যে তাদেরও প্রাণ। সে প্রাণ যশওয়ান্তের।

একদিন বিকেলে, নদীর ধারে তিনজন গল্প করছে। হঠাৎ তারা দেখল, ভারতীয় সৈন্যরা সীমান্তের দিকে ছুটছে। জানতে পারে চিনা সৈন্যরা আবার আক্রমণ করেছে। কালবিলম্ব না করে যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত হাতে তুলে নেন রাইফেল। হরিণের গতিতে দৌড়ল সীমান্তের দিকে। পিছন পিছন যায়, সেলা আর নূরা। দৌড়তে দৌড়তে পিছন ফিরে বার বার বারণ করেন যশওয়ান্ত, কিন্তু দুই বোন কথা শোনে না। এর আগেও চিনা সৈন্যরা স্থানীয় মনপা উপজাতীর ছদ্মবেশে ভারতীয় সেনার ওপরে হামলা চালিয়ে বড়মাপের ক্ষতি করে দিয়ে গেছে। তারপর চিনারা আরও দুটি ভয়ঙ্কর আক্রমণ শানিয়েছিল আর্টিলারি, মর্টার আর এমএমজি (মিডিয়াম মেশিনগান) নিয়ে। বহু জওয়ান শহিদ হলেও ভারতীয় সেনা মাটি কামড়ে পড়ে থাকায় চিনা সেনারা ভারতীয় এলাকা দখল করতে পারেনি।
এবার শুরু হলো চিনা সৈন্যদলের চতুর্থ আক্রমণ। চিনের সৈন্যরা ক্রমশ মিডিয়াম মেশিনগান নিয়ে এগোতে থাকে। তিনদিক থেকে অতর্কিত ও বিধ্বংসী আক্রমণের মুখে পড়ে ৪ নং গাড়োয়াল রাইফেল। চিনা সেনার মিডিয়াম মেশিনগানের দাপটে, ৪ নং গাড়োয়াল রেজিমেন্টের লাইট মেশিনগানগুলি চালাবার সুযোগ মেলে না। চিনা সেনার ভয়ঙ্কর আক্রমণের মুখে পড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬২ জন জওয়ান ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।
বেশ কয়েকজন সেনা শহিদ হওয়ার পর, যুদ্ধরত ভারতীয় সেনাদের কাছে নির্দেশ যায়, সাময়িকভাবে পিছিয়ে আসার জন্য। পিছিয়ে আসে ভারতীয় সেনা। কিন্তু পিছিয়ে আসেন না যশওয়ান্ত। তিনটি বাঙ্কার থেকে একাই ঘুরে ঘুরে ফায়ারিং করতে থাকেন চিনের পিপলস আর্মির ওপর। চিনা সেনারা ধোঁকা খায়। ভাবে, তিনটি বাঙ্কারে প্রচুর ভারতীয় সেনা মজুদ আছে। তাই তারা আর এগিয়ে আসতে সাহস করে না। ইতিমধ্যেই যশওয়ান্তের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দুই বোন। বাঁচলে যশওয়ান্তের সঙ্গে বাঁচবে, মরলে তাঁর সঙ্গেই মরবে। অমর হবে তাদের প্রেম। যশওয়ান্ত এক বাঙ্কার থেকে অন্য বাঙ্কারে গিয়ে গুলি চালান। রাইফেলের ম্যাগাজিন খালি হলেই লোড করে দেয় দুই বোন।

যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত বুঝতে পারছেন, গোলা বারুদ ফুরিয়ে আসছে। আর ধুরন্ধর চিনা সেনারা তার কৌশল শীঘ্রই ধরে ফেলবে। তাই তিনি আবার সেলা আর নুরাকে মিনতি করেন, কিন্তু দুই বোন কিছুতেই তাদের প্রিয়তমকে ছেড়ে যাবে না। ইতিমধ্যে কেটে গেছে প্রায় ৭২ ঘন্টা। যশওয়ান্ত একা চিনের রেড আর্মির হাজারের বেশি জওয়ানকে ঠেকিয়ে রেখেছেন, তাঁর রাইফেলের ঝাঁঝে। এই ৭২ ঘন্টায় যশওয়ান্তর গুলিতে প্রতিহত করেছে চিনের প্রায় ৩০০ সেনা। কিন্তু, যশওয়ান্ত যেটা আশঙ্কা করেছিলেন, সেটাই ঘটল। যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত ও সেলা আর নুরাকে খাবার জোগান দিতেন যে মনপা ব্যক্তি, তাঁকে চিনের সেনারা ধরে ফেলল। চিনের বাহিনী জানতে পারলো, ভারতীয় সীমান্তের বাঙ্কারগুলিতে সেনার মাত্র একজন ভারতীয় জওয়ান। সেই ঘুরে ঘুরে নিপুণ নিশানায় গুলি করে মারছে চিনা সেনাদের।
বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন চিনা জেনারেল। মাত্র একজন মানুষ ৭২ ঘন্টা ঠেকিয়ে রেখেছে অমিত শক্তিশালী রেড আর্মিকে। মাত্র একজন মানুষের জন্য চিনের হাজারের বেশি সেনা তিনদিন ধরে এক জায়গায় বসে আছে। মাত্র একজন মানুষের জন্য নেফা (অরুণাচল) হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যেতে বসেছে। মাত্র একজন মানুষ তাঁদের ৩০০ সেনার প্রাণ নিয়েছে। কালবিলম্ব না করে, চিন ১২ জন বাছাই করা চিনাকম্যান্ডোকে পাঠালো যশওয়ান্তকে মারার জন্য। রাতের অন্ধকারে তারা এগিয়ে এলো চুপিসারে। দিনটা ছিল, ১৭ নভেম্বর।

নতুন সূর্যের আভা পূর্ব হিমালয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতর্কিতে আক্রমণ চালালো চিনা কম্যান্ডো বাহিনী। খোলা আকাশের নিচে ৭২ ঘন্টা ধরে প্রবল শীতে প্রায় জমতে থাকা, পরিশ্রমে ও অনাহারে কাটানো তিন যুবক যুবতী কিছু বোঝার আগেই গ্রেনেড ছুঁড়ল চিনারা। যশওয়ান্তের চোখের সামনে গড়িয়ে পড়লো প্রাণোচ্ছল তরুণী সেলা। গ্রেনেডের স্পিন্টার লেগেছে সেলার মাথায়। ভারতের ইতিহাসের মোড় ঘোরানো দিনের প্রথম শহিদ হলো ১৯ বছরের মনপা যুবতী সেনা।

গ্রেনেডের স্পিন্টার আহত হয়েও বীরবিক্রমে লড়াই শুরু করলেন যশওয়ান্ত সিং। ইতিমধ্যে গায়ে এসে বিঁধেছে শত্রুপক্ষের গোটা পাঁচেক বুলেট। এই অবস্থাতেও উঠে দাঁড়িয়ে একহাতে রাইফেল ধরে গুঁড়িয়ে দিলেন কয়েকজন চিনা সৈনের মাথা। একসময় শেষ হয়ে গেলো যশওয়ান্তর রাইফেলের গুলি। রইলো একটি মাত্র বুলেট। রক্তাক্ত দেহে যশওয়ান্ত নুরাকে দ্রুত সেখান থেকে চলে যেতে বললো। মৃত্যুপথযাত্রী যশবস্তের শেষ কথাটুকু সজল চোখে মেনে নিলো নুরা। একবার সেলা দিদির রক্তাক্ত মৃতদেহের দিকে, আরেক বার প্রিয়তম যশওয়ান্তের দিকে শেষবারের মতো তাকিয়ে নিচে নামতে লাগলো নুরা। দূরে পাহাড়ে শোনা যাচ্ছে চিনের সৈন্যদলের উল্লাস। হাজারে হাজারে এগিয়ে আসছে তারা। ভারতের সীমানায় একা পড়ে রইল, ভারতের পূর্ব সীমান্তের অতন্দ্রপ্রহরী, ২১ বছরের যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত। রক্তস্নাত দেহের পাশে পড়ে আছে সারা গায়ে গুলির ক্ষত। ক্রমশ কাছে এগিয়ে আসছে চিনা মিলিটারির বুটের আওয়াজ। আর মাত্র পনেরো কুড়ি ফুট দূরে।

শেষবারের মতো পিছন ঘুরে ভারত মা'কে দেখল যশওয়ান্ত। নাকি ঘোলাটে চোখে খুঁজলেন গাড়োয়ালের পাহাড়ি গ্রামে তার পথ চেয়ে বসে থাকা মা'কে। নাকি দেখলেন তাঁর জন্য জীবন উৎসর্গ করতে বসা, দিদিকে হারানো পাহাড়ি যুবতী নুরা নিরাপদ আছে কিনা। তারপর, ঠান্ডায় জমতে থাকা সেলার দেহের দিকে একবার তাকিয়ে, রাইফেলের নলটা গলার নিচে ঠেকিয়ে ট্রিগারে চাপ দিলেন যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত। দিদি সেলা গুলিতে নিহত, শত্রুপক্ষ কয়েকশো ফুট সামনে। যশওয়ান্ত মৃত্যুর আগে নুরাকে পালাতে বলা সত্ত্বেও মৃত দিদির দেহ ও প্রিয়তম যশওয়ান্ত সিং রাওয়াতকে ছেড়ে পালায়নি নুরা। পাথরের আড়াল থেকে চোখের সামনে দেখেছে প্রিয়তমের মৃত্যু। নাকি নুরাও মরতে চেয়েছিল। মরে গিয়ে মিলতে চেয়েছিল সেলা দিদি আর যশওয়ান্তের সঙ্গে। চিনা সৈন্যের হাতে ধরা পড়ে গেলো ১৭ বছরের নুরা।

অকথ্য অত্যাচারের পর টেলিফোনের তার দিয়ে নুরাকে ফাঁসিতে লটকে দিলো চিনা সেনা। এক গাড়োয়ালি যুবকের প্রেমে পাগল হয়ে, চিনের হাত থেকে অরুণাচল ছিনিয়ে নিতে, দেশকে নিজেদের প্রাণ অর্ঘ্য দিয়ে গেলো দুই মনপা সুন্দরী সেলা আর নুরা। শহিদ যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত, চিনের সেনাদের ৭২ ঘন্টা আটকে রাখায়, প্রচুর সময় পেয়ে গেছিলো ভারতীয় সেনারা। প্রচুর গোলাবারুদ ও সৈন্য নিয়ে আক্রমণ শানালো চিনের অগ্রবর্তী বাহিনীর ওপর। ভারতীয় সেনার রুদ্রমূর্তিতে পিছু হটল চিনা সৈন্যদল। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করতে বাধ্য হলো। একেবারে ঠিক কোনটা বলা না গেলেও কথিত আছে, ভারতীয় সেনা যুদ্ধক্ষেত্রে যশওয়ান্তকে খুঁজে পায়নি। কারণ তিনি সেনাকর্তাদের নির্দেশ মেনে পিছিয়ে আসেনি। ৭২ ঘন্টা ধরে তাঁর অবিশ্বাস্য মরণপণ লড়াইয়ের খবরও ভারতীয় সেনার কাছে ছিল না। ভারতীয় সেনা যখন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলাতক ভেবে যশওয়ান্ত সিং রাওয়াত-এর বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল করার কথা ভাবছে, সেই সময়, একদিন রাত্রে যুদ্ধক্ষেত্রের দায়িত্বে থাকা জেনারেল একটা স্বপ্ন দেখলেন। স্বপ্নে তিনি দেখলেন সম্পূর্ণ রণসাজে সজ্জিত হয়ে রাইফেলম্যান যশওয়ান্ত সিং তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে। তিনি জেনারেলকে বলছেন, তিনি কাপুরুষের মতো রণাঙ্গন থেকে পালাননি, তিনি কোথায় তা চিনা সৈন্যদলের কাছ থেকে জেনে নিতে।

ভারতীয় বাহিনী ও চিনা বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে শত্রুপক্ষের কাছ থেকেই মৃত্যুঞ্জয়ী বীর শহিদ যশওয়ান্ত সিংহের অবিস্মরণীয় বীরত্বের কাহিনী শুনল ভারতীয় সেনা। শ্রদ্ধায় উঠে দাঁড়ালো দুই বাহিনী। এক ভারতীয় সেনার আমরণ লড়াইকে কুর্ণিশ জানালো চিনা সৈন্যদল। এই পৃথিবী দেখেছে বহু বিখ্যাত ও অমর প্রেমের বিয়োগান্তক পরিণতি। মানুষ মনে রেখেছে রাধা- কৃষ্ণকে, লায়লা-মজনুকে, হীর-রঝা সহ আরও কতশত প্রেমগাথাকে। কিন্তু যশওয়ান্তের প্রতি সেলা আর নুরার প্রেম বুঝি সব প্রেমকে ছাপিয়ে গেছে। অবোধ পাহাড়ি যুবতী দুটি কিছুই পেল না, শুধু মাত্র প্রেমের আশায়, অক্লেশে, হাসতে হাসতে জীবন দিয়ে দিল। ঠিক যেভাবে দেশপ্রেমে পাগল যুবক যশওয়ান্ত, চিনের থাবা থেকে অরুণাচল ছিনিয়ে নিয়ে, ভারত মায়ের আঁচলে বেঁধে রেখে হাসতে হাসতে শহিদ হয়ে গেলেন।
"তিরঙ্গার প্রতিফলন পাতে-ও"
(৫০টি ট্রাই কালার রেসিপি)
২৬ জানুয়ারি, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস, শৌর্য্য, বীর্য ও বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের উদযাপন করার দিন। জাতীয় পতাকায় থাকা সাদা, সবুজ ও গেরুয়া রং; যার প্রতিফলন প্রকৃতি থেকে এবার খাবারের পাতে ও। তিরঙ্গা রেসিপির সমাহার নিয়ে হাজির বাবুর্চিহাট এর সদস্যরা।
রূচিরা চট্টোপাধ্যায়
ট্রাই কালার পুরি (তেরঙ্গা লুচি)

কী কী লাগবে
ময়দা, গাজর, পালংশাক, নুন, Shalimar's সাদা তেল, চিনি, হাল্কা উষ্ণ জল

কীভাবে বানাবেন
প্রথমে জলে ১/২ টেবিল চামচ চিনি গুলে নিয়ে ময়দায় ২ টেবিল চামচ সাদা তেল ময়ান দিয়ে, ঐ চিনি গোলা জল একটু দিয়ে একটি সাদা ডো বানিয়ে নিতে হবে, দ্বিতীয় ডো টি তৈরির জন্যে গাজর কে স্ন্যাপ করে ময়দা র সাথে মিশিয়ে হাল্কা ময়ান ও জল দিয়ে মেখে নিতে হবে, তৃতীয় ডো টি তৈরি করার জন্যে পালংশাক পেস্ট করে নিয়ে ময়দার সাথে মিশিয়ে মেখে নিতে হবে, এইভাবে কমলা, সাদা ও সবুজ তিনটি ডো তৈরি করে নিয়ে, ছোট ছোট আকারে লেচি কেটে বেলে, করাই এ তেল একটু বেশি করে দিয়ে গরম হলে, একটি একটি করে লুচি ভেজে নিলেই তৈরি তেরঙ্গা লুচি। খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়। সাথে ছিলো সাদা আলু চচ্চড়ি।

রত্না বর্ধন
পতাকা লাড্ডু
কী কী লাগবে
৫০০ ফুল ক্রিম মিল্ক, ১০০ গ্ৰাম পাউডার দুধ, পরিমান মতো চিনি, সবুজ ও অরেঞ্জ কালার, ১ চামচ গোলাপ জল

কীভাবে বানাবেন
প্রথমে দুধটা কড়াইয়ে ঢেলে দিয়ে একটু গরম হয়ে এলে পাউডার দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সমানে নেড়ে নেড়ে ঘন করতে হবে। এবার চিনি ও গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটা মসৃন মন্ড তৈরী হয়ে এলে কড়াই থেকে একটা প্লেটে নামিয়ে খুব করে ঠেসে ঠেসে একটা সফট্ মন্ড তৈরী করতে হবে। এবার ওই মন্ড টাকে সমান তিনটি ভাগে ভাগ করে একটা সাদা ও বাকি দুটিতে যথাক্রমে সবুজ ও অরেঞ্জ রং খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
ওই ৩ টি ভাগ থেকে ছোট ছোট বল তৈরী করতে হবে। এবার তিন রঙের তিনটি বল নিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে চেপে গোল মিষ্টি প্লেটে সাজিয়ে নিলেই তৈরি।

সর্বাণী দত্ত
delightful চকোলেট
কী কী লাগবে
মিল্ক চকোলেট, বাটার, পান পাতা, গাজর, ভ্যানিলা এসেন্স
কীভাবে বানাবেন
পান পাতা পিষে নিয়ে ছেকে নিয়ে রস বার করুন। একই ভাবে গাজর পিষে রস বার করুন। একটা বাটিতে জল ফোটান ,তার ওপরে একটা বাটি বসিয়ে মিল্ক চকোলেট টুকরো করে দিন। মেল্ট হতে শুরু করলে একটু বাটার দিন। ভালো করে মেল্ট হয়ে গেলে তিনটে আলাদা বাটিতে ভাগ করে নি। একটা তে পানের রস, আরেকটি তে গাজরের রস মিশিয়ে নিন। আর একটা নরমাল রাখুন। চকোলেট মোল্ড এ একের পর এক চকোলেট দিন। এবার ফ্রিজে সেট হতে 20 মিনিট রেখে দিন। আপনার delightful চকোলেট তৈরী।

সৈয়দ মিনাজ
তিরঙ্গা ফীরনি
কী কী লাগবে
কমলা গাজর দুটি খোসা ছাড়িয়ে গ্রেট করা, দুটি রাঙা আলু খোসা ছাড়িয়ে গ্রেট করা, মটরশুটি ব্লাণ্চ করে বেটে নেওয়া হাফ বাটি, দুধ দেড় লিটার ফুল ক্রীম, চিনি 200 গ্রাম, ঘি তিন টেবিল চামচ, এলাচ গুড়ো এক চা চামচ, কনডেন্সড মিল্ক এক বাটি।

কীভাবে বানাবেন
প্রথমে একটি কড়াইতে এক টেবিল চামচ ঘি দিয়ে গ্রেট করা রাঙা আলু সামান্য নেড়েচেড়ে হাফ লিটার দুধে সেদ্ধ করতে দেব। সেদ্ধ হয়ে গেলে পরিমাণ মত চিনি আর কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ঘন হলে নামিয়ে নেব।নামাবার আগে এলাচ গুড়ো দিয়ে দেব। ওই এক ই ভাবে গাজর গ্রেট করে ঘিতে নেড়ে নিয়ে দুধে সেদ্ধ করে ,চিনি ,কনডেন্সড মিল্ক ও এলাচ গুড়ো দিয়ে ঘন করে নামিয়ে নেব। বাটা মটরশুটি ঘিতে নেড়ে একই ভাবে দুধে সেদ্ধ করে চিনি, কনডেন্সড মিল্ক, এলাচ গুড়ো দিয়ে ঘন হলে নামিয়ে নেব। তিনটি কাচের বোলে সাজিয়ে পরিবেশন করবো।

সুপর্ণা মন্ডল
তেরঙ্গা চিকেন মোমো
কী কী লাগবে
চিকেন কিমা, ময়দা, নুন স্বাদ অনুসারে, সয় সস, আদা রসুন বাটা, লংকা বাটা, ঘি, পিয়াজ কুচি
কীভাবে বানাবেন
গেরুয়া রঙের জন্য 1 টি গাজর ও 1/2 বিট এর juice বের করে নিয়েছি। সবুজ রঙের জন্য পালং শাক অল্প ভাপিয়ে বরফ জলে ডুবিয়ে রেখেছিলাম। তারপর সেটা ধনেপাতার সাথে বেঁটে ছেঁকে নিয়েছি। ময়দা টা তিন ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। সাদা র জন্য অল্প ময়দা রেখে বাকি ময়দা দু ভাগে ভাগ করে একটায় অল্প অল্প করে বিট গাজরের জুস দিয়ে আর্ অন্যটায় পালং ও ধনেপাতার জুস দিয়ে মেখে রাখতে হবে। সাদা টা নরমাল জলে মেখেছি। অন্যদিকে বাকি সব উপকরণ দিয়ে চিকেন কিমা টা মেখে নিয়েছি।এবার ময়দার লেচি কেটে পুর ভরে গোলাপের shape দিয়ে 8-10 মিনিট ভাপিয়ে নিলেই একদম রেডি চিকেন মোমো।

শুক্লা শীল
ট্রাই কালার সুজি ধোকলা
কী কী লাগবে
১ কাপ সুজি কাপ টকদই,
১ কাপ পেষ্ট করা গাজর,
১/২ কাপ পেষ্ট করা ধনেপাতা,
১/২ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা, ১ চা চামচ আদার রস, ২ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ চিনি, প্রয়োজন অনুযায়ী Shalimar's সাদা তেল, স্বাদ মত নুন, ১ প্যাকেট ইনো

কীভাবে বানাবেন
এই রেসিপি টি আমি মাইক্রোওভেনে বানিয়েছি, তাই ১০ মিনিট লেগেছে, যদি কেউ গ্যাস ওভেনে বানাতে চান তাহলে স্টিমে বানাতে হবে ৩০ মিনিট সময় লাগবে।একটি বড়ো বাটিতে ১ কাপ সুজি নিতে হবে, এবার এরমধ্যে ১ কাপ টকদই,১ চামচ আদার রস, ১/২ চামচ কাঁচা লঙ্কাবাটা ও ১ চামচ চিনি ও পরিমাণ মতো নুন দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। পরিমাণ মতো জল দিয়ে, একটু ঘণ ব্যাটার তৈরি করে ২০ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
২০ মিনিট পর তিনটি একই সাইজের বাটি নিতে হবে, তাতে এই ব্যাটার সম পরিমাণে নিয়ে নিতে হবে। এবার ১ টি ব্যাটারের মধ্যে অল্প অল্প করে গাজরের পেষ্ট মিশিয়ে কমলা রঙের করে নিতে হবে। কমলা রঙ হবার জন্য যতটুকু পেষ্ট প্রয়োজন ঠিক ততটাই ব্যবহার করতে হবে, পুরো পেষ্ট ব্যবহার করার দরকার নেই। আর একটি সুজি ব্যাটারের বাটিতে একই ভাবে ধনেপাতার পেষ্ট মিশিয়ে সবুজ রঙের করে নিতে হবে। একটি মাইক্রোওয়েভ প্রুফ বাটিতে সামান্য সাদা তেল মাখিয়ে নিতে হবে। এবার ধোকলা মাইক্রোওভেনে দেবার ঠিক আগের মুহুর্তে ইনোর প্যাকেট কেটে সম পরিমাণে ৩ টি বাটিতে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার অয়েল ব্রাস করা বাটিতে উপরের দিকে, কমলা সুজি, মাঝে সাদা সুজি ও নিচে সবুজ সুজি ঢেলে একটু ট্যাপ করে এয়ার ফ্রি করে ১০ মিনিটের জন্য মাইক্রোওভেনে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর মাইক্রোওভেন থেকে বের করে পুরোপুরি ঠাণ্ডা করে, ২ টেবিল চামচ উষ্ণ জলের সাথে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সমস্ত ধোকলার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার স্পঞ্জি কালারফুল ধোকলা মনের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মৌসুমী দাস
তিরঙ্গা বড়া
কী কী লাগবে
গেরুয়া রঙের বড়ার জন্য -
৩ চা চামচ গ্রেট করা গাজর
৩ কোয়া রসুন
১ টি পাকা লঙ্কা
১/২ টমেটো
১/৩ চা চামচ Shalimar's হলুদ গুঁড়ো
২ চা চামচ বেসন
১ চা চামচ চালের গুঁড়ো
প্রয়োজন মতো নুন
১ চা চামচ গরম Shalimar's সাদা তেল
প্রয়োজন মতো জল
সামান্য চিনি
১/৪ চা চামচ খাবার সোডা
সাদা রঙের বড়ার জন্য -
১ চা চামচ ময়দা
১ চা চামচ চালের গুঁড়ো
১ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
৩ চা চামচ গ্রেট করা মূলো
প্রয়োজন মতো নুন
১ চা চামচ গরম Shalimar's সাদা তেল
১/৩ চা চামচ পোস্তদানা (ঐচ্ছিক)
প্রয়োজন মতো জল
১/৩ চা চামচ চিনি
১/৪ চা চামচ খাবার সোডা

সবুজ রঙের বড়ার জন্য -
১ চা চামচ চালের গুঁড়ো
২ চা চামচ বেসন
১/৩ ক্যাপ্সিকাম
১ টি কাঁচা লঙ্কা
৩ চা চামচ ধনেপাতা
প্রয়োজন মতো নুন
১ চা চামচ গরম Shalimar's সাদা তেল
প্রয়োজন মতো জল
১/৩ চা চামচ চিনি
১/৪ চা চামচ খাবার সোডা
কীভাবে বানাবেন
গাজর, রসুন, পাকা লঙ্কা ও টমেটো মিক্সিং জারে ব্লেন্ড করেবে নিন। এর মধ্যে হলুদ, বেসন, চালের গুঁড়ো, নুন, তেল, খাবার সোডা ও প্রয়োজন মতো জল দিয়ে মেখে সরিয়ে রাখুন।এবারে মূলো মিক্সিং জারে ব্লেন্ড করে নিয়ে তাতে একে একে চালের গুঁড়ো, কর্ন ফ্লাওয়ার, ময়দা, নুন, তেল, পোস্ত, চিনি, খাবার সোডা ও প্রয়োজন মতো জল দিয়ে মেখে রাখুন।তারপর ক্যাপ্সিকাম, কাঁচালঙ্কা ও ধনেপাতা একসাথে মিক্সিং জারে ব্লেন্ড করে তার মধ্যে খাবার সোডা, চালের গুঁড়ো, বেসন, নুন, চিনি, তেল ও প্রয়োজন মতো জল দিয়ে মেখে নিন।এবার একটি নন স্টিক প্যানে ৩-৪ চা চামচ তেল দিন। গরম হলে আঁচ কমিয়ে দিন। তারপর সাদা মিশ্রণটি থেকে পরিমাণ মতো নিয়ে ইচ্ছা মতো আকারে গড়ে নিয়ে ভেজে নিন। প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে তেল যোগ করুন।

তিন রঙা গোলারুটি
কী কী লাগবে
গেরুয়া রঙের গোলারুটির জন্য -
৩ চা চামচ গ্রেট করা গাজর
৩ কোয়া রসুন
১ টি পাকা লঙ্কা
১/২ টমেটো
৩ চা চামচ ময়দা
সামান্য Shalimar'sহলুদ গুঁড়ো
প্রয়োজন মতো নুন
১ চা চামচ গরম সাদা তেল
প্রয়োজন মতো জল
সামান্য চিনি
সাদা রঙের গোলারুটির জন্য -
৩ চা চামচ ময়দা
৩ চা চামচ পিঁয়াজ কুচি
প্রয়োজন মতো নুন
১ চা চামচ গরম সাদা তেল
প্রয়োজন মতো জল
১/৩ চা চামচ চিনি

সবুজ রঙের গোলারুটির জন্য -
৩ চা চামচ ময়দা
১/৩ ক্যাপ্সিকাম
১ টি কাঁচা লঙ্কা
৩ চা চামচ ধনেপাতা
প্রয়োজন মতো নুন
১ চা চামচ গরম Shalimar's সাদা তেল
প্রয়োজন মতো জল
১/৩ চা চামচ চিনি
নীল রঙের ছোট গোলারুটির জন্য -
১ চা চামচ ময়দা
৩-৪ টি অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি
১ কোয়া রসুন
সামান্য নুন
সামান্য চিনি
সামান্য সাদা তেল
ভাজার জন্য ১/৩ কাপ Shalimar's সাদা তেল
কীভাবে বানাবেন
গাজর, রসুন, পাকা লঙ্কা ও টমেটো মিক্সিং জারে ব্লেন্ড করে নিন। এর মধ্যে হলুদ, ময়দা, নুন, তেল ও প্রয়োজন মতো জল দিয়ে ব্যাটার তৈরি করে সরিয়ে রাখুন।এবারে পিঁয়াজ মিক্সিং জারে ব্লেন্ড করে নিয়ে তাতে একে একে ময়দা, নুন, তেল, চিনি ও প্রয়োজন মতো জল দিয়ে ব্যাটার তৈরি করে রাখুন, তারপর ক্যাপ্সিকাম, কাঁচালঙ্কা ও ধনেপাতা একসাথে মিক্সিং জারে ব্লেন্ড করে তার মধ্যে ময়দা, নুন, চিনি, তেল ও প্রয়োজন মতো জল দিয়ে ব্যাটার তৈরি করে নিন।
শেষে ১/৩ কাপ জল দিয়ে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি গুলো জ্বাল দিন। জল টাকে অর্ধেক করে ছেঁকে নিন। ঐ জলে ময়দা, রসুন, নুন, চিনি ও তেল মিশিয়ে একটি নীল রঙের ব্যাটার তৈরি করে রাখুন। এবার একটি নন স্টিক প্যানে ১ চা চামচ করে তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে দিন। তারপর সাদা মিশ্রণটি থেকে পরিমাণ মতো ব্যাটার নিয়ে গোল রুটির মতো আকারে ছড়িয়ে নিয়ে দুই দিক ভালো করে ভেজে নিন। প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে তেল যোগ করুন। তারপর একই ভাবে গেরুয়া ও শেষে সবুজ রঙের মিশ্রণ গুলো দিয়ে গোলারুটি ভেজে নিন। শেষে নীল ব্যাটার থেকে এক টেবিল চামচ ব্যাটার নিয়ে ১/৩ চা চামচ তেল দিয়ে ব্যাটার টি দিয়ে দিন। উল্টে পাল্টে ভেজে নিন। তৈরি আমাদের অশোক চক্র। এবারে আমাদের পতাকার রং অনুসারে পর পর সাজিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

শ্রাবন্তী দত্ত
ট্রাই কালার ব্রেড টিক্কি
কী কী লাগবে
১০ স্লাইস মাঝারি সাইজের পাঁউরুটি
৩ টেবিল চামচ জল ঝরানো টক দই
১ চা চামচ পেঁয়াজ বাটা
১ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
১/২ চা চামচ Shalimar's জিরে গুঁড়ো
১/২ চা চামচ Shalimar's ধনে গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ গাজর বাটা
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা বাটা
১/২ চা চামচ চিনি
প্রয়োজন মত Shalimar's সাদা তেল
স্বাদমত নুন
প্রয়োজন মত টুথপিক

কীভাবে বানাবেন
পাঁউরুটির স্লাইস গুলি অল্প জল দিয়ে মাখুন, তাতে টক দই ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে মেশান। তারপর মেশান পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, চিনি ও স্বাদমত নুন। সব খুব ভালো করে মেখে নিন। মিশ্রণটি তিন ভাগ করে নিন। এক ভাগ একই রাখুন, আরেক ভাগে গাজর বাটা এবং আরেকটি ভাগে ধনেপাতা বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রতিটি ভাগ থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে ছোট ছোট চ্যাপ্টা টিক্কির আকারে গড়ে নিন। তাওয়াতে সাদা তেল ব্রাশ করে টিক্কি গুলি এপিঠ ওপিঠ হালকা ভেজে তুলে নিন। এবার প্রথমে ধনেপাতা বাটা দেওয়া টিক্কি, তার ওপর সাদা টিক্কি, এবং তার ওপর গাজর বাটা দেওয়া টিক্কি রেখে ওপর থেকে টুথপিক দিয়ে গেঁথে দিন। তৈরী হয়ে গেলো দারুন মুখরোচক ট্রাই কালার ব্রেড টিক্কি।

কেয়া দত্ত
তিরঙ্গা বেকড মালপোয়া
কী কী লাগবে
দুধ-500 ml
ময়দা - 1 কাপ
সুজি-1/2 কাপ
চিনি-1/2 কাপ
মৌরি গুঁড়ো -1 চামচ
গাজর সেদ্ধ -1 টি
পালং সেদ্ধ - 1/2 কাপ
ঘি-2 চা চামচ
গোলাপ মোল্ড -3 টি
নুন-1 চিমটি
পাকা কলা-1 টি
বেকিং পাউডার -1চা চামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে নরমাল তাপমাত্রার দুধ নিয়ে আলাদা রাখতে হবে।অপরদিকে একটি পাত্রে ময়দা,সুজি,চিনি,মৌরি গুঁড়ো ও নুন মিশিয়ে অল্প অল্প করে দুধ মিশিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিতে হবে ও তিন ভাগ করে নিতে হবে।অন্যদিকে সেদ্ধ গাজর মিক্সি তে পেস্ট করে নিতে হবে।একটি ভাগ এ গাজর পেস্ট,আরেকটি ভাগ এ কলা পেস্ট ও অপর একটি ভাগ এ পালং পেস্ট মিক্সড করতে হবে ও একটু করে বেকিং পাউডার মিশিয়ে মোল্ড এ ঘী মাখিয়ে মিশ্রন ঢেলে দিতে হবে ও মাইক্রোওভেন এর মাইক্রো মোড 2-3 মিনিট bake করলে তৈরি হয়ে যাবে বেক্ড মালপোয়া।

সোনা মণি
ট্রাইকালার পোলাও
কী কী লাগবে
গোবিন্দ ভোগ চাল, লবন, চিনি, আদার রস, Shalimar's গরম মশলা।
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে চাল ভালোভাবে ধুয়ে জল ঝরিয়ে আদার রস মিশিয়ে হালকা শুকিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইতে ঘি গরম করে চাল ভালোভাবে ভেজে পরিমাণ মতো লবন দিয়ে চালের দ্বিগুণ পরিমাণ গরম জল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, কিছুক্ষণ পর স্বাদ মতো চিনি দিয়ে আরও একটু ঢেকে রাখতে হবে। ঢাকনা খুলে গরম মশলা গুড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
১. পালংশাক পেস্ট।
২. সাদা থাকবে।
৩. হলুদ গুড়ো।
৩টি রঙের জন্য এগুলো মেশাতে হবে।

ট্রাই কালার পনির
কী কী লাগবে
পনির, আদা রসুন বাটা, টকদই, নুন, চিনি, ধনেপাতা, কাঁচা লঙ্কা, জিরা ধনে এলাচ গোলমরিচ ড্রাই রোস্ট করে গুড়ো করা
কীভাবে বানাবেন
গুড়ো মশলা, আদা রসুন বাটা, নুন, চিনি, টকদই, সামান্য তেল ও কিউব করে কাটা পনির মিশিয়ে ৩টি বাটিতে আলাদা করে রাখতে হবে। এবার একটাতে হলুদ গুড়ো মেশাতে হবে, আর একটাতে ধনেপাতা ও কাঁচা লঙ্কা বাটা মেশাতে হবে। অন্যটি ফ্রেশ ক্রিম মিশিয়ে আধঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। এবার গ্রিল করে নিলেই রেডি।

অনন্যা মন্ডল
ট্রাই কালার সরু চাকলি
কী কী লাগবে
ঘি ২ চামচ
গরম জল ১ কাপ
ডিম ২ টি
গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো ১ বাটি
লবণ একচিমটে
পালং শাকের রস ২ চামচ
গাজরের রস ২ চামচ
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে গ্যাস ওভেনের মধ্যে একটা পাত্র বসিয়ে জল গরম করে নিয়ে তারপর চালের গুঁড়ো, ডিম এবং লবণ দিয়ে একটা পাতলা মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। ওই মিশ্রণটাকে আলাদা তিনটি ভাগে ভাগ করে নিতে হবে একটা ভাগ সাদা আর একটা পালং শাকের রস মিশাতে হবে আর অন্য ভাগটিতে গাজরের রস দিয়ে মিলিয়ে নিতে হবে।
তারপর ওভেনের মধ্যে একটা পাত্র বসে সামান্য ঘি দিয়ে গরম হলে একটা একটা মিশ্রণগুলি এভাবে বানিয়ে নিয়ে নানারকম আকারের ছাপ দিয়ে কেটে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল সরু চাকলি। চাকলির সাথে নলেন গুড় পরিবেশন করতে হবে। তৈরি হয়ে গেল ট্রাই কালার সরু চাকলি।

ঝুমা চক্রবর্তী
তিরঙ্গা পাস্তা
কী কী লাগবে
পাস্তা ১০০গ্রাম, গাজর ১টা, ২ টেবিল চামচ মেয়োনিজ, ধনেপাতা ১ আটি
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে পাস্তা সেদ্ধ করে তিন ভাগ করে রাখলাম। তারপর গাজরের পেস্ট, ধনেপাতার পেস্টে বানালাম। এবার পাস্তার একভাগে গাজরের পেস্ট, আর এক ভাগে মেয়োনিজ, আর এক ভাগে ধনে পাতা পেস্ট মিলিয়ে, তারপর ঐ ৩ ভাগ পাস্তা গুলো একটা শেপ দিয়ে ওর মাঝখানে লবঙ্গ দিয়ে অশোক চক্র বানালাম। তৈরি হয়ে গেলো তিরঙ্গা পাস্তা রেসিপি।

সমাপ্তি দে
তিনরঙ্গা সন্দেশ
কী কী লাগবে
১ লিটার দুধ
১/২ কাপ চিনি
১ টা পাতি লেবু
৪ চামচ মিল্ক পাউডার
১ চামচ এলাচ গুঁড়ো
২ চামচ কনডেন্স মিল্ক
২ চামচ গাজরের রস
২ চামচ পালং শাকের রস
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে দুধ জাল দিয়ে লেবুর রস দিয়ে ছানা কেটে নিলাম। তারপর ছাঁকনি তে ছেকে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে পাতলা সুতির কাপড়ে ঝুলিয়ে দিলাম জলঝড়ানোর জন্য। তারপর জল ঝরে গেলে ওই ছানা কে ভালো করে হাতের তালু দিয়ে মেখে তিনটে ভাগ করে নিলাম। এক ভাগে গাজরের রস এক ভাগে পালং শাকের রস দিয়ে আবারো ভালো করে আলাদা আলাদা মেখে নিলাম। ১/২ কাপ দুধ দিয়ে প্রথমে ওই সাদা মাখা ছানা দিয়ে নাড়াচাড়া করে চিনি দিয়ে খানিকক্ষণ নাড়ার পর কনডেন্স মিল্ক, গুঁড়ো দুধ, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়া চাড়া করে আঠা আঠা হলে নামিয়ে ঘি মাখানো পাত্রে রাখলাম। এই ভাবে পালং শাকের ও গাজরের রস মাখানো ছানা একই ভাবে জাল দিয়ে নামিয়ে ঘি মাখানো পাত্রে রেখে তিন রঙের আলাদা আলাদা করে গোল গোল করে হাতের তালু তে নিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে ডিজাইন করে নিলাম। তৈরী হয়ে গেল তিনরঙ্গা সন্দেশ।

সর্বাণী দত্ত
তিরঙ্গা প্যান কেক
কী কী লাগবে
ময়দা
বাটার
চিনি
নুন
বেকিং পাউডার
দুধ
ডিম
ভ্যানিলা এসেন্স
Shalimar's সাদা তেল বা বাটার
কীভাবে বানাবেন
চিনি গুঁড়ো করে নিন। একটা বাটিতে প্রয়োজন মতো ময়দা, গুঁড়ো চিনি (যে যতটা মিষ্টি পছন্দ করেন ) বাটার,এক চিমটে নুন, বেকিং পাউডার, ডিম,ভ্যানিলা এসেন্স, দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পাতলা ব্যাটার বানান। এবার প্যানে তেল ব্রাশ করো অল্প অল্প করে ব্যাটার দিন। ঢাকা দিয়ে দুই মিনিট রেখে দিন। গ্যাসের আচ একদম লো রাখবেন। দুই মিনিট পরে উল্টো পিট সেঁকে নিন। তৈরী প্যান কেক। ওপরে মধু দিয়ে পরিবেশন করুন।

চৈতি দাস
তিরাঙ্গা পনির পাস্তা
কী কী লাগবে
পনির ১ বাটি, ক্যপসিকাম ১/২ বাটি, টমেটো ৫-৬ টা, মটরশুটির ১ বাটি, পালংশাক ১/২ বাটি,
আদা ও রসুন বাটা ৫ চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ বাটি, নুন ও গোলমরিচ, তেল, ১ কাপদুধ, ১ চামচ ময়দা, ১ চামচ মাখন, পাস্তা ৩ বাটি।
কীভাবে বানাবেন
পাস্তা সেদ্ধ করে জল ঝড়িয়ে নিতে হবে। এবার পনির, ক্যপসিকাম, ১টমেটো বীজ ছাড়িয়ে রসুন ও আদা বাটা দিয়ে, নুন ও গোলমরিচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ঢাকা চাপা দিয়ে রাখতে হবে ১ঘন্টা। টমেটো সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে মিক্সিং গ্রাইনডার দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে ছেঁকে নিতে হবে। কড়াই তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, ১চামচ আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে টমেটো পেস্ট দিয়ে ১বাটি পাস্তা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। যখন পাস্তা গ্রেভি ঘন হয়ে আসবে তখন গ্যাস বন্ধ করে নামিয়ে নিতে হবে। তৈরি গেরুয়া রং! এবার পর্যন্ত মাখন দিয়ে রসুন কুচি ১চামচ, ১চামচ ময়দা, দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে সাথে সাথে দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে তার নুন ও সামান্য পরিমাণে চিনি দিয়ে পাস্তা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে, তৈরি সাদা রঙ। এবার মটরশুটি ও পালংশাক কে সেদ্ধ করে মিক্সিং গ্রাইনডার দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে ছেঁকে নিতে হবে। পর্যন্ত তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে মটরশুটির গ্রেভি দিয়ে ১বাটি পাস্তা দিয়ে নুন ও গোলমরিচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে, তৈরি সবুজ রং। পনির, ক্যপসিকাম, টমেটো গুলি কে একটি কাঠি মধ্যে ঢুকিয়ে প্যান একটু ফ্রাই করে নিতে হবে। একটি গ্লাস প্রথম সবুজ পাস্তা দিয়ে তার উপর সাদা পাস্তা দিয়ে তার পর গেরুয়া রং পাস্তা দিয়ে সাজিয়ে সাথে তিরঙ্গা পনির দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করেছি। সাথে তিরঙ্গা স্যালাড।
Comments